ব্যাংক
অর্থায়নে সচেতনতা বাড়াতে পোস্টার লাগানোর নির্দেশ

কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে (সিএমএসএমই) নানান ঋণ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অথচ এই খাতের অনেকেই এ সর্ম্পকে অবগত নন। ফলে এসব উদ্যোক্তাদের সচেতনতা বাড়াতে পোস্টার লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে এ খাতে অর্থায়ন প্রবাহ বাড়বে।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দেশের সব ব্যাংককে এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস্ ডিপার্টমেন্ট।
সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, সিএমএসএমই খাতের জন্য নীতিসহায়তা, খাত ভিত্তিক প্রাক-অর্থায়ন ও পুনঃঅর্থায়ন তহবিল, ক্রেডিট গ্যারান্টি এবং প্রণোদনাসহ নানান সুবিধা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রান্তিক উদ্যোক্তারা এসব সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারলে সিএমএসএমই খাতে অর্থায়ন প্রবাহ বাড়বে। এতে আগ্রহীরা নানান সুবিধা বিবেচনা করে ব্যবসার উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সুবিধা সম্পর্কে প্রান্তিক পর্যায়ে জনসচেতনতা বাড়াতে রঙিন পোস্টার তৈরি করতে হবে। আবার অন্য কোনো উপায়ে প্রতিটি ব্যাংকের শাখা, উপ-শাখা ও এজেন্ট আউটলেটে দৃষ্টিতে পড়ে এমন স্থানে পোস্টার লাগাতে হবে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পোস্টার লাগিয়ে সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টে জানাতে হবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছ বাংলাদেশ ব্যাংক।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ব্যাংক
বয়স ১৪ হলেই খোলা যাবে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খোলা এতদিন অসম্ভব ছিল। ফলে ১৮ বছরের কম বয়সী কেউ বিকাশ, রকেট বা নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হিসাব খুলতে পারতো না। তবে এখন থেকে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী যে কেউ চাইলেই জন্মসনদ দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খুলতে পারবে। যদিও এজেন্ট পয়েন্ট থেকে এসব অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো যাবে না।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস্ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করা হয়েছে। নীতিমালাটি নির্দেশনা আকারে দেশে কার্যরত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ১৪-১৮ বছর বয়সী হিসাব খুলতে আগ্রহী ব্যক্তি এবং অভিভাবককে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। এক্ষেত্রে হিসাব খুলতে আগ্রহী ব্যক্তির জন্মসনদ এবং তাঁর অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এন্ট্রি করতে হবে সংশ্লিষ্ট এমএসএফ (মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস) প্রতিষ্ঠানকে। অভিভাবকের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব বাধ্যতামূলকভাবে ১৮ বছরের কম বয়সীদের হিসাবের সঙ্গে লিঙ্কড করতে হবে। এজন্য প্রমাণ হিসেবে অভিভাবকের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে ব্যবহৃত নম্বরে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপি প্রেরণ করা হবে।
মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খোলার পর ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের লেনদেনের ক্ষেত্রে হিসাবধারীর মোবাইল নম্বরে মেসেজ প্রেরণ নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে লেনদেনের তথ্য সম্পর্কে হিসাবধারীর অভিভাবককে মেসেজ বা অন্য যেকোন পদ্ধতিতে অবহিত করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
১৪-১৮ বছর বয়সী নবীনদের এমএফএস হিসাবসমূহে শুধুমাত্র অভিভাবকের লিংকড এমএফএস হিসাব/ ব্যাংক হিসাব/ কার্ড/ ই-ওয়ালেট হতে অর্থ জমা করা যাবে। এক্ষেত্রে তাদের হিসাবসমূহে এজেন্ট পয়েন্ট অথবা অন্য কোন এমএফএস হিসাব / ব্যাংক হিসাব/ কার্ড/ ই-ওয়ালেট হতে অ্যাড মানি করা যাবে না।

অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে ক্যাশ ইন, অ্যাড মানি, ক্যাশ আউট, পিটুপি, মোবাইল রিচার্জ, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, এডুকেশন ফি ও মার্চেন্ট পেমেন্ট করা যাবে। তবে এজেন্ট পয়েন্ট থেকে এসব হিসাবে ক্যাশ ইন করা যাবে না।
১৮ বছরের কম বয়সীদের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে লেনদেনের সীমাও নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অভিভাবকের লিংকড এমএফএস অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, কার্ড ও ই-ওয়ালেট হতে দৈনিক সর্বোচ্চ পাঁচ বারে ৫ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করা যাবে। আর মাসে সর্বোচ্চ ১০ বারে ৩০ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করা যাবে। এজেন্ট পয়েন্ট থেকে এসব হিসাবে ক্যাশ ইন করা যাবে না। দৈনিক সর্বোচ্চ পাঁচ বারে ৫ হাজার টাকা এবং মাসে সর্বোচ্চ ১০ বারে ২৫ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করা যাবে। পিটুপির ক্ষেত্রে দৈনিক পাঁচ বারে ৫ হাজার এবং মাসে ১০ বারে ১৫ হাজার পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে। এছাড়াও প্রতিদিন সর্বোচ্চ তিনবারে ৫ হাজার টাকা এবং মাসে ১০ বারে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট করা যাবে।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের এসব অ্যাকাউন্টে যেকোন অপব্যবহার রোধে সংশ্লিষ্ট এমএফএস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এসকল হিসাবসমূহকে নিবিড়ভাবে তদারকি করতে হবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টের লেনদেনের তথ্য ও এ কার্যক্রমের মাসিক প্রতিবেদন পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টে দাখিল করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের উদ্দেশ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার কৌশল হিসেবে দেশের সকল জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে আনতে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের এমএফএস হিসাবের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
দশ ট্রেজারিপ্রধানকে জরিমানা করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

অতিরিক্ত দামে ডলার কেনাবেচা করার অভিযোগে ১০ বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারিপ্রধানদের জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রত্যেক ট্রেজারিপ্রধানকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চিঠি পাঠিয়েছে।
এর আগে নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে ডলার বিক্রি করায় ছয়টি ব্যাংকের ট্রেজারিপ্রধানদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাতেও কোন গতি না দেখে এবার ১০ ট্রেজারিপ্রধানদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক এসব কর্মকর্তাকে শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠিয়েছিল। এর আগেও ৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগ জানিয়ে প্রথম চিঠি পাঠানো হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, বেশি দামে ডলার বেচাকেনার দায় ট্রেজারিপ্রধানেরা এড়াতে পারেন না। জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর ‘ব্যাখ্যা সন্তোষজনক হয়নি’, সে কারণে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জরিমানা গুনা ১০টি ব্যাংক হলো- মার্কেন্টাইল ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংকগুলোর সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ট্রেজারি বিভাগ টাকা ও ডলারের চাহিদা-জোগানের বিষয়টি নিশ্চিত করে থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকে ট্রেজারি বিভাগের প্রধান পদে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাও রয়েছেন।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ছয় মাসে সিএসআর খাতে ব্যাংকের ব্যয় ৫৭১ কোটি টাকা

২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত) সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাতে ব্যাংকগুলো ৫৭১ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিএসআর সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গত বছরের (২০২২ সাল) প্রথম ছয় মাসে সিএসআর খাতে ব্যাংকগুলো ব্যয় করেছিল ৬১৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এ হিসাবে গত বছরের তুলনায় ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসের ব্যাংকগুলো সিএসআর খাতে ব্যয় কমিয়েছে ৪৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আলোচিত সময়ে ব্যাংকগুলো সব চেয়ে বেশি ব্যয় করেছে স্বাস্থ্য খাতে। এরপর ব্যয় করেছে দুর্যোগ ও শিক্ষা খাতে। এছাড়া পরিবেশ জলবায়ু ও অবকাঠামো উন্নয়নে শত কোটি টাকার বেশি ব্যয় করেছে ব্যাংকগুলো।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, জানুয়ারি-জুন ২০২৩ ষাণ্মাসিকে দেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকসমূহ সর্বোচ্চ ব্যয় করেছে স্বাস্থ্য খাতে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ২১৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। হিসাব অনুযায়ী এই অঙ্ক মোট সিএসআর ব্যয়ের ৩৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকগুলো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতের আওতায় সিংহভাগ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। এ খাতে ব্যাংকগুলো ব্যয় করেছে ১০৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। হিসাব অনুযায়ী, মোট সিএসআর ব্যয়ের ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ এ খাতে ব্যয় করা হয়েছে। এ বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকগুলো তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় করেছে শিক্ষা খাতে ৯০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। যা মোট সিএসআর ব্যয়ের ১৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। শিক্ষা খাতের ব্যয় পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব্যাংকসমূহ কর্তৃক বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানকল্পে সিএসআর ব্যয় করা হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ প্রদান এবং শিক্ষা খাতের অবকাঠামো উন্নয়নেও অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট তহবিলেও অনুদান দিয়েছে।

পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রশমন-অভিযোজন খাতে ব্যয়ের পরিমাণ ৪৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। যা মোট সিএসআর ব্যয়ের ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এছাড়া সিএসআর ব্যয়ের একটি উল্লেখযোগ্য খাত হলো ক্রীড়া ও সংস্কৃতি। এ খাতে ব্যয়ের পরিমাণ ৩০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, যা মোট ব্যয়ের ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
ব্যাংকগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন এবং আয়-উৎসারী কার্যক্রম খাতে সিএসআর ব্যয় যথাক্রমে ৫২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, ৪ কোটি ৯২ লাখ। অন্যান্য খাতে ব্যয় করেছে ২১৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা এ অঙ্ক মোট ব্যয়ের ৩৭ দশমকি ৫৬ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি ব্যাংকের চেয়ে বেসরকারি ব্যাংকে সিএসআর ব্যয় বেশি হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংক মিলে ৪ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। বেসরকারি সব ব্যাংক ৫৫১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। যা মোট ব্যয়ের ৯৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। বিদেশি সব ব্যাংক ১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা সিএসআর খাতে ব্যয় করেছে।
সিএসআর ব্যয়ে শীর্ষে রয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ব্যয় করেছে ৬১ কোটি ৩২ লাখ টাকা, দ্বিতীয় ইসলামী ব্যাংক, ব্যয় করেছে ৪৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা, আল-আরাফাহ ব্যাংক, ব্যয় করেছে ৪২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ৩৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা এবং যমুনা ব্যাংকের সিএসআর ব্যয় ৩৮ কোটি টাকা।
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান সিএসআর খাতে কোনো টাকা ব্যয় করেনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
সাতাশ দিনে রিজার্ভ কমেছে ১৯২ কোটি ডলার

রফতানি আয় এবং প্রবাসী আয় থেকে যে পরিমাণ ডলার উপার্জন হয়েছে, খরচ আদতে তার চেয়ে বেশি। ফলে আমদানি লাগাম টানা হলেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেই চলেছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২০ দিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৬২ কোটি মার্কিন ডলার কমেছিল। তারপরের সাত দিনে রিজার্ভ কমছে আরও ৩০ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত সাতাশ দিনে ১৯২ কোটি ডলার রিজার্ভ কমেছে। তাতে বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলার।
আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে রিজার্ভের এ চিত্র পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রিজার্ভ কমে ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলার হয়। গত ৩১ আগস্ট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩০৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বড় দুই উৎসের একটি প্রবাসী আয়। ব্যাংকের মাধ্যমে বর্তমানে প্রবাসী আয় আসা কমেছে। গত দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) দেশে প্রবাসী আয় কমেছে সাড়ে ১৩ শতাংশ।
এ ছাড়া চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই-আগস্ট সময়ের আমদানির দায় বাবদ ১৩১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। অন্যদিকে রিজার্ভ থেকে বাজারে ডলার বিক্রি করাও হচ্ছে। এ কারণেই মূলত রিজার্ভ কমেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

দেশের বিভিন্ন খাতে শর্ত পূরণের লক্ষ্য নির্দিষ্ট করে দিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে গত জানুয়ারি মাসের শেষে। এই ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার গত ফেব্রুয়ারিতে পেয়েছে বাংলাদেশ।
আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলারে নেমেছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, বর্তমানে রিজার্ভ ২ হাজার ৭০৬ কোটি ডলার। যদিও ২০২১ সালে রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে উঠেছিল।
রাশিয়া গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করলে ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি তেল ও পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। এতে ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৯১৬ কেটি ডলার। যদিও ওই অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে। কিন্তু তাতেও ডলারের সংকট কাটেনি।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ডলার বুকিংয়ের বিষয়ে সংশোধন আনলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

নানা আলোচনা-সমালোচনার মুখে দুই দিনের ব্যবধানে ডলার বুকিংয়ের নিয়মে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে আগাম ডলার বুকিং দিতে পারবে শুধুমাত্র আমদানিকারকরা। বুকিংয়ের সর্বোচ্চ সময় হবে তিন মাস। আগের নির্দেশনায় এ সীমা ছিল সর্বোচ্চ ‘এক বছর’।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগের সংশোধিত সার্কুলার থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক বছরের জন্য ডলার বুকিংয়ের নিয়ম চালু করে সমালোচনার মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ডলারের ভবিষ্যৎ দাম (ফরওয়ার্ড রেট) সর্বোচ্চ কত হবে তাও বেঁধে দেওয়া হয়। যা নিয়ে জনমনে শঙ্কা সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে সার্কুলার জারির দুই দিন পরই সংশোধন এনে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভবিষ্যতের জন্য ডলার বুকিং সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে আগাম ডলার নেওয়ার ক্ষেত্রে এক বছর পর সর্বোচ্চ দাম কি হবে তাও বেঁধে দেওয়া হয়। নতুন নিয়মে এক বছর পর ব্যাংক ডলারের দাম বর্তমানের চেয়ে স্মার্ট হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত বেশি নিতে পারবে।
এদিকে আগাম ডলার বুকিংয়ের নির্দেশনায় জনমনে শঙ্কাও সৃষ্টি হয়। ডলার ব্যবহারকারীরা বলছেন, আগামীতে ডলার সংকট আরও বাড়বে। এজন্য আগে থেকে ডলার বুকিং দিতে বলা হচ্ছে। কেউ কেউ দাবি করছেন, এক বছর পর ডলারের রেট ১২৩ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

রেমিট্যান্স-রপ্তানি ডলারের এক রেট
রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের মূল্য এখন থেকে এক রেটে ধরা হয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ডলার প্রতি ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা পাচ্ছেন রপ্তানিকারকরা। আগে যা ছিল ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে ডলারের মূল্য ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। এছাড়া আমদানিতে ডলারের দর হবে ১১০ টাকা। আগে যা ছিল ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আন্তঃব্যাংক ব্যবস্থায় ডলার লেনদেন হচ্ছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায়।
তবে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুণতে হচ্ছে ১১৭ টাকা থেকে ১১৮ টাকা। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন, তাদের নগদে প্রতি ডলার কিনতে দেশি মুদ্রা খরচ করতে হচ্ছে সর্বোচ্চ ১১৮ টাকা পর্যন্ত।
অর্থসংবাদ/এসএম