লাইফস্টাইল
আবহাওয়ার খবর জানবেন যেভাবে

কোনো স্থানের বায়ুর চাপ, উষ্ণতা, গতি, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত প্রভৃতির সমষ্টিগত স্বল্পকালীন অবস্থাকে আবহাওয়া বলে। আবহাওয়া সব সময় পরিবর্তনশীল। ফলে দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ অনেক সময় এই আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সম্পন্ন করতে হয়। এজন্য আজ ও আগামীকালের আবহাওয়া কেমন হতে পারে তা আগে থেকেই জেনে নেওয়া ভালো।
এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির এই সময়ে আপনি চাইলে প্রতিঘণ্টা, এমনকি প্রতিদিন ও আগামী সাত, ১০ কিংবা ১৫ দিনের আবহাওয়া কেমন হবে তাও জেনে নিতে পারবেন।
আবহাওয়ার আপডেট জানবেন যেভাবে
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওয়েবসাইট রয়েছে, যারা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রতি মুহূর্তের আবহাওয়ার আপডেট জানায়। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ঢাকাসহ সারাদেশের ৮ বিভাগীয় শহর (চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর) ও বিভিন্ন জেলার আবহাওয়ার খবর, ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির পূর্বাভাস পাওয়া যায়। এছাড়া আজকের আবহাওয়া কেমন থাকবে, বৃষ্টি হবে কিনা ও আগামীকালের আবহাওয়ার পূর্বাভাসও পাওয়া যায়।
প্রতিবেশী ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও কলকাতার আজকের ও আগামীকালের আবহাওয়া সম্পর্কে লাইভ আপডেট জানাতে পারবেন।
এছাড়া কিছু ওয়েবসাইটের লিঙ্কের ঠিকানায় প্রবেশ করে প্রত্যেকটি দেশ ও শহরের আজকের ও আগামীকালের আবহাওয়া সম্পর্কে জানা যাবে।
বাংলাদেশের আবহাওয়ার খবর

বাংলাদেশের আজ ও আগামীকালের আবহাওয়া পরিস্থিতি কেমন তা জানতে সরকারের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওয়েবসাইটে লাইভ আবহাওয়া পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

লাইফস্টাইল
যে পাঁচ লক্ষণে বুঝবেন হাড়ের অবস্থা ভালো নেই

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ক্ষয় হওয়া স্বাভাবিক। তবে অল্পবয়সীদের মধ্যেও অস্টিওপোরেসিসের ঝুঁকি বেড়েছে। হাড়ের যত্নের ক্ষেত্রে আমরা ভীষণ উদাসীন।
অতিরিক্ত পরিমাণে বাইরের খাবার, ভাজাভুজি, রাস্তার পাশের তেল মসলাদার খাবার খাওয়া হাড়ের ক্ষতি করে। ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে অবশ্য বয়সের আগেই হাড়জনিত সমস্যা শুরু হয়।
হাড়ের সমস্যাগুলো শরীরে বাসা বাঁধার আগে কিছু উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হতে হবে। কোন কোন লক্ষণ দেখলেই চিকিৎসককে দেখাবেন-
পিঠের যন্ত্রণা
অফিসে একটানা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজের জন্য অনেকেই পিঠের যন্ত্রণায় ভোগেন। কিছু দিন শরীরচর্চা ও যোগাসনের করলেই অবশ্য এই ব্যথা দূর করা সম্ভব। তবে এই সমস্যা দীর্ঘ দিনের হলে বুঝবেন, আপনার হাড়ের অবস্থা ভাল নয়।
নখ ভেঙে যাওয়া
নখের স্বাস্থ্য দেখেও বুঝতে পারবেন, হাড় মজবুত রয়েছে কি না! বার বার নখ ভেঙে গেলে বুঝতে হবে, শরীর দুর্বল হাড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

হাতে ব্যথা
হাত দিয়ে কোনো কিছু আঁকড়ে ধরতে গেলে যন্ত্রণা হচ্ছে? গ্লাস ধরতে সমস্যা? আটা মাখতে গেলেও ব্যথায় নাজেহাল? হাড় দুর্বল হয়ে গেলে এমনটা হতে পারে।
দাঁতের মাড়ি আলগা হয়ে যাওয়া
দাঁতের মাড়ি আলগা হয়ে গেলেও তাকে দুর্বল হাড়ের লক্ষণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। বয়সের আগেই দাঁত পড়তে শুরু করলে তা হাড়ের দুর্বলতার লক্ষণ।
সামান্য আঘাতেই হাড়ে চিড় ধরা
হাড় দুর্বল হয়ে গেলে আঘাতের ঝুঁকি বাড়ে। শরীরচর্চা কিংবা হাঁটার সময় সামান্য আঘাতেই যদি হাড়ে চিড় ধরে, তা হলে সতর্ক হন। হাড়ের প্রতি যত্নশীল হোন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
যেসব ভিটামিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়

এমন খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ যা আপনার শরীরকে সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং ভিটামিন পৌঁছে দেবে। ভিটামিনের ঘাটতি হলে তা আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলবে। যার ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। ভিটামিনের ঘাটতি ত্বকে শুষ্কতা, নিস্তেজ ভাব, জ্বালা এবং এমনকি আরও গুরুতর সমস্যার কারণ হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ভিটামিনের অভাবে আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে-
ভিটামিন ই
নিস্তেজ এবং শুষ্ক ত্বকের অন্যতম কারণ হলো ভিটামিন ই এর অভাব। ভিটামিন ই হলো একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি র্যাডিক্যাল এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি কোষের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে এবং সুস্থ ত্বক বজায় রাখতে সহায়তা করে। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ই এর অভাব হলে ত্বক শুষ্ক ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এমনকী ত্বকের জ্বালা বা প্রদাহ হতে পারে। এই ঘাটতির ফলে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়, যার ফলে ত্বক বিবর্ণ হয়ে যায়।
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি ত্বকের কোষের বৃদ্ধি এবং ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ক্ষতিকারক রোগ-জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা হিসেবে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন ডি এর অভাবে একজিমা এবং সোরিয়াসিস হতে পারে। যা ত্বকের শুষ্কতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ভিটামিন সি
ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী, ত্বক-প্রতিরক্ষামূলক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের সংস্পর্শে আসা দূষিত পদার্থের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। এই ভিটামিন কোলাজেন উৎপাদনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রয়োজনীয়।
বি ভিটামিন
ভিটামিন বি এর অভাবে ব্রণ, ফুসকুড়ি, শুষ্ক ত্বক, ফাটা ঠোঁট এবং বলিরেখা হতে পারে। এটি ত্বককে রোদের প্রতি আরও সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। ফলে ত্বক লালচে হয়ে যেতে পারে এবং ত্বকে জ্বালা হতে পারে। ভিটামিন বি-তে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা একজিমা, ব্রণ বা ত্বকের অন্যান্য ধরনের জ্বালা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ভিটামিন এ
প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি ত্বকের কোষ তৈরি ও মেরামতের জন্য ভিটামিন এ অপরিহার্য। পর্যাপ্ত ভিটামিন এ না পাওয়া গেলে একজিমা এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশ কিছু ক্লিনিকাল গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন এ একজিমা দূরে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল করার ৫ সুবিধা

গোসলের সময় ঠান্ডা বা হালকা গরম পানি আলাদা আলাদা সুবিধা দেয়। হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করলে তা কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করে এবং ভালো ঘুমে সহায়ক হয়। অপরদিকে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে তা ব্যথা, ফোলাভাব এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। শীতের সময়ে অনেকে ঠান্ডা পানি থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু এই সময়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে অনেকগুলো স্বাস্থ্য সুবিধা পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল করার উপকারিতা-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে এলে আমাদের শরীর নোরপাইনফ্রিন নিঃসরণ করে, যার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ কারণে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করে। একটি জরিপ অনুসারে, ঠান্ডা পানিতে সাঁতারুদের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সামলে নেওয়ার ক্ষমতা ছিল চমৎকার। ঠান্ডা পানিতে সাঁতার কাটলে শরীরের সহনশীলতা বাড়াতে পারে। এই বিস্ময়কর সুবিধাগুলো পাওয়ার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো ঠান্ডা পানিতে গোসল করা, যা ঠান্ডা পানিতে সাঁতার কাটার চেয়েও সহজ।
বিষণ্ণতা দূর করে
ঠান্ডা পানির থেরাপি কীভাবে বিষণ্ণতাকে প্রভাবিত করে সে সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য নেই। তবে বিভিন্ন গবেষণায় পাওয়া গেছে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য। যারা কয়েক মাস ধরে নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গোসল করেছেন তারা একটি ক্লিনিকাল গবেষণায় বিষণ্ণতার কম উপসর্গের কথা জানিয়েছেন। আরও গবেষণা অনুসারে, ঠান্ডা পানিতে গোসল করার অভ্যাস আপনার মেজাজ ভালো রাখে এবং উদ্বেগ কমাতে কাজ করে।
রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডা পানিতে গোসলের প্রধান সুবিধাগুলোর মধ্যে একটি হলো উন্নত রক্ত সঞ্চালন। ঠান্ডা পানি আপনার শরীরে আদর্শ তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য গভীর টিস্যুতে রক্তকে দ্রুত সঞ্চালন করে। প্রদাহ কমাতে ঠান্ডা এক্সপোজার দ্বারা সঞ্চালন ব্যবস্থা চালু হয়, যা কার্ডিওভাসকুলার রোগ এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
মেটাবলিজম ভালো রাখে
যারা নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন তাদের মেটাবলিজম বা বিপাক ক্ষমতা বেশি হয়। এর প্রাথমিক কারণ হলো, এই পানিতে গোসল করলে ব্রাউন অ্যাডিপোজ টিস্যু আরও সক্রিয় হয়, যা শরীরকে তাপ তৈরি করতে এবং ঠান্ডা তাপমাত্রা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি একটি প্রয়োজনীয় ফ্যাট যা সক্রিয় করা বিপাককে ত্বরান্বিত করে।
পেশী ব্যথা নিরাময় করে

আমাদের রক্তনালীগুলো ঠান্ডা আবহাওয়ায় সংকুচিত হয়। রক্ত তখন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে প্রবাহিত হয়। প্রক্রিয়া চলাকালীন রক্ত স্বাভাবিকভাবেই পুষ্টি এবং অক্সিজেনে সমৃদ্ধ হয়। ভাসোডিলেশন বা রক্তনালীগুলির প্রসারণ যখন আপনার শরীর আবার উত্তপ্ত হয় তখন অক্সিজেনযুক্ত রক্ত আপনার টিস্যুতে ফিরে আসতে দেয়। রক্ত ছুটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি নিরাময় প্রদাহকে সাহায্য করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
যেসব লক্ষণে বুঝবেন শরীরে আয়রন ঘাটতি

আয়রন একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, যা লাল রক্ত কোষকে শরীরের মাধ্যমে অক্সিজেন বহন করতে সহায়তা করে। এই খনিজ উপদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া ত্বক, চুল ও নখের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। এমনকি আপনার শেখার ক্ষমতাকেও বিকশিত করে।
আয়রনের ঘাটতি নারীদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ এক সমস্যা। বেশিরভাগ নারীই জানেন না যে তিনি আয়রন স্বল্পতায় ভোগেন। একটি নতুন সমীক্ষা জানাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নারী ও যুবতীদের বেশিরভাগই এই খনিজের স্বল্পতায় ভোগেন।
অ্যান আর্বরের মিশিগান মেডিকেল স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নতুন গবেষণায় অংশ নেওয়া ১২-২১ বছর বয়সী প্রায় সাড়ে তিন হাজার নারীর আয়রন স্তর পরিমাপ করা হয়।
এই গবেষণার ফলাফল আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা দেখেছেন, প্রায় ৪০ শতাংশ অংশগ্রহণকারীদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি ছিল।
আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ কী কী?
শরীরে আয়রনের ঘাটতির বিভিন্ন লক্ষণ ও উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- মস্তিষ্কের কুয়াশা, ক্লান্তি, হালকা মাথাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। ফ্যাকাশে ত্বকও আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।

এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সাধারণ রক্ত পরীক্ষা করেই শরীরে আয়রনের ঘাটতি আছে কি না তা পরিমাপ করা যায়।
আয়রনের ঘাটতি হলে কী হয়?
সিডিসি তথ্য অনুসারে, যে শিশুরা আয়রন সমৃদ্ধ খাবার বা পরিপূরক থেকে পর্যাপ্ত আয়রন পায় না তাদের রক্ত স্বল্পতা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। দীর্ঘদিন ধরে আয়রনের ঘাটতিতে ভুগলে অ্যানিমিয়াসহ বিভিন্ন রোগের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
এছাড়া হৃদপিণ্ড বা ফুসফুসকে প্রভাবিত করে এমন জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতি সন্তান জন্মের আগে ও পরে মায়ের শরীরে জটিলতা বাড়াতে পারে।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার কী কী?
এনএইচএস ইউকে অনুসারে, শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
এজন্য গাঢ় সবুজ শাকসবজি, গমের রুটি, মাংস, কলিজা, শুকনো ফল যেমন- এপ্রিকট, প্রুন, কিশমিশ ও ডাল যেমন- মটরশুটি, মটর, মসুর ডাল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
এসবের পাশাপাশি চা, কফি, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ কমাতে হবে। এসব পানীয় শরীরের আয়রন শোষণে বাধা দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
শীতে ত্বক ভালো রাখার ঘরোয়া উপায়

সারা বছরই ত্বকের যত্ন নিতে হয়। তবে শীতকালের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। কারণ শীতের সময়ে আবহাওয়ার প্রভাব আমাদের ত্বকে অনেক বেশি পড়ে। এসময় আবহাওয়া অনেক শুষ্ক হয়ে যায়। যার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় আমাদের ত্বকেও। এতে ত্বক ও চুল শুষ্ক, নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। তাই শীতে ত্বক ভালো রাখার ঘরোয়া উপায় জেনে রাখা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন না
শীতকালেও ঠান্ডা পানিতে গোসল করার অভ্যাস থাকে অনেকের। এই অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন। কারণ শীতকালে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে ত্বক আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। সেইসঙ্গে ত্বকে দেখা দিতে পারে ব়্যাশও। তাই শীতের সময়ে হালকা গরম পানিতে গোসল করার অভ্যাস করুন। এই সময়ে হালকা গরম পানিতে গোসল করলে ত্বকের তাপমাত্রা ঠিক থাকে ও ত্বক ভালো থাকে।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
শীতে প্রতিদিন দুইবেলা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। কারণ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের ফলে তা ত্বকে সঠিক হাইড্রেশন দেয় ও ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে খাঁটি নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েলও ময়েশ্চারাইজার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এতেও শীতের দিনে ত্বক ভালো থাকবে।
হিউমিডিফাইয়ার ব্যবহার
শীতের সময়ে হিউমিডিফাইয়ার ব্যবহার করতে পারেন। এর থেকে গরম বাস্প বের হয় যা ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখে। যে কারণে আপনার ত্বকও ভালো থাকবে। তাই শীতের দিনগুলোতে আপনি এর সাহায্য নিতেই পারেন।
সানস্ক্রিন ব্যবহার
শীতের সময়েও নিয়মিত ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করে তবেই বের হবেন। কারণ এটি শীতে সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেটের থেকে বাঁচতে আপনাকে সাহায্য করবে। ত্বকে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে রোদের তাপে ত্বক পুড়ে যায় না এবং ত্বকের রং ও ঠিক থাকে।

গ্লিসারিনযুক্ত সাবান ব্যবহার
শীতের সময়ে এমন কোনো সাবান ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন যা আপনার ত্বককে শুষ্ক করে দিতে পারে। কারণ শীতের সময়ে আমাদের ত্বক এমনিতেই শুষ্ক হয়ে যায়। এরপর এ ধরনের সাবার ব্যবহার করলে তা ত্বককে আরও ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই শীতে এমন সাবান ব্যবহার করুন যাতে গ্লিসারিন রয়েছে। এতে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখা সহজ হবে।