অর্থনীতি
ভোমরা স্থলবন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা কমেছে

দেশের অন্যতম স্থলবন্দন সাতক্ষীরার ভোমরায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা কমেছে। চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। যেখানে বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের এটি ছিল ১ হাজার ২৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে চলতি অর্থবছরে ১৭২ কোটি টাকার ওপরে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে।
বন্দরসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, করোনাপরবর্তী সময়ে পণ্য আমদানি-রফতানি কমে যাওয়া, ব্যাংকে এলসি জটিলতা ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সংকটের কারণে বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক ভোমরা স্থলবন্দরের জন্য চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-জুন পর্যন্ত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৮৫৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৪৫ কোটি ২৬ লাখ, আগস্টে ৬৬ কোটি ১ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৭৭ কোটি ৩৮ লাখ, অক্টোবরে ৬৪ কোটি ২৩ লাখ, নভেম্বরে ৫২ কোটি ৬৯ লাখ, ডিসেম্বরে ৪৯ কোটি ৩ লাখ, জানুয়ারিতে ৭২ কোটি ২৮ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ৬৮ কোটি ৭১ লাখ, মার্চে ১১৫ কোটি ৯ লাখ, এপ্রিলে ৭৯ কোটি ১ লাখ, মে মাসে ৬৮ কোটি ৯৩ লাখ এবং জুনে ৯৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৭২ কোটি ২৩ লাখ টাকা কম।
সূত্রটি আরো জানায়, বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছর এ বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ২৬ কোটি ২২ লাখ টাকা।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
বেশি দামে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করলেই ‘শাস্তি’

কিছু ব্যাংক নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি মূল্যে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করছে। এতে বাজারের শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের রেট নিয়ে সব ব্যাংকগুলোকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। যদি কেউ বেশি দামে ডলার বেচাকেনা বা কোনো প্রকার কারসাজি করে তাহলে তাকে শাস্তির আওতায় পড়তে হবে।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এমন হুঁশিয়ারি দেন। বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর ও সংশ্লিষ্ট নির্বাহী পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এবিবির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন।
বৈঠকে বর্তমান দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, মূল্যস্ফীতি চাপ, রিজার্ভ, এক্সচেঞ্জ রেট, আমদানি রপ্তানিতে অর্থপাচার রোধ এবং ব্যাংক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে থাকা একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, ব্যাংক খাতের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডলার রেটের বিষয়ে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে বলেছেন গভর্নর। আমদানি রপ্তানির মাধ্যমে যেন অর্থপাচার না হয়, সেদিকে কোঠর নজর রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া এসএমইতে ঋণ বাড়াতেও তাগিদ দিয়েছেন গভর্নর।
এর আগে বেশি দামে ডলার বিক্রি করার কারণে ১০ ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংক মালিকদের সঙ্গেও একটি সভা করা হয়। ওই সভায়ও ডলার কারসাজির বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন গভর্নর।

ওই সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে ডলারের বাজার পরিস্থিতি, মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ও ব্যাংকের সার্বিক তারল্য পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।
গভর্নর জানান, ডলারের সংকট এখন কমে এসেছে, সরবরাহ আগের চেয়ে বেড়েছে। তাই কোনো ব্যাংক যাতে ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচা না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিএবির পক্ষ থেকে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে সায় দেননি গভর্নর। ব্যাংক উদ্যোক্তাদের জানানো হয়, বর্তমানের মূল্যস্ফীতি চাপ নিয়ন্ত্রণ এখন ডলারের দাম বাড়ানো সম্ভব নয়। আর এখন প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বাড়ানো হলে হুন্ডিতে ডলারের দামও বাড়বে।
রেমিট্যান্স-রপ্তানি ডলারের এক রেট
রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের মূল্য এখন থেকে এক রেটে ধরা হয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা পাচ্ছেন। আগে যা ছিল ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে ডলারের মূল্য ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। এছাড়া আমদানিতে ডলারের দর হবে ১১০ টাকা। আগে যা ছিল ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যাংকগুলোতে প্রতি ডলারে ১১৪-১১৫ টাকা দাম নিয়েছিল। এজন্য শাস্তির আওতায় পড়েছেন ডলার কেনাবেচার দায়িত্বে থাকা ট্রাজারি প্রধানরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আন্তঃব্যাংক ব্যবস্থায় ডলার লেনদেন হচ্ছে ১১০ টাকায়।
তবে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে ১১৭ টাকা থেকে ১১৮ টাকা। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের নগদ প্রতি ডলার কিনতে দেশি মুদ্রা খরচ করতে হচ্ছে ১১৮ টাকা পর্যন্ত।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এসএমই খাতে বিদেশি ব্যাংকের ঋণ বিতরণ বেড়েছে

দেশে অবস্থিত বিদেশি ব্যাংকগুলো কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে (সিএমএসএমই) ঋণ বিতরণ বাড়িয়েছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বিদেশি ব্যাংকগুলো সিএমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণ করেছে ১ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিলো ৮২৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এসব ব্যাংকের ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৫৩৯ কোটি টাকা বা ৬৫ শতাংশ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই খাতে ৪৯ হাজার ৬৮ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। ২০২২ সালের একই সময়ে ঋণ বিতরণ করা হয় ৫১ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা। সেই তুলনায় এই খাতে ঋণ বিতরণ কমেছে ২ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা বা ৫ শতাংশ।
ব্যাংকাররা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি এখন ধীরগতিতে চলছে। এসবের প্রভাব দেশের অর্থনীতিতেও পড়েছে। আমাদের দেশেরও একই অবস্থা হওয়ার কারণে সিএমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণ কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সিএমএসএমই খাতের এই স্কিমের তহবিলের মেয়াদ ৩ বছরের জন্য নির্ধারণ করেছে। তবে তবে প্রয়োজনে এর মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।

জানা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই স্কিম থেকে ২ শতাংশ হারে তহবিল নিতে পারে ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ হারে গ্রাহকের কাছে ঋণ বিরতণ করতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ প্রান্তিকে সিএসএমই খাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ৪ হাজার ৩০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের বিপরীতে আদায় করেছে ২ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো ৪০ হাজার ১৩ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩৯ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। বিদেশি ব্যাংকগুলো ১ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা বিতরণ করেছে, এই ব্যাংকগুলো এসময় আদায় করেছে ১ হাজার ১১০ কোটি টাকা। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা হয় ১ হাজার ১০২ কোটি টাকা।
তথ্য মতে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এসএমই খাতে দেওয়া ঋণ পেয়েছেন ১১ লাখ ২৪ হাজার ১৯৩ উদ্যোক্তা। আলোচ্য সময়ে এসএমই ঋণ বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছিলো ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। ২০২১ সালে এসএমই ঋণের এই স্থিতি ছিল ২ লাখ ৪৩ হাজার ৭৩ কোটি টাকা। আর এবছরের মার্চ শেষে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ডিসেম্বরের চেয়ে মার্চ প্রান্তিকে খাতটিতে ১১ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ বেড়েছে।
চলতি বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক এক নির্দেশনায় জানায়, ২০২৪ সালে সিএমএসএমই খাতে যে ঋণ বিতরণ করা হবে, তার ৫০ শতাংশ দিতে হবে কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোগে। আর নারী উদ্যোক্তাদের দিতে হবে এ খাতে দেওয়া মোট ঋণের ১৫ শতাংশ ঋণ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিটিএমএ’র সভাপতি হলেন আলী খোকন

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যাকসন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খোকন।
২০২৩-২৫ মেয়াদের জন্য তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বলেছে বলে বিটিএমএ তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আবুল বাশার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া সভাপতি, তিন সহসভাপতি ও ২৩ জন পরিচালকের নাম ঘোষণা করেছেন।
সহসভাপতি নির্বাচিত হওয়া তিন জন হলেন- সুতা উৎপাদন ক্যাটাগরি থেকে মো. ফজলুল হক, ফেব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. ফায়েজুর রহমান ভূঁইয়া ও ডাইং-প্রিন্টিং ক্যাটাগরি থেকে মো. সালেউদ জামান খান।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স আরও কমার আশঙ্কা

গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে দেশে সবশেষ ২০০ কোটি বা তার বেশি রেমিট্যান্স এসেছিলো। কিন্তু চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা নিম্নগতিতে মোড় নিয়েছে। শেষ দুই মাসের কোনটাতে ২০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স তো আসেইনি, উল্টো আগস্টে তা কমে দেড়শোর ঘরে ঠাঁই নিয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স আরও কমার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ মাসের প্রথম ২২ দিনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, গত ২২ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯২ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। আগস্টে আগের মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার।
সমাপ্ত অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

প্রসঙ্গত, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিলো ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। যা পুরো হিসাব বছরের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
গ্যাস সংযোগে নিয়মের বাইরে দেশের অধিকাংশ প্লাস্টিক কারখানা

দেশের গ্যাস সরবরাহের আইন অনুযায়ী, মাটির নিচ দিয়ে গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন করতে হবে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ প্লাস্টিক কারখানা এই আইন মানছে না, বরং মানার সংখ্যার হার বেশ কম। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে এক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। ‘প্লাস্টিক খাতে সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি: কী পদক্ষেপ প্রয়োজন’ শীর্ষক এ গবেষণায় সহযোগিতা করে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)।
জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন রুল ২০১৪-এর গ্যাস পাইপলাইন রেগুলেশন অনুযায়ী, মাটির নিচ দিয়ে গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন করতে হবে। কিন্তু দেশের প্লাস্টিক কারখানাগুলোর ৭৪ শতাংশই গ্যাস সংযোগ নিয়েছে নিয়মবহির্ভূতভাবে। মাত্র ১৪ শতাংশ এক্ষেত্রে পরিপূর্ণ নিয়ম মেনে চলছে।
সিপিডির তথ্যানুযায়ী, বড় কারখানার সবগুলোই নিয়ম মেনে গ্যাস সংযোগ নিয়েছে। নিয়ম না মানা কারখানাগুলোর মধ্যে ৯০ শতাংশ ক্ষুদ্র, ৬০ শতাংশ ছোট এবং ৩৫ শতাংশ মাঝারি। এসব কারখানার অধিকাংশেরই নিয়মিত হাইড্রোলিক টেস্টিং সুবিধা, অভিজ্ঞ বয়লার পরিচালক এবং যথাযথভাবে অনুমোদিত স্টোরহাউজ নেই। বেশির ভাগ কারখানার দেয়াল আগুন প্রতিরোধী নয়।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, গ্যাস পাইপলাইনগুলো মাটির নিচ দিয়ে যাওয়া দরকার। কিন্তু কোনো কোনো জায়গায় এমন হয়েছে, সেগুলো মাটির নিচ দিয়ে নেয়ার সুযোগই নেই। সে জায়গাগুলোর ক্ষেত্রে নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। কিছু কারখানা এমন এমন জায়গায় স্থাপিত হয়েছে, যেগুলো পুনঃস্থাপন ছাড়া কোনো উপায় নেই। এজন্য প্লাস্টিক কারখানাগুলোকে একটি শিল্পজোনে সরিয়ে নিতে হবে।

কারখানাগুলোর নিরাপত্তা সংকট তুলে ধরে তিনি বলেন, অধিকাংশ কারখানা ভাড়া করা জায়গায় অবস্থিত। তাদের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। ঐতিহাসিকভাবে কারখানাগুলো পুরান ঢাকা এলাকায় গড়ে উঠেছে। এগুলোর অধিকাংশই ক্ষুদ্র ও ছোট। এর মধ্যে অনেকগুলো কারখানার অবস্থান বহুতল ভবনে। কারখানাগুলোর বড় একটি অংশ আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। এ তিনটি বিষয় নিরাপত্তার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, কারখানা চলাকালীন দরজা-জানালা সবকিছু বন্ধ থাকে, যা আবাসিক এলাকা এবং সেখানকার কর্মীদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারখানাগুলোর ফায়ার ড্রিল করার কথা, প্রতি মাসেই সেগুলো নবায়ন করার কথা। কিন্তু কারখানার মালিকরা সেগুলো করছেন না। মাত্র ৮ শতাংশ কারখানায় বড় ধরনের ফায়ার ড্রিল হয়। বড় কারখানাগুলো নিয়মিত ফায়ার ড্রিল করে। ২০ শতাংশ কারখানায় কখনই ফায়ার ড্রিল হয়নি।
অর্থসংবাদ/এমআই