আন্তর্জাতিক
তুরস্কের মূল্যস্ফীতি ৫৯ শতাংশ

তুরস্কের মুদ্রা লিরার দরপতনে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। ফলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতির পরিবর্তন ও কর বৃদ্ধি করা হলেও আশানুরূপ ফলাফল দেখা যায়নি। বরং তুরস্কের বার্ষিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ’র এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
তুর্কি পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট (তুর্কস্ট্যাট) জানিয়েছে, দেশটির ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) পরিমাপ করে দেখা গেছে- আগস্ট শেষে তুরস্কের বার্ষিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৫৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে দেশটির মূল্যস্ফীতি ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৫ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছিল। পরে এ বছরের জুনে ৩৮ দশমিক ২১ শতাংশে নামার পর জুলাইয়ে আবার বেড়ে ৪৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ হয়।
তুর্কস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, তুরস্কের মাসিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ, যা এক মাস আগে ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

তুরস্কের ট্রেজারি ও অর্থমন্ত্রী মেহমেত সিমসেক বলেছেন, ‘আমরা জানি মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিছুটা সময় লাগবে। আমরা পরিবর্তনের পর্যায়ে রয়েছি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং তারপর তা কমাতে যা যা করা দরকার (আর্থিক নীতি, ক্রেডিট পলিসি ও আয় নীতি) আমরা করব।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থনীতিবিদরা বছরের বাকি সময়েও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পূর্বাভাস দিয়েছেন। ব্যাংকটি গত সপ্তাহে বলেছিল, ২০২৩ সালের শেষে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি প্রায় ৬০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।
রয়টার্সের এক জরিপে তুরস্কের বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ৫৫ দশমিক ৯ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর সম্পদমূল্য বেড়েছে

চলতি বছর বিশ্বের ১০ জন শীর্ষ ধনীর সম্পদ অনেকটা বেড়েছে। এই তালিকায় এগিয়ে আছেন ইলন মাস্ক, মার্ক জাকারবার্গ ও জেফ বেজোস। মূলত শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এ বছর তাঁদের সম্পদের দাম অনেকটা বেড়েছে। ফলে মন্দার যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তার প্রভাব এঁদের সম্পদমূল্যে পড়েনি।
বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের সূত্রে জানানো হয়েছে, এ বছর যাঁদের সম্পদমূল্য বেড়েছে, তাঁদের মধ্যে শীর্ষ ১০ জনের সম্পদমূল্য বেড়েছে ৩৯৭ বিলিয়ন বা ৩৯ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের সম্পদমূল্য বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এ বছর তাঁর সম্পদমূল্য বেড়েছে ৯৯ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। গতকাল রোববার এই প্রতিবেদন লেখার সময় ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের তথ্যানুসারে, ইলন মাস্কের সম্পদমূল্য ছিল ২২৮ বিলিয়ন বা ২২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। ফলে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হিসেবে তাঁর অবস্থান আরও পাকাপোক্ত হয়েছে। এ বছর টেসলার শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০৭ শতাংশ।
টেসলার ১৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক ইলন মাস্ক। ফলে শেয়ারের দাম ওঠানামার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদের মূল্য বাড়ে ও কমে।
এরপর সম্পদ বৃদ্ধির দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছেন মার্ক জাকারবার্গ। এ বছর তাঁর সম্পদমূল্য বেড়েছে ৬১ দশমিক ৯ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ১৯০ কোটি ডলার। গতকাল রোববার এই প্রতিবেদন রেখার সময় মার্ক জাকারবার্গের সম্পদমূল্য ছিল ১০৯ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। মূলত মেটা প্ল্যাটফর্মের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৫১ শতাংশ।

সম্পদ বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় স্থানে আছেন জেফ বেজোস—চলতি বছর তাঁর সম্পদমূল্য বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৬৫০ কোটি ডলার। সম্পদ বৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় আরও আছেন গুগোলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন; ওরাকলের ল্যারি এলিসন; এনভিডিয়ার জেনসেন হুয়াং; মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান নির্বাহী স্টিভ বালমার, মাইকেল ডেল ও স্প্যানিশ ব্যবসায়ী আমানিকো ওর্তেগা।
কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় হলো, ১০ জন শতকোটিপতির মধ্যে ৯ জনই প্রযুক্তি খাতের। অথচ ২০২২ সালে এই খাতের আয় কমে যাওয়ার কারণে বিপুলসংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছিল। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কারণে এই খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বেড়েছে। এই তালিকায় প্রযুক্তি ব্যতীত অন্য খাতের একমাত্র প্রতিনিধি হলেন আমানিকো ওর্তেগা।
চিপ কোম্পানি এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম এ বছর ১৮৭ শতাংশ বেড়েছে, তার ওপর ভর করে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী হুয়াংয়ের সম্পদমূল্য ২২ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ২২০ কোটি ডলার বেড়েছে। বস্তুত, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম চলতি বছর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।
মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ইতিবাচক খবরে দেশটির কোম্পানিগুলোর আয় বেড়েছে। ফ্যাক্ট সেটের তথ্যানুসারে, চলতি বছর এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ভুক্ত কোম্পানিগুলোর গড় আয় ৮ দশমিক ১ শতাংশ বাড়তে পারে; আগের বছর ২০২২ সালে যা ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
নতুন শিল্পে বড় বিনিয়োগে চীনের তহবিল গঠন

চীনের রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি চায়না রিফর্ম হোল্ডিংস করপোরেশন নতুন ও উদীয়মান শিল্পে বিনিয়োগের জন্য ১৩ দশমিক ৭০ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার তহবিল গঠনের পরিকল্পনা করছে। চায়না বিজনেস নিউজের সূত্রে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই সংবাদ দিয়েছে।
ইতিমধ্যে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার-নিয়ন্ত্রিত ২০টি প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার ও বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা এই তহবিলে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চায়না বিজনেস নিউজ বলেছে, এই তহবিল চলতি বছরের শেষ নাগাদ কার্যক্রম শুরু করবে।
অর্থনীতি চাঙা করতে চীনা সরকার বড় ধরনের সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তার অংশ হিসেবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোরও সংস্কার করা হচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন উদীয়মান শিল্পের সহায়তায় এগিয়ে আসছে। তারা এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নতুন জ্বালানি, নতুন উপকরণ ও জৈব প্রযুক্তির মতো খাতে বিনিয়োগ করছে।
চায়না রিফর্ম হোল্ডিংস ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর কাজ হলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার আরও গভীরভাবে পরিচালনা করা। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ চায়না রিফর্ম হোল্ডিংয়ের সম্পদের পরিমাণ ছিল ১১৭ বিলিয়ন বা ১১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
রাশিয়ায় বন্ধ জ্বালানি রপ্তানি, বাড়ছে তেলের দাম

রাশিয়ার মস্কোতে কিছু জ্বালানির রপ্তানিতে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ফলে তেলের সরবরাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কায় বাজারে পুনরায় বেড়েছে তেলের দাম। বিশ্ববাজারে আজ সোমবারও তেলের দাম বেড়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, আজ সকালে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারের দাম ৪৮ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৯৩ দশমিক ৭৫ ডলারে উঠেছে, যদিও গত শুক্রবার তা ৩ সেন্ট কমেছিল।
এদিকে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট বা ডব্লিউটিআই ক্রুডের দামও টানা দুই অধিবেশনে বেড়েছে। আজ সকালে এই তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫০ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৯০ দশমিক ৫৩ ডলারে উঠেছে।
বাজারে সরবরাহ এমনিতেই টান টান। রাশিয়া সাময়িকভাবে ডিজেল ও গ্যাসোলিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ফেডারেল রিজার্ভ বলেছে, সুদহার আরও বেশ কিছুদিন বাড়তি থাকবে। এই বাস্তবতায় অনলাইনে ব্যবসা করা আইজি মার্কেটসের বিশ্লেষক টনি সিকামোর রয়টার্সকে বলেন, রাশিয়ার সাময়িকভাবে তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার খবর বাজার ঠিকঠাক হজম করতে পারেনি।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম মাসাধিককাল ধরে বাড়ছে। এর মধ্যে টানা তিন সপ্তাহ বৃদ্ধির পর ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার তেলের দাম কিছুটা কমেছিল। এরপর আজ আবার তা বাড়ল।

মূলত সৌদি আরব ও রাশিয়ার সরবরাহ হ্রাসের কারণে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ওপেক যে তেল উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার ওপর আবার রাশিয়া ও সৌদি আরব নিজে থেকে আরও উৎপাদন হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছে, যা চলতি বছরের শেষ নাগাদ পর্যন্ত চলবে। এই বাস্তবতায় তেলের দাম বাড়ছে।
এর মধ্যে গত সপ্তাহে মস্কো নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষার কথা বলে সাময়িকভাবে গ্যাসোলিন ও ডিজেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইউরোপের শীতকাল শুরুর ঠিক আগে আগে এই ঘোষণা বাজারে একধরনের উদ্বেগ তৈরি করেছে। কারণ, শীতের সময় ঘর গরম করার জন্য ইউরোপীয়দের বিপুল পরিমাণ জ্বালানির প্রয়োজন হয়। এই জ্বালানির সংকট ইউরোপের জন্য রীতিমতো অশনিসংকেত।
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় তেলের খনির সংখ্যা আবার কমে ৫০৭-এ নেমেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর যা সর্বনিম্ন। শুক্রবার জ্বালানিপ্রযুক্তি কোম্পানি বেকার হিউজের সাপ্তাহিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
চলতি সপ্তাহে চীনের অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান প্রকাশিত হওয়ার কথা। আশা করা হচ্ছে, এই প্রতিবেদন থেকে ইতিবাচক খবর পাওয়া যাবে। যদিও বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাজারের যা পরিস্থিতি, তাতে তেলের দাম ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে যে পর্যায়ে ছিল, তার ওপরে যেতে দেওয়া হবে না। তেলের দাম এর ওপরে উঠে গেলে বাজারে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে জন্য বিনিয়োগকারীরাই দাম এর ওপরে যেতে দেবেন না।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বড় অঙ্কের বিনিয়োগ পেতে যাচ্ছে থাইল্যান্ড

বিদ্যুতচালিত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং দুই প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট ও গুগল থাইল্যান্ডে বড় আকারের বিনিয়োগ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন। খবর রয়টার্স।
তিনি বলেন, টেসলা বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নির্মাণে এবং মাইক্রোসফট ও গুগল ডাটা সেন্টার প্রতিষ্ঠায় ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে পারে।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যান থাই প্রধানমন্ত্রী। ওই সফরকালে তিনি কোম্পানিগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
বিদেশী বিনিয়োগ থেকে চলতি বছর থাই অর্থনীতিতে ২ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আসতে পারে।
এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অটোমোবাইল অ্যাসেম্বলি হাব হিসেবে পরিচিত থাইল্যান্ড। আঞ্চলিক অটো সেন্টার হিসেবে রাজত্ব ধরে রাখতে সম্প্রতি বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি ও ব্যাটারি প্রস্তুতকারকদের প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে দেশটি। পাশাপাশি স্থানীয় ইভি ক্রেতাদের শুল্ক মওকুফের সুযোগ উন্মোচন করেছে থাইল্যান্ড।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চীনে ৮ মাসে রাশিয়ার রেকর্ড এলএনজি রফতানি

চীনে চলতি বছরের প্রথম আট মাসে রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানি রেকর্ড বেড়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি এসেছে ৬০ শতাংশ। চীনের শুল্ক বিভাগ চলতি সপ্তাহে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আরটি।
জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত রাশিয়া চীনে ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টন এলএনজি সরবরাহ করে। এর মধ্য দিয়ে দেশটির তৃতীয় শীর্ষ সরবরাহকারী দেশে পরিণত হয় রাশিয়া। চীনে এলএনজি রফতানির তালিকায় প্রথম অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয় কাতার।
শুল্ক বিভাগের তথ্য বলছে, অর্থ মূল্যের দিক থেকে রফতানি ১০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। এ আট মাসে ৩৫৩ কোটি ডলারের এলএনজি রফতানি করা হয়।
শুধু আগস্টেই রফতানি আগের মাসের তুলনায় ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় ৫৫ কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার ডলারের এলএনজি চীনে রফতানি করা হয়। অর্থ মূল্যের দিক থেকে রফতানি ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে আট মাসে অস্ট্রেলিয়া চীনে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টন এলএনজি রফতানি করে। রফতানি থেকে আয় হয়েছে ৯৪৪ কোটি ডলার। কাতার দেশটিতে ৬৮১ কোটি ডলারের ১ কোটি ৭ লাখ ৬০ হাজার টন এলএনজি রফতানি করে।

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পর এলএনজির রফতানি গন্তব্যে বড় পরিবর্তন আনে রাশিয়া। আগে দেশটি উৎপাদন এলএনজির সিংহভাগ বিক্রি করত ইউরোপের দেশগুলোয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর থেকে এশিয়াকে বিকল্প বাজার হিসেবে বেছে নিয়েছে দেশটি। এ অঞ্চলে চীন ও ভারতে সবচেয়ে বেশি রফতানি করা হচ্ছে।
চলতি বছরের শুরু থেকেই রাশিয়ার এলএনজি রফতানি অব্যাহত বাড়ছে। ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোয় রুশ এলএনজির ব্যাপক চাহিদা রফতানি প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী নিকোলাই সালগিনভ সম্প্রতি এমনটা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস রফতানির পরিবর্তে এলএনজি রফতানি অনেক বেশি সহজ ও কার্যকর।’
এলএনজি রফতানিতে এরই মধ্যে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছে বলে জানান সালগিনভ। তিনি বলেন, ‘আমরা রফতানির মাত্র কয়েক শতাংশ নিয়ে কথা বলছি। তবে বিশ্বজুড়েই রুশ এলএনজির ক্রেতা রয়েছে। আমাদের নতুন অংশীদার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া শুধু নয়, বরং ইউরোপের ব্যবহারকারীদের কাছেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে রুশ এলএনজির।’
জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক এলএনজি উৎপাদন ১০ কোটি টনে উন্নীত করতে আমরা একটি প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। আরেকটি প্রকল্প নিয়ে আমরা আশাবাদী। এটির অধীনে প্রথম উৎপাদন লাইন স্থাপনের কারণে চলছে। আগামী বছরের মধ্যে লাইনটি ৬৮ লাখ টন পূর্ণ সক্ষমতায় পৌঁছবে। আমরা মারমানস্কে একটি নতুন এলএনজি প্লান্ট স্থাপনের বিষয়েও আলাপ আলোচনা করছি। এতে তিনটি লিকুইফ্যাকশন লাইন থাকবে, যেগুলোর প্রতিটির সক্ষমতা হবে ৬৮ লাখ টন।’
অর্থসংবাদ/এসএম