Connect with us

অর্থনীতি

সংকটের মাঝেও বিদেশি ঋণ কমেছে ৩০ শতাংশ

Published

on

আলিফ

বৈশ্বিক সংঘাতে গত বছর থেকে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। তাতে আমদানি ব্যয় মেটাতে নিয়মিত হিমশিম খাচ্ছে সরকার। ডলার সংকটের এ সময়ে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ দ্রুত কমছে। গত এক বছরে বিদেশি ঋণ কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ বা ৪১০ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ ছিলো এক হাজার ৭৭৬ কোটি ডলার। চলতি সালের জুনে তা কমে এক হাজার ৩৬৬ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এক বছরে এই খাতে বিদেশি ঋণ কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এর গত ডিসেম্বর শেষে ঋণ ছিল এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা বিভিন্ন পণ্য আমদানির বিপরীতে স্বল্পমেয়াদি এসব ঋণ নেন। সাপ্লায়ার্স ও বায়ার্স ক্রেডিট নামে যা পরিচিত। স্বল্পমেয়াদি এই ঋণ সব চেয়ে দ্রুত বেড়েছিল করোনার মধ্যে। ২০২০ সাল শেষে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ ছিল ৯১৩ কোটি ডলার। এক বছরে আরও ৬৩৩ কোটি ডলার বা ৬৯ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়ে ২০২১ সাল শেষে হয় এক হাজার ৫৪৬ কোটি ডলার। এরপর আরও বেড়ে যায়। তবে ডলার সংকট শুরুর পর গত বছরের জুনের পর তা কমছে।

বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি এই বিদেশি ঋণের বাইরে বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে মেয়াদি ঋণ নেন উদ্যোক্তারা। গত জুন পর্যন্ত মেয়াদি ঋণের তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে গত মার্চ প্রান্তিক পর্যন্ত মেয়াদি ঋণের পরিমাণ ছিল ৮১০ কোটি ডলার। সরকারের ঋণের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার। এসব ঋণের কিস্তি পরিশোধেও একটা চাপ তৈরি হয়েছে। যে কারণে সরকার বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন উপায়ে আমদানি কমানো এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ভালো প্রবৃদ্ধির পরও ডলার বাজারে সংকটের মূল কারণ ঋণ পরিশোধের চাপ। বাজার ঠিক রাখতে চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে আরও ১০০ কোটি ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত অর্থবছর বিক্রি করা হয় রেকর্ড এক হাজার ৩৫৮ কোটি ডলার।

জানা গেছে, স্বল্পমেয়াদি ঋণ কমার প্রধান কারণ সুদহার ও বিনিময় হার। বর্তমানে বিদেশি ঋণে সুদ গুনতে হচ্ছে ৯ শতাংশের বেশি। গত বছরের এ সময়ে যা ৩ শতাংশের নিচে ছিল। আবার গত বছরের শুরুর তুলনায় এখন প্রতি ডলার কিনতে ২৫ টাকার মতো বেশি খরচ করতে হচ্ছে। বিনিময় হার বা সুদহার এ পর্যায়ে স্থিতিশীল থাকবে কিনা তা কেউ বলতে পারছে না। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা মুডি’স সম্প্রতি বাংলাদেশের কান্ট্রি রেটিং কমিয়েছে। এসঅ্যান্ডপির রেটিং কমানোর আভাস দিয়েছে। ফলে বেশি সুদে বিদেশি ঋণ পাওয়াও অনেক ক্ষেত্রে এখন কঠিন হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক অনেক ব্যাংক বাংলাদেশি কোনো কোনো ব্যাংকের ক্রেডিট লাইন বা ঋণসীমা কমিয়েছে।

ব্যাংকাররা জানান, করোনার শুরুর দিকে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে স্থবিরতা ছিল। তখন বিদেশি ঋণের সুদহার অনেক কমে যায়। ওই সময়ে ডলারের প্রয়োজনীয়তাও কম ছিল। তবে কোনো ধরনের হিসাব ছাড়াই সাময়িক লাভের জন্য এখানে ঋণ বাড়ানো হয়। ওই সময় ঋণ বাড়ানোর ফলে রিজার্ভ দ্রুত বেড়েছিল। ২০২০ সালের শুরুতে রিজার্ভ ছিল ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। দ্রুত বেড়ে ২০২১ সালের আগস্টে রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

এসএমই খাতে বিদেশি ব্যাংকের ঋণ বিতরণ বেড়েছে

Published

on

এসএমই খাতে বিদেশি ব্যাংকের ঋণ বিতরণ বেড়েছে

দেশে অবস্থিত বিদেশি ব্যাংকগুলো কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে (সিএমএসএমই) ঋণ বিতরণ বাড়িয়েছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বিদেশি ব্যাংকগুলো সিএমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণ করেছে ১ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিলো ৮২৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এসব ব্যাংকের ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৫৩৯ কোটি টাকা বা ৬৫ শতাংশ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই খাতে ৪৯ হাজার ৬৮ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। ২০২২ সালের একই সময়ে ঋণ বিতরণ করা হয় ৫১ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা। সেই তুলনায় এই খাতে ঋণ বিতরণ কমেছে ২ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা বা ৫ শতাংশ।

ব্যাংকাররা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি এখন ধীরগতিতে চলছে। এসবের প্রভাব দেশের অর্থনীতিতেও পড়েছে। আমাদের দেশেরও একই অবস্থা হওয়ার কারণে সিএমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণ কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সিএমএসএমই খাতের এই স্কিমের তহবিলের মেয়াদ ৩ বছরের জন্য নির্ধারণ করেছে। তবে তবে প্রয়োজনে এর মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।

জানা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই স্কিম থেকে ২ শতাংশ হারে তহবিল নিতে পারে ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ হারে গ্রাহকের কাছে ঋণ বিরতণ করতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ প্রান্তিকে সিএসএমই খাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ৪ হাজার ৩০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের বিপরীতে আদায় করেছে ২ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো ৪০ হাজার ১৩ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩৯ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। বিদেশি ব্যাংকগুলো ১ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা বিতরণ করেছে, এই ব্যাংকগুলো এসময় আদায় করেছে ১ হাজার ১১০ কোটি টাকা। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা হয় ১ হাজার ১০২ কোটি টাকা।

তথ্য মতে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এসএমই খাতে দেওয়া ঋণ পেয়েছেন ১১ লাখ ২৪ হাজার ১৯৩ উদ্যোক্তা। আলোচ্য সময়ে এসএমই ঋণ বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছিলো ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। ২০২১ সালে এসএমই ঋণের এই স্থিতি ছিল ২ লাখ ৪৩ হাজার ৭৩ কোটি টাকা। আর এবছরের মার্চ শেষে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ডিসেম্বরের চেয়ে মার্চ প্রান্তিকে খাতটিতে ১১ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ বেড়েছে।

চলতি বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক এক নির্দেশনায় জানায়, ২০২৪ সালে সিএমএসএমই খাতে যে ঋণ বিতরণ করা হবে, তার ৫০ শতাংশ দিতে হবে কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোগে। আর নারী উদ্যোক্তাদের দিতে হবে এ খাতে দেওয়া মোট ঋণের ১৫ শতাংশ ঋণ।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

বিটিএমএ’র সভাপতি হলেন আলী খোকন

Published

on

বিটিএমএ’র সভাপতি হলেন আলী খোকন

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যাকসন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খোকন।

২০২৩-২৫ মেয়াদের জন্য তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বলেছে বলে বিটিএমএ তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আবুল বাশার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া সভাপতি, তিন সহসভাপতি ও ২৩ জন পরিচালকের নাম ঘোষণা করেছেন।

সহসভাপতি নির্বাচিত হওয়া তিন জন হলেন- সুতা উৎপাদন ক্যাটাগরি থেকে মো. ফজলুল হক, ফেব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. ফায়েজুর রহমান ভূঁইয়া ও ডাইং-প্রিন্টিং ক্যাটাগরি থেকে মো. সালেউদ জামান খান।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স আরও কমার আশঙ্কা

Published

on

ডলার

গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে দেশে সবশেষ ২০০ কোটি বা তার বেশি রেমিট্যান্স এসেছিলো। কিন্তু চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা নিম্নগতিতে মোড় নিয়েছে। শেষ দুই মাসের কোনটাতে ২০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স তো আসেইনি, উল্টো আগস্টে তা কমে দেড়শোর ঘরে ঠাঁই নিয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স আরও কমার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ মাসের প্রথম ২২ দিনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য অনুযায়ী, গত ২২ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯২ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। আগস্টে আগের মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার।

সমাপ্ত অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

প্রসঙ্গত, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিলো ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। যা পুরো হিসাব বছরের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

গ্যাস সংযোগে নিয়মের বাইরে দেশের অধিকাংশ প্লাস্টিক কারখানা

Published

on

আলিফ

দেশের গ্যাস সরবরাহের আইন অনুযায়ী, মাটির নিচ দিয়ে গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন করতে হবে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ প্লাস্টিক কারখানা এই আইন মানছে না, বরং মানার সংখ্যার হার বেশ কম। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে এক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। ‘প্লাস্টিক খাতে সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি: কী পদক্ষেপ প্রয়োজন’ শীর্ষক এ গবেষণায় সহযোগিতা করে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)।

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন রুল ২০১৪-এর গ্যাস পাইপলাইন রেগুলেশন অনুযায়ী, মাটির নিচ দিয়ে গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন করতে হবে। কিন্তু দেশের প্লাস্টিক কারখানাগুলোর ৭৪ শতাংশই গ্যাস সংযোগ নিয়েছে নিয়মবহির্ভূতভাবে। মাত্র ১৪ শতাংশ এক্ষেত্রে পরিপূর্ণ নিয়ম মেনে চলছে।

সিপিডির তথ্যানুযায়ী, বড় কারখানার সবগুলোই নিয়ম মেনে গ্যাস সংযোগ নিয়েছে। নিয়ম না মানা কারখানাগুলোর মধ্যে ৯০ শতাংশ ক্ষুদ্র, ৬০ শতাংশ ছোট এবং ৩৫ শতাংশ মাঝারি। এসব কারখানার অধিকাংশেরই নিয়মিত হাইড্রোলিক টেস্টিং সুবিধা, অভিজ্ঞ বয়লার পরিচালক এবং যথাযথভাবে অনুমোদিত স্টোরহাউজ নেই। বেশির ভাগ কারখানার দেয়াল আগুন প্রতিরোধী নয়।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, গ্যাস পাইপলাইনগুলো মাটির নিচ দিয়ে যাওয়া দরকার। কিন্তু কোনো কোনো জায়গায় এমন হয়েছে, সেগুলো মাটির নিচ দিয়ে নেয়ার সুযোগই নেই। সে জায়গাগুলোর ক্ষেত্রে নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। কিছু কারখানা এমন এমন জায়গায় স্থাপিত হয়েছে, যেগুলো পুনঃস্থাপন ছাড়া কোনো উপায় নেই। এজন্য প্লাস্টিক কারখানাগুলোকে একটি শিল্পজোনে সরিয়ে নিতে হবে।

কারখানাগুলোর নিরাপত্তা সংকট তুলে ধরে তিনি বলেন, অধিকাংশ কারখানা ভাড়া করা জায়গায় অবস্থিত। তাদের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। ঐতিহাসিকভাবে কারখানাগুলো পুরান ঢাকা এলাকায় গড়ে উঠেছে। এগুলোর অধিকাংশই ক্ষুদ্র ও ছোট। এর মধ্যে অনেকগুলো কারখানার অবস্থান বহুতল ভবনে। কারখানাগুলোর বড় একটি অংশ আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। এ তিনটি বিষয় নিরাপত্তার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, কারখানা চলাকালীন দরজা-জানালা সবকিছু বন্ধ থাকে, যা আবাসিক এলাকা এবং সেখানকার কর্মীদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারখানাগুলোর ফায়ার ড্রিল করার কথা, প্রতি মাসেই সেগুলো নবায়ন করার কথা। কিন্তু কারখানার মালিকরা সেগুলো করছেন না। মাত্র ৮ শতাংশ কারখানায় বড় ধরনের ফায়ার ড্রিল হয়। বড় কারখানাগুলো নিয়মিত ফায়ার ড্রিল করে। ২০ শতাংশ কারখানায় কখনই ফায়ার ড্রিল হয়নি।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

ন্যায্য দামে এলপিজি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

Published

on

আলিফ

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, যেখানেই খোঁজ নিচ্ছি এলপি গ্যাসের দাম দুই-একশ টাকা বেশি পাচ্ছি। যে কোনো মূল্যে ন্যায্য দামে এলপিজি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, ডিলারশিপ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমদানিরকারকদের নজরদারি থাকা দরকার। ডিলারের উপ-ডিলার, তারপর খুচরা বিক্রেতা এভাবে কয়েকহাত ঘুরে দাম বেড়ে যাচ্ছে। বিইআরসি নজরদারি করছে, অপরেটরদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। দরকার পড়লে, লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা থাকতে পারে।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইপিবি অডিটরিয়ামে হোটেল রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত ওই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান নুরুল আমিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে এলপি গ্যাসের চাহিদা ছিল ৯ লাখ টন। এখন ১৪ লাখ টনের ওপরে। চাহিদা ২০/২২ গুণ বেড়ে গেছে। ভবিষ্যতে এটা দ্বিগুণ হবে। এটার যুগপোযোগী নীতিমালা জরুরি। আরও আধুনিক নীতিমালা করা দরকার। কোথায় ব্যবহৃত হবে তার একটি গাইডলাইন থাকা দরকার। যত্রতত্র যাতে না বসতে পারে, তার জন্য নীতিমালা থাকা দরকার। আমাদের দেশ উন্নত হচ্ছে, এখন এসব বিষয়ে দেখা দরকার। রেগুলেটরি অথরিটির জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বহুতল ভবনে এলপিজি ব্যবহার করতে পারে। তারা একটি এলাকা ধরে কাজ করতে পারে। পাইপলাইনে গ্যাস দিতে গিয়ে প্রচুর পরিমাণের চোরাই লাইন তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যতে কোথায় কীভাবে গ্যাস দেবো তার জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সিলিন্ডার লিকেজের ঘটনায় নসরুল হামিদ বলেন, যা ঘটেছে সেটা খুবই মর্মান্তিক। কী কারণে ঘটেছে পরে খতিয়ে দেখা হয়েছে। সিলিন্ডার লিকেজের কারণে অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে। এসব রোধে রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন অথরিটির সঙ্গে বসা দরকার।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নুরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার খলিলুর রহমান খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
Advertisement
Advertisement IBBL_AD_300 x 250

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

September 2023
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930