সারাদেশ
পাহাড় ধসে বান্দরবান-থানচি সড়ক বন্ধ

বান্দরবানে টানা দুইদিনের বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে পড়ে বান্দরবান-থানচি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার সকালে বান্দরবান-থানচি সড়কের নীলগিরি ও জীবন নগরের মধ্যবর্তী স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহা. আবুল মনসুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ইউএনও জানান, গতকাল মাঝ রাতে অতিবৃষ্টির কারণে বান্দরবান-থানচি সড়কের নীলগিরি ও জীবন নগরের মাঝামাঝি এলাকায় সড়কের ওপর পাহাড় ধসে অনেক বড় একটি পাথর পড়ে। এতে থানচির সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, সকাল থেকে থানচি ফায়ার সার্ভিসের একটি দল পাথরটি সরাতে কাজ শুরু করে। কিন্তু বড় পাথর সরানোর মতো যন্ত্রপাতি না থাকায় তারা ব্যর্থ হয়। বর্তমানে পাথরটি সরাতে সেনাবাহিনীর ১৬ ইসিবি কাজ করছে। বিকালের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে পারে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সারাদেশ
লটারিতে ৩ কোটি টাকা জিতলেন বাংলাদেশি প্রবাসী

লটারিতে এক মিলিয়ন দিরহাম বা প্রায় তিন কোটি টাকা জিতেছেন সৌদি আরব প্রবাসী এক বাংলাদেশি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘মাহজুজ ড্র’ জেতা ওই বাংলাদেশির নাম মোহাম্মদ শাহিন। ৩১ বছর বয়স্ক শাহিন দাম্মামের একটি ঠিকাদারি কোম্পানিতে সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করেন। হঠাৎ এত বড় লটারি জয়ে তিনি পুরোপুরি হতবাক। খবর গালফ নিউজ
গালফ নিউজ জানায়, একা বসে থাকার সময় হঠাৎ করেই লটারি জয়ের ই-মেইল পান শাহিন। ইমেইলে মাহজুজ ড্রয়ের তরফ থেকে তাকে জানানো হয় যে, তাদের সাপ্তাহিক র্যাফেল পুরস্কারটি পাচ্ছে শাহিনের কাছে থেকে ৩৮২২৫৮১৯ নম্বরের লটারি টিকিটটি। প্রথমে তিনি লটারি জয়ের বিষয়টি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার অ্যাকাউন্টে লগইন করেন শাহিন। আর তাতেই শাহিন নিশ্চিত হন যে এক মিলিয়ন দিরহাম জিতেছেন তিনি।
নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে শাহিন বলেন, আমি হতবাক এবং বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম যখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি জিতেছি।
তিনি বলেন, আমার মাহজুজ একাউন্টে টাকা দেখে আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এই প্রথম আমি আমার অ্যাকাউন্টে এত শূন্য দেখলাম।
লটারি জয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই শাহিন বাংলাদেশে তার পরিবারকে সুসংবাদটি জানায়

অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
আগামীকাল গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

দেশের কয়েকটি এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর)। পাইপলাইন প্রতিস্থাপন কাজের জন্য এই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন কোম্পানি।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল, এনায়েতনগর, বৌবাজার, লাকিবাজার, হাজীগঞ্জ, ওয়াবদাপুল, কাইয়ুমপুর, ফতুল্লা, সন্তাপুর, জেলখানার আশপাশ এলাকা, হাজীগঞ্জ মোড় থেকে শিবু মার্কেট হয়ে পোস্ট অফিস রোড পর্যন্ত এলাকা, পঞ্চবটি, মাইজদাইর, ইজদাইর, চাষাড়া, খানপুর, কিল্লারপুল, তল্লা, কুতুবাইল, ধর্মগঞ্জ, তক্কারমাঠ, পাগলা, চিতাশাল, দেলপাড়া, জালকুড়ি, নয়ামাটি, দাপা ইদরাকপুর, ভুইগড়, কুতুবপুর ইউনিয়ন ও আশপাশের সংশ্লিষ্ট এলাকা, ঢাকা ম্যাচ, সেনপুর, মোক্তারপুর, নারায়ণগঞ্জ বিসিক এলাকা, কাশিপুর ইউনিয়ন থেকে পঞ্চবটি হয়ে মোক্তারপুর পর্যন্ত এলাকা, ধর্মগঞ্জ, শাসনগাঁও, সিদ্ধিরগঞ্জ, আদমজী, সাহেবপাড়া, মিজমিজি হতে চিটাগাং রোড পর্যন্ত এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানার আওতাধীন সংশ্লিষ্ট এলাকা, মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ শহরের আশপাশে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত, সাময়িক অসুবিধা বা স্বল্পচাপ বিরাজ করবে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
ভালুকায় স্থানীয় সরকার দিবস পালন

ময়মনসিংহের ভালুকায় ‘সেবা ও উন্নতির দক্ষ রূপকার উন্নয়নে উদ্ভাবনে স্থানীয় সরকার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০২৩ পালিত হয়েছে।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে এই উপলক্ষে র্যালি ও দুপুরে আলোচনা সভার আয়োজন করেন ভালুকা উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদুল আহমেদের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. শওকত আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, গ্রাম পুলিশ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
বন্যা নিয়ন্ত্রণে খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট

টানা বৃষ্টি ও উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদে এবার পানির প্রবাহ অনেক বেড়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে পাহাড়ের নিম্নাঞ্চল এছাড়াও অনেক উপজেলায় সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। তাই বন্যা নিয়ন্ত্রণে খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাঁধের স্পিলওয়ে (গেট)।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বাঁধের ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন করা হচ্ছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কাপ্তাই হ্রদের পানি অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে শুক্রবার সকালে বাঁধের ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খোলার মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি বের করে দেওয়া হবে। এতে আরও জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে ১০৭ দশমিক ৫৪ এমএসএল (মিন সি লেবেল) পানি রয়েছে। ফলে হ্রদের উজান ও ভাটি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য শুক্রবার সকাল ১০টায় পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিলওয়ের গেট উঠিয়ে পানি নিষ্কাশন শুরু হবে। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ২৫ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। পানির পরিমাণ বৃদ্ধি না পেলে এই আদেশ পরিবর্তন করা হতে পারে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটি এম আবদুজ্জাহের বলেন, আজ স্পিলওয়ে খোলার মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন শুরু হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি আরও পর্যবেক্ষণ করবো। পরবর্তী পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাপ্তাই বাঁধের সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতার কাছাকাছি চলে যাওয়ার ফলে রাঙামাটি জেলার লংগদু, বরকল, বিলাইছড়ি ও রাঙামাটি সদরের অনেক এলাকার নিম্নাঞ্চল হ্রদের পানিতে তলিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিং না হওয়া ও অপরিকল্পিতভাবে হ্রদ দখল করে ভবন নির্মাণের ফলে হ্রদের নাব্যতা কমে গিয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন পরিবেশ বিশ্লেষকরা।

কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির ফলে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে পানিতে ডুবে আছে সিম্বল অব রাঙামাটি খ্যাত ঝুলন্ত সেতু।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
চালু হচ্ছে ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোবাইলে ব্যবহারের সুযোগ

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স চালু করছে। চালকরা মোবাইলফোনের মাধ্যমে এই লাইসেন্স দেখাতে পারবেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করছে বিআরটিএ। মোটরযান চালকরা ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো স্মার্ট মোবাইল ফোনে ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।
লাইসেন্সটি কিআর কোডের মাধ্যমে যাচাই করা যাবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই