জাতীয়
কিস্তির টাকা জোগাড় করতে সখীপুরে জোড়া খুন

টাঙ্গাইলে সখিপুরের বাসিন্দা মোস্তফা স্থানীয় একটি সমিতি থেকে উচ্চ সুদে লোন নেন। লোনের টাকা পরিশোধে মনোহারি ও মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ী শাহজালালের কাছ থেকে অর্থ লুটের পরিকল্পনা করেন তিনি।
সে অনুযায়ী দোকান থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে শাহজালালের পথরোধ করে হামলা চালান মোস্তফা ও তার সহযোগী আলামিন। শাহজালালকে রড দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করা হয়। এ সময় শাহজালালের চাচা মজনু মিয়া সঙ্গে থাকায় তাকেও একইভাবে হত্যা করা হয়।
গত ১৯ জুলাই ক্লুলেস ও বহুল আলোচিত টাঙ্গাইলের সখিপুরে নৃশংসভাবে ব্যবসায়ী শাহজালাল ও তার চাচা মজনু খুনের ঘটনায় মোস্তফা মিয়া (২০) ও আলামিনকে (২৭) গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব জানায়, জোড়া খুনের ঘটনায় নিহত শাহজালালের বাবা বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের সখিপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব জড়িতদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১৪ এর অভিযানে ঢাকার মোহাম্মদপুর ও টাঙ্গাইলের সখিপুর এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মোস্তফা মিয়াসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, ভিকটিম শাহজালাল টাঙ্গাইলের সখিপুরের হামিদপুর বাজারে দীর্ঘদিন ধরে মনোহারি ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করে আসছিলেন। তিনি হামিদপুর বাজারের একজন জনপ্রিয় ও অতিপরিচিত ব্যবসায়ী। শাহজালালের চাচা ভিকটিম মজনু মিয়া এলাকায় কৃষি কাজ করতেন। মজনু মিয়া কৃষি কাজের পাশাপাশি মাঝে মধ্যে শাহজালালকে ব্যবসায়িক কাজে দোকানে সহযোগিতা করতেন।
শাহজালাল ব্যবসায়িক কার্যক্রম শেষে প্রায় রাতের খাবার খেতে বাড়িতে যেতেন। তিনি মাঝে মধ্যে রাতে বাড়িতে থাকতেন আবার দোকানেও থাকতেন। যেদিন তিনি বাড়িতে থাকতেন সেদিন ব্যবসায়িক লেনদেনের টাকা বাড়িতেই রাখতেন।
ঘটনার দিন শাহজালাল দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। চাচা মজনু মিয়াকে রাস্তায় দেখতে পেয়ে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নেন। পথিমধ্যে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হন তারা।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, মোস্তফার পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। মোস্তফা ও আলামিন দুজনেই স্থানীয় একটি সমিতির সদস্য ছিলেন। মোস্তফা সমিতি থেকে উচ্চ সুদে বেশ কিছু টাকা লোন নেন। লোনের টাকা পরিশোধ ও পারিবারিক খরচ বহনের জন্য তার বেশ কিছু অর্থের প্রয়োজন ছিল। ভিকটিম শাহজালাল যেদিন বাড়িতে রাত্রি যাপন করতেন সেদিন ব্যবসায়িক লেনদেনের টাকা বাড়িতেই রাখতেন। এ বিষয়টি মোস্তফা ও আলামিন জানতেন।
শাহজালালের বাড়ি ফেরার পথে আক্রমণ করে টাকা ছিনিয়ে নিতে পরিকল্পনা করেন মোস্তফা। বিষয়টি আলামিনকে জানালে তিনি সম্মতি দেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ১৯ জুলাই রাত ১০ টার দিকে মোস্তফা ও আলামিন সখিপুরের বাঘের বাড়ি এলাকায় জামালের চালায় নির্জন জঙ্গলে ওৎ পেতে থাকেন। শাহজালাল মোটরসাইকেলে করে তার চাচা মজনু মিয়াকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মোস্তফা মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন। মোস্তফা ভিকটিম শাহজালালকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন।
ভিকটিম শাহজালাল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকেন। মজনু মিয়া চিৎকার করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আলামিন লোহার রড দিয়ে তার মাথা ও শরীরে আঘাত করেন।
পরে মোস্তফা ও আলামিন তাদের এলোপাতাড়ি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। আলামিন ভিকটিমদের সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলটি পাশের একটি জমিতে ফেলে দেন এবং শাহজালালের দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেন।
পরে তারা টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও ঢাকায় আত্মগোপন করেন। মোস্তফা টাঙ্গাইল ও আলামিন ঢাকার মোহাম্মদপুরে আত্মগোপনে থাকাকালীন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
বেশি দামে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করলেই ‘শাস্তি’

কিছু ব্যাংক নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি মূল্যে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করছে। এতে বাজারের শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের রেট নিয়ে সব ব্যাংকগুলোকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। যদি কেউ বেশি দামে ডলার বেচাকেনা বা কোনো প্রকার কারসাজি করে তাহলে তাকে শাস্তির আওতায় পড়তে হবে।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এমন হুঁশিয়ারি দেন। বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর ও সংশ্লিষ্ট নির্বাহী পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এবিবির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন।
বৈঠকে বর্তমান দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, মূল্যস্ফীতি চাপ, রিজার্ভ, এক্সচেঞ্জ রেট, আমদানি রপ্তানিতে অর্থপাচার রোধ এবং ব্যাংক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে থাকা একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, ব্যাংক খাতের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডলার রেটের বিষয়ে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে বলেছেন গভর্নর। আমদানি রপ্তানির মাধ্যমে যেন অর্থপাচার না হয়, সেদিকে কোঠর নজর রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া এসএমইতে ঋণ বাড়াতেও তাগিদ দিয়েছেন গভর্নর।
এর আগে বেশি দামে ডলার বিক্রি করার কারণে ১০ ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংক মালিকদের সঙ্গেও একটি সভা করা হয়। ওই সভায়ও ডলার কারসাজির বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন গভর্নর।

ওই সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে ডলারের বাজার পরিস্থিতি, মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ও ব্যাংকের সার্বিক তারল্য পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।
গভর্নর জানান, ডলারের সংকট এখন কমে এসেছে, সরবরাহ আগের চেয়ে বেড়েছে। তাই কোনো ব্যাংক যাতে ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচা না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিএবির পক্ষ থেকে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে সায় দেননি গভর্নর। ব্যাংক উদ্যোক্তাদের জানানো হয়, বর্তমানের মূল্যস্ফীতি চাপ নিয়ন্ত্রণ এখন ডলারের দাম বাড়ানো সম্ভব নয়। আর এখন প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বাড়ানো হলে হুন্ডিতে ডলারের দামও বাড়বে।
রেমিট্যান্স-রপ্তানি ডলারের এক রেট
রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের মূল্য এখন থেকে এক রেটে ধরা হয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা পাচ্ছেন। আগে যা ছিল ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে ডলারের মূল্য ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। এছাড়া আমদানিতে ডলারের দর হবে ১১০ টাকা। আগে যা ছিল ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যাংকগুলোতে প্রতি ডলারে ১১৪-১১৫ টাকা দাম নিয়েছিল। এজন্য শাস্তির আওতায় পড়েছেন ডলার কেনাবেচার দায়িত্বে থাকা ট্রাজারি প্রধানরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আন্তঃব্যাংক ব্যবস্থায় ডলার লেনদেন হচ্ছে ১১০ টাকায়।
তবে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে ১১৭ টাকা থেকে ১১৮ টাকা। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের নগদ প্রতি ডলার কিনতে দেশি মুদ্রা খরচ করতে হচ্ছে ১১৮ টাকা পর্যন্ত।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অবসরে যাচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুক

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুককে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যাবেন।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখ প্রজ্ঞাপনে সই করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুককে ৩০ সেপ্টেম্বর বয়স ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন) এর ধারা ৪৩(১) (ক) অনুযায়ী সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হলো।
তার অনুকূলে ১৮ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ লাম্পগ্র্যান্টসহ ১ অক্টোবর ২০২৩ হতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ১ বছরের অবসর-উত্তর ছুটি (পি.আর.এল) মঞ্জুর করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, তিনি বিধি অনুযায়ী অবসর ও অবসর-উত্তর ছুটিকালীন সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর ডিএমপির ৩৫তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন খন্দকার গোলাম ফারুক।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এসএমই খাতে বিদেশি ব্যাংকের ঋণ বিতরণ বেড়েছে

দেশে অবস্থিত বিদেশি ব্যাংকগুলো কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে (সিএমএসএমই) ঋণ বিতরণ বাড়িয়েছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বিদেশি ব্যাংকগুলো সিএমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণ করেছে ১ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিলো ৮২৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এসব ব্যাংকের ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৫৩৯ কোটি টাকা বা ৬৫ শতাংশ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই খাতে ৪৯ হাজার ৬৮ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। ২০২২ সালের একই সময়ে ঋণ বিতরণ করা হয় ৫১ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা। সেই তুলনায় এই খাতে ঋণ বিতরণ কমেছে ২ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা বা ৫ শতাংশ।
ব্যাংকাররা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি এখন ধীরগতিতে চলছে। এসবের প্রভাব দেশের অর্থনীতিতেও পড়েছে। আমাদের দেশেরও একই অবস্থা হওয়ার কারণে সিএমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণ কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সিএমএসএমই খাতের এই স্কিমের তহবিলের মেয়াদ ৩ বছরের জন্য নির্ধারণ করেছে। তবে তবে প্রয়োজনে এর মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।

জানা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই স্কিম থেকে ২ শতাংশ হারে তহবিল নিতে পারে ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ হারে গ্রাহকের কাছে ঋণ বিরতণ করতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ প্রান্তিকে সিএসএমই খাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ৪ হাজার ৩০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের বিপরীতে আদায় করেছে ২ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো ৪০ হাজার ১৩ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩৯ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। বিদেশি ব্যাংকগুলো ১ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা বিতরণ করেছে, এই ব্যাংকগুলো এসময় আদায় করেছে ১ হাজার ১১০ কোটি টাকা। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা হয় ১ হাজার ১০২ কোটি টাকা।
তথ্য মতে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এসএমই খাতে দেওয়া ঋণ পেয়েছেন ১১ লাখ ২৪ হাজার ১৯৩ উদ্যোক্তা। আলোচ্য সময়ে এসএমই ঋণ বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছিলো ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। ২০২১ সালে এসএমই ঋণের এই স্থিতি ছিল ২ লাখ ৪৩ হাজার ৭৩ কোটি টাকা। আর এবছরের মার্চ শেষে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ডিসেম্বরের চেয়ে মার্চ প্রান্তিকে খাতটিতে ১১ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ বেড়েছে।
চলতি বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক এক নির্দেশনায় জানায়, ২০২৪ সালে সিএমএসএমই খাতে যে ঋণ বিতরণ করা হবে, তার ৫০ শতাংশ দিতে হবে কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোগে। আর নারী উদ্যোক্তাদের দিতে হবে এ খাতে দেওয়া মোট ঋণের ১৫ শতাংশ ঋণ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিটিএমএ’র সভাপতি হলেন আলী খোকন

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যাকসন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খোকন।
২০২৩-২৫ মেয়াদের জন্য তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বলেছে বলে বিটিএমএ তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আবুল বাশার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া সভাপতি, তিন সহসভাপতি ও ২৩ জন পরিচালকের নাম ঘোষণা করেছেন।
সহসভাপতি নির্বাচিত হওয়া তিন জন হলেন- সুতা উৎপাদন ক্যাটাগরি থেকে মো. ফজলুল হক, ফেব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. ফায়েজুর রহমান ভূঁইয়া ও ডাইং-প্রিন্টিং ক্যাটাগরি থেকে মো. সালেউদ জামান খান।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স আরও কমার আশঙ্কা

গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে দেশে সবশেষ ২০০ কোটি বা তার বেশি রেমিট্যান্স এসেছিলো। কিন্তু চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা নিম্নগতিতে মোড় নিয়েছে। শেষ দুই মাসের কোনটাতে ২০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স তো আসেইনি, উল্টো আগস্টে তা কমে দেড়শোর ঘরে ঠাঁই নিয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স আরও কমার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ মাসের প্রথম ২২ দিনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, গত ২২ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯২ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। আগস্টে আগের মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার।
সমাপ্ত অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

প্রসঙ্গত, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিলো ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। যা পুরো হিসাব বছরের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।
অর্থসংবাদ/এমআই