বীমা খাতের ৬ কোম্পানি বিএসইসির নজরদারীতে, খবরটি ভিত্তিহীন 

বীমা খাতের ৬ কোম্পানি বিএসইসির নজরদারীতে, খবরটি ভিত্তিহীন 
পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি) নিরলসভাবে কাজ করে অল্প সময়ের ব্যবধানে বর্তমান কমিশন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফেরাতে সক্ষম হয়েছে। ফলে বাজার ধীরে ধীরে চাঙ্গা হচ্ছে। সম্প্রতি ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে শেয়ারবাজারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।

ফেসবুক ও হোয়াটঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়েছে পুঁজিবাজারে কারসাজির অভিযোগে ৫ ব্যাক্তি ও ৭ টি সাধারণ বীমার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ গুজবটিতে বলা হয়েছে, প্যারামাউন্ট, ইস্টার্ন, সোনারবাংলা, পাইওনিয়ার, নিটোল, এক্সপ্রেস এবং ব্যাক্তিগুলো হলো হিরু,মিজান,টিটু,সামাদ,ববি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়, যা আসলে ভিত্তিহীন। ফেসবুকের মাধ্যমে কারসাজির সঙ্গে জড়িত গ্রুপ ও গ্রুপের এডমিন এবং মডারেটরদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে নেমেছে বিএসইসি। একই সঙ্গে একটি পত্রিকায় 'বীমা খাতের শেয়ার নিয়ে কারসাজি, বিএসইসির নজরদারীতে ৬ কোম্পানি!' শিরোনামে খবর প্রকাশ করা হয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম অর্থসংবাদকে বলেন, 'বীমা খাতের ৬ কোম্পানি বিএসইসির নজরদারীতে' এরকম কোন বিষয় আমার জানা নেই। এমন কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি, এরকম গুজবের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ইতিমধ্যেই  গুজবকারীদের বিরুেদ্ধ ব্যবস্থা নিতে আমাদের সার্ভেইল্যান্স টিমসহ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।বাজারকে অস্থিতিশীল করতে একটি চক্র চেষ্টা করছে, তবে তারা পারবে না। ইতিমধ্যেই আমরা গোয়েন্দা সংস্থাকে বিষয়টি অবহিত করেছি। গুজবকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে বিএসইসি।

বিএসইসির সূত্র মতে, ফেসবুক ও হোয়াটঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলোকে বিশেষ নজরে রাখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব গ্রুপের একটি তালিকা করা হয়েছে। গুজবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন। বীমা খাতের উপর ভর করে বাজার চাঙ্গা হতেই এ নিয়ে নেতিবাচক গুজব শুরু করে একটি চক্র। যার ফলে বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর কমতে থাকে। এর ফলে সোমবার এর প্রভাব পড়ে পুরো বাজারের উপর।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়া গুজবটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো:

ব্রেকিং নিউজ
পুঁজিবাজারে কারসাজির অভিযোগে ৫ ব্যাক্তি ও ৭ টি সাধারণ সীমার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বীমাগুলো হলো প্যারামাউন্ট,ইস্টার্ন, সোনারবাংলা,পেওনিয়ার,নিটোল,এক্সপ্রেস
এবং ব্যাক্তিগুলো হলো হিরু,মিজান,টিটু,সামাদ,ববি,

উল্লেখ্য এখনো কম মূলধনের সাধারণ বীমা কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। বীমা খাতের কয়েকটি কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে বিএসইসি কিংবা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্ভেইল্যান্স বিভাগের কর্মতৎপরতা দেখা যায়নি। যাতে ওইসব বীমা শেয়ারে একটি পক্ষ কৃত্রিমভাবে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্থ হবে সাধারন বিনিয়োগকারীরা।
একনজরে কিছু সাধারণবীমার চিত্র /কারসাজির সাথে জড়িত জড়িত লোক ও প্রতিষ্ঠান সমূহ

পাওনিয়র ইউনাইটেড সিকিউরিটি -সামাদ
সোনারবাংলা -ভার্টেক্স, ইউসিবি এল -মিজান, টিটু
পেরামাউন্ট-ভার্টেক্স, ইবিএল, শ্যামল ইকুইটি-মিজান, টিটু, হিরু(সমবায় কর্মকর্তা)।
ইস্টার্ন-ভার্টেক্স,ইবিএল,মোনা সিকিউরিটিজ-টিটু, মিজান, ববি
এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স-হিরু(সমবায়)ইউসিবিএল
নিটল -হিরু -ইউসিবিএল
পিপলস-হোসেম, মিজান-শান্তা সিকিউরিটি
আনলিমা-আশরাফুল ইসলাম-মইন-শেলটেক ব্রোকারেজ

উল্লেখ্য প্রত্যেক টি বীমা তাদের ভিত্তিমূল্য,থেকে কোন কারন ছাড়াই গ্যাম্বলিং করে উচ্চমূল্যে তোলা হয়।
এর জন্য তারা বিভিন্ন অখ্যাত হাউজ ব্যাবহার করে।এবং তথাকথিত গ্যাম্বলার পক্ষর সাথে যোগসাজশে কাজ করছে।
তাদের তথ্য প্রাধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ডিজিএফআইয়,এনএসআই,এনবিআর ও দুদকের কাছে পাঠানো হয়েছে যে কোন সময় লেনদেন স্থগিত করন ও ব্যাবস্থা নিতে পারে।
#Etv_DBC_BBCবাংলা_BSEC_Somoytv_News24

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
ব্র্যাক ব্যাংক ও মেটলাইফের মধ্যে ব্যাংকাসুরেন্স চুক্তি
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা