জাতীয়
স্মার্ট নেটওয়ার্ক নির্মাণে রয়েছে দক্ষ জনবল, প্রয়োজন বাস্তবায়ন

প্রযুক্তি শুধু উদ্ভাবন করতে নয় বরং এই উদ্ভাবিত প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে দক্ষ জনবল রয়েছে ঠিকই, তবে এখন বাস্তবায়নের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান।
বুধবার (১৪ জুন) ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটস (আইডিয়া) ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ, এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই ও বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম (বিবিএফ)-এর সহযোগিতায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক’ উদ্বোধনী সেমিনারে স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে অব্যাহত রাখতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সরকারী-বেসরকারী সংস্থাসমূহ কাজ করে যাচ্ছে। দারিদ্রতা সর্বনিম্ন রাখা, ক্যাশলেস সোসাইটি নির্মাণে পেপারলেস বাণিজ্য, সর্বস্তরে শিক্ষার প্রসার, উচ্চ শিক্ষায় উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ব্যবহার ও সকলের বিষয়গত চাকুরি নিশ্চিতসহ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা, প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিতে সমৃদ্ধি অর্জনসহ নানামুখী উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রযুক্তির প্রসার অবশ্যম্ভাবী।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক, সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সাবেক চেয়ারম্যান এবং আইডিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী এম. আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের মূল কাজ হলো একত্রিত করা, যেখানে সবাই একত্রে কাজ করে যা একটি টেকনোলজি হাব হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে সবাই নিজেদের প্রয়োজনে পরামর্শজনিত সুযোগ সুবিধাসহ ভোগ করতে পারবে। আমাদের প্রত্যেকটা নাগরিককে প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ করে তার দৈনন্দিন আর্থিক লেনদেনে সেই প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করে দিয়ে স্মার্ট নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। এছাড়াও, সঠিক সময়ে উন্নয়নের ধারা প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত যাতে পৌঁছাতে পারে এবং সবাই যাতে উপকৃত হতে পারে সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এই লক্ষ্যে বেসরকারী খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের দেশের এই উদ্যোগ গ্রহণে সব ধরণের দক্ষতা রয়েছে কিন্তু তার সফল বাস্তবায়নে বেসরকারী খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।

মূল প্রবন্ধ ও নেটওয়ার্কের বিস্তারিত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী এবং আইডিয়া ফাউন্ডেশনের উপ মহাসচিব ও প্রধান গবেষক হোসাইন এ. সামাদ।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন আইডিয়া ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন মুখ্য সচিব এবং মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো. আবুল কালাম আজাদ, আইডিয়া ফাউন্ডেশনের মহাসচিব ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, বিডা’র চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এবং আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন।
সেমিনারে, ২০৪১ সালে ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ ও ২১০০ সালের ‘নিরাপদ ও পরিকল্পিত বদ্বীপ’সহ স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ এবং স্মার্ট অর্থনীতিতে- এই চার মূল স্তম্ভের ওপর সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় টেকসই উন্নয়ন যা সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথকে সহজতর এবং এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটালাইজেশনের গুরুত্ব এবং এর পরিষেবায় সকলের অংশগ্রহণ ও ব্যবহার প্রসঙ্গে আলোচনা করেন বক্তারা। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত ও পরামর্শ প্রদানের জন্যে আইডিয়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মতামত সমূহ বিবেচনা করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, ইনোভেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েটস (আইডিয়া) ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহযোগীদের একটি সংস্থা, যারা স্বাধীন গবেষণা, নীতি বিশ্লেষণ, অ্যাডভোকেসি, উপদেষ্টা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে নিযুক্ত।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
ডেঙ্গুতে আরও ১৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৯৫০

গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ২ হাজার ৯৫০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭২৬ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২২৪ জন। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ৯৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৫৩৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৪২৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮১ হাজার ২১৬ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৬১৫ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯০৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৭ হাজার ৫৪ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৮ হাজার ৮৫২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৯৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পড়বে না। ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তারা কাকে ভিসা দেবে, কাকে দেবে না, এটা তাদের ব্যাপার।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নওগাঁর নিয়ামতপুরে শিবপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কোনো ঘাটতি নেই। আগে যেমন ছিলো এখনও তেমনই আছে। বিষয়টি নিয়ে একটি মহল বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।
তিনি বলেন, তাদের দেশের ভিসা নীতি, আমাদের এখানে কেন প্রভাব পড়বে? আগেও তো ভিসা চাইলেই সবাইকে দিত না। মানে, এটা তো সে রকমই। তারা অন্য কিছু বলেনি। বলেনি তো অমুক দল, অমুক সংগঠনকে যেতে দেবে না। কাজেই এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পর্যটনকেন্দ্রের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে

পর্যটনকেন্দ্রের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আমরা এরইমধ্যে সেন্টমার্টিনকে প্লাস্টিক মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি, সামনে কক্সবাজারেও এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে যথাযথ ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশের সৌন্দর্য তুলে ধরে দেশে-বিদেশে পর্যটকদের আকর্ষিত করতে হবে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মুজিবস বাংলাদেশ প্রচারণার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। ট্যুরিজম বোর্ডের আয়োজনে চারদিনব্যাপী এই মেলা এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পর্যটনে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ’। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এই মেলা চলবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে পর্যটনের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। অবকাঠামোসহ প্রয়োজনীয় উন্নয়নের মাধ্যমে বিদেশি পর্যটকদের আনতে হবে। আমাদের ট্যুরিজমের সব ঐতিহ্য রয়েছে। এটাকে আমাদের অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে। বিদেশি টুরিস্টরা আমাদের দেশে এসে যে অর্থ ব্যয় করবে, সেটি জাতীয় অর্থনীতিতে যুক্ত হবে।
তিনি বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বিভিন্ন কার্যক্রম করা যায় তবে বিদেশ পর্যটকরা আরও বেশি পরিমাণে আগ্রহী হবে। ঢাকা সিটিতে পর্যটকদের জন্য বাস ট্যুরের আয়োজন করা যেতে পারে। নদী পথেও একটি ট্যুরের আয়োজন করা যেতে পারে। আমি মনে করি এটি আমাদের জন্য অনেক কার্যকর হবে।

স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি। আমাদের দেশে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য অন্য দেশের বৈচিত্র্য থেকে অনন্য। আমাদের দেশে যে ছয় ঋতুর বিবর্তন ঘটে, সেটিও অন্য দেশের তুলনায় আকর্ষণীয়। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ পর্যটনের অনন্য ডেস্টিনেশন।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, জিডিপির ১০ ভাগ পর্যটন খাত থেকে আসে। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রথম ক্ষমতায় আসেন, তখন সাপ্তাহিক ছুটির দিন একদিন থেকে বাড়িয়ে দুদিন নির্ধারণ করেন। সেই দুদিন ছুটি থেকে পর্যটন খাতে মানুষের যে আগ্রহ তৈরি হলো সেটি কিন্তু এখনো মানুষ ধরে রেখেছে। শুধু ছুটির দিন ঘোষণা করলে পর্যটন হবে না। পর্যটনের জন্য অনেক কর্মকাণ্ড তৈরি করতে হয়। পর্যটনে মানুষ তার দৈনন্দিন জীবন থেকে একটু বৈচিত্র্য চায়। মানুষকে সেই ব্যবস্থাটা করে দিতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. রাহাত আনোয়ার, পরিচালক জামিল আহমেদ প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পর্যটন শিল্পের প্রসারে কাজ করছে সরকার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার পর্যটন শিল্পের যথাযথ গুরুত্ব অনুধাবন করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই শিল্পের প্রসারে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্য অর্জনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমাদের সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বিভিন্ন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০১০ সালে জাতীয় পর্যটন উন্নয়ন নীতিমালা ঘোষণা করা হয়েছে-যাতে টেকসই পর্যটন উন্নয়নের লক্ষ্যে ইকো-ট্যুরিজম, কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজম, দায়িত্বশীল পর্যটনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পর্যটন শিল্পের কার্যকর উন্নয়ন দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।’
প্রধানমন্ত্রী বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৩’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত এবারের প্রতিপাদ্য ‘পর্যটনে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী মনে করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, পর্যটন শিল্পের জন্য শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ করে এই পৃথিবীর টেকসই অবকাঠামো এবং সবুজ রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে হবে। তাহলেই উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও উদ্যোক্তার মাধ্যমে পর্যটন শিল্পে সত্যিকারের সমৃদ্ধি আসবে। টেকসই পর্যটন উন্নয়ন ধারণা অনুসরণে জীববৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক পরিবেশ, স্থানীয় ঐতিহ্য ও কৃষ্টির পরিবর্তন না ঘটিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের উদ্যোক্তা এবং জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশের পর্যটনের বিকাশে সবাইকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।

পর্যটনের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনুধাবন করেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় পর্যটনকে গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করেন এবং ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সড়ক, রেল, বিমান ও নৌ যোগাযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাহাড়-পর্বত, অরণ্য, জীব-বৈচিত্র্য, সমুদ্র-সৈকত, নদ-নদী, বৈচিত্র্যময় আদিবাসী সংস্কৃতি, সমৃদ্ধ ও গৌরবময় ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, অতিথিপরায়ণ মানুষ অর্থাৎ বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের যেকোনো পর্যটককে আকৃষ্ট করার মতো সব উপকরণই বাংলাদেশে বিদ্যমান। পরিবেশ ও প্রতিবেশগত ভারসাম্য বজায় রেখে, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে স্থানীয় জনসাধারণকে পর্যটন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করে টেকসই পর্যটন নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে আমাদের দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকায় আসছেন সৌদি যুবরাজ

বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈশা ইউসেফ ঈশা আল-দুহাইলান জানিয়েছেন, আগামী বছর বাংলাদেশ সফর করবেন সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় সৌদি দূতাবাসে ৯৩তম সৌদি জাতীয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান।
ঈশা ইউসেফ ঈশা আল-দুহাইলান বলেন, দূতাবাস আগামী বছর ক্রাউন প্রিন্সকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে -ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ ‘আমাদের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান’ রেখেছে। এ দেশের স্থিতিশীল সরকার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে সম্পর্কটি আরও বেড়েছে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে সৌদি কোম্পানির উপস্থিতি ইতো মধ্যেই উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে।
বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ সুবিধা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসাও করেন তিনি।

এর আগে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান হজ উপলক্ষে মক্কায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনকে বলেছিলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে সর্বদা আগ্রহী।
সৌদি দূতাবাসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
অর্থসংবাদ/এসএম