আন্তর্জাতিক
রেকর্ড মুনাফার পথে জাপানের শীর্ষ কোম্পানিগুলো

চলতি অর্থবছরে রেকর্ড মুনাফার আশা করছে শীর্ষ জাপানি কোম্পানিগুলো। গাড়ি শিল্পে টানা তৃতীয়বারের মতো রেকর্ড মুনাফা পেতে যাচ্ছে তারা।
সিকিউরিটিজ হাউজের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের গাড়ি নির্মাণ শিল্প, পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, ২০২৩ অর্থবছরে প্রধান কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত নিট মুনাফা ৪ শতাংশ বেড়ে ৪২ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ইয়েন বা ৩০ হাজার ৭০০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে।
এসএমবিসি নিক্কো সিকিউরিটিজের তথ্য অনুযায়ী, টোকিও স্টক মার্কেটের প্রায় ১ হাজার ৪০০টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির আয়ের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের (২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত) প্রত্যাশিত মুনাফা গত অর্থবছরের ৪১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ইয়েনের সামষ্টিক নিট মুনাফাকে ছাড়িয়ে যাবে। বাজারের ৩৩টি সেক্টরের মধ্যে পরিবহন যন্ত্রাংশ খাতে নিট মুনাফা (যার মধ্যে অটোমেকাররা রয়েছে) ২০২৩ অর্থবছরে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। চিপ সরবরাহের সংকট সহজ হওয়ায় এবং মহামারী-পরবর্তী সময়ে গাড়ির উৎপাদন বাড়ায় আশার আালো দেখছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
টয়োটা মোটরের প্রত্যাশা, এ অর্থবছরে তাদের নিট মুনাফা ৫ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ৫৮ ট্রিলিয়ন ইয়েন হবে। যেখানে গত অর্থবছরের প্রতিষ্ঠানটি ১৪ শতাংশ লোকসানে ছিল। আয় বাড়ানোর দৌড়ে পিছিয়ে নেই হোন্ডা মোটর ও নিশানও। চলতি অর্থবছরে তাদের নিট মুনাফা হতে পারে যথাক্রমে ১৫ দশমিক ১ ও ৪২ শতাংশ। এসএমবিসি নিক্কোর ইকুইটি বিশ্লেষক হিকারু ইয়াসুদা বলেন, ‘গাড়ি নির্মাতারা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তারা জাপানি কোম্পানিগুলোর মোট মুনাফাকে বাড়িয়ে তুলবে।’
কভিডের বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার ফলে জাপানের পর্যটন শিল্পও প্রবৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে। পর্যটক বাড়ার অর্থ হলো দেশীয় খুচরা বিক্রেতা, হোটেল অপারেটর ও পরিবহন সংস্থাগুলো পুনরুজ্জীবিত হবে। অন্যদিকে এসএমবিসি নিক্কোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে উড়োজাহাজ পরিবহন শিল্পে নিট মুনাফা ৯ শতাংশ বেড়েছে।

আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে যাত্রী বাড়ার ফলে জাপান এয়ারলাইনস কর্পোরেশনও তিন বছরের মধ্যে ২০২৩ অর্থবছরে ৫৯ দশমিক ৯ শতাংশ নিট লাভের হিসাব কষছে। তাবে ব্যবসায়ী নেতারা সামনের দিনগুলোর ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য মন্দা পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখার কথা বলছেন তারা।
সনি গ্রুপ কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট হিরোকি তোটোকি গত এপ্রিলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা খুব একটা আশাবাদী নই। কারণ অনেক দেশ কঠোর মুদ্রানীতির পথে হাঁটছে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি বিচ্ছিন্নতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’ সনি গ্রুপের ধারণা, ২০২৪ সালের মার্চে শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরে তাদের বিক্রয় দশমিক ৩ শতাংশ কমে যাবে এবং নিট মুনাফা ১০ দশমিক ৪ শতাংশ কমে যাবে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
পদার্থে নোবেল পুরস্কার পেলেন ৩ বিজ্ঞানী

ইলেক্ট্রন গতিবিদ্যায় বিশেষ অবদানের জন্য পদার্থবিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন পিয়েরে অ্যাগোস্টিনি, ফেরেঙ্ক ক্রাউস এবং অ্যান ল’হুইলিয়ার।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকাল পৌনে ৪টায় স্টকহোমে পদার্থবিদ্যায় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস।
প্রথা অনুযায়ী প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। গত সোমবার (২ অক্টোবর) চিকিৎসাবিজ্ঞানে, মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) পদার্থে, বুধবার (৪ অক্টোবর) রসায়নে, বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সাহিত্যে এবং শুক্রবার (৬ অক্টোবর) শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম জানা যাবে। দুদিন বিরতি দিয়ে ৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উন্নয়নে অবদান রাখায় এ বছর চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্ত্বে নোবেল পেয়েছেন দুই গবেষক। তারা হলেন: হাঙ্গেরিয়ান-আমেরিকান গবেষক কাতালিন কারিকো ও মার্কিন বিজ্ঞানী ড্রিউ ওয়েইজম্যান।
এর আগে, গত বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন ফরাসি বিজ্ঞানী অ্যালেইন অ্যাস্পেক্ট, মার্কিন বিজ্ঞানী জন এফ. ক্লজার এবংঅস্ট্রিয়ান বিজ্ঞানী অ্যান্টন জেলিঙ্গার। ‘বিজড়িত ফোটন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বেল অসমতার লঙ্ঘন প্রতিষ্ঠা এবং কোয়ান্টাম তথ্য বিজ্ঞানে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য’ এই পুরস্কার পান তারা।

ডিনামাইট আবিষ্কারক সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। প্রথম পুরস্কার দেয়া শুরু হয় ১৯০১ সালে। সেময় সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সফল, অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও শান্তি। যদিও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর অর্থমূল্য বাড়ছে নোবেল পুরস্কারের। গতবারের চেয়ে এ বছরের বিজয়ীরা ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা বেশি পেতে চলেছেন। নোবেল ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ২০২৩ সালে নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য বাড়িয়ে ১ কোটি ১০ লাখ ক্রোনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ডেঙ্গু প্রতিরোধে জাপানের ভ্যাকসিন ব্যবহারের পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

ডেঙ্গু প্রতিরোধে জাপানের তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির তৈরি ভ্যাকসিন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিউডেঙ্গা নামের এই ভ্যাকসিনটি ইতোমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিলে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে নিপ্পন ডটকম।
ডব্লিউএইচও বলছে, তীব্র ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত এবং উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস এমন ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের জন্য এই ভ্যাকসিন চালু করা হবে। ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত রোগ যা বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আফ্রিকা, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়ছেই।
এদিকে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভার্মন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউভিএম) লার্নার কলেজ অব মেডিসিনের গবেষকরা ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরনের বিরুদ্ধেই উপযোগী ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা সম্পন্ন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আইসিডিডিআর,বি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডেঙ্গুপ্রবণ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভার্মন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউভিএম) লার্নার কলেজ অব মেডিসিনের গবেষকরা একটি টেট্রাভ্যালেন্ট ডেঙ্গু ভ্যাকসিন অর্থাৎ ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরনের বিরুদ্ধেই উপযোগী ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা সম্পন্ন করেছেন।
গবেষণায় ব্যবহৃত এক ডোজের ডেঙ্গু ভ্যাকসিন টিভি-০০৫ মূল্যায়ন করে দেখা যায়, এটি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রয়োগের জন্য নিরাপদ এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
১২৫ বছরের রেকর্ড ভাঙলো জাপানের সেপ্টেম্বরের তাপমাত্রা

নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ সেপ্টেম্বর মাস পার করেছে জাপান। ১২৫ বছরের তাপমাত্রাকে ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড হয়েছে দেশটিতে। ১২৫ বছরের মধ্যে সেপ্টেম্বরে এত বেশি গরম অনুভব করেননি জাপানিরা।
গত সোমবার (২ অক্টোবর) জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে দেশটিতে গড় তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ২ দশমিক ৬৬ ডিগ্রি সেলসিয়ার বেশি। ১৮৯৮ সালে হিসাব রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে জাপানে এটিই সেপ্টেম্বর মাসের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এর আগে, চলতি বছরেই নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বসন্তকাল পার করেছিল জাপান। স্থানীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্যমতে, ২০২৩ সালের মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে দেশটিতে তাপমাত্রা ছিল গড়ের চেয়ে ১ দশমিক ৫৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে জাপানে এটিই ছিল উষ্ণতম বসন্তকাল।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা আরও জানায়, গত মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে দেশটির আশপাশে সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা ছিল ১৯৮২ সালের পর থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে আবহাওয়া প্রতিকূল হয়ে ওঠার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এগুলো আরও নিয়মিত হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বছর বিভিন্ন দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নিত্য নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। একের পর এক রেকর্ডভাঙা দাবদাহের ঘোষণা দিয়েছে ভারত, চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশগুলো।
গত ২৯ মে সাংহাইয়ে তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা শহরটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পুরোনো রেকর্ডের চেয়ে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। কিছুদিন আগে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে উত্তপ্ত গ্রীষ্মকাল পার করার কথা জানিয়েছে চীনের আধা-স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল হংকংও।
জাতিসংঘ সতর্ক বলেছে, তারা প্রায় নিশ্চিত যে, ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল হবে এযাবৎকালের সবচেয়ে উষ্ণ পাঁচ বছর সময়কাল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সৌদি আরবে বাড়ছে শিল্প কারখানা

সৌদি আরবের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি ফিরেছে, তার ছাপ পড়েছে দেশটির শিল্প খাতে। চলতি বছরের আগস্টে শিল্প ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ১৩৬টি শিল্প লাইসেন্স অনুমোদন দিয়েছে, যা জুলাইয়ের চেয়ে বেশি। জুলাইয়ে অনুমোদনের সংখ্যা ছিল ১০২। খবর আরব নিউজ।
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) তথ্যমতে, আগস্টে খাদ্যপণ্য উৎপাদন খাতে শিল্প লাইসেন্স অনুমোদন দেয়া হয়েছে ২৯টি। এছাড়া অধাতু খনিজ শিল্প খাতে ২১টি, রাবার ও প্লাস্টিক খাতে ১৫ এবং কাগজ উৎপাদন খাতে ১২টি প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পেয়েছে।
জানুয়ারি-আগস্টের মধ্যে মোট ৭৯৫টি শিল্প লাইসেন্স অনুমোদন করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এ সময়ে দেশটিতে কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ১১০টিতে। কারখানাগুলোয় বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৪৮৯ ট্রিলিয়ন সৌদি রিয়াল বা ৪০ হাজার কোটি ডলার।
অনুমোদনকৃত লাইসেন্সের উল্লেখযোগ্য অংশ দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে। মোট ইস্যুকৃত লাইসেন্সের ৭৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ পেয়েছে দেশীয় কোম্পানিগুলো। আর বিদেশী প্রতিষ্ঠান ও যৌথ বিনিয়োগ সংস্থাগুলো পেয়েছে যথাক্রমে ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার পেলেন করোনা টিকার দুই আবিষ্কারক

২০২৩ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার জিতলেন হাঙ্গেরিয়ান-আমেরিকান বিজ্ঞানী ক্যাটালিন কারিকো এবং আমেরিকান বিজ্ঞানী ড্রিউ উইসম্যান। মহামারি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর এমআরএনএ টিকার বিকাশে সহায়ক নিউক্লিওসাইড বেস পরিবর্তনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের জন্য তারা এই পুরস্কার পান।
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বাংলাদেশ সময় সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে চিকিৎসায় সর্বোচ্চ পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে এ দুই বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করেছে করোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলি। ঘোষণার আগে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান বা সংক্ষিপ্ত তালিকা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। বরাবরের মতোই পুরো প্রক্রিয়া অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়েছে।
পুরস্কার দেওয়ার কারণ হিসেবে নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ক্যাটালিন এবং উইসম্যানের আবিষ্কারের ফলে ২০২০ সালের শেষের দিকে অত্যন্ত কার্যকর দুটি এমআরএনএ-ভিত্তিক কোভিড-১৯ টিকা উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছিল। এই টিকাগুলো বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে এবং আরও অনেক লোকের গুরুতর রোগ প্রতিরোধ করেছে।
এ বছর ২ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ধাপে ধাপে ঘোষণা করা হবে নোবেল বিজয়ীদের নাম। সোমবার (২ অক্টোবর) জানা যাবে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল বিজয়ী বা বিজয়ীদের নাম। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) পদার্থে, বুধবার (৪ অক্টোবর) রসায়নে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সাহিত্যে এবং শুক্রবার (৬ অক্টোবর) শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম জানা যাবে। দুদিন বিরতি দিয়ে ৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম।
১৯০১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১১৩ বার মোট ২২৫ জনকে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। গত বছর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল জিতেছিলেন সুইডিশ বিজ্ঞানী সুভান্তে প্যাবো। আদিম মানুষের জিনোম উদঘাটন ও মানব বিবর্তনের জিনোম সম্পর্কিত আবিষ্কারের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

তার আগের বছর (২০২১ সাল) তাপমাত্রা ও স্পর্শের রিসেপ্টর আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আর্ডেম প্যাটাপৌসিয়ান।
ডিনামাইট আবিষ্কারক সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। প্রথম পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯০১ সালে। সেময় সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সফল, অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও শান্তি। যদিও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে।
এ বছর অর্থমূল্য বাড়ছে নোবেল পুরস্কারের। গতবারের চেয়ে এ বছরের বিজয়ীরা ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা বেশি পেতে চলেছেন।
নোবেল ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ২০২৩ সালে নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য বাড়িয়ে ১ কোটি ১০ লাখ ক্রোনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।