Connect with us

অর্থনীতি

জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা

Published

on

জ্বালানি তেল

সরকারের জ্বালানি ব্যয়ের প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে জ্বালানি আমদানিতে ব্যয় হবে ২৪ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলার। তাতে চলমান ডলার সংকটের প্রেক্ষাপটে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, সরকার ২০৪১ সাল নাগাদ দেশে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করতে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি আমদানি করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করতে গিয়ে বিপাকে পড়ার জোর আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার নিয়ে গতকাল ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা উঠে আসে। সংগঠনটি তাদের মতিঝিলের কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার: বঙ্গবন্ধুর দর্শন’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে ব্যবসায়ীরা দেশের ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে বেশকিছু আশঙ্কার চিত্র তুলে ধরেন। পাশাপাশি স্থানীয় গ্যাসের অনুসন্ধান, কয়লা উত্তোলন করা গেলে ডলার সাশ্রয়ীর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ভূতত্ত্ববিদ অধ্যাপক বদরূল ইমাম।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এলএনজি আমদানিতে নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধানে জোর দিতে হবে। দেশের দুই-তৃতীয়াংশ অঞ্চল এখনো অনুসন্ধান কার্যক্রমের বাইরে আছে। বিশাল সমুদ্রের কোনো সম্পদই আমরা এখনো আহরণ করতে পারিনি। আমাদের এখন পর্যন্ত যত গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে, সবগুলোই খুব সহজে পাওয়া যায় এমন গ্যাসক্ষেত্র। যেসব গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানে আমাদের অনেক বেশি শ্রম দিতে হবে, সেগুলোতে এখনো আমরা হাত দিইনি।’

অধ্যাপক বদরূল ইমাম বলেন, ‘গ্যাস ছাড়াও আমাদের কয়লা, খনিজ বালি, লোহার খনিসহ অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, সেগুলোয়ও মনোনিবেশ করতে হবে।’

স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘‌চলমান বৈশ্বিক সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের জ্বালানি খাত। এটি দেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। জ্বালানির দাম বাড়ায় বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় পিছিয়ে পড়ছেন স্থানীয় উদ্যোক্তারা। এ পরিস্থিতিতে জ্বালানিতে আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে স্থানীয় গ্যাস, কয়লা ও খনিজ সম্পদ উত্তোলনে সরকারের জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।’

সরকারের গ্যাসের চাহিদা ও জ্বালানি আমদানিসংক্রান্ত প্রাক্কলন তুলে ধরে এফবিসিসিআই জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছর নাগাদ দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা দাঁড়াবে দৈনিক ৫ হাজার ৭৯ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বর্তমান চাহিদার চেয়ে প্রায় ৬ শতাংশ বেশি। দেশে গ্যাসের মজুদ কমে যাওয়ায় এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। তবে বর্তমানে চাহিদা পূরণে কেবল আমদানিনির্ভরতা থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ শুধু জ্বালানি আমদানিতেই ব্যয় হবে ২৪ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলার।

দেশে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের বড় অংশই ব্যয় হয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি আমদানিতে। এক প্রক্ষেপণে দেখা যায়, ২০২৭ সাল নাগাদ দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা হবে গ্যাসভিত্তিক ১৬ হাজার ৬৫০ মেগাওয়াট, ফার্নেস অয়েলভিত্তিক ৬ হাজার ৪৯৭ মেগাওয়াট ও কয়লাভিত্তিক ৭ হাজার ৯১ মেগাওয়াট। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা হবে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি হবে ৫৯১ মেগাওয়াট। আমদানি করা হবে ২ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি চাহিদা ও বিদ্যমান বাজার দর হিসাব করলে জ্বালানি আমদানিতে ব্যয় বাড়বে ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এ অতিরিক্ত ব্যয়ের ৬-৭ বিলিয়ন ডলার যাবে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য। এছাড়া কয়লায় ৫ বিলিয়ন এবং আমদানিনির্ভর বিদ্যুৎ, ফার্নেস অয়েল, নিউক্লিয়ার ফুয়েলের জন্য ব্যয় বাড়বে ৯ বিলিয়ন ডলার।

অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২৩ অনুযায়ী, দেশে ২০২৫-২৬ অর্থবছর নাগাদ গ্যাসের চাহিদা দাঁড়াবে সাড়ে পাঁচ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি। বিদ্যমান গ্যাসের সরবরাহ সক্ষমতা রয়েছে তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের কিছু বেশি (এলএনজিসহ)। স্থানীয় গ্যাসের সরবরাহ একই পরিমাণ থাকলে দৈনিক আরো প্রায় আড়াই হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি তৈরি হবে।

বিপুল পরিমাণ এ জ্বালানি আমদানির ওপর নির্ভরশীল না হয়ে বরং বিকল্প হিসেবে কয়লা এবং নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে তৎপর হতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

সেমিনারে জ্বালানি নিরাপত্তা বিষয়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব। এ সময় অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামির সাত্তার, বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল আজিজ পাটোয়ারীসহ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

জিএসপি সুবিধা পেলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাড়বে রপ্তানি আয়

Published

on

জিএসপি সুবিধা পেলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাড়বে রপ্তানি আয়

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে জিএসপি সুবিধা পায় না বাংলাদেশ। ফলে ১৫ শতাংশ শুল্ক কর দিয়ে পোশাক পণ্য রপ্তানি করতে হয়। কিন্তু পোশাক খাত যদি শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুবিধা পেত, তবে আরও ৪০০ থেকে ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা সম্ভব হতো।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এর অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশ-মার্কিন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ’ বিষয়ক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে এই তথ্য জানান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বাজারে সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত সুবিধায় তুলা রপ্তানি করে। অথচ এই তুলার তৈরি পোশাক রপ্তানিতে জিএসপি সুবিধা পায় না। অর্থাৎ ১৫ শতাংশ শুল্ক কর দিয়ে পোশাক পণ্য রপ্তানি করতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র যদি জিএসপি সুবিধা দেয় তবে প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য অতিরিক্ত রপ্তানি হবে ৪০০ মিলিয়ন থেকে ৮০০ মিলিয়ন ডলার। তাতে আগামী ৫ থেকে ৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বাজারে ৩ বিলিয়ন তুলা রপ্তানি করতে পারবে।

এতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বর্তমানে ১০ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ পণ্য বাংলাদেশ রপ্তানি করছে। তার বিপরীতে ৩ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ পণ্য আমদানি করছে। এটা আরও বাড়বে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানিতে জিএসপি স্কিম হলো-বাংলাদেশ সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত সুবিধায় (অর্থাৎ ১৫ শতাংশ সুবিধা) যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে সুতা আমদানি করে। গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় পোশাক সরবরাহকারী এবং সরকার যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা পোশাকের উপর ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ শুল্ক মওকুফের অনুমতি জন্য আলোচনা করছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সরকার তা দিচ্ছে না।

পিআরআই গবেষণা পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশেরও ফাইবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত কারণ বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় ৯০ মিলিয়ন বেল তুলার দুই শতাংশেরও কম উৎপাদন করে না এবং প্রায় পুরো চাহিদা আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে ফাইবারের জন্য একটি ভালো উৎস হয়ে উঠছে।

পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক এবং বিশ্বব্যাপী বৃহৎ আয়তনের এবং কম মূল্যের পোশাকের জন্য তৃতীয় বৃহত্তম উৎপাদন কেন্দ্র।

বাংলাদেশের জন্য জিএসপি মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, তুলা জিএসপি স্কিম উভয় দেশের জন্য একটি জয়ী পরিস্থিতি হবে কারণ স্থানীয় মিলাররা মোট ৯টির মধ্যে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ তুলা আমদানি করে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কয়েক মিলিয়ন বেল প্রয়োজনীয় তুলা আমদানি করা হয়।

স্থানীয় সরবরাহকারীরা এক বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট পোশাক আমদানির ৯ দশমিক ৭ শতাংশ চাহিদা মেটাতে পারে বলে মার্কিন বাজার ঘুরে দেখার অনেক সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ভারত থেকে ২০ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১১ শতাংশ এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে ৩ শতাংশ তুলা আমদানি করে।

তিনি বলেন, জো বাইডেন প্রশাসনকে ২০০৫ সালে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) পঞ্চম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন অনুসরণ করা উচিত যেখানে উন্নত দেশগুলো ১০০ শতাংশ পণ্যের জন্য শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দিতে সম্মত হয়েছিল, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৯৭ শতাংশ-এ দিচ্ছে।

তিনি বলেন, তুলা থেকে তৈরি পোশাকের চাহিদা কমবে না যদিও তুলাবিহীন ফাইবার তৈরি পোশাকের চাহিদা বিশ্বব্যাপী বাড়ছে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা এবং সঞ্চালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগ করতে চায় জাপান

Published

on

পর্ষদ সভা

বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে বিশেষ করে মৎস্য খাতে সহযোগিতা-বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন। সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বশেষ জাপান সফর, বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন প্রকল্পে জাপানের বিনিয়োগ, উভয় দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপান যে ভূমিকা পালন করছে তা নিঃস্বার্থ বন্ধুত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত। দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা আমরা আরও সামনে এগিয়ে নিতে পারি। দু’দেশের জনগণ এবং উভয় দেশের সরকারের মধ্যে বিদ্যমান বোঝাপড়া, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা আগামী বছরগুলোতে আরও শক্তিশালী হবে।

জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দীর্ঘ বন্ধুত্বের ইতিহাস আছে। বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে বিশেষ করে মৎস্য খাতে জাপান সহযোগিতা দিতে আগ্রহী। এ বিষয়ে দু’দেশের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে যৌথ পরামর্শ সভা হতে পারে। দু’দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ থাকায় সহজেই এক দেশে অন্য দেশে সহজেই পণ্য পরিবহন সম্ভব। তিনি বাংলাদেশে খাদ্য পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন সহযোগী। ভবিষ্যতে জাপান-বাংলাদেশ দু’দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে জাপানের বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। যার মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ইত্যাদি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এ সময় বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিজাত পণ্যের বহুমুখীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনে জাপানী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন মন্ত্রী।

এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, এ টি এম মোস্তফা কামাল ও মো. তোফাজ্জেল হোসেন, যুগ্ম সচিব অন্দ্রিয় দ্রং, নীলুফা আক্তার ও ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের তৃতীয় সচিব শিমমুরা কাৎসুমি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

রেমিট্যান্স বাড়লে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হতো

Published

on

পর্ষদ সভা

রেমিট্যান্স বাড়াতে সরকার কাঠামোগত সংস্কারের পথ খুঁজছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘এখন তো বহু মানুষ দেশের বাইরে যাচ্ছেন। তরুণরা স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে গিয়ে স্থায়ী হচ্ছেন। শ্রমিকরাও বৈধপথে বিদেশ যাচ্ছেন। কিন্তু সেই অনুপাতে দেশে রেমিট্যান্স আসছে না। রেমিট্যান্সটা যদি বাড়তো, যেভাবে আগে আসছিল; সেভাবে আসতো, তাহলে অর্থনৈকি সমস্যার সমাধান হয়ে যেতো।’

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ‘সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, ‘কেন রেমিট্যান্স বাড়ছে না, এটার সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজতে হবে। সমাধানের পথ বের করতে হবে। এজন্য আমাদের যারা অর্থনীতিবিদ রয়েছেন, এ সেক্টরের বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, তাদের কাছে আমরা উদ্ভাবনী পরামর্শ চাইবো। আপনারা রেমিট্যান্স প্রবাহ ঠিক রাখতে সংস্কারের প্রস্তাব-পরামর্শ দিলে আমরা গ্রহণ করবো।’

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক এবং বিশ্বব্যাংকের গভর্ন্যান্স গ্লোবাল প্রাকটিসের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্র্যাকটিস ম্যানেজার হিশাস ওয়েলি।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থপনা পুনর্গঠন বিষয়ে প্যানেল আলোচনা হয়। এতে আলোচক ছিলেন সাবেক পাঁচ অর্থসচিব। তারা হলেন- মো. জাকির আহমেদ খান, ড. মোহাম্মদ তারেক, মো. ফজলে কবির, মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, আব্দুর রউফ তালুকদার।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

ডলারের ভবিষ্যৎ দাম নির্ধারণে নতুন নিয়ম

Published

on

ডলার

ভবিষ্যতের ডলারের দাম বেঁধে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য ভবিষ্যতের ডলারে গুণতে হবে সুদ নির্ধারণের পদ্ধতি ‘সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি’-এর সঙ্গে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ বেশি।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই নিয়ম চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যে পদ্ধতিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, সেটি স্মার্ট বা সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। জুলাইয়ে স্মার্ট রেট ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। আগস্টে তা বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ, যা চলতি সেপ্টেম্বরেও অপরিবর্তিত রয়েছে।

কেউ এখন ভবিষ্যতের জন্য ডলারের বুকিং দিয়ে রাখলে তাকে এক বছর পর প্রতি ডলারে ১২৩ টাকা ৩৫ পয়সা পরিশোধ করতে হবে। আর মাসভিত্তিক দাম হলে তা মাস হিসাবেই কমে আসবে। বর্তমানে আমদানিতে ডলারের দাম ১১০ টাকা।

আমদানিকারকদের কাছে বেশি দামে ডলার বিক্রির জন্য বেসরকারি খাতের ১০ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক গত রোববার নতুন নিয়মটি চালু করেছে।

ডলার ক্রয় ও বিক্রয় উভয়ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ দাম নির্ধারণ করা যায়। কোনো আমদানিকারক এখনই ডলার কিনে এক বছরের মধ্যে পণ্য আমদানি করতে পারেন। এ জন্য তাকে বর্তমান ডলারের সঙ্গে ব্যাংককে বাড়তি কমিশন দিতে হয়। ওই সময়ে দাম কমে গেলেও আমদানিকারককে বর্তমান দাম দিতে হবে। আবার দাম বেড়ে গেলে তিনি সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ বাড়তি দাম দিতে হবে না। এদিকে রপ্তানিকারকও নির্দিষ্ট সময় ডলার বিক্রি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দাম কমে গেলে রপ্তানিকারক লোকসানেও পড়তে পারেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) ডলারের জোগান ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন সময়ে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে। ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম প্রতি মাসেই বাড়ছে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি মাস থেকে পণ্য বা সেবা খাতের রপ্তানি আয়ের ডলার ও প্রবাসী আয়ের ডলার কেনায় দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। আগে ব্যাংকগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতি ডলারের জন্য প্রবাসীদের ১০৯ টাকা ও রপ্তানিকারকদের ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দিত।

অন্যদিকে ব্যাংকগুলো এখন আমদানিকারকদের কাছে ১১০ টাকায় ডলার বিক্রি করছে। আগে আমদানি দায় মেটাতে ব্যাংকগুলো আমদানিকারকদের কাছে প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করত। তবে অভিযোগ আছে, বাস্তবে এই দামে ডলার কেনা-বেচা হচ্ছে খুব কম।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

ভোগ্যপণ্য আমদানিতে এলসি খোলা কমেছে ৩৯ শতাংশ

Published

on

এলসি

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলা কমেছে ৩৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। একই সময়ে শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্য এবং জ্বালানি তেল সবকিছুরই এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি আগের চেয়ে কমছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের হাল নাগাদ ‘সেলেক্টেড ইকোনমিক ইনডিকেটরসে‘ এ চিত্র উঠে এসেছে।

তথ্য বলছে, জুলাই-আগস্ট প্রথম দুই মাসে ভোগ্যপণ্য আমদানি করতে এলসি খোলা হয়েছে ৯২৬ দশমিক ১১ মার্কিন মিলিয়ন ডলারের। আগের বছরের একই সময়ে এলসি খোলা হয়েছিল প্রায় এক দশমিক ৫২৪ বিলিয়ন ডলারের। আগের বছরের একই সময়ে ৩৯ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি এলসি খোলা হয়েছিল।

তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট বন্দর থেকে ভোগ্যপণ্য ছাড় করানো হয়েছে এক দশমিক ২৩৮ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরে একই সময়ে বন্দর থেকে ছাড় করা হয়েছিল প্রায় এক দশমিক ২৪৭ বিলিয়ন ডলারের ভোগ্যপণ্য। চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট দুই মাসে এক শতাংশের কিছু কম এলসির ভোগ্যপণ্য বন্দর থেকে ছাড় করা হয়েছে।

তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল ৭ দশমিক ৭২২ বিলিয়ন ডলারের।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
Advertisement
Advertisement IBBL_AD_300 x 250

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

September 2023
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930