পুঁজিবাজার
পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এদিন সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর কমেছে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আগের কার্যদিবস সোমবার পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ক্লোজিং দর ছিল ৭৬ টাকা ২০ পয়সা। আজ মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা ৬০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৩ টাকা ৬০ পয়সা বা ৪ দশমিক ৭২ শতাংশ।
দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসকে ট্রিমসের শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর ৩ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারপ্রতি দর কমায় তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে আরামিট সিমেন্ট।
আজ ডিএসইতে সর্বোচ্চ দর পতনের তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ইয়াকিন পলিমার, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, রুপালী ব্যাংক, রতনপুর স্টিল, মেট্রো স্পিনিং এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজারে আসছে টেকনো ড্রাগস

বুকবিল্ডিং পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হবে টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আইন অনুযায়ী, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসতে হলে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেরকে বিভিন্ন তথ্য আগে জানাতে হয়। ফলে কোম্পানিটি তাদের আর্থিক চিত্র এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন তথ্য বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরতে আগামী ১৪ অক্টোবর রোড শো’র আয়োজন করবে। রাজধানীর হোটেল একাত্তরে এই রোড শো অনুষ্ঠিত হবে।
কোম্পানিটির রোড শো’তে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এবং পোর্টফোলিও ম্যানেজার, এসেট ম্যানেজার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড অ্যান্ড কালেক্টিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিম, স্টক ডিলার, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানি, ফান্ড ম্যানেজার, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীসহ যোগ্য বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত থাকবেন।
টেকনো ড্রাগসের আইপিওতে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড। আর বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড কোম্পানিটির রেজিষ্ট্রার টু দ্যা ইস্যুয়ারের দায়িত্ব পালন করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
চার ব্রোকারহাউজের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দেয়ার নির্দেশ

চার ব্রোকারহাউজের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য অর্থের একাংশ ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত রোববার (১ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
ব্রোকারহাউগুলো হচ্ছে- ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেড, বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেড, তামহা সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোং লিমিটেড।
সূত্র মতে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ড থেকে ২৫ কোটি টাকা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের একাউন্টে স্থানান্তর করতে বলা হয়েছে। এই ২৫ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের মধ্যে আনুপাতিক হারে বিতরণ করা হবে।
ইতোমধ্যে ব্রোকারহাউজ চারটির যে সব গ্রাহক স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে তাদের পাওনার বিবরণ জমা দিয়েছেন, যাচাইবাছাই শেষে তাদের মধ্যে ওই টাকা বিতরণ করা হবে। এর জন্য কাট-অফ তারিখ ধার্য করা হয়েছে ১ অক্টোবর। অর্থাৎ ১ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখের মধ্যে যারা ডিএসইর কাছে তাদের পাওনার বিবরণ ও নথিপত্র জমা দিয়েছেন, কেবল তারাই আলোচিত তহবিল থেকে টাকা পাবেন। ইতোমধ্যে ব্রোকারহাউজ চারটির কিছু গ্রাহককে তাদের পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। তারা এর আওতায় আসবেন না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার পেলো রানার অটোমোবাইলস

“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২” পেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রানার অটোমোবাইলস পিএলসি। বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন রানার অটোমোবাইলসের চেয়ারম্যান জনাব হাফিজুর রহমান খান। এসময় শিল্প মন্ত্রী জনাব নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের অগ্রগতির জন্য বেসরকারি শিল্পখাত অনেক অবদান রেখে যাচ্ছে।
রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রপতির এই পুরস্কার আমাদের প্রেরণা। এই পুরস্কার আমি আমার সকল কর্মীকে উৎসর্গ করলাম যারা নিরলস পরিশ্রম করে রানার অটোমোবাইল পিএলসিকে এই পুরস্কার এনে দিয়েছেন।
রানার গ্রুপ বাংলাদেশের প্রথমসারির একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। ২০০০ সাল থেকে সুনাম ও সততার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে দেশের অর্থনীতিতে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। রানার গ্রুপের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান রানার অটোমোবাইলস পিএলসি ২০১১ সাল থেকে ময়মনসিংহের ভালুকায় দেশের সর্ববৃহৎ এবং বিশ্বমানের নিজস্ব মোটর সাইকেল কারখানায় বাংলাদেশী রানার ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের মোটরসাইকেল এবং যন্ত্রাংশ উৎপাদন ও বিপণন করছে।

“রানার” একমাত্র “বাংলাদেশী অটোমোবাইল ব্র্যান্ড” যা মোটর সাইকেল ও থ্রি উইলার উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে বৈশ্বিক গুণগত মান ও যথাযথ বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করছে বলেই বিশ্বের নামি দামী ব্র্যান্ডের সাথে প্রতিযোগিতা করে বাংলাদেশে একটি নির্ভরযোগ্য মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের মানুষের আস্থা অর্জনের পাশাপাশি ২০১৭ সাল থেকে ‘রানার’ “মেইড ইন বাংলাদেশ” ব্র্যান্ড এর মোটর সাইকেল নেপাল ও ভূটান এ রপ্তানির মাধ্যমে প্রথম বাংলাদেশী অটোমোবাইল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশের পতাকাকে বিদেশের মাটিতে নিয়ে গেছে এবং রপ্তানিশিল্পকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজারে প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও ভালো করছে মিউচুয়াল ফান্ড

মিউচুয়াল ফান্ডের আয়ের প্রধান উৎস শেয়ারবাজার। কিন্তু সেই শেয়ারবাজার মন্দার মধ্যে রয়েছে। প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি ব্লু-চিপস কোম্পানির সূচকও কমেছে। এছাড়া তালিকাভুক্ত কোম্পানির লভ্যাংশ প্রদানও কমেছে। এতোসব প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও মিউচুয়াল ফান্ড খাত সর্বশেষ অর্থবছরের ব্যবসায় ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’ উপলক্ষে এসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ডস (এএএমসিএমএফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে ‘রোল অব এসডিজি অ্যানালিটিক্স ইন ক্যাপিটাল মার্কেট-বেজড ডেভেলোপমেন্ট ফাইন্যান্সিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. মিজানুর রহমান। এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন আরেক কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেস গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এএএমসিএমএফ এর সভপাতি ড. হাসান ইমাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের কোঅর্ডিনেটর অ্যান্ড ইকোনোমিস্ট জুবায়ের হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিএসইসির কমিশনার ড. মিজানুর রহমান বলেন, মিউচুয়াল ফান্ড খাতের উন্নয়নে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। তবে বর্তমানে শেয়ারবাজারে এই খাতের অংশগ্রহণ খুবই কম। যা ১৬ হাজার কোটি টাকার মতো। কিন্তু এটি হওয়া উচিত ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। তবে আগামী ১০ বছরে এই খাত অনেক এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া হিসাব মান পরিপালনে কঠোর কমিশন। এই খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে এফডিআর এর থেকে ভালো রিটার্ন পাওয়া যায়। এই খাত যাতে আরও ভালো রিটার্ন দিতে পারে, সে লক্ষ্যে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।
বিনিয়োগকারীদেরকে মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি নিরসন করে। ভালো কোম্পানি বাজারে না আনলে মিউচুয়াল ফান্ড ভালো করবে না।

রেস গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এএএমসিএমএফ এর সভপাতি ড. হাসান ইমাম বলেন, মিউচুয়াল ফান্ড শেয়ারবাজারের সবচেয়ে বড় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী। এই খাতটি অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও ভালো করছে। শেয়ারবাজার যেখানে নেতিবাচক, সেখানে এই খাতের উন্নতি হয়েছে।
তিনি বলেন, গত অর্থবছরে শেয়ারবাজার নেতিবাচক ছিল। যেই ব্লু চিপস কোম্পানিতে মিউচুয়াল ফান্ড থেকে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করা হয়, সেই ব্লু চিপস-৩০ সূচকও নেতিবাচক ছিল। এই অবস্থার মধ্যেও মিউচুয়াল ফান্ডগুলো ২০২২-২৩ অর্থবছরের ব্যবসায় ২৮৩ কোটি টাকার নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এমনকি গত ১০ বছরের মধ্যে ৭ বছরই সূচক বৃদ্ধির তুলনায় মিউচুয়াল ফান্ড ভালো করেছে।
তিনি আরও বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডের আয়ের প্রধান উৎস বিনিয়োগ করা কোম্পানিগুলো থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ এবং ক্যাপিটাল গেইন। কিন্তু গত অর্থবছরে দুই খাতই ছিল মন্দা। এরমধ্য দিয়েও লভ্যাংশ দিয়ে অ্যাসেট ম্যানেজাররা দক্ষতার প্রমাণ রেখেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মিউচুয়াল ফান্ড খাত ভালো করছে।
মিউচুয়াল ফান্ডের দর কম নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেন উল্লেখ করে হাসান ইমাম বলেন, এই যে কোন কোন ইউনিট দর ৪-৫ টাকা, এটা কিন্তু অ্যাসেট ম্যানেজারদের পারফরমেন্স না। আপনাকে দেখতে হবে ওই ইউনিটের অ্যাসেট কত আছে। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমাদের দেশে সম্পদের তুলনায় অনেক কমে বা ডিসকাউন্টে ইউনিট লেনদেন হয়। যেটা আমেরিকায় সর্বোচ্চ ২০% হয়।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর ডিভিডেন্ড ইল্ড বা প্রকৃত লভ্যাংশ ১৫-২০%। যা অন্যসব খাতের শেয়ারে সম্ভব না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রেজাউল করিম বলেন, বন্ডের কূপণ রেট থেকে কর অব্যাহতি দেওয়া দরকার। তাহলে ইউনিটহোল্ডাররা ভালো লভ্যাংশ পাবে।
এলআর গ্লোবালের সিআইও রিয়াজ ইসলাম বলেন, দেশের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়েছে, সেভাবে শেয়ারবাজার এগোয়নি। এটা শেয়ারবাজারের জন্য খারাপ খবর। এটা সমাধান করা সম্ভব। যার অনেক সুযোগ রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্রোকারেজ হাউজের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বিএসইসির নতুন নির্দেশনা

শেয়ারবাজারের সব ব্রোকারেজ হাউজে ‘সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার’ চালুর নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে সব ব্রোকারেজ হাউজকে ‘সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার’ চালু করতে হবে। লেনদেন ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এই নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
সোমবার (২ অক্টোবর) বিএসইসি থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে ২০১০ সালের ৩১ জানুয়ারি জারি করা এ সংক্রান্ত নির্দেশনা রহিত করেছে সংস্থাটি।
বিএসইসির নির্দেশনায় জানানো হয়, কিছু ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের আর্থিক ও সিকিউরিটিজ লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যের জন্য যে ব্যাক অফিস সফটওয়্যারে ব্যবহার করে, তাতে ব্যবহারকারীর দেওয়া তথ্য পরবর্তীতে পরিবর্তন করা বা মুছে ফেলা যায়। এ ধরনের কার্যকালাপের ফলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ হানি হয়েছে এবং শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়েছে। এজন্য চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সংক্রান্ত গাইডলাইন দিয়ে প্যানেলভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে সব ট্রেকহোল্ডার কোম্পানিকে কমিশনের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ও যে কোনো এক্সচেঞ্জের এ সংক্রান্ত গাইডলাইন পরিপালন করে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে প্যানেলভুক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরবরাহ করা সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিএসইসির নির্দেশনায় আরও বলা হয়, যেসব ব্রোকারেজ হাউজ এরই মধ্যে নিজস্ব উদ্যোগে ব্যাক অফিস সফটওয়্যার তৈরি করে ফেলেছে, সেসব ব্রোকারেজ হাউজকে স্টক এক্সচেঞ্জের তৈরি করা নীতিমালা মেনে ওই সফটওয়্যারের বিপরীতে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে সনদ নিতে হবে। এই সনদ না নিলে কোনো এক্সচেঞ্জের প্যানেলভুক্ত সফটওয়্যার ভেন্ডার থেকে সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার কিনে ও ইনস্টল করে কমিশনের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ও যে কোনো এক্সচেঞ্জের এ সংক্রান্ত গাইডলাইন পরিপালন করতে হবে।

এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) দৈবচয়ন ভিত্তিতে সরেজমিন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চের পর ট্রেকহোল্ডার কোম্পানিগুলোর সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করছে কি না তা নিশ্চিত করবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে বিদ্যমান সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও অর্থের হিসাব ব্রোকারেজ হাউজ ব্যাক অফিস সফটওয়্যারে রাখে। এতদিন ব্রোকারেজ হাউজ চাইলেই ব্যাক অফিস সফটওয়্যারে হিসাবের তথ্য ডিলিট ও পরিবর্তন করতে পারতো। ফলে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ও শেয়ার তসরুপ করা সুযোগ ছিল। তবে সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্রোকারেজ হাউজ চাইলেই কোনো কিছু পরিবর্তন করতে পারবে না। কারণ এর পাসওয়ার্ড ব্রোকারেজ হাউজের কাছে থাকবে না। মূলত লেনদেন ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেসব ব্রোকারেজ হাউজ সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার চালু করতে ব্যর্থ হবে, তারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।
সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার চালু নিয়ে ডিএসই, সিএসই এবং সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যেসব ব্রোকারেজ হাউজ বিএসইসির নির্দেশনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হবে ডিএসই এবং সিএসই’র ট্রেকহোল্ডার মার্জিন নীতিমালা অনুযায়ী তাদের পাওয়া ফ্রি লিমিট সুবিধা স্থগিত থাকবে। সংশ্লিষ্ট এক্সচেঞ্জের মালিকানা শেয়ারের বিপরীতে প্রাপ্য লভ্যাংশ দেওয়া স্থগিত থাকবে। নির্দেশ পালনে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানগুলোর আইপিও, আরপিও, কিউআইও সুবিধা স্থগিত থাকবে। এছাড়াও এসব প্রতিষ্ঠানের নতুন শাখা অথবা ডিজিটাল বুথ খোলার সুবিধাও স্থগিত থাকবে।