Connect with us

অর্থনীতি

টিসিবির জন্য কেনা হবে ১৯৩ কোটি টাকার তেল-চিনি

Published

on

উদ্যোক্তা

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি ও ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এ ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তেল-চিনি ক্রয়ে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৩ কোটি ৬১ লাখ ৭৯ হাজার টাকা।

বুধবার (১৪ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা হয়। সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, আজকের সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে টেবিলে দুইটি প্রস্তাব এসেছিল চিনি ও সয়াবিন তেলের। দুইটি প্রস্তাবেরই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য আন্তর্জাতিক ভাবে উন্মুক্ত দর পদ্ধতিতে সিঙ্গাপুরের প্রিন্সিপাল মেট্রিস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখানে প্রতি মেট্রিক টন চিনির মূল্য ধরা হয়েছে ৪৭৭ দশমিক ৯৪ মার্কিন ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে ৫৯ লাখ ৪৪ হাজার ২৫০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৪ কোটি ৫২ লাখ ১৯ হাজার টাকা।

অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান আরও বলেন, বাণিজ্যা মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত দর পদ্ধতিতে সিটি এডিবয়েল লিমিটেড থেকে ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি লিটার সযাবিন তেলের দাম পড়বে ১৬১ টাকা ৩৭ পয়সা। এতে মোট খরচ হবে ১২৯ কোটি ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

বেসরকারি খাতে ২২ মাসে সর্বনিম্ন ঋণ প্রবৃদ্ধি

Published

on

বেসরকারি খাত

বৈশ্বিক চলমান সংকটে শিল্প প্রতিষ্ঠানের উপর বেশ প্রভাব পড়েছে। কেউ কেউ খরচ কমাতে ব্যবসার আকার সীমিত করে নিচ্ছেন। আবার দেশে ডলার সংকটের জন্য আমদানির কড়াকড়িতে অনেকে পর্যাপ্ত কাঁচামাল ক্রয় করতে পারছেন না। ফলে বেসরকারি খাতে আগের তুলনায় ঋণ বিতরণ কমে এসেছে। গত আগস্টে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে ২২ মাসের সর্বনিম্নে নেমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত জুলাই মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, যা আগস্টে কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। বেসরকারি খাতের ঋণে এই প্রবৃদ্ধি গত ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ ক্ষেত্রে যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল, এটি তার চেয়ে ১ শতাংশের মতো কম। এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে বেসরকারি খাতের ঋণে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এরপর কখনোই তা ১০ শতাংশের নিচে নামেনি।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, বেসরকারি খাতের ঋণের বড় অংশ ব্যয় হয় আমদানিতে। তবে ডলার-সংকটের কারণে চাহিদামতো ঋণপত্র (এলসি) খোলা যাচ্ছে না। তাই আমদানি কমে গেছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কায় এখন কেউ নতুন করে প্রকল্প নিতে চাইছেন না। ফলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুনের শেষে বেসরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। তখন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ঋণে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এরপর জুলাইয়ে ঋণ কমে ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকায় নামে। তাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমে হয় ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। গত আগস্টে ঋণ বেড়ে হয়েছে ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। ফলে ঋণের প্রবৃদ্ধি আগস্টে আরও কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাই থেকে আগস্ট—এই এক মাসে বেসরকারি খাতের ঋণ বেড়েছে ৯ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। আর জুন থেকে জুলাইয়ে ঋণ কমেছিল ৮ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। বর্তমান মুদ্রানীতিতে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ।

এদিকে জুলাই থেকে নতুন পদ্ধতিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, যা স্মার্ট বা সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জুলাইয়ে স্মার্ট রেট ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, যা আগস্টে বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। ফলে ব্যাংকঋণের সুদহার বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ। সেপ্টেম্বের স্মার্ট রেট বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ২০ শতাংশ। ফলে চলতি মাসে সুদহার বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। আগে ব্যাংকঋণের সুদহার ছিল সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। ঋণের সুদ বৃদ্ধির ফলেও চাহিদা কিছুটা কমেছে।

দেড় বছর ধরে দেশে ডলারের সংকট চলছে। এতে ডলারের দাম ৮৫ থেকে বেড়ে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় উঠেছে। মাঝে ডলারের দাম বাড়ার কারণেও বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়েছিল। কারণ, প্রতি ডলারে খরচ ২৫ টাকার বেশি বেড়ে গিয়েছিল। তবে এখন আমদানি ঋণ কমে যাওয়ায় বেসরকারি ঋণ কমে গেছে বলে ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

ঋণ খেলাপিতে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় বাংলাদেশ

Published

on

উদ্যোক্তা

খেলাপি ঋণ একটি দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা সৃষ্টি করে। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে খেলাপি ঋণের হার কমলেও বাংলাদেশে বাড়ছে আশঙ্কাজনকহারে। দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণের হার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাংলাদেশে। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দুর্দশায় থাকা শ্রীলঙ্কা। এমনকি উচ্চ মূল্যস্ফীতির পাকিস্তানও ঋণ খেলাপিতে বাংলাদেশ থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত রোববার খেলাপি ঋণের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, দেশে খেলাপি ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। জুন শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা, যা এপ্রিল-জুন সময়ে ২৪ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা বেড়েছে।

বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে মোট ঋণের ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কায় খেলাপি ঋণের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। পাকিস্তানে তা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।

ভারতে খেলাপি ঋণের হার অনেক কম। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ভারতে খেলাপি ঋণের হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) ধারণা হলো, ভারতে আগামী বছর খেলাপি ঋণের হার ৩ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে।

বিশ্বব্যাংক বিভিন্ন দেশে খেলাপি ঋণের হিসাব তাদের ওয়েবসাইটে তুলে ধরে। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের হার নিয়মিত বাড়ছে। যেমন ২০১৩ সালে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৪ দশমিক ৮ শতাংশ; পরের বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে তা একলাফে ৯ দশমিক ৪ শতাংশে উঠে যায়।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি দাঁড়ায় ২০১৮ সালে। এরপর কিছুটা কমে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, এখন আবার খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে।

ভারতে খেলাপি ঋণের চিত্রও আছে বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে। তাদের হিসাবে, ২০১৭ সালে ভারতের খেলাপি ঋণ ছিল মোট ঋণের ১০ শতাংশ, যা কমতে কমতে ২০২১ সালে সাড়ে ৬ শতাংশে নামে।

বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) পাকিস্তানে খেলাপি ঋণ ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। উল্লেখযোগ্য দিক হলো, দুর্দশার মধ্যেও দেশটিতে খেলাপি ঋণ কমেছে। আগের বছরের একই সময়ে পাকিস্তানে খেলাপি ঋণ ছিল ৭ দশমিক ৮ শতাংশ।

নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, দেশটিতে খেলাপি ঋণ বাড়ছে, তবে হার এখনো কম। সেটা ৩ শতাংশের আশপাশে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে মালদ্বীপের খেলাপি ঋণ ছিল ৬ শতাংশের কম। ভুটানের ক্ষেত্রে এই হার ছিল ৮ শতাংশের নিচে।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

দামের কারসাজি বন্ধে আলু আমদানির সুপারিশ

Published

on

দামের কারসাজি বন্ধে আলু আমদানির সুপারিশ

ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে দেশে হুট করে বাড়ছে নির্দিষ্ট পণ্যের দাম। পেঁয়াজ, চিনি, মুরগি, ডিমের পরে বর্তমানে আলুর বাজারে অস্থিরতা বিরাজমান। তাতে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানান সতর্কতা এবং অভিযান পরিচালনা অনেক সময় কাজে আসেনি। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তাতে পেঁয়াজের দামে কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে। এবার লাগাম ছাড়া আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সীমিত পরিসরে আলু আমদানির সুপারিশ করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর।

সম্প্রতি আলু নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করা হয়।

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। তবে দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনো কোনো ডিম আমদানি হয়নি। এখন আলু আমদানির সুপারিশের ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কী পদক্ষেপ নেয়, সেই অপেক্ষায় রয়েছেন আমদানিকারকেরা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়েছে, বর্তমান সংকট মোকাবিলায় সীমিত আকারে আলুর অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিপণনব্যবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রকৃত তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। এ ছাড়া হিমাগার, ব্যাপারী, আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যারা অস্থিরতা তৈরি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে আরও যেসব সুপারিশ করা হয়েছে তার মধ্যে আছে- কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, হিমাগারে আলু সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কৃষকদের অগ্রাধিকার দেওয়া, কৃষকদের জন্য শস্য বিমা চালু, কৃষিপণ্যের পাইকারি ও খুচরা বাজারে নজরদারি বাড়ানো, টেকসই বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে প্রান্তিক কৃষকদের ন্যায্যমূল্যে বীজ আলু, সার ও কীটনাশকপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার মতো বিষয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া ভোক্তার প্রতিবেদনে আমদানির সুপারিশের পাশাপাশি কিছু পর্যবেক্ষণও তুলে ধরা হয়েছে। এই পর্যবেক্ষণ তৈরি হয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বাজার ও হিমাগার অভিযানের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। বিশেষ করে আলু উৎপাদনকারী বড় চার জেলা মুন্সিগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর ও নীলফামারীতে হিমাগার পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়।

পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, কৃষিঋণ প্রকৃত কৃষকেরা পাচ্ছেন না। হিমাগারমালিকেরা এই সুবিধা নিচ্ছেন কৃষকদের নামে। পরে তারা এজেন্টদের মাধ্যমে আলু উৎপাদন মৌসুমে দাদন প্রথা চালু করেন। এর মাধ্যমে হিমাগার মালিকেরা কৃষকদের স্বল্প মূল্যে আলু বিক্রি করতে বাধ্য করেন। আর এজেন্টরা প্রাপ্ত অর্থ ব্যবহার করে কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে আলু কিনে তা হিমাগারে সংরক্ষণ করে।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

বনানীতে হস্ত ও কুটির শিল্পের মেলা অনুষ্ঠিত

Published

on

উদ্যোক্তা

রাজধানীর বনানীতে চাঁদনী স্টুডিওতে ‘মেলা বিফোর সেপ্টেম্বর এন্ডস’ নামে একটি হস্ত ও কুটির শিল্পের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই মেলা চলে।

মেলার আয়োজন করে ‘চাঁদনী স্টুডিও’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান। যার প্রতিষ্ঠাতা স্থপতি ও শিল্পী নকশাকার পাপিয়া সারওয়ার দিঠি এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্থপতি, বংশীবাদক ও ক্যালিগ্রাফার নাজেম আনোয়ার।

স্থপতি পাপিয়া সারওয়ার নিজেও একজন উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, কাজের সূত্রে আরও অনেকের সঙ্গে পরিচয় হয়; যারা অনেক রুচিশীল, অনুপম, বিরল পণ্য তৈরি করেন। এই সৃজনশীল মানুষগুলোকে একটি প্ল্যাটফর্ম করে দেওয়ার উদ্দেশে তাদের এই আয়োজন।

টানা দুদিন চলা এই মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ফারজানা আহমেদ উর্মির ‘কাঁচপোকা’, তারান্নুম নিবিড়ের ‘উড়ুক্কু’, লায়লা আহমেদের ‘মায়াবী বনসাই’, পাপিয়া সারওয়ার দিঠির ‘বানাই’, নাজেম আনোয়ারের ‘নাজেম আনোয়ার ক্যালিগ্রাফি’, মোহাম্মদ শাহাদাতের ‘ফুটপাত’, চিত্রশিল্পী শামা শাইওম-রুহানি-জিহানের ‘অয়ময়’, সৈকতের ‘ইন্টারনাল হাব’, তন্ময়ের ‘সতত’, তামিমের ‘রেইন-সে-আর্য’, ফেরদৌস স্বপ্নিলের ‘পরিভ্রমণ’, এলমা-বাঁধন-শশীর ‘চিত্রলিপি’, নাবিলা তাবাস্সুমের ‘গোড়া’, হাফসা কেয়ার ‘চারু-অলংকার’, শিমলা হকের ‘হোল্লা’ এবং নওশীনের ‘মুনলাইট’।

এ ছাড়া মেলায় খাবারের আয়োজনও ছিল। খন্দকার দিল আফরোজের ‘খোনদাস কিচেন’ এবং আসিফের ‘গ্রাম-চা’ এবং জান্নাতুল ফেরদৌস মিষ্টির ‘বোন-সিস্টার, জুস কর্নার’।

মেলায় শিল্পী, ব্যবসায়ী, ছাত্র-ছাত্রী, চাকরিজীবী, বিদেশি পর্যটক এবং সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

সেপ্টেম্বরে কমেছে রপ্তানি আয়

Published

on

এলসি

ডলার সংকটের ভরাডুবিতে জোগানের উৎসে সুখবর পাচ্ছে না বাংলাদেশ। সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয়ের সাথে রপ্তানি আয়ও কমেছে। সেপ্টেম্বরে দেশে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৩১ কোটি মার্কিন ডলার। যেখানে আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কমেছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এছাড়া চলতি অর্থবছরের তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম রপ্তানি আয় ছিল সেপ্টেম্বরে।

বিদায়ী মাসে তৈরি পোশাক ছাড়া বড় সব খাতেই রপ্তানি কমে গেছে। তবে এ আয় গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল পণ্য রপ্তানির এ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।

এ তথ্যে দেখা গেছে, জুলাই ও আগস্ট মাসে পণ্য রপ্তানি হয়েছিল যথাক্রমে ৪৫৯ ও ৪৭৮ কোটি ডলারের। সেপ্টেম্বরে তা কমে ৪৩১ কোটি ডলার হয়েছে। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের তুলনায় গত মাসে (সেপ্টেম্বর) পণ্য রপ্তানি আয় কমেছে। এর মধ্যে জুলাইয়ের তুলনায় কমেছে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ আর গত আগস্টের তুলনায় কমেছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

সার্বিকভাবে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ১ হাজার ৩৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি। গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে রপ্তানি আয় ছিল ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।

মূলত তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি থাকায় চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, বাইসাইকেলসহ প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমে গেছে।

বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে ডলার সংকটে ভুগছে। পণ্য রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি ডলার আয়ের অন্যতম উৎস হচ্ছে প্রবাসী আয়। প্রকট ডলার-সংকটের সময় প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার পাশাপাশি পণ্য রপ্তানির প্রবৃদ্ধিতে উত্থান-পতন অর্থনীতির জন্য দুশ্চিন্তার।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট পণ্য রপ্তানির ৮৫ শতাংশ তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছে। রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ১৬২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাক খাতের মধ্যে ৬৭৬ কোটি ডলারের নিট পোশাক ও ৪৮৫ কোটি ডলারের ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ সময়ে নিট পোশাকে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। ওভেন পোশাকের প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

চলতি অর্থবছর এখন পর্যন্ত তৈরি পোশাকের পর সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ২৬ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। এছাড়া প্রথম প্রান্তিকে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি ৯ দশমিক ৬৭, হোম টেক্সটাইলে ৪৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ, চামড়াবিহীন জুতায় ১ শতাংশ ও হিমায়িত খাদ্যের রপ্তানি ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ কমেছে।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
লেনদেন
পুঁজিবাজার24 mins ago

দুই ঘণ্টায় লেনদেন ২১৬ কোটি টাকা

বেসরকারি খাত
অর্থনীতি53 mins ago

বেসরকারি খাতে ২২ মাসে সর্বনিম্ন ঋণ প্রবৃদ্ধি

ভিসা না পাওয়া ঢাবি উপাচার্যকে কানাডায় আমন্ত্রণ
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার1 hour ago

ভিসা না পাওয়া ঢাবি উপাচার্যকে কানাডায় আমন্ত্রণ

উদ্যোক্তা
পুঁজিবাজার1 hour ago

এমটিবির দুই উদ্যোক্তার শেয়ার ক্রয়-বিক্রির ঘোষণা

উদ্যোক্তা
আন্তর্জাতিক2 hours ago

ইতালিতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২১

প্রগতি লাইফের শেয়ার বিক্রি করবেন চার উদ্যোক্তা
পুঁজিবাজার2 hours ago

প্রগতি লাইফের শেয়ার ক্রয়-বিক্রি করবেন চার উদ্যোক্তা

পেনিনসুলা চিটাগাং'র পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
পুঁজিবাজার2 hours ago

পেনিনসুলা চিটাগাং’র পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

উদ্যোক্তা
পুঁজিবাজার2 hours ago

লভ্যাংশ ঘোষণা করলো অ্যাপেক্স স্পিনিং

অ্যাপেক্স ফুডসের লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজার3 hours ago

অ্যাপেক্স ফুডসের লভ্যাংশ ঘোষণা

উদ্যোক্তা
রাজধানী3 hours ago

রাজধানীতে যেসব মার্কেট বন্ধ আজ

Advertisement
Advertisement IBBL_AD_300 x 250

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

October 2023
S M T W T F S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031