আন্তর্জাতিক
শীঘ্রই বিশ্বের ১৫ শতাংশ বাজার দখলে নিবে চীন

বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির (ইভি) বাজার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের টেসলার পাশাপাশি চীনের বিভিন্ন কোম্পানিও এ ধরনের গাড়ি উৎপাদন করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিওয়াইডি, নিও ও লি অটো। কেপিএমজির অর্থনীতিবিদদের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সাল নাগাদ ইউরোপের ইভি বাজারে ১৫ শতাংশ হিস্যা থাকবে চীনা কোম্পানিগুলোর হাতে। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
সম্প্রতি চীনে অনুষ্ঠিত ফার্স্ট কার্বন নিউট্রালিটি এক্সপোয় প্রতিবেদন প্রকাশ করে কেপিএমজি। সেখানকার তথ্যানুযায়ী, গত বছর ইউরোপে ১২ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট ইভি বিক্রি হয়েছে। যেখানে চীনে উৎপাদিত গাড়ির অনুপাত মাত্র ১০ শতাংশ।
কেপিএমজি চায়নার প্রধান অর্থনীতিবিদ কেভিন ক্যাং বলেন, ‘ইউরোপের বাজারে বিওয়াইডি, এক্সপেং ও লি অটোসহ চীনের অভ্যন্তরীণ ব্র্যান্ডগুলোর ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানিগুলো ভবিষ্যতে বিক্রি বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে।’
চীনের পরে ইউরোপ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও দ্রুত বর্ধনশীল ইভি বাজার। ২০৩৫ সাল থেকে জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর গাড়ি বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। মূলত কার্বন নিঃসরণ কমানোর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ফলে এ সময় থেকে অঞ্চলটিতে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির চাহিদা ও বিক্রি উল্লেখজনকভাবে বাড়বে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা। কেপিএমজির তথ্যানুযায়ী, গত বছর ইউরোপে ক্রয়কৃত ১০ লাখ ইভির অর্ধেক সরবরাহ করেছে চীন। এর মধ্যে বিইভি, প্লাগ ইন হাইব্রিডস ও ফুয়েল সেল ভেহিক্যালও রয়েছে।
কেভিন ক্যাং বলেন, ‘চীনের ইভি উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো বিভিন্ন দেশে স্টোর ও কারখানা স্থাপন করেছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গ্রাহকদের জন্য পরিষেবা ও পণ্যের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলো তাদের পরিচিতির পাশাপাশি বাজার হিস্যাও বাড়াতে পারবে।’

কেপিএমজি জানায়, বিভিন্ন ধরনের গ্রাহক চাহিদার প্রেক্ষিতে চীনের ইভি নির্মাতারা একাধিক পণ্য বাজারজাত করছে। ২০২২ সালে ইউরোপে চাইনিজ ইভির গড় মূল্য ছিল ৩০ হাজার ডলার। যেখানে টেসলার সবচেয়ে সাশ্রয়ী মডেল ৩ এর দাম ৪৫ হাজার ডলার। গত বছর চীনের কোম্পানিগুলো গ্রাহকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ১৩৬টির বেশি মডেল বাজারে এনেছে। এর মধ্যে ১১০ বিইভি মডেলও রয়েছে।
ক্যাংয়ের মতে, বিশ্ব বাজার সম্পর্কে ধারণা ও বৈশ্বিক কৌশল সম্পর্কে অবগত না থাকায় এখন ইউরোপের গ্রাহকের কাছে সেভাবে নিজেদের তুলে ধরতে পারেনি চীনা কোম্পানিগুলো। উদাহরণস্বরূপ গত বছর ইউরোপের বাজার ভলভো, এমজি ও পোলস্টার বিইভি মডেল বিক্রির দিক থেকে শীর্ষ তিনে ছিল। যেখানে চীনের উৎপাদিত বিইভি মডেল বিক্রির হার ছিল ২ শতাংশেরও কম।
কেপিএমজি চায়নার অটোমোটিভ ইন্ডাস্ট্রির পার্টনার ইনচার্জ নর্বার্ট মেরিংয়ের মতে, চীনের ইভি উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো যদি তাদের উপস্থিতি বাড়াতে চায়, তাহলে স্থানীয় উৎপাদনকারীদের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে অথবা আরো কোম্পানি অধিগ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে চীনা কোম্পানিগুলোকে আরো কাস্টমার কেয়ার সেন্টার ও স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।’
গত বছর সবচেয়ে বেশি এনইভি বিক্রেতা কোম্পানি হিসেবে টেসলার জায়গা দখলে নেয় শেনজেনভিত্তিক বিওয়াইডি। গত মাসে এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি ফ্রান্সে কারখানা স্থাপনের কথা ভাবছে বলে জানায়। ইউরোপীয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সাল নাগাদ ইউরোপে প্রতি পাঁচটির মধ্যে তিনটি গাড়ি হবে বিদ্যুচ্চালিত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
চীনা সাফল্যের অংশীদার হতে ইচ্ছুক ইউরোপীয় কোম্পানি

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উদ্বেগের এ সময়ে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যকার টানাপড়েন স্পষ্ট। পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় দূরত্ব বাড়ছে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে। এ পরিস্থিতিতে গত সোমবার বেইজিংয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় অংশ নিয়েছে চীন। দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম সিজিটিএনের খবরে এটিকে অকপট ও বাস্তবসম্মত আলোচনা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ইইউর বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসও এ আলোচনা নিয়ে আশাবাদের কথা শুনিয়েছেন। তার ভাষায়, ‘ইইউ কোম্পানিগুলো চীনের সাফল্যের গল্পের অংশ হতে চায়। ফলে ব্যবসায়িক পরিবেশ নিয়ে আলোচনার জন্য আমাদের সময় ব্যয় করার তাৎপর্য রয়েছে।’
বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিল্প, সরবরাহ চেইন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে সহযোগিতা নিয়ে কথা বলেছেন উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা। চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হি লাইফাং বলেছেন, আলোচনায় যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে তার দেশ প্রস্তুত। এ আলোচনা উভয় পক্ষের কৌশলগত অংশীদারত্বকে এগিয়ে নেবে বলেও মত দেন তিনি।
হি লাইফাং চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি মনে করেন, দুই পক্ষের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এতে বৈশ্বিক প্রতিবন্ধকতাগুলো সফলভাবে মোকাবেলা করা অপেক্ষাকৃত সহজ।
ইইউ দীর্ঘদিন ধরে চীনে সবার সমান সুযোগ না থাকা এবং ব্যবসায়িক পরিবেশের রাজনীতিকীকরণের অভিযোগ করে আসছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি এখনো ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সরবরাহ চেইনের কেন্দ্রে রয়েছে। তবে চীনা অর্থনীতির উত্থান-পতন এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ায় ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

চীনা কাস্টমসের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে দেশটির সঙ্গে ইইউর বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২৭ হাজার ৬৬০ কোটি ডলার, যা এক বছর আগে ছিল ২০ হাজার ৮৪০ কোটি ডলার। পরে ইইউ থেকে আমদানির ব্যাপারে নিজেদের আগ্রহের কথা জানায় বেইজিং। বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হি লাইফাং বলেন, ‘চীন আশা করে ইইউ বাণিজ্য প্রতিকার ব্যবস্থা ব্যবহারে সংযম প্রদর্শন করবে।’
এর আগে ইউরোপিয়ান কমিশন ঘোষণা করেছিল, তারা সস্তা চীনা বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) আমদানি প্রতিহত করতে শুল্ক আরোপ করবে কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত করবে। ইভি খাতসহ অন্যান্য খাতেও প্রতিযোগিতার জন্য উন্মুক্ত। তবে প্রতিযোগিতাটি ন্যায্য হতে হবে। চীন তখন এ তদন্তকে সুরক্ষাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পর্যটন খাতে বিনিয়োগ বাড়াবে মরক্কো

ষাট বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মরক্কোর উপদ্রুত অঞ্চল। ৮ সেপ্টেম্বর ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির পর্যটন খাত। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে খাতটিতে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। সমুদ্রসৈকত ও থিম পার্কের উন্নয়নে বিনিয়োগকারীদের দেয়া হয়েছে বিশেষ সুবিধা। খবর দ্য ন্যাশনাল।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মরক্কান এজেন্সি ফর ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্টের প্রধান ইমাদ বাররাকাদ জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে উত্তর আফ্রিকার দেশটি পর্যটন খাতে বার্ষিক বিনিয়োগের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলারে উন্নীত করতে চায়। বর্তমানে মরক্কো প্রতি বছর ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পায়, যার ৮০ শতাংশই অভ্যন্তরীণ ও ২০ শতাংশ বিদেশী।
বিনিয়োগকারী আকর্ষণে পর্যটন খাতে মূলধন ব্যয়ের বিপরীতে ৩০ শতাংশ ক্যাশব্যাক দেবে মরক্কো।
মরক্কো পর্যটন খাতে ২০২৬ সালের মধ্যে দুই লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে চায়। খাতটি থেকে বৈদেশিক আয় অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার, যা ২০১৯ সালের তুলনায় দেড় গুণ। পুরো পরিকল্পনাটি ২০২৩-২৬ কৌশলপত্রের অন্তর্ভুক্ত।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইরাকে বিয়ের অনুষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১০০

ইরাকে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১০০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও দেড় শতাধিক মানুষ। দেশটির উত্তরাঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে নিশ্চিত করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে বর এবং কনেও রয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় নিনেভেহ প্রদেশের আল হামদানিয়া জেলায় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কী কারণে ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে প্রাথমিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আতশবাজি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
ইরাকের বার্তা সংস্থা নিনা একটি ছবি পোস্ট করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া স্থানীয় সাংবাদিকরা সামাজিক মাধ্যমে যেসব ছবি পোস্ট করেছেন সেখানে পুড়ে যাওয়া ইভেন্ট হলের ধ্বংসাবশেষ এবং সেখানকার পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
ইরাকের বেসামরিক প্রতিরক্ষা অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে নিনার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পুড়ে যাওয়া ভবনে থাকা দাহ্য প্যানেল সম্ভব আগুন আরও ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করেছে। এক কর্মকর্তা বলেন, স্বল্পমূল্যের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলে আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইভেন্ট হলের কিছু অংশ ধসে পড়ে।
বুধবার সকালেও সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে দেখা গেছে। জীবিতদের খোঁজে কাজ করে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ওই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। সে সময় শত শত মানুষ বিয়ের অনুষ্ঠানে আনন্দ করছিলেন।

প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর পরই সেখানে অ্যাম্বুলেন্স এবং মেডিকেল সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী।
ইতোমধ্যেই আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে হামদানিয়া শহরের একটি হাসপাতালে আহতদের রক্ত দিয়ে সহায়তা করতে অনেক মানুষকে জড়ো হতে দেখা গেছে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আগস্টে বৈশ্বিক ইস্পাত উৎপাদন বেড়েছে ২.২ শতাংশ

ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন বেড়েছে। গত আগস্টে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। গত আগস্টে মোট ১৫ কোটি ২৬ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদিত হয়েছে। ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশন গতকাল মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে বিশ্বে মোট ১২৫ কোটি ৬৪ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে। বিশ্বের মোট ৬৩টি দেশ মিলে এ পরিমাণ ইস্পাত উৎপাদন করেছে।
পরিমাণগত দিক দিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদনকারী অঞ্চল এশিয়া ওশেনিয়া। আগস্টে অঞ্চলটি ১১ কোটি ৫৭ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন করেছে, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। আর চলতি বছরের প্রথম আট মাসে অঞ্চলটির মোট উৎপাদন ৯৪ কোটি ৪৮ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে।
অন্যদিকে আগস্টে আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলোয় উৎপাদন লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় অঞ্চলটিতে গত মাসে উৎপাদন ১৬ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। অঞ্চল হিসেবে গত মাসে এটিই সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। আগস্টে ১৫ লাখ টনসহ চলতি বছরের প্রথম আট মাসে মোট ১ কোটি ৬ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে।
ওয়ার্ল স্টিলের তথ্য মতে, চীন একই সঙ্গে বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদনকারী ও ব্যবহারকারী। আগস্টে দেশটি ৮ কোটি ৬৪ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন করে। গত বছরের একই মাসের তুলনায় চীনে উৎপাদন বেড়েছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে দেশটির মোট উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৭১ কোটি ২৯ লাখ টনে।

দ্বিতীয় শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদনকারী দেশ ভারত আগস্টে ১ কোটি ১৯ লাখ টন উৎপাদন করেছে। গত বছরের একই মাসের তুলনায় উৎপাদনের পরিমাণ বেড়েছে ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এ বছরের প্রথম আট মাসে দেশটির মোট উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ২২ লাখ টনে।
তবে জাপানের উৎপাদন গত বছরের আগস্টের তুলনায় ২ দশমিক ৯ শতাংশ কমে গেছে। বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদক দেশটির গত আগস্টে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৭১ লাখ টন। আর আট মাসের মোট উৎপাদন হয়েছে ৫ কোটি ৮৪ লাখ টন।
উৎপাদনে ইতিবাচক ধারায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। গত বছরের আগস্টের তুলনায় চলতি বছরের একই মাসে দেশ দুটি যথাক্রমে ১ দশমিক ১ ও ৮ দশমিক ৯ শতাংশ উৎপাদন বাড়িয়েছে। গত আগস্টে দেশ দুটির উৎপাদন ছিল ৭০ লাখ টন ও ৬৪ লাখ টন। আর আট মাসের মোট উৎপাদন ৫ কোটি ৩৮ লাখ টন ও ৫ কোটি ৮ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। উৎপাদনের পরিমাণে যুক্তরাষ্ট্র চতুর্থ ও রাশিয়া পঞ্চম স্থান দখল করে আছে।
এছাড়া তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ ইস্পাত উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ৫৬ লাখ, জার্মানি ২৮ লাখ, তুরস্ক ২৮ লাখ, ব্রাজিল ২৭ লাখ ও ইরান ১৬ লাখ টন উৎপাদন করেছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ পাঁচ দেশেরই উৎপাদন কমেছে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
জাপান ও চীনের দূতদের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার বৈঠক

দক্ষিণ কোরিয়া চীন ও জাপানের সিনিয়র কূটনীতিকদের নিয়ে মঙ্গলবার এক ব্যতিক্রমী বৈঠকের আয়োজন করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই খবর জানিয়েছে।
ওয়াশিংটনের সাথে টোকিও ও সিউলের গভীর নিরাপত্তা সম্পর্ক নিয়ে বেইজিংয়ের উদ্বেগ কমাতে এই ত্রিপক্ষীয় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
পরমাণু শক্তিধর উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে ক্রমাগত হুমকি বাড়ার প্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক ইয়েল দীর্ঘদিনের মিত্র ওয়াশিংটনের সাথে সম্পর্ক আরো নিবিড় করে তুলছেন।
এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের অপর মিত্র জাপানের সাথেও সকল বিরোধ মাটিচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।
এদিকে এই তিনমিত্র উত্তর কোরিয়াকে মোকাবেলায় যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে।

আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে ঐতিহাসিক শীর্ষ সম্মেলনের পর তারা ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা আরো নিবিড় করার বিষয়টিকে ‘নতুন অধ্যায়’ এর সূচনা হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় বৈঠকে সিউল, টোকিও ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে এই ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বেইজিং সিউলের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থনৈতিক মিত্র।
চীন সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে সিনিয়র কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই