স্বাস্থ্য
বাংলাদেশকে ২০ হাজার ডেঙ্গু টেস্টিং কিট দিল চীন

বাংলাদেশকে বিশ হাজার ডেঙ্গু টেস্টিং কিট দিয়েছে চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক। আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক কাছে এই কিট হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক থেকে ২০ হাজার ডেঙ্গু টেস্টিং কিট স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন ঢাকার চীনা দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ল্যাং ল্যাং, সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেভিন জ্যাং এবং চিফ বিজসেন ডিরেক্টর বেটি লি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা চীন সরকার, তাদের প্রতিনিধি এবং সিনোভ্যাকের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা আমাদের ২০ হাজার কিট দিয়েছে। আপনারা জানেন যে চায়না সরকার আমাদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। করোনার সময় চীন থেকে সিনোভ্যাকের বেশ কিছু ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছিলাম।
এছাড়া ফেস মাস্কসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র পেয়েছি। তাদের দেশে যখন প্রথম দিকে করোনা আক্রান্ত হয়, তখন আমরাও তাদের অনেক জিনিসপত্র পাঠিয়েছিলাম। চীন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। চীন আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। তবে আমাদের কিটের সংকট নেই।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যু সংখ্যা অনেক বেশি। চিন্তার বিষয় হলো ঢাকার থেকে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। ডেঙ্গু রোধ করতে হলে আমাদের মশা জন্মনোর আগেই লার্ভা মারতে হবে। এই লার্ভা মারতে সারা বছরই কাজ করতে হবে। এবং যে ওষুধে মশা মরে সেই ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরই সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু রোগী আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। এ বছরও অধিক হারে বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু রোগ চিকিৎসায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত রোগীর তুলনায় বেডের সংখ্যা বেশি প্রস্তুত রয়েছে। টেস্টিং কিট এবং স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সাইদুর রহমানসহ প্রমুখ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

স্বাস্থ্য
একদিনে ডেঙ্গুতে আরও ১৫ জনের মৃত্যু

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু হয়েছে ৯৪৩ জনের। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিন হাজার ১২৩ জন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে মুঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিন হাজার ১২৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭৭৪ জন ও ঢাকার বাইরের দুই হাজার ৩৪৯ জন।
মৃত ১৫ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা পাঁচজন ও ঢাকার বাইরের ১০ জন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৯৩ হাজার ৮৮১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮০ হাজার ৪৯০ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ ১৩ হাজার ৩৯১ জন।

একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৭৮২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭৬ হাজার ২৯২ জন এবং ঢাকার বাইরের এক লাখ ৬ হাজার ৪৯০ জন।
এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ প্রদান জরুরি

সম্প্রতি কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে দেশব্যাপী উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ ও মৃত্যু কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে ওষুধের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে এ খাতে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিএমএ ভবনে ‘হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৪ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। ডব্লিউএইচও এর গ্লোবাল রিপোর্ট অন হাইপারটেনশন ২০২৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের হার খুবই কম, মাত্র ৩৮ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ২ লক্ষ ৭৩ হাজার মানুষ হৃদরোগজনিত অসুস্থতায় মৃত্যুবরণ করেছে, যার ৫৪ শতাংশের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ।
কর্মশালায় এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানী লিমিটেড (ইডিসিএল) এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জাকির হোসেন জানান, আগামী অর্থবছরে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্টস স্কুল অব পাবলিক হেলথ এর অধ্যাপক ডা. মলয় কান্তি মৃধা বলেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনাচরণে পরিবর্তন আনা জরুরি।
উল্লেখ্য, ডব্লিউএইচও’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত প্রতি ৫ জনে ৪ জনই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পায়না। এক্ষেত্রে সেবার আওতা বাড়ানো হলে ২০৫০ সালের মধ্যে ৭.৬ কোটি মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হবে।
সভায় আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস, ঢাকা ট্রিবিউন এর নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের হাইপারটেনশন কন্ট্রোল বিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শামীম জুবায়ের এবং প্রজ্ঞার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কর্মসূচির সমন্বয়ক সাদিয়া গালিবা প্রভা।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে একদিনে ২১ জনের মৃত্যু

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর একদিনে সর্বোচ্চ ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু ৮৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিন হাজার ১৫ জন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া তিন হাজার ১৫ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৫৭ জন। ঢাকার বাইরে ২১৫৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১০ জন এবং ঢাকার বাইরের ১১ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮১০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭৫ হাজার ৮৩৩ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ ৯৭৭ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭১ হাজার ৪২৬ জন এবং ঢাকার বাইরের ৯৪ হাজার ২৫৪ জন।

এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে একদিনে হাসপাতালে ভর্তি ৩ হাজার, মৃত্যু ৭

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ৩ হাজার ২৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৮৪৯ জন এবং ঢাকার ভর্তি হয়েছেন ২১৭৪ জন।
একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এ পর্যন্ত ৮৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ১০২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৮১৪ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ২৮৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকায় ৭৪ হাজার ৯৭৬ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৮ হাজার ৮১৯ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৮৪৭ জন। ঢাকায় ৭০ হাজার ৫৮৪ এবং ঢাকার বাইরে ৯২ হাজার ২৬৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
২০ লাখ স্যালাইন কিনবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

২০ লাখ আইভি ফ্লুইড স্যালাইন ক্রয়ের জন্য অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে ব্যয় হবে ২৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি পরিস্থিতি হিসেবে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুমোদনের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) এ আদেশ বাস্তবায়ন করবে।
জরুরি প্রয়োজনের কথা তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির ব্যাপকতায় ডেঙ্গু মশার বিস্তার আরও বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশের ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে সারা দেশে আইভি ফ্লুইডের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এ পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার স্বার্থে জরুরি প্রয়োজনে আরও ২০ লাখ পিস আইভি ফ্লুইড সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিএমপি) অনুসরণে ক্রয় করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
কিছুদিন ধরে বিভিন্ন জেলায় স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে নির্দিষ্ট দাম থেকে দুই-তিনগুণ বেশি দরে। কোথাও আবার ৮৭ টাকার স্যালাইনের দাম নেয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। এ অবস্থা রাজধানী ঢাকার মধ্যেও দেখা দিয়েছে।

সংকট তুলে ধরেন হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. এম এইচ লেলিন চৌধুরী। তিনি বলেন, এখন চাহিদার তুলনায় স্যালাইনের সংকট অনেক বেশি। আমরা কোম্পানিকে ১০০ ব্যাগ স্যালাইনের চাহিদা দিলে ১০ বা ২০ ব্যাগ স্যালাইন পাই। আগে আমরা একজন লোক পাঠিয়ে মিডফোর্ড মার্কেট থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী স্যালাইন নিতে পারতাম। এখন স্যালাইনের খোঁজে তিন চারজনকে মিডফোর্ড মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে পাঠাতে হচ্ছে। স্যালাইনের সর্বোচ্চ দাম ৯০-৯৫ টাকা ছিল, এখন সেই স্যালাইন আমরা ২০০ টাকা প্যাকেট কিনছি।
অর্থসংবাদ/এসএম