কর্পোরেট সংবাদ
রূপালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক হলেন সাফায়েত হোসেন

রূপালী ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাফায়েত হোসেন মহাব্যবস্থাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
পদোন্নতি পেয়ে তিনি রূপালী ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে প্রিন্সিপাল হিসেবে যোগদান করেছেন। এর আগে তিনি উপ-মহাব্যবস্থাপক হিসেবে রূপালী ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন।
২০০১ সালে তিনি ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির (বিআরসি) মাধ্যমে সিনিয়র অফিসার হিসেবে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করেন। এর আগে ২০০০ সালে তিনি বিআরসি’র মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংকে অফিসার হিসেবে এবং ১৯৯৯ সালে কুমিল্লার বড়ধুশিয়া আদর্শ কলেজে প্রভাষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন।
উল্লেখ্য, তিনি সরকারি ব্যাংকসমূহে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোট ৩৫ জন মহাব্যবস্থাপকের মধ্যে সম্মিলিত মেধায় ১ম স্থান অর্জন করেন। অভিজ্ঞ এ ব্যাংকার এর আগে সফলতার সাথে কর্পোরেট শাখাসহ বিভিন্ন শাখায় ডেক্স কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ব্যাংকিং, ডিসিপ্লিন অ্যান্ড আপীল, এমডির মনিটরিং সেল, বোর্ড সচিবালয়সহ বিভিন্ন বিভাগ এবং ডিজিএম হিসেবে কুমিল্লা জোনাল ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি দুইজন চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। অবসর সময়ে তিনি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন। ব্যাংকিং বিষয়ে তাঁর লেখা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে।
মোহাম্মদ সাফায়েত হোসেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে পরিসংখ্যানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগত প্রয়োজনে বিভিন্ন বিষয়ে দেশে ১৭টি ও বিদেশে ১টি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ঘোলখার গ্রামে। ব্যক্তি জীবনে তিনি ১ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক।

অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কর্পোরেট সংবাদ
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৫টি নতুন উপশাখা উদ্বোধন

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৫টি নতুন উপশাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে উপশাখাগুলোর উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হান্নান খান ও ব্রাঞ্চেস কন্ট্রোল ডিভিশনের প্রধান জয়নাল আবেদীন।
এ সময় ব্যাংকের বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রধান ও বিভাগীয় প্রধানগণসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহের ব্যবস্থাপক ও উপশাখার ইনচার্জবৃন্দ ভার্চুয়ালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।
নতুন ৫ টি উপশাখা হচ্ছে- নওগাঁর নজিপুরে, দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে, চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি, নতুনহাট এবং পটিয়ার থানার মোড়ে।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
চট্টগ্রামে এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশ্ব হার্ট দিবস উদযাপন

বন্দর নগরীর বৃহত্তম হাসপাতাল এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রামের উদ্যোগে বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৩ উদযাপন করা হয়েছে। আলোচ্য দিবস উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি হৃদরোগ বিষয়ে সচেতনতামূলক স্বাস্থ্য আলোচনা এবং র্যালির আয়োজন করে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এবারের হার্ট দিবসের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘হৃদয় দিয়ে হৃদয়কে জানুন।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা এবারের প্রতিপাদ্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং মতামত ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। তারা হৃদরোগের প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।
হৃদরোগ ও কার্ডিওভাসকুলার রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শেখ মো. হাসান মামুন বলেন, হৃদরোগ একটি নীরব ঘাতক, এবং এটির ঝুঁকির কারণ এবং লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর জীবনধারা পছন্দ করার মাধ্যমে, আমরা আমাদের ঝুঁকি কমাতে পারি।

হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. জহিরুদ্দিন মাহমুদ ইলিয়াস বলেন, আমাদের হার্টের স্বাস্থ্য জানা এবং নিয়মিত চেকআপ করা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি কোনো সমস্যা তাড়াতাড়ি শনাক্ত করি, তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেতে পারি এবং গুরুতর জটিলতা প্রতিরোধ করতে পারি।
আরেক সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. তারিক বিন আব্দুর রশিদ বলেন, হৃদরোগ একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং ধূমপান ত্যাগ করার মতো জীবনধারা পরিবর্তন করে, আমরা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারি।
কার্ডিওথোরাসিক এবং ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং কোঅর্ডিনেটর ডা. আসিফ আহমেদ বিন মইন বলেন, যদি আপনার হৃদরোগের ঝুঁকির কারণ থাকে, যেমন উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, বা ডায়াবেটিস, তাহলে আপনার ঝুঁকি কমাতে হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায়গুলি সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের ‘হোয়াইট ক্যাপ-২’ সম্পন্ন

সফলভাবে প্রজেক্ট ‘হোয়াইট ক্যাপ-২’ সম্পন্ন করলো জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ঢাকা ওয়েস্ট।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার রামপুরার সপ্তবর্ণ বিদ্যানিকেতন স্কুলে ৫ সেশন পরিচালনার মাধ্যমে এর কার্যক্রমের ইতি ঘটে। সমাজের পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের আইসিটি শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগের অংশ জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের এই প্রকল্প।
অনুষ্ঠানটিতে মোট ৬০জন শিক্ষার্থীকে সার্টিফিকেট ও উপহার দেওয়া হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেসিআই বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আলতামিশ নাবিল। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের লোকাল প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মাহমুদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের দুই ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জহিরুল ইসলাম মোহসান ও এস এম বেলাল উদ্দিন, জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের লোকাল ট্রেজারার মো. তানভীর হাসান ও জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের লোকাল ডিরেক্টর ও প্রজেক্ট ডিরেক্টর ইব্রাহীম খলিল ফয়সাল।
প্রকল্পটি সম্পর্কে জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের ২০২৩ লোকাল প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মাহমুদুর রহমান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে ‘প্রজেক্ট হোয়াইট ক্যাপ-২’ একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস। সমাজের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের আইসিটিতে দক্ষ করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। গত বছরের মতো এবারও আমরা সফলতার সঙ্গে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পেরেছি।

উল্লেখ্য, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ১৮–৪০ বছর বয়সী উদ্যমী তরুণদের একটি সংগঠন। জেসিআইর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্ট লুইসে অবস্থিত। ১২০টিরও বেশি দেশে এর কার্যক্রম রয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে জেসিআইয়ের প্রায় ৪০টির বেশি আঞ্চলিক শাখা কাজ করছে। এর মধ্যে জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট সবচেয়ে বড় এবং পুরনো।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে রূপালী ব্যাংকের দোয়া মাহফিল

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে রূপালী ব্যাংকে আলোচনা, বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মৌলভীবাজারে ব্যাংকের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের আওতাধীন সকল জোনাল ম্যানেজার এবং শাখা ব্যবস্থাপকদের অংশগ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া করা হয়।
এ সময় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের নির্মাতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন এ বছর আমরা ঢাকার পাশাপাশি সিলেট অঞ্চলেও পালন করছি তার কারণ, আমরা চাই ঢাকার বাইরের ব্যাংকাররাও জানুক একটি দেশ উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাঁর পরিশ্রমের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েসহ অনেকগুলো মেগা প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতায় আজ স্বপ্ন থেকে বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
মিলাদ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আব্দুর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আমীর হোসেন। এ সময় ব্যাংকের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক, সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও শাখা ব্যবস্থাপকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
মাছের চাষ বাড়াতে সহায়তা করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও সিএনআরএস

টেকসই এবং জলবায়ুবান্ধব মাছ চাষ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে অংশীদারিত্ব করেছে সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ।
যৌথ প্রকল্পের অংশ হিসেবে শিগগিরই দেশের দক্ষিণ উপকূলে বসবাসকারী ২ হাজার মাছ চাষীদের জন্য মানসম্মত পোনা, বিশেষ করে জেনারেশন থ্রি বা জিথ্রি রুইয়ের উৎপাদন ও সহজলভ্যতা বৃদ্ধি করতে উভয় প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। বাংলাদেশের কার্পজাতীয় মাছের মধ্যে রুই সর্বোচ্চ চাষকৃত প্রজাতি এবং জিথ্রি রুই এই প্রজাতিরই জিনগতভাবে আরও উন্নত ও উচ্চ-ফলনকারী প্রজাতি।
এই প্রকল্প তিনটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে, যার প্রথমটি হলো পোনা বিতরণের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি, যাতে ব্যবসায়ীরা আরও সহজে চাষীদের কাছে জিথ্রি রুইয়ের পোনা পৌঁছে দিতে পারে। দ্বিতীয় লক্ষ্যটি হলো মাছ চাষীদের প্রশিক্ষণের সুযোগ প্রদান, যাতে তারা জিথ্রি রুইয়ের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে। তৃতীয় লক্ষ্যটি হলো মাছ চাষের ভ্যালু চেইনকে আরও সুসংগঠিত করা, যেখানে চাষীরা বাজার সংক্রান্ত তথ্য, সহায়তা পরিষেবা এবং খুচরা ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারবে।
জিনগতভাবে উন্নত মাছের প্রজাতি এবং জলবায়ু-স্মার্ট প্রযুক্তির ক্রমাগত প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে প্রকল্পটি বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সংস্থার সাথেও কাজ করছে।
প্রকল্পের অংশ হিসেবে চাষীদের মধ্যে ৩০ টন জিথ্রি রুই পোনা বিতরণ করা হবে। এর মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের দুটি বিভাগের ২ হাজার চাষী প্রতিবছর আনুমানিক ৬০০ টন বিক্রয়যোগ্য জিথ্রি রুই উত্পাদনে সক্ষম হবে। প্রকল্পটি পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং এন্ড-টু-এন্ড ভ্যালু চেইনের মাধ্যমে স্থানীয় ক্ষমতায়ন নিশ্চিতের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করবে।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি তীব্র জলবায়ু-পরিবর্তনের সম্মুখীন হচ্ছে, আর সেটি বিবেচনায় মাছ চাষাবাদের দীর্ঘমেয়াদী টেকসই ও পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। জিনগতভাবে উন্নত জিথ্রি রুই দেশব্যাপি কৃষক ও ভোক্তাদের জীবনমান উন্নত করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। দেশের জলবায়ু-প্রভাবিত চাষীদের কল্যাণে সিএনআরএস এর সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা গর্বিত এবং এর মাধ্যমে মৎস খাত আরও পুষ্টিকর, নিরাপদ ও সহজলভ্য হয়ে উঠবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এম. মোখলেসুর রহমান, পিএইচডি বলেন, প্রযুক্তির কল্যাণে জলবায়ু-প্রভাবিত দরিদ্র মৎসচাষীদের সাহায্যে বিনিয়োগ করায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাণীজ-প্রোটিন নিশ্চিত হবে, যা শিশুদের অপুষ্টির হার কমাতে এবং চাষী পর্যায়ে অর্থনৈতিক আয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এই উদ্যোগ শুধু দক্ষিণাঞ্চল নয়, আগামীতে দেশব্যাপি পরিচালনা করে হবে, যা সার্বিক খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে। এই যাত্রায় আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও এর চর্চায় সাহায্য করায় ওয়ান সিজিআইএআর অ্যান্ড ওয়ার্ল্ডফিস’র বিশেষ উদ্যোগ এশিয়ান মেগা ডেল্টাস (এএমডি) এবং প্রতিবেশ ইকোসিস্টেম অ্যাক্টিভিটিস-কে অসংখ্য ধন্যবাদ।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয় এবং সিএনআরএসের পক্ষ থেকে সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এম. মোখলেসুর রহমান, পিএইচডি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
দীর্ঘ ১১৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকই দেশের একমাত্র বহুজাতিক ব্যাংক। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক জাতির কল্যাণে, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণে, এবং পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে দেশের বাণিজ্য ও উন্নয়ন যাত্রার দীর্ঘস্থায়ী গর্বিত অংশীদার। টেকসই ও সমতার আদর্শকে কেন্দ্রে রেখে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দ্য সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্বীকৃত পরিবেশবাদী জাতীয় এনজিওগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ ফ্লাড অ্যাকশন প্ল্যান (ফ্যাপ১৬) এনভায়রনমেন্টাল স্টাডি থেকে সংস্থাটির সূত্রপাত এবং ১৯৯৪ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সিএনআরএস দারিদ্র-বিমোচন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন সাধনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে কাজ করছে।
অর্থসংবাদ/এমআই