শিল্প-বাণিজ্য
বাংলাদেশকে ২২৬৩ কোটি টাকা দেবে জার্মানি

বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য ১৯১ মিলিয়ন ইউরো দেবে জার্মানি। প্রতি ইউরো ১১৮.৫০ পয়সা ধরলে এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ২৬৩ কোটি ৩৫ হাজার টাকা।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সন্মেলন কক্ষে এ বিষয়ক দুটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং জার্মানির পক্ষে অংশ নেন বাংলাদেশের ফেডারেল রিপাবলিক অফ জার্মানির চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স (এ.আই) জান জানোস্কি।
১৯১ মিলিয়ন ইউরো জার্মানি ৫ কোটি ৫০ লাখ ইউরো কারিগরি সহযোগিতা (টিসি) এবং ১৩ কেটি ৬০ লাখ ইউরো আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে দেবে।
জার্মানি ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে আসছে যার পরিমাণ ৩ বিলিয়ন ইউরোর বেশি। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন ও প্রশমন, অবকাঠামো, দারিদ্র্যবিমোচন, সুশাসন ও মানবাধিকার, জ্বালানি দক্ষতা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি স্থানান্তরে জার্মান-বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগিতার দীর্ঘস্থায়ী ইতিহাস রয়েছে।

অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিল্প-বাণিজ্য
বেনাপোলে দিয়ে ভারতে ১১৭ টন ইলিশ রফতানি

যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত দুদিনে ভারতে ১১৭ টন ৯০০ কেজি ইলিশ রফতানি হয়েছে। সরকারের বিশেষ অনুমতির ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশের মধ্যে এই পরিমাণ ইলিশ সরবরাহ করা হয়।
তবে ভারতে ইলিশ রফতানি করা হলেও দেশে দাম বাড়ছে। বর্তমানে যশোরে কেজিতে ইলিশের দাম বেড়েছে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার টাকা ও ৫০০ গ্রামের ইলিশের দাম ১ হাজার ২০০ টাকা।
বিক্রেতারা জানান, ভারতে ইলিশ রফতানির কারণে সংকট বেড়েছে। পাইকারিতে বেশি দামে কিনতে হওয়ায় খুচরা বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে।
তবে ভারতীয় ইলিশ আমদানিকারকরা জানান, দুই দেশের সুসম্পর্কের কারণে এবারো পূজার আগে বাংলাদেশী ইলিশ এসেছে।
বেনাপোল মৎস্য অফিসের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে সরকারের বিশেষ অনুমতির ইলিশ রফতানি শুরু হয়েছে। গত দুদিনে (বৃহস্পতিবার ও শনিবার) ১১৭ টন ৯০০ কেজি ইলিশ ভারতে গেছে। বাকি ইলিশ আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে রফতানি শেষ করবে দেশের ৭৯টি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান।

পূজা উৎসবে পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয় পদ্মার ইলিশ। সারা বছর তারা অপেক্ষায় থাকে পূজার সময় বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসবে, আর তারা অতিথিদের প্লেটে ইলিশ তুলে দেবে।
তবে ইলিশ আহরণ কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সাল থেকে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আর দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের ধারাবাহিকতায় সরকার ২০১৯ সাল থেকে পূজা উপলক্ষে আবারো নির্দিষ্ট হারে ইলিশ রফতানি করে আসছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভোগ্যপণ্য আমদানিতে এলসি খোলা কমেছে ৩৯ শতাংশ

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলা কমেছে ৩৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। একই সময়ে শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্য এবং জ্বালানি তেল সবকিছুরই এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি আগের চেয়ে কমছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের হাল নাগাদ ‘সেলেক্টেড ইকোনমিক ইনডিকেটরসে‘ এ চিত্র উঠে এসেছে।
তথ্য বলছে, জুলাই-আগস্ট প্রথম দুই মাসে ভোগ্যপণ্য আমদানি করতে এলসি খোলা হয়েছে ৯২৬ দশমিক ১১ মার্কিন মিলিয়ন ডলারের। আগের বছরের একই সময়ে এলসি খোলা হয়েছিল প্রায় এক দশমিক ৫২৪ বিলিয়ন ডলারের। আগের বছরের একই সময়ে ৩৯ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি এলসি খোলা হয়েছিল।
তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট বন্দর থেকে ভোগ্যপণ্য ছাড় করানো হয়েছে এক দশমিক ২৩৮ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরে একই সময়ে বন্দর থেকে ছাড় করা হয়েছিল প্রায় এক দশমিক ২৪৭ বিলিয়ন ডলারের ভোগ্যপণ্য। চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট দুই মাসে এক শতাংশের কিছু কম এলসির ভোগ্যপণ্য বন্দর থেকে ছাড় করা হয়েছে।
তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল ৭ দশমিক ৭২২ বিলিয়ন ডলারের।

অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এলো ৩১ হাজার টন কয়লা

বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেস। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টায় বন্দরের হাড়বাড়িয়া-১১ নম্বরে নোঙর করেছে জাহাজটি।
ইতোমধ্যে জাহাজ থেকে কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। খালাস শেষে লাইটার জাহাজে করে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে নেওয়া হবে।
এর আগে, গত ৪ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার মুয়ারা পাত্তাই বন্দর থেকে ৪৯ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে বানিজ্যিক জাহাজ এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেস। সেখান থেকে প্রথমে ১৮ হাজার ৪০০ মেট্রিকটন কয়লা চট্রগ্রাম বন্দরে খালাস করা হয়। পরে অবশিষ্ট কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে জাহাজটি।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেড, খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। খালাস শেষে এই কয়লা লাইটার জাহাজে করে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে নিয়ে সেখান থেকে কয়লা ইয়ার্ডে রাখা হবে।
এর আগে গেল ১০ সেপ্টেম্বর রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ২৯ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছে এমভি জেইল অব শহর নামক একটি বাণিজ্যিক জাহাজ।

অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বাংলাদেশ-কাজাখস্তান ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সই

কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টে ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও কাজাখস্তান। নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে কাজাখস্তানের স্থায়ী মিশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং কাজাখস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুরাত নুর্টলিউ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে উভয় মন্ত্রী নিজ নিজ দেশের পক্ষে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ভিসা অব্যাহতি চুক্তি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারের ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন দুই মন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশ ও কাজাখস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন দুই মন্ত্রী।
ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কৃষি, তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে। গত ১৪ বছর ধরে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা থাকায় জিডিপির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।
প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগের রিটার্ন সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে তিনি কাজাখস্তানকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

কাজাখস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে কানেক্টিভিটি বাড়াতে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধন করেছে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে কানেক্টিভিটির এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের কাজাখস্তানের আগ্রহ রয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বাণিজ্য ও কৃষি খাতে সহযোগিতা বাড়াতে চায় চেক প্রজাতন্ত্র

চেক প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও কৃষিখাতে সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সদর দ্প্তরে সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে সাইড লাইন বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যান লিপাভস্কি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় চেক প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যান লিপাভস্কির। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো প্রসারিত করার বিষয়ে উভয় মন্ত্রীর মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম দিকেই স্বীকৃতি প্রদানের জন্য বাংলাদেশের জনগণের কৃতজ্ঞতার কথা জানান।
ড. মোমেন গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, কৃষিখাত ছাড়াও বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে এবং বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায়। এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের বিপুল দক্ষ জনশক্তি রয়েছে যা চেক প্রজাতন্ত্র কাজে লাগাতে পারে।
অর্থসংবাদ/এসএম