আন্তর্জাতিক
চীন থেকে আমদানি কমাবে মার্কিন ফ্যাশন কোম্পানিগুলো

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর জন্য তৈরি পোশাক আমদানিতে চীননির্ভরতা কাটিয়ে উঠছে। মহামারী-পরবর্তী সময়ে চাহিদা কমে যাওয়া, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাকে সৃষ্ট উদ্বেগের প্রধান কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যুক্তরাষ্ট্রের ৩০টি ফ্যাশন কোম্পানি নিয়ে সম্প্রতি চালানো জরিপে এমনটাই তুলে ধরেছে ইউনাইটেড স্টেটস ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (ইউএসএফআইএ)।
কেবল সেসব ফ্যাশন কোম্পানি নিয়ে জরিপ চালানো হয়েছে, যাদের অধিকাংশ কর্মীসংখ্যা এক হাজারের বেশি। এপ্রিল-জুনে চলমান জরিপটি ৩১ জুলাই প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ব্যবসায়ীদের প্রধান মনোযোগের বিষয়। জরিপে অংশগ্রহণ করা ৫০ শতাংশ কোম্পানিই ২০২৩ সালে তাদের সরবরাহ বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন, যেখানে ২০২২ সালে ৯০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী সরবরাহ বাড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন।
জরিপে লক্ষণীয় ছিল যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক। চীন সম্পর্কে কিছু নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটরা একমত হয়েছে। সেক্ষেত্রে দেশটির ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির প্রতিক্রিয়া অনিশ্চয়তায় নতুন মাত্রা যোগ করে। জরিপে অংশ নেয়া ৮০ শতাংশ কোম্পানি দুই বছরের মধ্যে চীন থেকে আমদানি কমানোর কথা জানিয়েছে। চীন ছাড়াও কারণ হিসেবে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে বলপ্রয়োগ শ্রম আদায় ও সম্ভাব্য ঝুঁকিও উদ্বেগের কারণ হিসেবে রয়েছে। উদ্বেগের প্রমাণ হিসেবেই উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্টের (ইউএফএলপিএ) কথা সামনে আনা হয়েছে।
২০২২ সালে মূল্যস্ফীতি ও মার্কিন অর্থনীতি সম্পর্কে উদ্বেগ গুরুত্বের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে ছিল। কিন্তু চলতি বছর জরিপে অংশগ্রহণকারী কোম্পানিগুলোর কাছে তা সর্বাধিক উদ্বেগের বিষয়। ৬৯ শতাংশ কোম্পানি আগামী পাঁচ বছর মার্কিন ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। সেখানে ৮৫ শতাংশ কোম্পানি পাঁচ বছরে কর্মী নিয়োগ বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। ২০২৩-২৮ পর্যন্ত সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদ থাকবে সরবরাহ চেইন—বিশেষজ্ঞ, পরিবেশ ও টেকসই বিশেষজ্ঞ এবং ডাটা অ্যানালিস্ট।
মার্কিন ফ্যাশন কোম্পানিগুলো চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নেতিবাচক দিকে মোড় নেয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা চীন থেকে মুখ সরিয়ে অন্য কোনো উৎসের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। চলতি বছর ৪০ শতাংশ কোম্পানি তাদের চাহিদার ১০ শতাংশেরও কম পোশাক আমদানি করেছে চীন থেকে। ২০২২ সালে আমদানির হার ছিল ৩০ যা ২০১৯-এ ছিল ২০ শতাংশ। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো প্রায় ৬১ শতাংশ কোম্পানি চলতি বছরে সরবরাহকারী হিসেবে তালিকায় চীনকে প্রথমে রাখেনি, ২০২২ সালে এ হার ছিল ৫০ শতাংশ। বর্তমানে চীনের পরই আমদানি উৎস হিসেবে রয়েছে ভিয়েতনামের নাম। তারপর রয়েছে যথাক্রমে বাংলাদেশ, ভারত, কম্বোডিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।

বর্তমান জরিপেই প্রথমবার দেখা গেল যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সরবরাহকারী দেশের তালিকায় পশ্চিমা দেশগুলোর নামও। বিশেষ করে মেক্সিকো সপ্তম, গুয়াতেমালা নবম ও নিকারাগুয়া দশম অবস্থানে। অনেক কোম্পানি চীনের কাঁচামালের ওপর এখনো নির্ভরশীল। জরিপে অংশ নেয়া ৭০ শতাংশ কোম্পানি চীন থেকে সুতা ও কাপড় প্রস্তুতির প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করার ব্যাপারে ইতিবাচক মন্তব্য জানিয়েছে। তারা মনে করে, চলমান পরিস্থিতিতে তাদের হাতে কোনো বিকল্প সুযোগ নেই।
তৈরি পোশাক বিশেষজ্ঞ শেং লু জরিপ পরিচালনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। উৎস হিসেবে চীনের রফতানিতে প্রভাব পড়তে পারে বলে তিনি পূর্বাভাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘অতীতে চীনকে তৈরি পোশাক সরবরাহে অপ্রতিদ্বন্দ্বী উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। সেখান থেকেই আসত বিপুল পরিমাণ পণ্য। কিন্তু চলমান জরিপে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক আমদানিতে চীন আর বৃহৎ উৎস হিসেবে নেই। অবক্ষয় দেখা দিয়েছে পরিমাণে ও আমদানির বৈচিত্র্যে।’
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্র কিছু পণ্যের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল

যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ অনেক পণ্যের জন্য চীনের ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী জেনেট ইয়েলেন। তিনি বলেছেন, বিশেষ করে পরিবেশবান্ধব জ্বালানিপণ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্ভরশীলতা। জেনেট ইয়েলেন মনে করেন, এই নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসতে সরবরাহের উৎস বাড়ানোর প্রয়োজন।
বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের নিয়ে আয়োজিত ফরচুন ম্যাগাজিনের এক অনুষ্ঠানে ইয়েলেন এ কথা বলেন। তিনি অবশ্য অনেক দিন ধরে যে কথা বলে আসছেন, তারই পুনরাবৃত্তি করেন। তাঁর মত হলো, যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হতে চায় না।
জেনেট ইয়েলেন বলেন, তিনি শিল্পনীতির ‘ঘোরতর সমর্থক’ নন। কিন্তু অন্যান্য দেশ যখন বিপুল ভর্তুকি দিয়ে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প গড়ে তুলেছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে কোনো কিছু করেনি।
ইয়েলেন আরও বলেন, শক্তিশালী একটি সেমিকন্ডাক্টর শিল্প ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে। তবে তিনি এ–ও মনে করেন যে গত বছরের ‘চিপস অ্যান্ড সায়েন্স’ আইন এই প্রবণতা ঘুরিয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
জেনেট ইয়েলেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি মনে করে, যেকোনো বাস্তব কারণেই হোক না কেন, সেমিকন্ডাক্টর শিল্প ছেড়ে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ, তাহলে আমরা বোকার স্বর্গে বসবাস করছি।’

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম

সুদের উচ্চ হারের কারণে তেলের চাহিদা কমতে পারে এমন আশঙ্কায় বিশ্ববাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম। বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালের দিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬ সেন্ট কমে ৯০ দশমিক ৮৬ ডলারের দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডয়েটের দাম ৫ সেন্ট কমে ৮৯ দশমিক ১৮ ডলারে কেনাবেচা হয়েছে।
একদিকে সুদের উচ্চ হার অন্যদিকে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এতেই চাহিদা কমছে তেলের। কারণ দুর্বল মুদ্রা দিয়ে তেল কেনাটা ব্যয়বহুল।
আইজি এর বাজার বিশ্লেষক ইয়েপ জুন রং বলেছেন, স্থিতিস্থাপক শ্রমবাজারর কারণে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের উচ্চ হার দীর্ঘ মেয়াদে ধরে রাখতে পারে।
অপরদিকে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে তেল উৎপাদকদের সংগঠন ওপেক প্লাস। মনে করা হচ্ছে উৎপাদন নীতি অপরিবর্তিত রাখতে পারে তারা। যদিও রাশিয়া ও সৌদি আরব তেলের উৎপাদন কমোনের মেয়াদ আরও বাড়িয়েছে। -রয়টার্স
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে আকস্মিক বন্যায় ২৩ সেনা নিখোঁজ

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে প্রবল বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। আর এই বন্যায় নিখোঁজ হয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২৩ সেনা সদস্য। এছাড়া পার্বত্য এই উপত্যকার কিছু সামরিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টির জেরে উত্তর সিকিমের লোনাক লেক উপচে অতিরিক্ত পানি তিস্তায় চলে আসার পর সেখানে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে এবং এতে ২৩ জন ভারতীয় সেনা সদস্য নিখোঁজ হয়েছেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লাচেন উপত্যকার কিছু সামরিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘চুংথাং বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার ফলে হঠাৎ করে পানির স্তর ১৫-২০ ফুট বেড়ে যায়। এর ফলে সিংটামের কাছে বারদাংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সেনাবাহিনীর বেশ কিছু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৩ জন সেনা সদস্য নিখোঁজ এবং কিছু যানবাহন ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তল্লাশি অভিযান চলছে।’

এনডিটিভি বলছে, সিকিমে রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়েছে। প্রবল ওই বৃষ্টির পর উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদের পানি উপচে পড়ে এবং তিস্তা নদীর পানির স্তর অনেক বেড়ে যায়। তিস্তা নদী সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশে করেছে।
এদিকে সিকিম প্রশাসন রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণ করা এবং শেয়ার করা ভিডিওতে বন্যার পানিতে সেখানকার রাস্তা তলিয়ে যেতে দেখা যায়।
সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং ক্ষতিগ্রস্ত একটি এলাকা পরিদর্শনকালে বলেছেন, ‘কেউ আহত হয়নি তবে সরকারি সম্পত্তির উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। সিংটামে কিছু লোক নিখোঁজ হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। উদ্ধার তৎপরতা চলছে।’
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিকিমের চুংথাং হ্রদ উপচে পড়ায় তিস্তা নদী ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ‘গজলডোবা, দোমোহনী, মেখলিগঞ্জ এবং ঘিশের মতো নিচু এলাকাগুলো বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অনুগ্রহ করে সতর্ক থাকুন।’
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইতালিতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২১

ইতালির ভেনিসে ফ্লাইওভার থেকে যাত্রীবাহী বাস নিচে পড়ে শিশুসহ অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। এতে ১৮ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) পৌনে ৮ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন ইউক্রেনীয় নাগরিক এবং একজন জার্মান নাগরিক। এছাড়া বাসের চালক ইতালির নাগরিক।তবে দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। খবর রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইতালির মেস্ত্রে জেলার ফ্লাইওভারের সেতুর রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে যায় যাত্রীবাহী বাসটি। নিচে পরার পরই বাসটিতে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনার কারণ অস্পষ্ট হলেও ভেনিসের কাউন্সিলর রেনাতো বোরাসো বলেছেন যে, বাসের চালক দুর্ঘটনার আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ৪০ বছর বয়সী ওই চালকও এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে।
ভেনিসের মেয়র লুইগি ব্রুগনারো এ ঘটনাকে ‘বিশাল ট্র্যাজেডি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আহত ১৮ জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কজনক। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি। তবে কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটলো, এখনও বের করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে তদন্ত করছে প্রশাসন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পদার্থে নোবেল পুরস্কার পেলেন ৩ বিজ্ঞানী

ইলেক্ট্রন গতিবিদ্যায় বিশেষ অবদানের জন্য পদার্থবিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন পিয়েরে অ্যাগোস্টিনি, ফেরেঙ্ক ক্রাউস এবং অ্যান ল’হুইলিয়ার।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকাল পৌনে ৪টায় স্টকহোমে পদার্থবিদ্যায় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস।
প্রথা অনুযায়ী প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। গত সোমবার (২ অক্টোবর) চিকিৎসাবিজ্ঞানে, মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) পদার্থে, বুধবার (৪ অক্টোবর) রসায়নে, বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সাহিত্যে এবং শুক্রবার (৬ অক্টোবর) শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম জানা যাবে। দুদিন বিরতি দিয়ে ৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উন্নয়নে অবদান রাখায় এ বছর চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্ত্বে নোবেল পেয়েছেন দুই গবেষক। তারা হলেন: হাঙ্গেরিয়ান-আমেরিকান গবেষক কাতালিন কারিকো ও মার্কিন বিজ্ঞানী ড্রিউ ওয়েইজম্যান।
এর আগে, গত বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন ফরাসি বিজ্ঞানী অ্যালেইন অ্যাস্পেক্ট, মার্কিন বিজ্ঞানী জন এফ. ক্লজার এবংঅস্ট্রিয়ান বিজ্ঞানী অ্যান্টন জেলিঙ্গার। ‘বিজড়িত ফোটন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বেল অসমতার লঙ্ঘন প্রতিষ্ঠা এবং কোয়ান্টাম তথ্য বিজ্ঞানে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য’ এই পুরস্কার পান তারা।

ডিনামাইট আবিষ্কারক সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। প্রথম পুরস্কার দেয়া শুরু হয় ১৯০১ সালে। সেময় সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সফল, অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও শান্তি। যদিও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর অর্থমূল্য বাড়ছে নোবেল পুরস্কারের। গতবারের চেয়ে এ বছরের বিজয়ীরা ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা বেশি পেতে চলেছেন। নোবেল ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ২০২৩ সালে নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য বাড়িয়ে ১ কোটি ১০ লাখ ক্রোনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।