কর্পোরেট সংবাদ
সিরাক-বাংলাদেশের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপন

`প্রজনন স্বাস্থ্য সকলের অধিকার, নিশ্চিত করাই আমাদের অঙ্গীকার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সিরাক-বাংলাদেশ Improving SRHR in Dhaka প্রকল্পের আওতায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৩ উদযাপন করেছে। আইপাস বাংলাদেশের সহযোগিতায় গত ১৭-৩১ জুলাই পর্যন্ত ১৫ দিনব্যাপী ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত ৫৯টি এলাকায় এটি উদযাপিত হয়।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত ৫৯টি এলাকাগুলো হলো- উত্তরা (৮ টি এলাকা), মোহাম্মদপুর (১০ টি এলাকা), খিলগাঁও (৫ টি এলাকা), আগা সাদেক (৩ টি এলাকা), লালবাগ, শুক্রাবাদ, মাদারটেক (২ টি এলাকা), বাসাবো (২ টি এলাকা), যাত্রাবাড়ি (৫ টি এলাকা), মিরপুর (১৪ টি এলাকা), হাজারীবাগ (৩ টি এলাকা), মহাখালী (৩ টি এলাকা), এবং কামরাঙ্গীরচর (২ টি এলাকা)।
প্রকল্পের আওতাভুক্ত ‘প্রজনন স্বাস্থ্য বন্ধু’ নামে পরিচিত স্বেচ্ছাসেবীরা জেনারেল প্র্যাক্টিশনারদের (চিকিৎসক) প্রদানকৃত সেবা প্রচারণার জন্য নানান কার্যক্রমের সমন্বয়ে যেমন- র্যালি, মাইকিং এবং সেশন পরিচালনার মাধ্যমে কমিউনিটি ক্যাম্পেইন আয়োজন করেছে। এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য ছিলো বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপন, উইমেন প্লাস স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রচারণা এবং কমিউনিটির মানুষদের মধ্যে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি।
পুরো কার্যক্রম আয়োজন এবং পরিচালনায় স্বেচ্ছাসেবীরা নিজ উদ্যোগে এগিয়ে এসেছেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। ফায়দাবাদ উত্তরার ‘প্রজনন স্বাস্থ্য বন্ধু’ হালিমাতুস সাদিয়া বলেন, এটি আমার জন্য ভিন্ন একটি অভিজ্ঞতা ছিলো। আমরা আমাদের কমিউনিটির মানুষদের কাছ থেকে বেশ ভালো সাপোর্ট পেয়েছি। নতুন বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছি যেমন- মাইকিং করা, কমিউনিটির মানুষদের সাথে নিয়ে কাজ করা ইত্যাদি।
মেরাদিয়া খিলগাঁওয়ের ‘প্রজনন স্বাস্থ্য বন্ধু’ রবিউল আওয়াল জানান, আমি আমার টীমে লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এবারের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপনের আয়োজনটা ছিলো ভিন্ন রকম। কারণ দিনটি খুবই রৌদ্রজ্জ্বল ছিলো এবং কমিউনিটির মানুষদের কাছে হাতপাখাটি খুবই উপকারী মনে হয়েছে। আমরা এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার প্রচারণা করতে পেরেছি এবং কমিউনিটির মানুষজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে র্যালিতে অংশগ্রহণ করেছে।

উত্তর শাহজাহানপুর এলাকার ‘প্রজনন স্বাস্থ্য বন্ধু’ শিরিন আক্তার নুপুর বলেন, ইভেন্টটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরে আমাদের টিম খুবই আনন্দিত ছিলো। এটি আমাদেরকে নতুন মানুষদের সাথে পরিচয়ের একটি সুযোগ করে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও সুন্দরভাবে ইভেন্ট আয়োজনের জন্য আত্মবিশ্বাস যোগান
দিয়েছে।
বোরহানপুর, হাজারীবাগ এলাকার ‘প্রজনন স্বাস্থ্য বন্ধু’ শিশির দাস জানান, “আমাদের জেনারেল প্র্যাক্টিশনারের (চিকিৎসক) সহযোগিতায় উনার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে আমরা একটি র্যালি আয়োজন করেছি। উনি বেশ সহায়তা করেছেন এবং আমরা জেনারেল প্র্যাক্টিশনারের প্রদানকৃত সেবা বিষয়ক লিফলেট ও স্টিকার, এবং পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বিষয়ক বার্তা সমন্বিত হাতপাখা বিলি করেছি। কমিউনিটির মানুষজন এই ইভেন্টটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে আমাদের সহায়তা করেছেন।
নুরজাহান রোড, মোহাম্মদপুর এলাকার ‘প্রজনন স্বাস্থ্য বন্ধু’ মায়াবী আক্তার মাওয়া বলেন, জেনারেল প্র্যাক্টিশনারের (জিপি) স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে ইভেন্ট আয়োজন থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায় আমরা উপভোগ করেছি। যদিও আমাদের টিমের কিছু সদস্য পরীক্ষার জন্য যুক্ত হতে পারেননি তবে তারা আমাদের পুরো ইভেন্ট আয়োজনে সহযোগিতা করেছে।
প্রতিটি এলাকায় ১০ জন স্বেচ্ছাসেবী তাদের নির্ধারিত জেনারেল প্র্যাক্টিশনার (চিকিৎসক) ও কমিউনিটির আরও ১০ জন মানুষকে সাথে নিয়ে র্যালি আয়োজন ও সকলের মাঝে প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কিত বার্তা সম্বলিত হাতপাখা বিলি করার মাধ্যমে দিবস উদযাপন সম্পন্ন করেন। এই পুরো কার্যক্রম আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছেন সিরাক-বাংলাদেশ’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার তাসনিয়া আহমেদ, এসবিসিসি অফিসার- খাদিজা কালাম, মো. নাজমুল হাসান, কাকলী আক্তার, শাহিদা খাতুন, মো. শফিউল্লাহ, আইপাস বাংলাদেশ’র সিনিয়র অ্যাডভাইজর (এসবিবিসি এবং কমিউনিকেশন) মো. এখলাস উদ্দিন এবং এসবিসি কোঅরডিনেটর জিনিয়া ফেরদউস।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কর্পোরেট সংবাদ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার পেলো টেকনো মিডিয়া

জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটেগরিতে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২” পেল টেকনো মিডিয়া লিমিটেড।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২” বিতরণ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে টেকনো মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. যশোদা জীবন দেবনাথের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
এবছর ছয় ক্যাটেগরিতে মোট ১২ টি প্রতিষ্ঠানকে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২” প্রদান করলো শিল্প মন্ত্রণালয়।
টেকনো মিডিয়া লিমিটেডকে এমন সম্মানে ভূষিত করায় শিল্প মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. যশোদা জীবন দেবনাথ। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার বেসরকারি খাতের প্রতি সরকারের ধারাবাহিক পৃষ্ঠপোষকতার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। এ স্বীকৃতি উদ্ভাবনি ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের অন্যতম সহযোগি হিসেবে কাজ করতে আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে।”
টেকনো মিডিয়া লিমিটেড সারাদেশে এটিএম বুথ, নোট সর্টিং মেশিন, নোট বাইন্ডিং মেশিন, ব্যাংকিং সফওয়্যার, অনলাইন চেক ক্লিয়ারিং সফটওয়্যারসহ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে। দেশের এটিএম সেবার ৭০ শতাংশই প্রদান করে থাকে টেকনো মিডিয়া
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
কৃষিকে ব্যবসায়িক কৃষিতে পরিণত করতে হবে

সাবেক কৃষি সচিব ও বিসেফ ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি আনোয়ার ফারুক বলেছেন, কৃষিকে ব্যবসায়িক কৃষিতে পরিণত করতে হবে। যদিও নতুন ব্যবসা গড়ে তোলা কঠিন চ্যালেঞ্জ। কৃষি উদ্যোক্তাদের এই চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে। উদ্যোক্তা হয়ে তাঁদের নিজেদের কর্মসংস্থান যেমন করতে হবে, তেমনি অন্যদের জন্যও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবেন তাঁরা।
তিনি বলেন, উদ্যোক্তা উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। তাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। নতুন নতুন উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে কৃষি ব্যবসায় এগিয়ে আসতে হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়াতে হবে। নতুন উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বিপণনের পর্যাপ্ত সুযোগ করে দিতে হবে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বাগেরহাট জেলার হোটেল ক্যাসেল আশারায় অনুষ্ঠিত ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের কৃষি উদ্যোক্তা দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংক ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি আয়োজিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত জেলার নির্বাচিত কৃষি উদ্যোক্তাদের নিয়ে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণে বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় ২৬০ জন কৃষি উদ্যোক্তা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলএসসির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি এটিএম তাহমিদুজ্জামান বলেন, কৃষি উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, তাদের পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানের জন্যই ইউসিবি ‘ভরসার নতুন জানালা’ বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। কৃষি উদ্যোক্তারা যেন সহজে ঋণ পেতে পারে, বাণিজ্যিক কৃষির বিকাশে ভূমিকা রাখতে পারে, সে জন্য ইউসিবি সব সময় কৃষি উদ্যোক্তাদের পাশে থাকবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক রেজাউল করিম সিদ্দিক, ইউসিবির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম ভূঁইয়া, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ছাহেব আলী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শংকর কুমার মজুমদার, ইউসিবির আঞ্চলিক প্রধান মোল্লা মাসুদ পারভেজ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউসিবির শাখা ব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান।
একই দিন গোপালগঞ্জ জেলার পৌরসভা মিলনায়তনে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ১৬০জন কৃষি উদ্যোক্তাকে নিয়ে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য, প্রাণিসম্পদ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, ইউসিবির আঞ্চলিক প্রধান মিজানুর রহমান, জেলা শাখার ব্যবস্থাপক মোল্লা ফজলুল হক মুকুল। প্রশিক্ষণে সহজ শর্তে কৃষি ঋণ বিতরণ ও কৃষি প্রণোদনা সহায়তা প্রদানের পথ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উল্লেখ্য, ‘ভরসার নতুন জানালা’ নামক কর্মসূচির আওতায় দেশের ৬৪ জেলায় নির্বাচিত কৃষি উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৩৪টি জেলায় এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব প্রশিক্ষণে সহজ শর্তের কৃষি ঋণ বিতরণ ও কৃষি প্রণোদনা সহায়তা প্রদানের পথপদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়া, উন্নত ও সমৃদ্ধ কৃষির বিকাশে সহজ শর্তে ও মানবিক অর্থায়নের সুযোগ সম্প্রসারিত করার উপায় নিয়েও আলোচনা করা হয়।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের অডিট বিষয়ক কর্মশালা

ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির (আইবিটিআরএ) উদ্যোগে ‘অডিটিং ফর অ্যাচিভিং এক্সিলেন্স ইন ব্যাংকিং অপারেশন্স’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আইবিটিআরএ’র প্রিন্সিপাল মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
কর্মশালার বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. নাইয়ার আজম, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী, মো. রাজা মিয়া, নাজমুস সাকিব মো. রেজাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ।
ব্যাংকের অডিট অ্যান্ড ইনপেকশন ডিভিশনের ১০০ জন কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংকের ‘আইটিএফসি-২০২৩’ পুরস্কার অর্জন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশে ডলার সংকটের সময় গম আমদানির জন্য ইসলামী অর্থায়ন কাঠামোর অধীনে একটি অনন্য সমাধান খুঁজে বের করে সিটি ব্যাংক। এই প্রচেষ্টার স্বীকৃতি স্বরূপ ব্যাংকটি ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশন থেকে ‘আইটিএফসি ট্রেড ফাইন্যান্স ডিল অফ দ্যা ইয়ার’ পুরস্কার অর্জন করেছে।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন আইটিএফসি’র সিওও নাজিব নুরডালির কাছ থেকে পুরস্কারের ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে আইটিএফসি’র এশিয়া ও মিডিলইষ্টের ডিভিশন ম্যানেজার আব্দুল আলীম, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক প্রধান মোহম্মদ ইফতেখার আলম, সিটি ব্যাংকের দুজন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ ও মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনের প্রধান হাসান শরীফ আহমেদসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মাসরুর আরেফিন আইটিএফসিকে পুরস্কারের জন্যে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যারা ইসলামিক কাঠামোর অধীনে ট্রেড ফাইন্যান্স সুবিধা নিতে চান আইটিএফসি’র সহায়তায় আমরা সেই গ্রাহকদের খুব সহজে ও দক্ষতার সাথে সেবা দিতে পারি। আইটিএফসি’র ট্রেড ফাইন্যান্স সুবিধা ব্যাংকের বেসরকারি খাতের আমদানিকারকদের শিল্পের কাঁচামাল এবং প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে অর্থায়নে সহায়তা করে আমদানিকারককে দীর্ঘমেয়াদে অর্থ পরিশোধের সুবিধা প্রদান করে যা বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
২০১৯ সাল থেকে সিটি ব্যাংক আইটিএফসি’র ট্রেড ফাইন্যান্স সুবিধা পেয়ে আসছে। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলির মধ্যে সিটি ব্যাংকের প্রাপ্ত এই সুবিধাটিই সর্বোচ্চ।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পাশে জেসিআই বাংলাদেশ

ঝিনাইদহ জেলায় সুইড রতনপুর অটিস্টিক বিদ্যালয়ের পাশে দাঁড়িয়েছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশ। এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতা করতে জেসিআই বাংলাদেশের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান জেসিআই যশোর ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
সম্প্রতি সংগঠনটির উদ্যোগ প্রজেক্ট “সহায়” এর মাধ্যমে বিদ্যালয়টিতে অটিস্টিক শিশুদের যাতায়াতের জন্য যানবাহন মেরামত করে দেয়া হয়েছে এবং ভবন সংস্কার করে দেয়া হচ্ছে।
বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে জেসিআই যশোরের ফাউন্ডিং লোকাল প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার শেখ মতিউর রহমান এবং তার বোর্ডের সদস্যবৃন্দসহ জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট, জেসিআই ঢাকা ইয়াং এবং জেসিআই ঢাকা ডিপ্লোমেটের বোর্ড মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তারা বিদ্যালয়টিতে মেরামতকৃত যানবাহন ও সংস্কারকৃত ভবন পরিদর্শন করেন। এছাড়া তারা অটিস্টিক শিশুদের সাথে কথা বলে এবং তাদের অংশগ্রহনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের সাথে আনন্দঘন সময় কাটান এবং তাদের উপহার প্রদান করেন।
এছাড়া তারা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা, বিদ্যালয় এবং অটিস্টিক শিশুদের সুবিধা ও অসুবিধা সংক্রান্ত নানা ব্যাপারে আলোচনা করেন।

জেসিআই বাংলাদেশের ২০২৩ ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক ভূইয়ার পরিকল্পনায় প্রজেক্ট “সহায়” এর মূল উদ্যোক্তা এবং সমন্বয়কারী জেসিআই যশোর, সহযোগিতায় জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট, জেসিআই ঢাকা ইয়াং এবং জেসিআই ঢাকা ডিপ্লোমেট।
এ ব্যাপারে জেসিআই যশোরের ফাউন্ডিং লোকাল প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার শেখ মতিউর রহমান বলেন, “অটিস্টিক শিশুরা সমাজের কোন বোঝা না। বরং তাদের আচরনগত ক্রটিকে আমরা বুঝতে পারি না এবং এই ব্যাপারে আমাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান নাই বলে একে আমরা সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করি। এই ভ্রান্ত চিন্তা থেকে আমাদের বের হতে হবে এবং অটিস্টিক শিশুদের সমাজের শক্তিতে পরিণত করতে হবে। এজন্য তাদের শিক্ষা ব্যবস্থাপনা আর সার্বিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে।”
ভবিষ্যতেও বিশেষ চাহিদা ও অটিস্টিক শিশুদের সার্বিক উন্নয়নে জেসিআই যশোরের তত্ত্বাবধানে প্রজেক্ট “সহায়” এর এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট এর লোকাল কমিটি চেয়ার মো. রিয়েল আহমেদ বলেন, “আমরা যাদের সমাজের বোঝা মনে করি, তাদের মেধা মূল্যায়ন করে তাদের মেধা অনুযায়ী তাদের জন্য কর্মক্ষেত্র তৈরি করে দেই, তাহলে সমাজের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। এজন্য সমাজের সামর্থবান সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।”
উল্লেখ্য, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী তরুণ পেশাজীবী, উদ্যোক্তা ও নেতৃত্ব স্থানীয়দের নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেইন্ট লুইসে এর সদর দফতর অবস্থিত। বর্তমানে ৪০টি স্থানীয় সংগঠন ও প্রায় ৫ হাজার সদস্য নিয়ে জেসিআই বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে সমাজ ও সম্প্রদায়ের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে।
অর্থসংবাদ/এমআই