বাজার পতনে কারসাজিকারীদের খুঁজে বের করার নির্দেশ বিএসইসির

বাজার পতনে কারসাজিকারীদের খুঁজে বের করার নির্দেশ বিএসইসির
ফের আকষ্মিকভাবে দেশের পুঁজিবাজারে বড় পতন হয়েছে। সোমবার (১২ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ৩০ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট হারিয়েছে। গত মঙ্গলবারও বড় পতন দেখেছে দেশের পুঁজিবাজার। তবে এই পতনকে স্বাভাবিক মনে করছেন না বাজার সংশ্লিষ্টরা। খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনই (বিএসইসি) মনে করছে সোমবার কৃত্রিমভাবে শেয়ারবাজারে পতন ঘটিয়েছে একটি মহল। বিভিন্ন ইস্যুকে সামনে রেখে প্রায় সময়ই এ ধরণের কারসাজিমূলক আচরণ করে চক্রটি। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে বাজারে আতঙ্ক তৈরী করে অস্থিরতা তৈরীর চেষ্টা চালায় শেয়ারবাজারে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এবার এসব দুষ্ট চক্রকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। আজ ডিএসইকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম মুঠোফোনে অর্থসংবাদকে বলেন, এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশনে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই ডিএসইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে তথ্য আছে, কয়েকটি দুষ্টচক্র মিলে আজকে বাজারে অস্থিরতা তৈরী করেছে। সম্প্রতি একইভাবে গুজব ছড়িয়ে বাজারকে অস্বাভাবিক করে তুলেছিল চক্রটি। আমরা জেনেও এতদিন বাজারের স্বার্থে ছাড় দিয়েছি। তবে তারা বারবার একই ঘটনার পুণরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। তাই দুষ্টচক্র যেন একই ঘটনার পুণরাবৃত্তি ঘটাতে না পারে, সেজন্য তাদের খুঁজে বের করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেন পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ব্যঘাত ঘটাতে না পারে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, সোমবার এক্সচেঞ্জটির সব সূচকেরই পতন হয়েছে। বিমা খাতের কোম্পানিগুলো নিয়ে গুজব সৃষ্টি করে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্যানিক সৃষ্টি করা হয়। ফলে বিমা খাতের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সব খাতের শেয়ারদরের ওপর। লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৪৩টি কোম্পানির শেয়ারদরই এদিন কমেছে। বিপরীতে মাত্র ৩২ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে এই প্যানিকের ফলে লেনদেনও কমেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই চক্রটি নির্বাচন, মুদ্রানীতি, ব্যাংকঋণের সুদহারের সীমা, কোরবানির ঈদসহ বিভিন্ন বিষয়কে সামনে রেখে গুজব ছড়িয়েছে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। বারবার একই কাজ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণামূলক আচরণ করে স্বর্বশান্ত করছে এ চক্রটি।

জানতে চাইলে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি’ রোজারিও অর্থসংবাদকে বলেন, আজকের বাজারে লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর পতনের প্রভাব অন্যান্য খাতেও পড়েছে। ফলে বাজার নেতিবাচক ছিল। তবে আমার মনে হয় নেতিবাচক কিছু নেই। আগামীকালই বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদী।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত