আন্তর্জাতিক
মন্দার ঝুঁকিতে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি

তীব্র মন্দার ঝুঁকিতে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি। ব্যবসায়িক কার্যক্রম ঝিমিয়ে আসায় সংকুচিত হচ্ছে ভোক্তাব্যয়। গত বছরের তুলনায় মে মাসে ব্যবসায়িক পরিস্থিতি ৭ পয়েন্ট নিচে নেমেছে। পাশাপাশি রয়েছে মূল্যস্ফীতি বাড়ার সম্ভাবনা। সম্প্রতি ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংক (এনএবি) প্রকাশিত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। দ্য রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া (আরবিএ) তত্ত্বাবধান করে থাকে।
জরিপে দেখা গেছে, ব্যবসায়িক পরিস্থিতির সূচক ঋণাত্মক দিকে ঝুঁকে পড়েছে। কমে গেছে ক্রয়াদেশ, চাহিদাসূচক ও মে মাসের নতুন চুক্তির হার। ফলে আগামী মাসগুলোয় ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল থাকা নিয়ে দেখা দিয়েছে আশঙ্কা।
এনএবির প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যালান অস্টার দাবি করেছেন, পরিস্থিতি নাগালের মধ্যে রাখতে আরবিএর প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। আগামী মাসগুলোর ব্যবসায়িক প্রবণতা এক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আরবিএ অন্তত বিচার করতে পারবে, তার গৃহীত নীতিমালা যথেষ্ট কিনা। অন্তত যদি সময়মতো মূল্যস্ফীতি নাগালের মধ্যে রাখা সম্ভব হয়। জরিপে পণ্যের দামের ওপর একটা বাড়তি চাপের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। শ্রমব্যয় ও পণ্যের ক্রয় বাবদ বেড়ে যাচ্ছে ব্যয়। এদিকে ২০২২ সালের মে মাস থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়িয়ে চলছে। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ১ শতাংশ, যা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে হয়তো, আরো বাড়তে পারে মূল্যস্ফীতি। বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৪ দশমিক ৬ শতাংশে।
চলতি বছরের জন্য দেয়া অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল, বর্তমানে তা দশমিক ৫ শতাংশ। এদিকে ২০২৪ সালে চাকরি হারানোর হারের প্রাক্কলন ৩ দশমিক ৭ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। বাজার এখন অন্তত মূল্যস্ফীতির দুটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তবে ২০২৩ সালের পরবর্তী দিনগুলোয় প্রতিবন্ধকতাগুলো কাটানো বেশি কঠিন হবে না। ওয়েস্টপ্যাক ও কমনওয়েলথ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া (সিবিএ) জানিয়েছে, ভোক্তারা এখন জীবনযাপনের উচ্চব্যয়কে পুষিয়ে নিতে চাচ্ছেন। বাসা ভাড়া ও অন্যান্য খাতে খরচ কমিয়ে আনতে আগ্রহী। ওয়েস্টপ্যাক-মেলবোর্ন ইনস্টিটিউট জরিপে ভোক্তা সূচক জুনে দশমিক ২ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ দশমিক ২-তে। কিন্তু ৬ জুনের আরবিএ মূল্যস্ফীতির ঘটনার আগে ও পরের চিত্র এক রকম নয়। আগে ছিল ৮৯ পয়েন্ট, যা ৬ জুনের পরে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৬ পয়েন্টে। পারিবারিক ব্যয় ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সংকুচিত হয়ে যথাক্রমে ২ দশমিক ১ ও দশমিক ১ শতাংশে ঠেকেছে। যদিও মৌসুমটা নতুন গৃহস্থালি সামগ্রী ক্রয়ে ইচ্ছুকদের জন্য সামান্য অনুকূলে ছিল। তার পরও মূল্যস্ফীতি কমে ৫ দশমিক ৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে জুনে।
ওয়েস্টপ্যাকের অর্থনৈতিক প্রধান বিল ইভান্স মনে করেন, চাকরির বাজারেও পরিস্থিতি নেতিবাচক দিকে ঘুরে যাচ্ছে। তার প্রধান কারণ, চাকরি হারানোর ঘটনা অর্থনীতিতে আঘাত করতে পারবে। জরিপে বেকারত্ব বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, যদিও সাবইনডেক্স ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ১৩১ দশমিক ৩ শতাংশে উত্তীর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২২ সালের মে মাসের পর যা অনেকটাই দুর্বল অবস্থানে। মানুষ পেট্রল ও গাড়ি পার্কিংয়ের খরচ বাঁচানোর জন্য গণপরিবহন ব্যবহার করছে। ঘরের কাজ করা পিতা-মাতার আরো বেশি শ্রমসাধ্য হবে সন্তান লালন-পালন করতে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
বিশ্বের ২৮ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন দেশের মোট ২৮টি প্রতিষ্ঠানের ওপর বাণিজ্য বিধিনিষেধ দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। খবর রয়টার্সের।
খবরে বলা হয়েছে, সোমবার চীন, রাশিয়া, ফিনল্যান্ড ও জার্মানির প্রতিষ্ঠানসহ মোট ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি নীতিমালা দেখভাল করে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিধিনিষেধ আরোপ করা প্রতিষ্ঠিানের মধ্যে চীনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১১টি, আর রুশ প্রতিষ্ঠান রয়েছে পাঁচটি।
অভিযোগ করা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠান ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার জন্য ড্রোন তৈরিতে ব্যবহৃত খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি করছে। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রযুক্তি রপ্তানি করতে পারবে না মার্কিন সরবরাহকারীরা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এক বিবৃতিতে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান অ্যালান এস্তেভেজ বলেছেন, যারা ইউক্রেনে পুতিনের অবৈধ ও অনৈতিক যুদ্ধে সরঞ্জাম সরবরাহ ও সমর্থন করবে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও অর্থপূর্ণ ব্যবস্থা নিতে কোনো দ্বিধা করব না।
এর আগে, গত মঙ্গলবার তেহরানের ড্রোন ও সামরিক বিমান নির্মাণকে কেন্দ্র করে ইরান, রাশিয়া, চীন ও তুরস্কের সাত ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে অলিভ অয়েলের রেকর্ড দাম

আন্তর্জাতিক বাজারে অলিভ অয়েলের দাম এখন আকাশছোঁয়া। সেপ্টেম্বরে প্রতি টনের রেকর্ড দাম উঠেছে ৮ হাজার ৯০০ ডলারে। চলতি সপ্তাহে মার্কিন কৃষি বিভাগের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় ফলন কমে যাওয়ার ফলে বাজারে সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে পণ্যটির। খবর আরটি।
রেকর্ড তাপমাত্রা ও খরার কারণে চলতি বছরে অলিভ অয়েল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উচ্চ জ্বালানি মূল্যও উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে। মার্কিন কৃষি বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফলন ব্যাহত হওয়ার খবর আসার পর থেকে দাম ঊর্ধ্বমুখী। আগস্টে ভোজ্যতেলটির গড় দাম আগের বছরের তুলনায় ১৩০ শতাংশ বেশি ছিল। আগস্টে উদ্ভিজ তেলটির মূল্য ১৯৯৬ সালের প্রতি টন ৬ হাজার ২৪২ ডলারের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে। কৃষি বিভাগ বলছে, সহসাই দাম কমার লক্ষণ নেই।
বৈশ্বিক অলিভ অয়েল উৎপাদনের ৪০ শতাংশই আসে স্পেন থেকে। এ বছর প্রধান অলিভ উৎপাদনকারী দেশগুলোয় তীব্র খরার প্রভাবে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। বিশেষ করে স্পেনে অলিভ গাছে ফুল আসার সময়ে তীব্র খরা দেখা দেয়। এতে ফলন ব্যাহত হয়। অন্যদিকে, বিশ্বের দ্বিতীয় ও চতুর্থ শীর্ষ উৎপাদক ইতালি ও পর্তুগালেও বৈরী আবহাওয়ায় অলিভ অয়েলের সরবরাহ কমে গেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
শ্রীলংকার মূল্যস্ফীতি কমেছে প্রায় ৬৭ শতাংশ

দেউলিয়া হতে চলা শ্রীলংকায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশ। কিন্তু বছর ঘুরতেই দেশটির অর্থনীতিতে অস্বাভাবিক পরিবর্তন এসেছে। গত জুলাইয়ে দেশটির মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। আগস্টে তা আরও কমে ২ দশমিক ১ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ এক বছরের মাথায় মূল্যস্ফীতি ৬৭ শতাংশীয় পয়েন্ট কমিয়ে এনেছে দেশটি।
দেশটির সংবাদমাধ্যমের ভাষ্য অনুযায়ী, শ্রীলংকায় এখন খাদ্যপণ্যেরও দাম কমতির দিকে। গত আগস্টে দেশটিতে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। জুলাইয়ে এ হার ছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ। খাদ্যদ্রব্য ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম আগস্টে ৯ শতাংশ কমেছে। জুলাইয়ে এ হার ছিল ১০ দশমিক ৯ শতাংশ।
সম্প্রতি শ্রীলংকার প্রেসিডেন্সিয়াল মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে কথা বলেন দেশটির ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী রঞ্জিত সিয়ামবালাপিটিয়া। তিনি জানান, ২০২২ সালের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৬৬ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২৩ সালের একই সময়ে তা ৪ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে নেয়া ঋণ পুরোটাই শোধ করলো শ্রীলংকা
দেশটির কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে সমর্থ হয়েছে।

২০২২ সালের আগস্টে প্রতি ডলারের বিপরীতে বিনিময় হার ছিল ৩৬১ লংকান রুপি। চলতি পঞ্জিকাবর্ষের আগস্টে এসে প্রতি ডলারের বিপরীতে বিনিময় মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩২১ লংকান রুপিতে।
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বড় উৎস পর্যটন খাত থেকেও আয় বেড়েছে। ২০২২ সালে দেশটিতে আগত পর্যটকের সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩০। চলতি বছরের প্রথম দুই প্রান্তিকেই তা ৯ লাখ ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। গত বছর খাতটি থেকে ৮৩ কোটি ২৬ লাখ ডলার আয় করেছে শ্রীলংকা। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩০ কোটি ৪৫ লাখ ডলারে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর সম্পদমূল্য বেড়েছে

চলতি বছর বিশ্বের ১০ জন শীর্ষ ধনীর সম্পদ অনেকটা বেড়েছে। এই তালিকায় এগিয়ে আছেন ইলন মাস্ক, মার্ক জাকারবার্গ ও জেফ বেজোস। মূলত শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এ বছর তাঁদের সম্পদের দাম অনেকটা বেড়েছে। ফলে মন্দার যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তার প্রভাব এঁদের সম্পদমূল্যে পড়েনি।
বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের সূত্রে জানানো হয়েছে, এ বছর যাঁদের সম্পদমূল্য বেড়েছে, তাঁদের মধ্যে শীর্ষ ১০ জনের সম্পদমূল্য বেড়েছে ৩৯৭ বিলিয়ন বা ৩৯ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের সম্পদমূল্য বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এ বছর তাঁর সম্পদমূল্য বেড়েছে ৯৯ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। গতকাল রোববার এই প্রতিবেদন লেখার সময় ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের তথ্যানুসারে, ইলন মাস্কের সম্পদমূল্য ছিল ২২৮ বিলিয়ন বা ২২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। ফলে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হিসেবে তাঁর অবস্থান আরও পাকাপোক্ত হয়েছে। এ বছর টেসলার শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০৭ শতাংশ।
টেসলার ১৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক ইলন মাস্ক। ফলে শেয়ারের দাম ওঠানামার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদের মূল্য বাড়ে ও কমে।
এরপর সম্পদ বৃদ্ধির দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছেন মার্ক জাকারবার্গ। এ বছর তাঁর সম্পদমূল্য বেড়েছে ৬১ দশমিক ৯ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ১৯০ কোটি ডলার। গতকাল রোববার এই প্রতিবেদন রেখার সময় মার্ক জাকারবার্গের সম্পদমূল্য ছিল ১০৯ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। মূলত মেটা প্ল্যাটফর্মের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৫১ শতাংশ।

সম্পদ বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় স্থানে আছেন জেফ বেজোস—চলতি বছর তাঁর সম্পদমূল্য বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৬৫০ কোটি ডলার। সম্পদ বৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় আরও আছেন গুগোলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন; ওরাকলের ল্যারি এলিসন; এনভিডিয়ার জেনসেন হুয়াং; মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান নির্বাহী স্টিভ বালমার, মাইকেল ডেল ও স্প্যানিশ ব্যবসায়ী আমানিকো ওর্তেগা।
কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় হলো, ১০ জন শতকোটিপতির মধ্যে ৯ জনই প্রযুক্তি খাতের। অথচ ২০২২ সালে এই খাতের আয় কমে যাওয়ার কারণে বিপুলসংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছিল। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কারণে এই খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বেড়েছে। এই তালিকায় প্রযুক্তি ব্যতীত অন্য খাতের একমাত্র প্রতিনিধি হলেন আমানিকো ওর্তেগা।
চিপ কোম্পানি এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম এ বছর ১৮৭ শতাংশ বেড়েছে, তার ওপর ভর করে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী হুয়াংয়ের সম্পদমূল্য ২২ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ২২০ কোটি ডলার বেড়েছে। বস্তুত, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম চলতি বছর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।
মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ইতিবাচক খবরে দেশটির কোম্পানিগুলোর আয় বেড়েছে। ফ্যাক্ট সেটের তথ্যানুসারে, চলতি বছর এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ভুক্ত কোম্পানিগুলোর গড় আয় ৮ দশমিক ১ শতাংশ বাড়তে পারে; আগের বছর ২০২২ সালে যা ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
নতুন শিল্পে বড় বিনিয়োগে চীনের তহবিল গঠন

চীনের রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি চায়না রিফর্ম হোল্ডিংস করপোরেশন নতুন ও উদীয়মান শিল্পে বিনিয়োগের জন্য ১৩ দশমিক ৭০ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার তহবিল গঠনের পরিকল্পনা করছে। চায়না বিজনেস নিউজের সূত্রে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই সংবাদ দিয়েছে।
ইতিমধ্যে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার-নিয়ন্ত্রিত ২০টি প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার ও বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা এই তহবিলে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চায়না বিজনেস নিউজ বলেছে, এই তহবিল চলতি বছরের শেষ নাগাদ কার্যক্রম শুরু করবে।
অর্থনীতি চাঙা করতে চীনা সরকার বড় ধরনের সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তার অংশ হিসেবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোরও সংস্কার করা হচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন উদীয়মান শিল্পের সহায়তায় এগিয়ে আসছে। তারা এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নতুন জ্বালানি, নতুন উপকরণ ও জৈব প্রযুক্তির মতো খাতে বিনিয়োগ করছে।
চায়না রিফর্ম হোল্ডিংস ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর কাজ হলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার আরও গভীরভাবে পরিচালনা করা। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ চায়না রিফর্ম হোল্ডিংয়ের সম্পদের পরিমাণ ছিল ১১৭ বিলিয়ন বা ১১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
অর্থসংবাদ/এমআই