জাতীয়
বাংলাদেশে আরও সুইস বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করার জন্য সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বারসেটের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ নতুন বিনিয়োগের জন্য যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করেছে।
বুধবার (১৪ জুন) প্যালেস দেস নেশনসের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক কক্ষে সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালাইন বারসেটের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ভালো ব্যবসা করছি। আমরা প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করছি। আমরা সুইজারল্যান্ডে পণ্য রফতানি করছি। আমরা মূলত আরএমজি আইটেম রফতানি করছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ লাভের জন্য সুইজারল্যান্ডকে আরও তিন বছর সময় দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।’

প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বারসেটকে বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তাকে উদ্বাস্তু জীবনযাপন করতে হয়েছিল।
তিনি বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ভোট এবং খাদ্য লাভের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তার সংগ্রামের কথাও সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমার বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছি।’
এ কে আব্দুল মোমেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হচ্ছে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গারাও তাদের দেশে ফিরতে চায়। আমরা তাদের রাখতে পারি না। আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি অ্যালাইন বারসেটকে রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশে পাঠানোর জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় সহায়তা দেওয়ার অনুরোধ জানান।
সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বারসেট বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছেন যে তার দেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
হোটেলের সভাকক্ষে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গারা যাতে স্বদেশে ফিরে যেতে পারে, সেজন্য মিয়ানমারে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে ইউএনএইচসিআরের প্রতি আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সম্প্রতি কিছু রোহিঙ্গা নিজ দেশে গিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।’
জবাবে ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, ‘তারা চেষ্টা করছেন। মিয়ানমারে তাদের প্রবেশাধিকার আছে, কিন্তু তাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের পরিবেশ উন্নত করার চেষ্টা করবো।’
তিনি রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য ইউএনএইচসিআরের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
পরে প্রিন্স রহিম আগা খান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অর্থসংবাদ/বাসস/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
১৬ দিনের সফর শেষে দেশে প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি আজ (বুধবার) দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার।
মঙ্গলবার লন্ডন সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে (বিজি-২০৮) লন্ডন হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছান।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বেসরকারি খাতে ২২ মাসে সর্বনিম্ন ঋণ প্রবৃদ্ধি

বৈশ্বিক চলমান সংকটে শিল্প প্রতিষ্ঠানের উপর বেশ প্রভাব পড়েছে। কেউ কেউ খরচ কমাতে ব্যবসার আকার সীমিত করে নিচ্ছেন। আবার দেশে ডলার সংকটের জন্য আমদানির কড়াকড়িতে অনেকে পর্যাপ্ত কাঁচামাল ক্রয় করতে পারছেন না। ফলে বেসরকারি খাতে আগের তুলনায় ঋণ বিতরণ কমে এসেছে। গত আগস্টে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে ২২ মাসের সর্বনিম্নে নেমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত জুলাই মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, যা আগস্টে কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। বেসরকারি খাতের ঋণে এই প্রবৃদ্ধি গত ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ ক্ষেত্রে যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল, এটি তার চেয়ে ১ শতাংশের মতো কম। এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে বেসরকারি খাতের ঋণে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এরপর কখনোই তা ১০ শতাংশের নিচে নামেনি।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, বেসরকারি খাতের ঋণের বড় অংশ ব্যয় হয় আমদানিতে। তবে ডলার-সংকটের কারণে চাহিদামতো ঋণপত্র (এলসি) খোলা যাচ্ছে না। তাই আমদানি কমে গেছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কায় এখন কেউ নতুন করে প্রকল্প নিতে চাইছেন না। ফলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুনের শেষে বেসরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। তখন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ঋণে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এরপর জুলাইয়ে ঋণ কমে ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকায় নামে। তাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমে হয় ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। গত আগস্টে ঋণ বেড়ে হয়েছে ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। ফলে ঋণের প্রবৃদ্ধি আগস্টে আরও কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাই থেকে আগস্ট—এই এক মাসে বেসরকারি খাতের ঋণ বেড়েছে ৯ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। আর জুন থেকে জুলাইয়ে ঋণ কমেছিল ৮ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। বর্তমান মুদ্রানীতিতে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ।

এদিকে জুলাই থেকে নতুন পদ্ধতিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, যা স্মার্ট বা সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জুলাইয়ে স্মার্ট রেট ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, যা আগস্টে বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। ফলে ব্যাংকঋণের সুদহার বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ। সেপ্টেম্বের স্মার্ট রেট বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ২০ শতাংশ। ফলে চলতি মাসে সুদহার বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। আগে ব্যাংকঋণের সুদহার ছিল সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। ঋণের সুদ বৃদ্ধির ফলেও চাহিদা কিছুটা কমেছে।
দেড় বছর ধরে দেশে ডলারের সংকট চলছে। এতে ডলারের দাম ৮৫ থেকে বেড়ে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় উঠেছে। মাঝে ডলারের দাম বাড়ার কারণেও বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়েছিল। কারণ, প্রতি ডলারে খরচ ২৫ টাকার বেশি বেড়ে গিয়েছিল। তবে এখন আমদানি ঋণ কমে যাওয়ায় বেসরকারি ঋণ কমে গেছে বলে ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দুপুরে দেশে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষ করে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট (বিজি-২০৮) মঙ্গলবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে (লন্ডন সময়; বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১০ মিনিট) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়।যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
ফ্লাইটটি ৪ অক্টোবর (বাংলাদেশ সময়) বেলা ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছান।
লন্ডনে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত অবস্থান করেন শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে দেয়া এক সংবর্ধনায় যোগ দেন ২ অক্টোবর। এ দিন বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ে গঠিত অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী রুশনারা আলী এমপির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্টজনের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশন এবং এর ফাঁকে অন্যান্য উচ্চ-পর্যায়ের ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঋণ খেলাপিতে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় বাংলাদেশ

খেলাপি ঋণ একটি দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা সৃষ্টি করে। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে খেলাপি ঋণের হার কমলেও বাংলাদেশে বাড়ছে আশঙ্কাজনকহারে। দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণের হার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাংলাদেশে। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দুর্দশায় থাকা শ্রীলঙ্কা। এমনকি উচ্চ মূল্যস্ফীতির পাকিস্তানও ঋণ খেলাপিতে বাংলাদেশ থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত রোববার খেলাপি ঋণের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, দেশে খেলাপি ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। জুন শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা, যা এপ্রিল-জুন সময়ে ২৪ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা বেড়েছে।
বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে মোট ঋণের ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কায় খেলাপি ঋণের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। পাকিস্তানে তা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।
ভারতে খেলাপি ঋণের হার অনেক কম। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ভারতে খেলাপি ঋণের হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) ধারণা হলো, ভারতে আগামী বছর খেলাপি ঋণের হার ৩ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে।
বিশ্বব্যাংক বিভিন্ন দেশে খেলাপি ঋণের হিসাব তাদের ওয়েবসাইটে তুলে ধরে। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের হার নিয়মিত বাড়ছে। যেমন ২০১৩ সালে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৪ দশমিক ৮ শতাংশ; পরের বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে তা একলাফে ৯ দশমিক ৪ শতাংশে উঠে যায়।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি দাঁড়ায় ২০১৮ সালে। এরপর কিছুটা কমে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, এখন আবার খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে।
ভারতে খেলাপি ঋণের চিত্রও আছে বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে। তাদের হিসাবে, ২০১৭ সালে ভারতের খেলাপি ঋণ ছিল মোট ঋণের ১০ শতাংশ, যা কমতে কমতে ২০২১ সালে সাড়ে ৬ শতাংশে নামে।
বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) পাকিস্তানে খেলাপি ঋণ ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। উল্লেখযোগ্য দিক হলো, দুর্দশার মধ্যেও দেশটিতে খেলাপি ঋণ কমেছে। আগের বছরের একই সময়ে পাকিস্তানে খেলাপি ঋণ ছিল ৭ দশমিক ৮ শতাংশ।
নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, দেশটিতে খেলাপি ঋণ বাড়ছে, তবে হার এখনো কম। সেটা ৩ শতাংশের আশপাশে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে মালদ্বীপের খেলাপি ঋণ ছিল ৬ শতাংশের কম। ভুটানের ক্ষেত্রে এই হার ছিল ৮ শতাংশের নিচে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কিছুটা কমিয়ে এনেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, এ অর্থবছর জিডিপি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য তিনটি চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি দেখছে তারা। নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। মূল্যস্ফীতি সহসা কমছে না।
আগারগাঁওস্থ সংস্থাটির ঢাকা অফিসে আজ ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক প্রতিবেদনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
বিশ্বব্যাংক বলছে, দেশে ২০২৫ সালে পাঁচ দশমিক আট শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতে ছয় দশমিক তিন ও মালদ্বীপে পাঁচ দশমিক দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কায় প্রবৃদ্ধি ছিল নেতিবাচক, মাইনাস তিন দশমিক আট শতাংশ। ২০২৪ সালে দেশটি ঘুরে দাঁড়াবে এবং প্রবৃদ্ধি হবে এক দশমিক সাত শতাংশ।
ঊর্ধ্ব মূল্যস্ফীতির হার, বর্হিখাতের চাপ ও আর্থিক খাতের দুর্বলতা ও অনিশ্চয়তার চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
এর আগে বাংলাদেশের ২০২১-২২ অর্থবছরে সাত দশমিক এক ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক।

অর্থসংবাদ/এমআই