শিল্প-বাণিজ্য
রপ্তানি পণ্যবাহী কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কমেছে ১০ হাজার ৫৩২ টিইইউ

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে চলতি বছরের জুলাই মাসে জুন মাসের তুলনায় পণ্যবাহী আমদানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে ৯ হাজার ৬৩০ টিইইউ। তবে আমদানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বাড়লেও এক মাসের ব্যবধানে ১৫ হাজার ৭৯৯ টিইইউ রপ্তানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কমে গেছে।
ব্যবসায়ী এবং বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পণ্য আমদানিতে এলসি খোলায় কড়াকড়ি কিছুটা কমে আসায় ক্রমাগত বাড়ছে আমদানির পরিমাণ। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিদেশী ক্রেতারা তৈরী পোষাক নেওয়া কমিয়ে দেওয়ায় রপ্তানি পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে পণ্যবাহী আমদানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয় ১,১৩,৩৮৫ টিইইউ। রপ্তানি পণ্যবাহী কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয় ৫৯,৫৯২ টিইইউ। জুলাই মাসে খালি আমদানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয় ৬৬৬৮ টিইইউ এবং খালি রপ্তানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয় ৫৯৩৫২ টিইইউ।
জুন মাসে হ্যান্ডলিং হয়েছিল আমদানি পণ্যবাহী ১০৩৭৫৫ টিইইউ এবং রপ্তানি পণ্যবাহী ৭৫৩৯১ টিইইউ কন্টেইনার। জুন মাসে আমদানি খালি কন্টেইনার ৪৬৬০ টিইইউ এবং রপ্তানি খালি ৪৯৭১১ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাই মাসে পণ্যবাহী আমদানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিলো ১১৩৫৯৭ টিইইউ। পণ্যবাহী রপ্তানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিলো ৭০১২৪ টিইইউ।

২০২৩ সালের জুলাই মাসে ২০২২ সালের জুলাই মাসের তুলনায় আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কম হয়েছে ২১২ টিইইউ। একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি পণ্যবাহী কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কম হয়েছে ১০,৫৩২ টিইইউ।
চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে কন্টেইনার উঠানামা, পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনাল এবং ঢাকার কমলাপুর আইসিডির (ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো) কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের উপর মোট কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের হিসাব করা হয়। এখানে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
সাইফ মেরিটাইম লিমিটেডের সিওও আব্দুল্লাহ জাহির বলেন, “আমদানি আগের তুলনায় বাড়ছে। ডলার সংকট কাটাতে এলসি খোলার কড়াকড়ি এখন কিছুটা শিথিল হয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে আমদানিতে। গত বছরের জুলাই এবং চলতি বছরের জুলাইয়ে আমাদনি কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ প্রায় সমান।”
তিনি আরো বলেন, “বৈশ্বিক মন্দার কারণে বিদেশী ক্রেতারা এখন বাংলাদেশ থেকে তৈরী পোষাক আমদানি তুলনামূলক কমিয়ে দিয়েছে। এ কারণে মূলত রপ্তানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এখনো আগের মতো স্বাভাবিক হয়নি।”
প্রসঙ্গত ২০২২ সালে ২০২১ সালের তুলনায় কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কমে যাওয়ায় বৈশ্বিক ১০০ বন্দরের তালিকা থেকে ৩ ধাপ পিছিয়ে যায় চট্টগ্রাম বন্দর। সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া লয়েড’স লিস্টে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৬তম। তার আগের বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিলো ৬৪তম।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিল্প-বাণিজ্য
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে কেউ ঠকবে না

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য ভালো জায়গা। আপনারা আসুন বাংলাদেশে আপনাদের ব্যবসাকে প্রসারিত করুন। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে কেউ ঠকবেন না। আশা করছি আমাদের সামনের দিনগুলোতে ব্যবসায়ীক প্রসারতা আরও ভালো হবে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) গুলশানের রেনেসাঁ ঢাকা হোটেলে এক সেমিনারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশনের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে পরিচালিত ইউরোপিয়ান কোম্পানিগুলোর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করে আমাদের যা যা সমস্যা আছে, তার সমাধান করব। আমরা আরও এগিয়ে যাব। বিদেশি বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ীদের যেন কোনোরকমের বাধা না থাকে, সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখব। ব্যবসায়ী, সরকারের সবাই মিলে একসঙ্গে আমরা কাজ করে, বাণিজ্যিক দিককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেসব ইনভেস্টররা এখানে আছেন, তারা তাদের ব্যবসা এখানে আরও প্রসারিত করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সমৃদ্ধ পরিবেশে যেন ভালোভাবে আপনারা ব্যবসা পরিচালিত করতে পারেন, তা আমাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে আমরা নিশ্চিত করব। এছাড়া যদি কোনো সমস্যা থাকে, আমরা সবাই মিলে তা সমাধানের চেষ্টা করব।
টিপু মুনশি বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসায়ীবান্ধব সরকার। ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে, ব্যবসায়ীদের ব্যবসার পরিবেশ আরও প্রসারিত করতে এই সরকার বদ্ধপরিকর। সরকারের পক্ষ থেকে সবসময় ব্যবসায়ীদের ভালো পরিবেশ সৃষ্টি করতে যা যা করণীয় সব কিছুই করা হবে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, বিদেশি ব্যবসায়ীরা যেন বাংলাদেশে খুব সুন্দরভাবে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে, তাদের ব্যবসাকে আরও বাড়াতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। আর বর্তমান সরকারের প্রতিটি ক্ষেত্রই সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। সরকার, ব্যবসায়ী, রাজনীতিক সবার পক্ষ থেকে আমাদের একটাই উদ্যোগ, যেন বাংলাদেশে সবাই ভালোভাবে বিনিয়োগ করে, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশে ব্যবসায়ী প্রসারতা সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি তারা আরও অধিক বিনিয়োগ করতে পারে এবং সেরকম স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশ নিশ্চিত থাকে। আমাদের জনশক্তি আছে, দক্ষ জনশক্তি আছে, এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমরা ব্যবসায়িক পরিবেশ আরও সমৃদ্ধ করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন প্রতিনিধিরাসহ আরও উপস্থিত ছিলেন এইচ অ্যান্ড এম’র রিজিওনাল কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান, বাইসাইকেল পার্টস ম্যানুফেকচার অ্যান্ড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহম্মাদ মোস্তাক আহমেদ তানভির, বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিরান আলী, বেসিসের প্রেসিডেন্ট রাসেল টি আহমেদ, অ্যাপেক্স ফুটওয়ার লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
ইউরোপে কাঁঠালের বার্গার রপ্তানি করছে বাংলাদেশ

আইসল্যান্ড থেকে ৪ লাখ পিস কাঁঠালের বার্গারের ক্রয়াদেশ পেয়েছে বাংলাদেশ। পল্লি কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে এবং নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের সহযোগিতায় ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত “কাঁঠালের সংগ্রহত্তোর ক্ষতি প্রশমন ও বাজারজাতকরণ কৌশল” শীর্ষক তিন বছর মেয়াদি একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পোস্ট-হারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী এই গবেষণা প্রকল্পের নেতৃত্ব দেন।
ড. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী জানান, প্রকল্পের আওতায় সেই সময়ে তারা কাঁঠালের চিপস, আচার, ফ্রেশকাট ও ড্রাইড-প্রোডাক্ট এই চারটি পণ্য নিয়ে গবেষণা শুরু করলেও তারা কাঁঠাল থেকে আরও অনেক বেশি পণ্য উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখতে পান। তার মতে, কাঁঠাল থেকে ৩০টিরও বেশি পণ্য উৎপাদন সম্ভব।
কাঁঠালের তৈরি পণ্যের বাজার বিস্তারে কাজ করছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা। বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠালের রেসিপি নিয়ে কাজ করতে উৎসাহী হয়েছে পিকেএসএফ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তাও মিলেছে। সংস্থাটি তার কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ এবং উদ্যোগ প্রচার প্রকল্পের অধীনে ১২৯ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করছে।

জাতিসংঘের এজেন্সি-সহায়তা প্রকল্পের অধীনে বাস্তবায়িত হওয়া ছোট আকারের প্রকল্পগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের কাঁঠালের বার্গার অন্যতম। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন অ্যান্ড প্র্যাকটিস (সিডিআইপি) নামের এনজিও প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এনজিওটি বিনিয়োগ পেয়েছে ১.৮৯ কোটি টাকা; এরমধ্যে পিকেএসএফ ১.৪৪ কোটি টাকা এবং সিডিআইপি বাকি অর্থ প্রদান করেছে।
সিডিআইপির নির্বাহী পরিচালক মিফতা নাইম হুদা বলেন, “কাঁঠালের বার্গার উৎপাদন কারখানায় পিকেএসফ শুধু অর্থায়নই করছে না, আইসল্যান্ড থেকে যে রপ্তানি অর্ডার এসেছে, তাতেও পিকেএসএস সহায়তা করছে। আইসল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানটি পিকেএসএফর মাধ্যমে কারখানা পরিদর্শন করতে চেয়েছে। সিডিআইপি বিষয়টি মাথায় নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
বার্গারে পেটিতে ব্যবহৃত মাংসের বিকল্প উপকরণ কাঁঠাল ব্যবহার করে বার্গার তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ডইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিসিএসআইআর)-এ এর খাদ্যমান যাচাই করা হয়েছে।
বিসিএসআইআর থেকে ডায়েটারি ফাইবার অ্যানালাইজারের মাধ্যমে পরীক্ষায় প্রতি ১০০ গ্রাম কাঠালের পেটিতে ৯.৭৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১০.৮৭ গ্রাম প্রোটিন, ৮.৪৭ গ্রাম ফ্যাট, ১৯.৩২ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার এবং ১৫৯ কিলোক্যালরি এনার্জি রয়েছে।
পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, “স্বাদ, গন্ধ কিংবা রসালোভাবের দিক দিয়ে মাংসের পেটির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কাঁঠালের পেটি। সারাবিশ্বে ভেজিটেরিয়ানদের (নিরামিষভোজী) কাছে এর চাহিদা থাকার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়ছে, ফলে রপ্তানিতেও তৈরি হয়েছে সম্ভাবনা।”
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরীও একই মতামত ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, “ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনামসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশকিছু দেশে এবং ইউরোপের অনেক দেশে কাঁঠাল দিয়ে তৈরি নানা ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্যের জনপ্রিয়তা রয়েছে। সেসব দেশে কাঁঠালজাত পণ্য রপ্তানিতে জোর দিলে দেশের অর্থনীতিতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা যুক্ত হবে বলে প্রত্যাশা করি।” -বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ঢাকা ট্রিবিউন
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
এফবিসিসিআই’র ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার উদ্বোধন

দেশের বেসরকারি খাতকে আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার। রোববার রাতে এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
এসময় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবুসহ এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদের দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এ সেন্টারের চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি জানান, দেশের চলমান অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে এফবিসিসিআই রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার। যেখানে এগ্রি বিজনেস, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, সার্কুলার ইকোনমিসহ বিভিন্ন খাতের জন্য দক্ষ জনবল এবং উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। উদ্ভাবন, গবেষণা ও নীতি সহায়তার মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নিতে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এসময় এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপটে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার স্থাপনের সিদ্ধান্ত খুবই সময়োপযোগী। দক্ষ উদ্যোক্তা এবং মানবসম্পদ তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ইনস্টিটিউট হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ তার।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই-এর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য শমী কায়সার, আবুল কাসেম খান, মোহাম্মদ আলী খোকন, শামিম আহমেদ, নাদিয়া বিনতে আমিন, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সচিব এবং ইনোভেশন সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিকর্ণ কুমার ঘোষ প্রমুখ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বেনাপোল দিয়ে টিসিবির ২০১ টন পেঁয়াজ আমদানি

সরকার দেশের নিম্নআয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম চালানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৭ ট্রাকে ২০১ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি খরচ ৫৫ টাকা পড়লেও ভর্তুকি দিয়ে এসব পেঁয়াজ ফ্যামেলি কার্ডের মাধ্যমে নিম্নআয়ের মানুষের কাছে ক্রয়মূল্যের অনেক কমে বিক্রি করবে সরকার।
দ্রুত যাতে পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় হয় সব ধরনের সহযোগিতা করছে কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা জানান, নিম্নআয়ের মানুষের কিছুটা স্বস্তি দিতে গত কয়েক বছর ধরে দেশের ১ কোটি ১ লাখ পরিবারের কাছে কমমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য বিক্রি করে আসছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। খাদ্য দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে প্রত্যেক পরিবারের জন্য ২ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি মসুরডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ৫ কেজি চাল।
এসব নিত্যপণ্যের মধ্যে পেঁয়াজের যোগান দিতে ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তাই ৭ ট্রাকে ২০১ টন পেঁয়াজ আসে বন্দরে। কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়ছে ৫৫ টাকার মধ্যে। তবে সরকার কমদামে এ পেঁয়াজ তুলে দিবে নিম্নআয়ের ফ্যামেলি কার্ডধারী মানুষের হাতে।
এদিকে সরকারিভাবে পেঁয়াজ আমদানিতে দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। বেনাপোল বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা হযরত জানান, সরকারি পেঁয়াজ আমদানিতে কমতে পারে দাম।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, খাওয়ার উপযুক্ত হওয়ায় বন্দর থেকে পেঁয়াজের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, দ্রুত যাতে টিসিবির পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় হয় ২৪ ঘণ্টা বন্দর সচল রেখে কাজ করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
আবারও কমেছে সোনার দাম

দুই দিনের ব্যবধানে ফের সোনার দাম কমছে। ভালো মানের তথা ২২ ক্যারটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা কমানো হয়েছে। এর ফলে এ ক্যাটাগরির সোনার নতুন মূল্য হবে ৯৮ হাজার ২১১ টাকা (প্রতি ভরি)। এতদিন যা ছিল ৯৯ হাজার ৯৬০ টাকা।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করে।
বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। রোববার ( ১ অক্টোবর) থেকে এটি কার্যকর করা হবে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম হবে ৯৮ হাজার ২১১ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৮০ হাজার ৩৬৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ৬৬ হাজার ৯৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম (ভরি) ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১০৫০ টাকা।

এর আগে, দাম কমিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সবশেষ সোনার মূল্য নির্ধারণ করেছিল বাজুস। যা বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হয়। যেখানে ভালো মানের তথা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ২৮৪ টাকা কমানো হয়। যার মধ্য দিয়ে লম্বা সময় পর লাখের ঘর থেকে নামে সোনার দাম।
আজকে পর্যন্ত ওই দাম অনুযায়ী ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হয় ৯৯ হাজার ৯৬০ টাকায়। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৫ হাজার ৪১২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৮১ হাজার ৭৬৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৬৮ হাজার ১১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
তার আগে দাম বাড়িয়ে গত ২৪ আগস্ট সোনার মূল্য নির্ধারণ করেছিল বাজুস। যা ২৫ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়। যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সেসময় ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম নির্ধারণ হয় এক লাখ এক হাজার ২৪৪ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৬ হাজার ৬৩৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৮২ হাজার ৮১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম নির্ধারণ হয় ৬৯ হাজার ৫১ টাকা।