আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠে এসেছে। উত্তোলন কমানো ও সরবরাহ সংকটের শঙ্কা দামে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ও বিশ্লেষকরা। খবর রয়টার্স।
আগামী মাস থেকে সৌদি আরব প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল উত্তোলন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক ও এর মিত্ররা উত্তোলন কমানোর বিষয়ে মূলত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে জ্বালানি তেল রফতানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রাশিয়াও ওপেক প্লাসের সদস্যদের সঙ্গে একই মত পোষণ করেছে। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।
বিশ্ব বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১ দশমিক ৯ শতাংশ বা ১ ডলার ৬৬ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮৮ ডলার ৪৯ সেন্টে পৌঁছেছে। এর আগে এটি সেশনের সর্বোচ্চে প্রতি ব্যারেল ৮৮ ডলার ৭৫ সেন্টে পৌঁছেছিল। চলতি সপ্তাহে ব্রেন্টের দাম ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। জুলাইয়ের পর থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। অন্যদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে (ডব্লিউটিআই) জ্বালানি তেলের দাম ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। মার্চের পর এটিও সর্বোচ্চ।
যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে জ্বালানি তেলের চাহিদা অনেক বেশি। গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ সপ্তাহ ধরে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ নিম্নমুখী। যে কারণে দাম বাড়ছে। চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত আরেক প্রতিবেদনে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব ও বেতন না বাড়ার হার বাড়ছে। ফলে অর্থনীতিবিদদের ধারণা, সরকার হয়তো এখন আর সুদহার বাড়াবে না। এছাড়া চাহিদা পুনরুদ্ধারের বিষয়েও আশাবাদী সবাই।
ইউরো জোনের উৎপাদন খাতে যে নিম্নমুখী প্রবণতা ছিল, গত মাসে তা কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। এর মাধ্যমে ধারণা করা হচ্ছিল যে অঞ্চলটির ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলো হয়তো প্রাণ ফিরে পাবে। ওপেক ও আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা চীনের ওপর নির্ভর করছে। জ্বালানি তেল আমদানির দিক থেকে দেশটি শীর্ষে রয়েছে। চলতি বছর চীনে জ্বালানির চাহিদা বাড়বে এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে দেশটি বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে, তা বিনিয়োগকারীদের মনে উদ্বেগ তৈরি করছে।

অন্যদিকে এর আগে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আবার বাড়ার তথ্য পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে অব্যাহত মজুদ বৃদ্ধি ও ওপেক প্লাসের উত্তোলন কমিয়ে আনার কারণেই মূলত জ্বালানিটির বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে বলে প্রতিবেদনে উঠে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তথ্যে দেখা গেছে, দেশটিতে গত সপ্তাহে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ ধারণার চেয়েও অনেক বড় পরিসরে কমেছে। বিপুল রফতানি ও পরিশোধন মজুদ কমার ক্ষেত্রে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে। ওই সময় প্রতিদিন ১ কোটি ৬ লাখ ব্যারেল করে মজুদ কমে যায়।
জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক ও এর মিত্র জোট ওপেক প্লাস লম্বা সময় ধরেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন কমাচ্ছে। এর বাইরে জোটের শীর্ষস্থানীয় সদস্য সৌদি আরব প্রতি মাসে দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল করে উত্তোলন কমাচ্ছে। আগামী অক্টোবরেও উত্তোলন কমানোর এ নীতি বহাল রাখবে দেশটি। সৌদি আরবের এ সিদ্ধান্তও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
রাশিয়ার বড় অঙ্কের কৃষিপণ্য রফতানি, আরও বাড়ার সম্ভাবনা

প্রতি বছর গড়ে ৪ হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের কৃষিপণ্য রফতানি করছে রাশিয়া। গত বছর মস্কো থেকে মোট ৪ হাজার ১৬০ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য রফতানি করা হয়। চলতি বছর এটি ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। খবর আরটি।
রফতানি বাড়ালেও পশ্চিমা দেশগুলোয় খাদ্য রফতানি কমিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। বিশেষ করে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া দেশগুলোয় কৃষিপণ্য রফতানি সীমিত করেছে দেশটি। সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছেন রাশিয়ার কৃষিমন্ত্রী দিমিত্রি পাত্রুশেভ।
তিনি জানিয়েছেন, মস্কো গত বছর পশ্চিমা দেশগুলোয় ২৬০ কোটি ডলার সমমূল্যের কৃষিপণ্যের সরবরাহ কমিয়েছে। একই সময়ে নিরপেক্ষ ও বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোয় সরবরাহ বাড়িয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচিতে যোগ না দেয়া দেশগুলোয় ২৭০ কোটি ডলার মূল্যের খাদ্য রফতানি করেছে দেশটি।
একটি মৎস্য শিল্প ফোরামে রুশ কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘মৎস্য রফতানিসহ আমাদের কৃষি রফতানি প্রাথমিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোয় যাবে। রাশিয়াকে ভূরাজনৈতিকভাবে কৃষিবিমুখ করার চেষ্টা করা হলেও আমরা কৃষিতে জোর দিয়েছি।’
মাছ রফতানির বিষয়ে পাত্রুশেভ বলেন, ‘পশ্চিমা বিধিনিষেধ সত্ত্বেও রাশিয়া গত বছর সামুদ্রিক মাছ রফতানি ৪ শতাংশ বাড়িয়েছে। আমদানিকারক দেশের সংখ্যাও বেড়েছে। ২০২২ সালে ৬০টি দেশে আমাদের থেকে কিনেছে, এ বছর তা ৮০-তে বেড়েছে। মস্কো তার ব্যবসায়িক অংশীদার বাড়াতে চায় এবং নতুন বাজার সৃষ্টি করতে চায়।’

চলতি মাসে প্রকাশিত দেশটির শুল্ক বিভাগের তথ্যানুসারে, রাশিয়ান খাদ্য রফতানি ক্রমেই বাড়ছে। তেল ও গ্যাসের পরে দেশটির আয়ের তৃতীয় বৃহত্তম উৎস হয়ে উঠেছে কৃষিজ পণ্য রফতানি।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বেড়েছে কর্মসংস্থান

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ২০২২ সালে কর্মসংস্থান বেড়ে ১ কোটি ৩৭ লাখে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়েছে কর্মীসংখ্যা। উচ্চ বিনিয়োগ, সরকারি পর্যায়ে ভর্তুকি ও কার্যক্ষমতা বাড়ার কারণে সম্প্রসারণ হয়েছে খাতটি। নবায়নযোগ্য জ্বালানিবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সি (আইআরইএনএ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আইআরইএনএর প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে কর্মসংস্থান ছিল ১ কোটি ২৭ লাখ। তবে ২০২২ সালে উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থান বাড়লেও এখন পর্যন্ত তা কয়েকটি দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সবার আগে রয়েছে চীন। বৈশ্বিকভাবে খাতটিতে মোট কর্মসংস্থানের ৪১ শতাংশ চীনের দখলে। তার পরই রয়েছে যথাক্রমে ব্রাজিল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।
আইআরইএনএ পরিচালক ফ্রান্সিসকো লা ক্যামেরা বলেছেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ২০২৩ ছিল দুর্দান্ত বছর। জ্বালানি প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে থাকলে আরো লাখ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব।’
সোলার পিভি (ফটোভোলটাইকস) ছিল কর্মসংস্থান তৈরির সবচেয়ে বড় উপখাত। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের মোট কর্মসংস্থানের এক-তৃতীয়াংশই এ উপখাতের, যেখানে মোট কর্মীসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ লাখ। জলবিদ্যুৎ ও জৈবজ্বালানিতে ২০২১ সালে কর্মসংস্থানের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ করে। বায়ুবিদ্যুৎ খাতে কর্মসংস্থান ছিল ১৪ লাখের মতো। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রধান পরিচালক গিলবার্ট হুংবো বলেছেন, ‘এ মুহূর্তে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও কিছু নীতিমালা বাস্তবায়ন করা জরুরি। তাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, টেকসই ব্যবসা, দক্ষ জনশক্তি, সক্রিয় বাজার, সামাজিক ও পেশাগত নিরাপত্তা তৈরি হবে। আলোচনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশের অধিকার। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি সম্প্রসারণের জন্য মজুরি, নিরাপত্তা, শ্রমিকদের অধিকার ও সামাজিক বিষয়াবলি নিয়েও মনোযোগ দিতে হবে।’
আইআরইএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক দেশই সরবরাহ চেইন স্থানীয়করণের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। দেশীয়ভাবে কর্মসংস্থান তৈরিতে মনোযোগী হয়ে পড়ছে। সে অনুসারে তাদের শিল্পনীতি গ্রহণ করা উচিত। তার পরও দেশগুলোর উচিত স্থানীয়করণের এ প্রচেষ্টার পাশাপাশি বৈশ্বিক সহযোগিতার দিকে গুরুত্ব দেয়া। কেবল এর মাধ্যমেই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিরাপদ জ্বালানির সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। পাশাপাশি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বাড়ানো প্রয়োজন, যেন তরুণ, সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সুযোগ তৈরি হয়।

আবুধাবিভিত্তিক সংস্থা বিশ্ব জ্বালানি ট্রানজিশন আউটলুকে দাবি করা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বার্ষিক বিদ্যুৎ সক্ষমতা ১০০০ গিগাওয়াটে পৌঁছাতে হবে। এটাই প্যারিস চুক্তিতে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা। গত বছর বৈশ্বিক নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎ সক্ষমতা ৩০০ গিগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে। জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য এখনো অনেক পথ বাকি।
দেশগুলোর মধ্যে এখনো বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। শূন্য কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা ২০৫০ সালের মধ্যেই সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে কাজ করছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত যথাক্রমে ২০৬০ ও ২০৫০ সালের মধ্যে লক্ষ্যে পৌঁছার পরিকল্পনা করেছে। বাকি দেশগুলোকেও এ অগ্রযাত্রায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় পতন

বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় পতন হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আউন্স সোনার দাম কমেছে প্রায় ৮০ ডলার। তবে বিশ্ববাজারে সোনার দাম ব্যাপক হারে কমলেও দেশের বাজারে তার তুলনায় খুবই সামান্য পরিমাণ কমেছে।
গেল এক সপ্তাহে বিশ্বাবাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ৭৬ দশমিক ৮০ ডলার। প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরলে বিশ্ববাজারে এক ভরি সোনার দাম কমেছে ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা। বিপরীতে দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম কমেছে ১ হাজার ২৮৪ টাকা।
অর্থাৎ বিশ্ববাজারে যে হারে দরপতন হয়েছে, দেশের বাজারে তার অর্ধেকও কমানো হয়নি। এতে দেশের বাজারে এবং বিশ্ববাজারের মধ্যে সোনার দাম বড় ধরনের পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাজারের তুলনায় দেশের বাজারে এক ভরি সোনা ১৬ হাজার টাকারও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
দেশের বাজারে সর্বশেষ সোনার দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয় গত ২৮ সেপ্টেম্বর। তার আগে ২৭ সেপ্টেম্বর বৈঠক করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি সোনার দাম নতুন করে নির্ধারণ করে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ২৮৪ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯ হাজার ৯৬০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২২৪ টাকা কমিয়ে ৯৫ হাজার ৪১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৪৯ টাকা কমিয়ে ৮১ হাজার ৭৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৯৩৩ টাকা কমিয়ে ৬৮ হাজার ১১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে এ দামেই দেশের বাজারে সোনা বিক্রি হচ্ছে।
অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এরচেয়ে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরিপ্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে নতুন দাম অনুযায়ী ভালো মানের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ৮ হাজার ৪৫৭ টাকা গুনতে হবে।
বাজুস থেকে যখন দেশের বাজারের জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়, সেসময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ১ হাজার ৯০৩ ডলার। এখন তা কমে ১ হাজার ৮৪৮ ডলারে নেমে গেছে। অর্থাৎ দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর পর বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ৫৫ ডলার।
বিশ্ববাজারের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসেই সোনার দাম কমেছে। সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ১ হাজার ৯২৪ দশমিক ৯৯ ডলার। সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ বা ৭৬ দশমিক ৮০ ডলার কমে প্রতি আউন্সের দাম ১ হাজার ৮৪৮ দশমিক ১৯ ডলারে নেমে এসেছে।
এরমধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শুক্রবার প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ১৬ দশমিক ৩৭ ডলার বা দশমিক ৮৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে এমন দরপতনের কারণে মাসের ব্যবধানেও বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতন হয়েছে। গেল এক মাসে সোনার দাম কমেছে ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ বা ৯৪ ডলার।
এদিকে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স (২৮.৩৫ গ্রাম) সোনা যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তাতে প্রতি ডলার ১১০ টাকা করে ধরলে এক ভরির দাম দাঁড়ায় ৮৩ হাজার ৬৪৪ টাকা। এ হিসাবে বিশ্ববাজারের তুলনায় দেশের বাজারে প্রতি ভরি সোনা ১৬ হাজার ৩১৬ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
জিম্বাবুয়ে স্বর্ণের খনি ধসে নিহত ৬

জিম্বাবুয়ের একটি স্বর্ণের খনি ধসে ছয় খনি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আরো ১৫ জন শ্রমিক আটকা পড়েছেন। আজ শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।
গতকাল শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানী হারারে থেকে ১০০ কিলোমিটার পশ্চিমে চেগুতুতে বে হর্স নামের ওই খনি ধসে ৩০ জনের বেশি শ্রমিক আটকে পড়েন।
পরে ১৩ শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
দেশটির গণমাধ্যম জেডবিসি জানিয়েছে, যারা ভূগর্ভে আটকা আছে তাদের উদ্ধার তৎপরতা এখনো অব্যহত রয়েছে।
তবে এখনো খনি ধসের কারণ উঠে আসেনি গণমাধ্যমে।

জিম্বাবুয়েতে খনি ধসে শ্রমিক নিহতের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। আগে কয়েকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ সালে কডোমা শহরের কাছে সিলভার মুন খনিতে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ধসে ডজন খনি শ্রমিক নিহত হন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আরও ১০০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা

মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের ১০০ কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার ওয়াশিংটনে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
আন্তর্জাতিক ও নিকারাগুয়ার স্থানীয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বহুদিন ধরে ওর্তেগা প্রশাসনের বিরুদ্ধে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সংবাদমাধ্যম, ব্যবসায়ী নেতা এবং ক্যাথলিক চার্চের যাজকদের ওপর দমন-পীড়ন চালানোর অভিযোগ জানিয়ে আসছে। সেসব অভিযোগ আমলে নিয়েই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবারের ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন ব্লিনকেন।
এর আগে নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ওর্তেগার স্ত্রী রোসারিও মুরিলো, তাদের তিন সন্তান এবং সরকারি প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েক জন কর্মকর্তার ওপর ভিসা বিধিনিষেধ জারি করেছিল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এবার যে ১০০ কর্মকর্তাকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হলো- তাদের অধিকাংশই ওর্তেগা প্রশাসনের মাঝারি পর্যায়ের কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, বৈপ্লবিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৯৭৯ সালে স্বৈরশাসক অ্যানাসতাসিয়া সোমোজা দিবায়েলের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটিয়ে নিকারাগুয়ার ক্ষমতা দখল করে বামপন্থী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী সান্দিনিস্তা গেরিলা মুভমেন্ট। ওই অভ্যুত্থানে সান্দিনিস্তা গেরিলা মুভমেন্টের নেতৃত্বে ছিলেন ড্যানিয়েল ওর্তেগা। অভ্যুত্থানের সরাসরি ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন তিনি।
তারপর গত ৪৪ বছরের বিভিন্ন সময় ক্ষমতার কেন্দ্রে ও বাইরে অবস্থান করেছেন তিনি। সর্বশেষ ২০০৭ সালে তিনি ক্ষমতায় আসেন এবং এখনও নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্টের পদে আছেন ওর্তেগা।

ক্ষমতা ধরে রাখতে গত ৪৪ বছরের বিভিন্ন সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল, সংবাদমাধ্যম, সিভিল সোসাইটি ও মানবাধিকার কর্মীদের ওপর গুরুতর ও পদ্ধতিগত সহিংসতা চালানো সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি অভিযোগে অভিযুক্ত ড্যানিয়েল ওর্তেগা; আর এক্ষেত্রে ওর্তেগার স্ত্রী ও নিকারাগুয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট রোসারিও মুরিলো এবং তাদের দল সান্দিনিস্তা গেরিলা মুভমেন্টের জেষ্ঠ্য নেতারা তাকে সবসময় সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন এবং করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক অঙ্গ সংগঠন ইউনাইটেড নেশন্স হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের (ইউএনএইচআরও) একটি প্রতিনিধিদল গত মার্চে জানিয়েছে, ওর্তেগার বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও সহিংসতা সংক্রান্ত অভিযোগগুলোর সত্যতা পেয়েছে তারা।
অর্থসংবাদ/এমআই