জাতীয়
অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের সব ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ, ভীতিহীন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহায়তা দেওয়ার সব ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তার সময়ে কোনো নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি।
বুধবার (১৪ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এ দিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান বাংলাদেশের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। সংবিধানের ১১৮ (৪) অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন এবং কেবল এই সংবিধান ও আইনের অধীন হইবেন’। এছাড়া ১২৬ অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে’। আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, তখনই সুষ্ঠু, অবাধ, ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন যাতে স্বাধীনভাবে দায়িত্বপালন করতে পারে সেজন্য সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ, ভীতিহীন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহায়তা দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০১২’ প্রণয়ন করেছি। এই আইন অনুযায়ী ০৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী, নিরপেক্ষ এবং প্রশাসনিক ও আর্থিকভাবে স্বাধীন নির্বাচনকালীন নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি কর্মকর্ত/প্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত হবে। নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করে যাবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনে যা যা করার তার সবকিছু করবে। আমরা দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষককে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। যারাই পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় তারা পাঠাতে পারবে।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগ সবসময়ই দেশে ওয়েস্ট মিনিস্টার স্টাইল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্রের ইতিহাস। মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার ইতিহাস। জাতির পিতাকে হত্যার পর ১৯৮১ সালে ১৭ মে বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম পদার্পণ করি। তারপর থেকে স্বৈরতন্ত্রকে উৎখাত এবং গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম করেছি। জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন, হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার যাতে কেউ কেড়ে নিতে না পারে, তা রক্ষায় কাজ করেছি। আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেটের ওপর বিশ্বাসী। জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে। এটা জনগণের ক্ষমতা। আমাদের সরকার জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও ক্ষমতা দখল করতে আসেনি বরং জনগণকে এ অধিকার ফিরিয়ে দিতে এসেছে, যাতে জনগণ তাদের সরকার বেছে নিতে পারে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার। এছাড়া নির্বাচন কমিশন আইন ২০২২ এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে আমাদের সরকার যা যা আবশ্যক সে সকল বিধি করবে। ইতোমধ্যে যতগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জাতীয় সংসদের শূন্যপদের নির্বাচন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নির্বাচন/উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে স্বাধীনভাবে এসব নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছে। সরকারের সকল দপ্তর/বিভাগ এতে সহযোগিতা করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকারের সময়ের কোনো নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। আমরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করতে পেরেছি। নির্বাচনে জনগণ যাকে ভোট দিয়েছে, সেই নির্বাচিত হয়েছে। বিএনপির আমলে অনুষ্ঠিত ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো বিতর্কিত নির্বাচন কখনও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়নি এবং হবেও না। দেশের জনগণ যাতে তাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে, সে লক্ষ্যে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন স্বাধীন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে আমাদের সরকার সদা প্রস্তুত রয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
পোশাকের দাম বাড়ানোর আহ্বান বিজিএমইএর

শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়াতে আগামী ডিসেম্বর থেকে ব্র্যান্ডের পোশাকের মূল্য বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি পক্ষ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং ক্রেতাদের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি বোর্ড বর্তমান ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা করার জন্য কাজ করছে। বোর্ড ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সভা করেছে এবং বর্তমানে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করছে। তারা কারখানা পরিদর্শন করে শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
তিনি বলেন, এ বছরের নতুন ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হবে। বেশ উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হবে। ন্যূনতম মজুরি বোর্ড একটি স্বাধীন সংস্থা, যেখানে শ্রমিক, মালিক এবং স্বাধীন গোষ্ঠীর সমান প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এটি স্বাধীনভাবে কাজ করে, তাই মজুরি বৃদ্ধি সম্পর্কে অনুমান করা আমার পক্ষে কঠিন। কিন্তু আমাদের কর্মীদের জীবনযাত্রার মান এবং ব্যয় এবং মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনা করে ১ ডিসেম্বর থেকে উৎপাদিত অর্ডারগুলোর জন্য বর্তমান মূল্য আলোচনায় যুক্তিসংগত মূল্য বৃদ্ধি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছি। এটি একটি নতুন মজুরি স্কেলে একটি মসৃণ রূপান্তরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসাকে সহজ ও দক্ষ করার জন্য আমরা সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সাম্প্রতিক অতীতে আমাদের কিছু পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই ফলাফল এনেছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি কার্গো ট্রেন এবং স্থল কাস্টম বন্দরে উন্নত গুদামজাতকরণ ক্ষমতা উন্নত বাণিজ্য সরবরাহের জন্য একটি গেটওয়ে খুলে দিয়েছে।

ফারুক হাসান বলেন, সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির জন্য বাধ্যতামূলক ফিউমিগেশনের নিয়মও মওকুফ করেছে। একই সঙ্গে এফওসি ভিত্তিতে কাঁচামাল আমদানির নিয়ম ৪ মাস থেকে ৬ মাস শিথিল করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি মেগা অবকাঠামো প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে এবং আমরা এই বছরের শেষ নাগাদ ঢাকা বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল চালু হওয়ার অপেক্ষায় আছি। আরও সংস্কার ও মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। এগুলো আগামী দিনে আমাদের ব্যবসায় আরও গতি যোগ করবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৮৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৮৯ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১০০ জন। এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ২৮০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৬৯৬ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৫৮৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৯৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৬ হাজার ৬২২ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৩০৭৭ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪৪ জন। ঢাকায় ৭২ হাজার ৩৩৭ এবং ঢাকার বাইরে ৯৬ হাজার ২০৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৮৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন ইসিসচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, বাজেট স্বল্পতার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অফিস সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা নির্বাচনের জন্য পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইইউর ছয় সদস্যের একটি প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল গত ৮ থেকে ২৩ জুলাই বাংলাদেশ সফর করেন। প্রতিনিধি দলটি মূলত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিকস ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো মূল্যায়ন করে।
ইইউয়ের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের সরকারের প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। দীর্ঘ সফরে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কী ধরনের গুণগত পার্থক্য তৈরি হয়েছে, তা বোঝার চেষ্টা করে ইইউ মিশনের এই প্রতিনিধি দল। সেই সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ ও দলগুলো অংশগ্রহণ করবে কি না তা জানার চেষ্টা করে।
পর্যবেক্ষক দলটির তৈরি করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ইইউ’র তরফ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে ইতোমধ্যে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। ইইউ সদরদপ্তর ব্রাসেলস থেকে আজ বা আগামীকালের মধ্যে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসতে পারে।

বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসিসচিব জাহাংগীর আলম বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মেইলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন।
সেই মেইলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে যে, তারা গত জুলাই মাসের ৬ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে সভা করেছেন। সেইজন্য তারা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। তবে তাদের ২০০২২-২৩ অর্থ বছরের পূর্ণাঙ্গ টিম পাঠানোর যে আর্থিক বাজেটের বিষয়টি রয়েছে, সেটার কারণে তারা বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ টিম পাঠাতে পারবেন না। আমাদের (নির্বাচন কমিশন) সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন বলেও চিঠিতে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ইসিসচিব বলেন, তারা আমাদের দেশে এসেছিলেন, আমাদের দেশের অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন।
নির্বাচনের যে সময়, ওই সময়ে তাদের যে আর্থিক ব্যবস্থাপনা রয়েছে। এই সমস্ত কারণে তারা পূর্ণাঙ্গ দল নাও পাঠাতে পারে। তবে ছোট টিম আছে, আমাদের দেশে যারা আছেন তাদের দিয়ে করবেন কি না এই বিষয়ে তারা কিছু বলেননি।
জাহাংগীর আলম আরো বলেন, ইইউ নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কার কথা জানায়নি। তারা এটাও বলেছেন যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কার কথা চিঠিতে উল্লেখ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাংঙ্গীর আলম বলেন, চিঠিতে এই জাতীয় কোনো শব্দের উল্লেখ নাই। বাইরে যদি একটি কথার সাথে ডালপালা মিলিয়ে কেউ যদি বলে থাকে…।
এমন সিদ্ধান্ত নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসিসচিব বলেন, এটি সিইসি ভালো বলতে পারবেন। আর তারা পূর্ণাঙ্গ কথাটি উল্লেখ করেছেন। কাজেই ছোট দল পাঠাবে, নাকি এই দেশে যারা আছেন তারাই (পর্যবেক্ষণ) করবেন… কেননা, তারা যোগাযোগ অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন। সিইসি আমাকে তাদের মেইলের বিষয়টি জানাতে বলেছেন। আমি সেটুকুই জানি।
জাহাংগীর আলম বলেন, পূর্ণাঙ্গ দল বলতে ২০-২৫ জনের একটি দল, তার সঙ্গে ক্যামেরা, স্যাটেলাইটসহ অনেক আর্থিক ব্যয় থাকে। বাজেট এলে তারা অন্য দল পাঠাবেন কি না; ছোট দল কি না, তাও মেইলে বলেননি। তারা পূর্ণাঙ্গ দল পাঠাবেন না, তা যে বাজেটের জন্য, সেটি বলেছেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভারতে প্রথম চালানে গেল ৪৫ টন ইলিশ

শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে প্রথম চালানে ৪৫ টন ৮০০ কেজি ইলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না আসায় আর কোনো মাছের চালান রপ্তানি করতে পারেননি রপ্তানিকারকরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কাস্টমস ও মৎস্য দপ্তরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ইলিশের ট্রাক প্রবেশ করে। এর আগে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ৭৯ প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে।
আজ যে ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে তার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, তানিসা এন্টারপ্রাইজ, সেভেন স্টার ফিশ প্রসেসিং, রিপা এন্টারপ্রাইজ ও প্যাসিফিক সি ফুড।
ভারতের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নাম এস আর ইন্টারন্যাশনাল, নাজ ইমপেক্স প্রাইভেট লিমিটেড, বিমল রায় ও বারখা বিকাস ফিশ এজেন্সি। প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ১০ মার্কিন ডলারে রপ্তানি হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, ইলিশ মাছ রপ্তানি নিষিদ্ধ হলেও দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবার তিন হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এসব ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশের ৭৯টি প্রতিষ্ঠান।

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ইলিশের প্রথম চালানে ১২টি ট্রাকে করে ৪৫ টন ৮০০ কেজি মাছ ভারতে প্রবেশ করেছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ইলিশ রপ্তানি হবে। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সব ইলিশ রপ্তানির নির্দেশনা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের কাছে প্রিয় হলেও দেশের চাহিদা বিবেচনায় বিভিন্ন সময় তা রপ্তানি বন্ধ রাখে বাংলাদেশ সরকার।
২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে এরপর বাংলাদেশ সরকার একাধিকবার ভারত সরকারকে শুভেচ্ছা উপহারস্বরূপ ইলিশ দিয়েছে। ২০২১ সালে দুর্গাপূজায় ১১৫ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ভারতে চার হাজার ৬০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সে সময় ইলিশ সংকট ও রপ্তানি মূল্যের চেয়ে কেনা মূল্য বেশির কারণে এক হাজার ১০৮ টন ২৮০ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়। একই কারণে ২০২২ সালে দুই দফায় ৫৯টি প্রতিষ্ঠানকে মোট দুই হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়।
গত বছর ইলিশ রপ্তানি হয় ১৩০৬.৮১৩ মেট্রিক টন। অর্থাৎ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া রপ্তানি আদেশের ৪৪ ভাগ ইলিশ ভারতে যায়। অনেক প্রতিষ্ঠান মাছ না পেয়ে ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। তার পরও পদ্মার ইলিশ পেয়ে ওপারের অনেকে খুশি। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে শুরু হচ্ছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সেরা উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। অনেক ভোজনরসিক পদ্মার ইলিশের স্বাদ নিতে অপেক্ষায় থাকেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঢাকায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সামিট শুরু

ঢাকায় প্রথম বাংলাদেশ ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সামিট-২০২৩ এবং ১০ম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী এই মেলা শুরু হয়।
আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া এ মেলা আগামী শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত চলবে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় প্রবেশমূল্য ৩০ টাকা। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করলে ছাত্রছাত্রীদের কোনও প্রবেশমূল্য লাগবে না। তবে প্রবেশ টিকিটের বিপরীতে সবার জন্য রয়েছে র্যাফেল ড্র এবং এয়ারলাইন্স টিকিটসহ বেড়ানোর জন্য আকর্ষণীয় গিফট ভাউচার ও পুরস্কার। মেলার এ বছরের থিম ‘কানেক্টিং রিজিওনাল ট্যুরিজম’।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলি, সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. রাহাত আনোয়ার প্রমুখ।
গত নয় বছরে এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার এ অঞ্চলের ভ্রমণপিপাসু মানুষ, শিল্প ও পর্যটন পেশাদারদের একত্রিত হওয়ার জন্য একটি প্রধান প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। মেলার পাশাপাশি স্থানীয় পর্যটনের গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সামিটে (বিটিডিএস) নানান সেমিনার এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, চীন, নেপাল, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম এবং দুবাইসহ একাধিক দেশের ১৫০টি পর্যটন সংস্থা এতে অংশগ্রহণ করেছে।

অর্থসংবাদ/এমআই