শিল্প-বাণিজ্য
সার আমদানিতে সরকারের ডলার লুট করছে সিন্ডিকেট

জি টু জি (সরকার থেকে সরকার) প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন দেশ থেকে সার ক্রয় করে সরকার। আর সার আমদানিতে একটি সিন্ডিকেট সরকারের কোটি কোটি ডলার লুটে নিচ্ছে। সার গন্তব্যে এসে পৌঁছালেও তা খালাস করতে পারে না চট্টগ্রাম বন্দর থেকে। পণ্য খালাসে ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করে ডেমারেজ হিসেবে সিন্ডিকেটটি দিনপ্রতি জরিমানা আদায় করছে সরকার থেকে। অভিযোগ উঠেছে ডলার সংকটের অজুহাত দেখিয়ে পণ্য খালাস না করে বন্দরে মাসের পর মাস জাহাজ বসিয়ে রেখে কয়েক কোটি ডলার জরিমানা আদায় করা হয়। ইচ্ছাকৃতভাবে পণ্য খালাস না করে সরকার থেকে আদায়কৃত জরিমানার অর্থ সিন্ডিকেটের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করা হয়। দেশি-বিদেশি মিলে জাহাজ মালিক থেকে শুরু করে সার আমদানিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা এই সিন্ডিকেটের সদস্য বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে একইসঙ্গে সার আমদানিতে সরকারের খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অর্থ অপচয় হচ্ছে। এতে ডলার সংকট আরও তীব্র হচ্ছে।
সূত্র জানায়, সার আমদানি করতে সরকার আগেই এলসি (ঋণপত্র) খোলে। তবে বন্দরে সার পৌঁছানোর পর সারের বিল পরিশোধ করতে বিলম্ব করা হয় ইচ্ছাকৃতভাবে। চট্টগ্রামের বর্হিনোঙ্গরে মাদার ভেসেল থেকে সারসহ অন্যান্য আমদানি পণ্য খালাস করতে ব্যবহৃত হচ্ছে লাইটার জাহাজ। এসব জাহাজগুলোতে পণ্য বোঝায় করতে হলে নিয়ম অনুযায়ী ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল (ডব্লিউটিসি) থেকে সিরিয়াল নিতে হয়। সিরিয়াল পেলে পণ্য খালাসের অনুমতি পায় জাহাজগুলো। আর অনুমতি না পেলে মাসের পর মাস জাহাজগুলোকে বন্দরে অপেক্ষা করতে হয়। আর পণ্য খালাসে বিলম্ব হওয়ায় প্রতিদিন একটি জাহাজকে প্রায় ১২ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হয়।
জানা গেছে, দেশে প্রতি বছর সারের চাহিদা প্রায় ৬০ লাখ টন। এর বড় অংশই আমদানি হয়, বাকিটা দেশের কারখানায় উৎপাদিত হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে সার বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫৯ লাখ টন। এর ৮৮ শতাংশ বা ৫২ লাখ টন সার আমদানি হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সারের চাহিদা ধরা হয়েছে ৬৮ লাখ টনের কিছু বেশি। এর প্রায় ৪০ লাখ টন আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
সূত্র মতে, সরকারি দরপত্রে অংশ নিয়ে আমদানিকারকেরা বিশ্ববাজার থেকে সার আমদানি করেন। তবে বিক্রি করতে হয় সরকার নির্ধারিত দামে। বাড়তি খরচ ভর্তুকি হিসাবে দেয় সরকার। এ বাড়তি খরচের মধ্যে দেরিতে পণ্য খালাসের বিষয়টিও রয়েছে। অর্থাৎ জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করতে বিলম্বের কারণে যে জরিমানা দিতে হয় সেটিও আমদানিকারককে ভর্তুকি হিসেবে দিতে হয় সরকারকে।
জানা গেছে, লাইটার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের আওতায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জাহাজ রয়েছে। সংগঠনটির কনভেনার নুরুল হক হলেও আমদানিকারক ও জাহাজ মালিকরা একটি সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সিন্ডিকেটটির মূল ভূমিকায় রয়েছেন বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের (বিসিভিওএ) নির্বাহী সদস্য ও বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং ও বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের একজন নেতা। তাঁর ইশারায় ডব্লিউটিসি থেকে পণ্য খালাসের সিরিয়াল বা ভাড়ার অনুমতি মিলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র জানায়, কোনো জাহাজ মালিক ডব্লিউটিসির অনুমতি ছাড়া সিরিয়ালের বাইরে গিয়ে পণ্য খালাসের চুক্তিবদ্ধ হলে সেখানে বাধাগ্রস্ত করে এ সিন্ডিকেট। আমাদানিপণ্য খালাস কার্যক্রম একচ্ছত্রভাবে নিয়ন্ত্রণের ভূমিকায় আছে ওই সিন্ডিকেট। এতে বেকায়দায় পড়েছেন বেশিরভাগ লাইটার জাহাজ মালিকরা। এছাড়াও ডব্লিউটিসির কোনো নেতা বা জাহাজ মালিক সিন্ডিকেটের কথায় দ্বিমত পোষণ করলে তাদেরকে নানা রকম হয়রানি করাসহ বন্ধ করে দিচ্ছে পণ্য খালাসের কার্যক্রম। অনেকেই ওই সংগঠনের সদস্যভুক্ত না হলেও নেতাদের ম্যানেজ করে নিয়মিত সিরিয়াল দিচ্ছে ওই সিন্ডিকেট।
বিদেশ থেকে সার আমদানির পর জাহাজগুলোকে পণ্য খালাসের অনুমতি দিতে বিলম্ব করে ডব্লিওটিসির সিন্ডিকেটটি। এর ফলে প্রতিদিন অন্তত ১২ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে। আর অতিরিক্ত খরচ হিসেবে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সরকার থেকে এ অর্থ ভর্তুকি হিসেবে আদায় করে।
সূত্র জানায়, গত ১৫ জুন এমভি ক্লিপার কেট নামের একটি জাহাজ সার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। তবে জাহাজটি পণ্য খালাসের অনুমতি পায় ১৪ জুলাই। পণ্য খালাসে এক মাস বিলম্বের জন্য জাহাজটিকে জরিমানা দিতে হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি ৮২ লাখ ২৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ সার আমদানিতে সরকারকে এ অর্থ ভর্তুকি হিসেবে দিতে হচ্ছে।
জানতে চাইলে কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) সার বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার ওবায়দুল ইসলাম অর্থসংবাদকে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু শুনিনি, আমার জানা নেই। আমাদের জনসংযোগ বিভাগ থেকে জেনে নিতে পারেন বলে ফোন রেখে দেন।
কানাডিয়ান জাহাজ মালিকের প্রতিনিধি ও ড্রাগন ফার্টিলাইজারের কর্মকর্তা মো. মাসুদ অর্থসংবাদকে বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে বন্দরে পণ্য পৌঁছে দেওয়া। বাকি কাজ হচ্ছে বিএডিসির। বিএডিসি থেকে আবার পণ্য পরিবহনের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে এজেন্ট নিয়োগ দেয়। জাহাজ বন্দরে আসার পর প্রতিদিন ৩ হাজার টন করে পণ্য খালাস করতে পারে। তবে লাইটার জাহাজ সংকট বা ঝড়-তুফানের কারণে অনেক সময় পণ্য খালাসে বিলম্ব হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় পণ্য বন্দরে আসার পর ব্যাংকগুলো ডলার দিতে পারছে না, পণ্যের দাম বা ইনভয়েস ভ্যালু দিতে পারছে না। এমনও আছে এক মাস পার হলেও ডলার দিতে পারে না। যারা পরিবহণ করে তাদের নিজস্ব লাইটার থাকে অথবা তারা লাইটার ভাড়া নেয়। তবে লাইটারের বিষয়টি আমরা দেখতে পারি না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিল্প-বাণিজ্য
ইউরোপে কাঁঠালের বার্গার রপ্তানি করছে বাংলাদেশ

আইসল্যান্ড থেকে ৪ লাখ পিস কাঁঠালের বার্গারের ক্রয়াদেশ পেয়েছে বাংলাদেশ। পল্লি কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে এবং নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের সহযোগিতায় ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত “কাঁঠালের সংগ্রহত্তোর ক্ষতি প্রশমন ও বাজারজাতকরণ কৌশল” শীর্ষক তিন বছর মেয়াদি একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পোস্ট-হারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী এই গবেষণা প্রকল্পের নেতৃত্ব দেন।
ড. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী জানান, প্রকল্পের আওতায় সেই সময়ে তারা কাঁঠালের চিপস, আচার, ফ্রেশকাট ও ড্রাইড-প্রোডাক্ট এই চারটি পণ্য নিয়ে গবেষণা শুরু করলেও তারা কাঁঠাল থেকে আরও অনেক বেশি পণ্য উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখতে পান। তার মতে, কাঁঠাল থেকে ৩০টিরও বেশি পণ্য উৎপাদন সম্ভব।
কাঁঠালের তৈরি পণ্যের বাজার বিস্তারে কাজ করছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা। বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠালের রেসিপি নিয়ে কাজ করতে উৎসাহী হয়েছে পিকেএসএফ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তাও মিলেছে। সংস্থাটি তার কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ এবং উদ্যোগ প্রচার প্রকল্পের অধীনে ১২৯ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করছে।

জাতিসংঘের এজেন্সি-সহায়তা প্রকল্পের অধীনে বাস্তবায়িত হওয়া ছোট আকারের প্রকল্পগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের কাঁঠালের বার্গার অন্যতম। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন অ্যান্ড প্র্যাকটিস (সিডিআইপি) নামের এনজিও প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এনজিওটি বিনিয়োগ পেয়েছে ১.৮৯ কোটি টাকা; এরমধ্যে পিকেএসএফ ১.৪৪ কোটি টাকা এবং সিডিআইপি বাকি অর্থ প্রদান করেছে।
সিডিআইপির নির্বাহী পরিচালক মিফতা নাইম হুদা বলেন, “কাঁঠালের বার্গার উৎপাদন কারখানায় পিকেএসফ শুধু অর্থায়নই করছে না, আইসল্যান্ড থেকে যে রপ্তানি অর্ডার এসেছে, তাতেও পিকেএসএস সহায়তা করছে। আইসল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানটি পিকেএসএফর মাধ্যমে কারখানা পরিদর্শন করতে চেয়েছে। সিডিআইপি বিষয়টি মাথায় নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
বার্গারে পেটিতে ব্যবহৃত মাংসের বিকল্প উপকরণ কাঁঠাল ব্যবহার করে বার্গার তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ডইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিসিএসআইআর)-এ এর খাদ্যমান যাচাই করা হয়েছে।
বিসিএসআইআর থেকে ডায়েটারি ফাইবার অ্যানালাইজারের মাধ্যমে পরীক্ষায় প্রতি ১০০ গ্রাম কাঠালের পেটিতে ৯.৭৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১০.৮৭ গ্রাম প্রোটিন, ৮.৪৭ গ্রাম ফ্যাট, ১৯.৩২ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার এবং ১৫৯ কিলোক্যালরি এনার্জি রয়েছে।
পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, “স্বাদ, গন্ধ কিংবা রসালোভাবের দিক দিয়ে মাংসের পেটির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কাঁঠালের পেটি। সারাবিশ্বে ভেজিটেরিয়ানদের (নিরামিষভোজী) কাছে এর চাহিদা থাকার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়ছে, ফলে রপ্তানিতেও তৈরি হয়েছে সম্ভাবনা।”
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরীও একই মতামত ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, “ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনামসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশকিছু দেশে এবং ইউরোপের অনেক দেশে কাঁঠাল দিয়ে তৈরি নানা ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্যের জনপ্রিয়তা রয়েছে। সেসব দেশে কাঁঠালজাত পণ্য রপ্তানিতে জোর দিলে দেশের অর্থনীতিতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা যুক্ত হবে বলে প্রত্যাশা করি।” -বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ঢাকা ট্রিবিউন
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
এফবিসিসিআই’র ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার উদ্বোধন

দেশের বেসরকারি খাতকে আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার। রোববার রাতে এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
এসময় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবুসহ এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদের দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এ সেন্টারের চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি জানান, দেশের চলমান অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে এফবিসিসিআই রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার। যেখানে এগ্রি বিজনেস, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, সার্কুলার ইকোনমিসহ বিভিন্ন খাতের জন্য দক্ষ জনবল এবং উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। উদ্ভাবন, গবেষণা ও নীতি সহায়তার মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নিতে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এসময় এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপটে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার স্থাপনের সিদ্ধান্ত খুবই সময়োপযোগী। দক্ষ উদ্যোক্তা এবং মানবসম্পদ তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ইনস্টিটিউট হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ তার।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই-এর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য শমী কায়সার, আবুল কাসেম খান, মোহাম্মদ আলী খোকন, শামিম আহমেদ, নাদিয়া বিনতে আমিন, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সচিব এবং ইনোভেশন সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিকর্ণ কুমার ঘোষ প্রমুখ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বেনাপোল দিয়ে টিসিবির ২০১ টন পেঁয়াজ আমদানি

সরকার দেশের নিম্নআয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম চালানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৭ ট্রাকে ২০১ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি খরচ ৫৫ টাকা পড়লেও ভর্তুকি দিয়ে এসব পেঁয়াজ ফ্যামেলি কার্ডের মাধ্যমে নিম্নআয়ের মানুষের কাছে ক্রয়মূল্যের অনেক কমে বিক্রি করবে সরকার।
দ্রুত যাতে পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় হয় সব ধরনের সহযোগিতা করছে কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা জানান, নিম্নআয়ের মানুষের কিছুটা স্বস্তি দিতে গত কয়েক বছর ধরে দেশের ১ কোটি ১ লাখ পরিবারের কাছে কমমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য বিক্রি করে আসছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। খাদ্য দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে প্রত্যেক পরিবারের জন্য ২ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি মসুরডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ৫ কেজি চাল।
এসব নিত্যপণ্যের মধ্যে পেঁয়াজের যোগান দিতে ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তাই ৭ ট্রাকে ২০১ টন পেঁয়াজ আসে বন্দরে। কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়ছে ৫৫ টাকার মধ্যে। তবে সরকার কমদামে এ পেঁয়াজ তুলে দিবে নিম্নআয়ের ফ্যামেলি কার্ডধারী মানুষের হাতে।
এদিকে সরকারিভাবে পেঁয়াজ আমদানিতে দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। বেনাপোল বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা হযরত জানান, সরকারি পেঁয়াজ আমদানিতে কমতে পারে দাম।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, খাওয়ার উপযুক্ত হওয়ায় বন্দর থেকে পেঁয়াজের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, দ্রুত যাতে টিসিবির পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় হয় ২৪ ঘণ্টা বন্দর সচল রেখে কাজ করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
আবারও কমেছে সোনার দাম

দুই দিনের ব্যবধানে ফের সোনার দাম কমছে। ভালো মানের তথা ২২ ক্যারটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা কমানো হয়েছে। এর ফলে এ ক্যাটাগরির সোনার নতুন মূল্য হবে ৯৮ হাজার ২১১ টাকা (প্রতি ভরি)। এতদিন যা ছিল ৯৯ হাজার ৯৬০ টাকা।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করে।
বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। রোববার ( ১ অক্টোবর) থেকে এটি কার্যকর করা হবে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম হবে ৯৮ হাজার ২১১ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৮০ হাজার ৩৬৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ৬৬ হাজার ৯৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম (ভরি) ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১০৫০ টাকা।

এর আগে, দাম কমিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সবশেষ সোনার মূল্য নির্ধারণ করেছিল বাজুস। যা বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হয়। যেখানে ভালো মানের তথা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ২৮৪ টাকা কমানো হয়। যার মধ্য দিয়ে লম্বা সময় পর লাখের ঘর থেকে নামে সোনার দাম।
আজকে পর্যন্ত ওই দাম অনুযায়ী ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হয় ৯৯ হাজার ৯৬০ টাকায়। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৫ হাজার ৪১২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৮১ হাজার ৭৬৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৬৮ হাজার ১১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
তার আগে দাম বাড়িয়ে গত ২৪ আগস্ট সোনার মূল্য নির্ধারণ করেছিল বাজুস। যা ২৫ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়। যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সেসময় ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম নির্ধারণ হয় এক লাখ এক হাজার ২৪৪ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৬ হাজার ৬৩৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৮২ হাজার ৮১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম নির্ধারণ হয় ৬৯ হাজার ৫১ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
দুইদিন পর হিলিতে আমদানি-রপ্তানি শুরু

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে টানা ২ দিন বন্ধের পর দিনাজপুর হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দরের সব কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এই বন্দর দিয়ে দুই দেশের মাঝে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক।
তিনি বলেন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় এই দুইদিন বন্দরের আমদানি-রপ্তানিসহ সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। দুই দিনের ছুটি শেষে শনিবার সকাল থেকে আবারও সব কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আশরাফ বলেন, সরকারি ছুটির কারণে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই