শিল্প-বাণিজ্য
চীনের বাণিজ্যিক জোটে যেতে চায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশ এখন যেসব দেশের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করার বিষয়ে আলোচনা করছে, তার মধ্যে ছয়টি দেশ চীনের নেতৃত্বে বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্লক ‘রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপে’ (আরসেপ) অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই ব্লকে যোগ দিলে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ পাঁচ বিলিয়ন ডলার বাড়ার সম্ভাবনার চিত্র সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় উঠে এসেছে। তাই এসব দিক বিবেচনা করে আরসেপে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির পক্ষে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা।
গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্ত মন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সিদ্ধান্ত এখন মন্ত্রিপরিষদ সভায় উপস্থাপন করা হবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আসিয়ানসহ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো আরসেপের অন্তর্ভুক্ত। ফলে বাংলাদেশের এতে সংযুক্ত থাকা যৌক্তিক হবে বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আন্ত মন্ত্রণালয় সভায় কিছু পূর্বসতর্কতাসহ আরসেপে বাংলাদেশের যোগদানের পক্ষে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গত বছরের জানুয়ারিতে যাত্রা শুরু করেছে ১৫ দেশের এই বাণিজ্যিক জোট আরসেপ। এই ১৫ দেশের জনসংখ্যা ২.৩ বিলিয়ন (বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ), বাজারের আকার ২৬.৩ ট্রিলিয়ন ডলার। নিয়ম অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে অন্য দেশও আরসেপে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করতে পারছে। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও হংকং ব্লকটিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেছে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগী ও সমপর্যায়ের দেশ ভিয়েতনাম কোন ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আরসেপে যোগদান করেছে, সেগুলোও পর্যালোচনা করা হয়েছে গতকালের সভায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, আরসেপকে চীনের নেতৃত্বাধীন বাণিজ্যিক ব্লক বলা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়াও এই জোটের সদস্য। ভারতও আরসেপে যোগদানের বিষয়ে আলোচনা করে রেখেছে। দেশটি চাইলে আরসেপের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে যোগ দিতে পারবে।
আরসেপভুক্ত দেশগুলো নিজেদের শুল্ক কমানোর জন্য ১০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত সময় নিয়েছে। বাংলাদেশ আরসেপে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করলে আরসেপভুক্ত ১৫ দেশ এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিল্প-বাণিজ্য
দশম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার উদ্বোধন

দশম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার এবং ১ম বাংলাদেশ পর্যটন ডেভেলপমেন্ট সামিট-২০২৩ এর উদ্বোধন হয়েছে। পর্যটন বিচিত্রা তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করে। মেলা চলবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্ত থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য। মেলায় প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা, কিন্তু অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করলে ছাত্রছাত্রীদের কোনো প্রবেশ মূল্য লাগবে না। তবে প্রবেশ টিকিটের বিপরীতে সবার জন্য র্যাফেল ড্র এবং এয়ারলাইন্স টিকিটসহ বেড়ানোর জন্য আকর্ষণীয় গিফট বাউচার পুরস্কার রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার সময় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্যুরিজম সেক্টর। তবে এ সমস্যা কাটিয়ে উঠছি আমরা। আমরা ইতিমধ্যে অভ্যন্তরীণ পর্যটন খাতকে বুস্ট-আপ করতে পেরেছি সকলের প্রচেষ্টায়। আজকের এই আয়োজন পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকদের আসতে উৎসাহী করবে। টুরিস্টদের আকর্ষিত করার মতো বাংলাদেশে সকল নান্দনিক সৌন্দর্য ও পরিবেশ রয়েছে। আমাদের দেশের এক একটা জেলাতে পর্যটনের যে প্রোটেনশিয়ালিটি রয়েছে তাদের বিশ্বের অনেক দেশেও নেই।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত ও বৈচিত্র্যময় বাংলাদেশ হতে পারে দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় ভ্রমণ গন্তব্য। এই লক্ষ্যে এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবছর এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার বিদেশি দূতাবাস ও পর্যটন সংশ্লিষ্টদের এক ছাদের নিচে একত্রিত করে। এবারের মেলার থিম ‘কানেক্টিং রিজনাল ট্যুরিজম’।

মেলা ও সামিটকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে। এছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স টাইটেল স্পন্সর হিসেবে রয়েছে।
এবারের এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, নেপাল থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, দুবাই এবং একাধিক অন্যান্য দেশ থেকে ৫০টি বিদেশি প্রতিষ্ঠানসহ ১৫০টি পর্যটন সংস্থা অংশগ্রহণ করেছে। মেলায় পর্যটন ব্যবসার পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য এখানে বিভিন্ন প্যাকেজ ডিসকাউন্ট স্পেশাল অফার রয়েছে।
এসময় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার ডেপুটি হাইকমিশনার রুয়ান্থি ডেলপিতিয়া, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারী, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিইও আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. রাহাত আনোয়ার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন ও বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) নির্বাহী পরিচালক লোকমান হোসেন মিয়া।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

নতুন করে আরও ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে মোট ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আমদানির অনুমতি পাওয়া নতুন ছয়টি প্রতিষ্ঠান হলো- চিজ গ্যালারি, পপুলার ট্রেড সিন্ডিকেট, মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ, এস এম কর্পোরেশন, বিডিএস কর্পোরেশন এবং মেসার্স জয়নুর ট্রেডার্স।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর চারটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে মোট ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
সম্প্রতি ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। বলা হয়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম পড়বে ১২ টাকা। এর মধ্যে দুই ধাপে মোট ১০ প্রতিষ্ঠানকে ১০ কোটি ডিম আমদানির অনুমিত দিলো সরকার।

এছাড়া ডিম আমদানিতে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়। সেগুলো হলো:
১. এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু-মুক্ত দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে।
২. আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে।
৩. নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না।
৪. সরকারের অন্যান্য বিধি–বিধান প্রতিপালন করতে হবে।
এদিকে ডিমের দাম নির্ধারণকে স্বাগত জানালেও আমদানির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, ডিম আমদানি করলে এ শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। পরে আরও বেশি দামে ডিম খেতে হবে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
নেপালে রপ্তানি বাড়াতে চায় বিজিএমইএ

প্রতিবেশী দেশ নেপালে তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) নেপালের শিল্প, বাণিজ্য ও সরবরাহ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল বিজিএমইএর কার্যালয়ে সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে প্রতিনিধি দলের কাছে রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ-সুবিধা চান বিজিএমইএ সভাপতি।
রাজধানীর উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উভয়পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থ, সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
পোশাকের পাশাপাশি নেপাল সরকারের শিল্প অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবুরাম গৌতমের নেতৃত্বে নেপালি প্রতিনিধি দলটি বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে শিল্প এবং বাণিজ্যিক বিষয়ে বিভিন্ন ধারণা ও তথ্য বিনিময় করেন।
আলোচনায় বাংলাদেশের সমৃদ্ধময় পোশাক শিল্প, শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং অব্যাহত প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য শিল্পের কৌশলগত রূপকল্পসহ প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বৈঠকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের রপ্তানি বাজার বহুমুখীকরণ এবং নতুন রপ্তানি গন্তব্য অনুসন্ধানে শিল্পের চলমান প্রচেষ্টাগুলো অবহিত করেন।
তিনি বাংলাদেশ থেকে নেপালে পোশাক রপ্তানির বিষয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং পারস্পরিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগগুলো কাজে লাগাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
নেপালি প্রতিনিধি দলটি নেপালের মধ্যে বিনিয়োগের সম্ভাবনা এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য নেপালে যেসব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সেগুলো তুলে ধরেন। বৈঠকে উভয়পক্ষ পারস্পরিক সুবিধা কাজে লাগাতে একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
ভারত থেকে এলো ৫৩ হাজার ব্যাগ স্যালাইন

দেশে চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুই কিস্তিতে ৫৩ হাজার ২৫০ ব্যাগ স্যালাইন আমদানি করা হয়েছে। এভাবে প্রথম দফায় পর্যায়ক্রমে সাত লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানি করা হবে বলে জানা গেছে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভারত থেকে একটি ট্রাকে করে ২৭ হাজার ৭৮০ ব্যাগ স্যালাইন এসেছে বেনাপোল বন্দরে। স্যালাইন আমদানিকারক ঢাকার জাস কর্পোরেশন। রপ্তানিকারক ভারতের জেনটেক্স ফার্মাসিটিক্যাল।
এর আগে গত সোমবার একই প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ২৫ হাজার ৪৭০ ব্যাগ স্যালাইন আমদানি করেছে। আমদানি করা প্রতি ব্যাগ স্যালাইনের ক্রয় মূল্য পড়েছে ৬১ টাকা ৩৫ পয়সা।
আমদানিকারকের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমান সংকটের মুহূর্তে আমদানি করা স্যালাইন বড় ভূমিকা রাখবে। মানুষ কম মূল্যে এ স্যালাইন কিনতে করতে পারবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, আমদানি করা স্যালাইন বন্দর থেকে দ্রুত ছাড়করণে সহযোগিতা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে স্যালাইন আমদানির কথা জানিয়েছিলেন।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
কিছু পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশ থেকে নির্দিষ্ট কিছু পণ্যে শুল্কমুক্ত সুযোগ দেওয়ার কথা বিবেচনায় নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলা দিয়ে তৈরি পোশাক দেশটিতে শুল্ক মুক্ত সুবিধা দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিরা।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে টিকফার সপ্তম কাউন্সিল বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান।
এতে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চ ও বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
বাণিজ্যসচিব জানান, দ্বিপাক্ষিক মতবিনিময়সভায় তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা, তৈরি পোশাকসহ রপ্তানি পণ্যের শুল্ক ছাড় এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বের হওয়ার পর সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় দেশটির ঐকান্তিক সহায়তা চায় বাংলাদেশ।
অন্যদিকে কারখানার যথাযথ নিরাপত্তা বিশেষত কর্মপরিবেশ, শিশুশ্রম বন্ধ এবং মেধাস্বত্ব বিষয়ক জটিলতার দ্রুত সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নির্বিঘ্ন করতেই পারস্পরিক এমন চাওয়া।

অর্থসংবাদ/এসএম