Connect with us

জাতীয়

অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে

Published

on

আলিফ

আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন এবং দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশবিরোধী, খুনি, মৌলবাদী চক্র, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১২ জুন) দুপুরে গণভবনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এক সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হয়, জনগণের জীবনমান উন্নত হয়। এর প্রমাণ আমরা দিয়েছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বিদেশে বাংলাদেশের সম্মান-মর্যাদা বেড়েছে।

২০০৯ সাল থেকে দেশে যে পরিবর্তন দৃশ্যমান, এটা আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছে বলেই সম্ভব হয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, আমরা মানুষের মন জয় করেই ক্ষমতায় এসেছি। আর ক্ষমতায় এসে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর ৭৫-২০০৮ পর্যন্ত যে অন্যায়, অত্যাচার হয়েছে, আমরা তার প্রতিশোধ নেইনি। আমরা অন্যায়ের জবাব দিচ্ছি উন্নয়ন করে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার প্রতিটি জেলায় পরিকল্পিত উন্নয়ন করেছে। ফলে আজ গ্রামে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা একেবারে নেই বললেই চলে।

সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারলে যে উন্নয়ন হয়েছে তার সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।

জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত দলকে আরও শক্তিশালী, সু-সংগঠিত করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি দলে দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা যেন অবহেলিত না হয় সে বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে নেতাদের নির্দেশ দেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দুঃসময়ের নেতাকর্মীরাই দলের দুঃসময়ে এবং যে কোনো প্রয়োজনে পাশে থাকবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার একমাত্র শক্তি আমার সংগঠন। সাংগঠনিক শক্তি না থাকলে বড় কোনো অর্জন সম্ভব হয় না। তাই দলকে সুসংগঠিত করতে হবে তৃণমূল পর্যায়ে থেকে।

বাংলাদেশকে নিয়ে নানা চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই চায় না আমাদের দেশ এগিয়ে যাক।

এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাদের উস্কানিতে বিএনপি আজ লাফাচ্ছে তারা কিন্তু তাদের ক্ষমতায় বসাবে না। তারা শুধু তাদের ব্যবহার করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগকে বারবার ধ্বংস করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সে চেষ্টা কখনোই সফল হয়নি। আওয়ামী লীগ আজ মানুষের মন জয় করে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করা দরকার মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা-মা, ভাই সবাইকে হারানোর পর আওয়ামী লীগই আমার পরিবার। বাংলাদেশের জনগণ আমার শক্তি। তারাই আমার একমাত্র ভরসা। তাদের জীবনমান উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। করোনা মহামারির মধ্যে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা সবচেয়ে বেশি মানুষের পাশে থেকে অবদান রেখেছে।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরাফাতকে আপনাদের হাতে তুলে দিলাম। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।

বিএনপির নির্বাচন মানে ‘দশটা হোন্ডা ২০টা গুণ্ডা নির্বাচন’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো ভোটারবিহীন নির্বাচন করেনি। ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছেন খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগের চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিসহ সংগঠনের নেতারা।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

বেশি দামে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করলেই ‘শাস্তি’

Published

on

আইআরআইডিপি-৩ সুকুকে যে কোনো মূল্যে কেনাবেচার সুযোগ

কিছু ব্যাংক নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি মূল্যে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করছে। এতে বাজারের শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের রেট নিয়ে সব ব্যাংকগুলোকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। যদি কেউ বেশি দামে ডলার বেচাকেনা বা কোনো প্রকার কারসাজি করে তাহলে তাকে শাস্তির আওতায় পড়তে হবে।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এমন হুঁশিয়ারি দেন। বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর ও সংশ্লিষ্ট নির্বাহী পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এবিবির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন।

বৈঠকে বর্তমান দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, মূল্যস্ফীতি চাপ, রিজার্ভ, এক্সচেঞ্জ রেট, আমদানি রপ্তানিতে অর্থপাচার রোধ এবং ব্যাংক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে থাকা একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, ব্যাংক খাতের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডলার রেটের বিষয়ে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে বলেছেন গভর্নর। আমদানি রপ্তানির মাধ্যমে যেন অর্থপাচার না হয়, সেদিকে কোঠর নজর রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া এসএমইতে ঋণ বাড়াতেও তাগিদ দিয়েছেন গভর্নর।

এর আগে বেশি দামে ডলার বিক্রি করার কারণে ১০ ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংক মালিকদের সঙ্গেও একটি সভা করা হয়। ওই সভায়ও ডলার কারসাজির বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন গভর্নর।

ওই সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে ডলারের বাজার পরিস্থিতি, মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ও ব্যাংকের সার্বিক তারল্য পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।

গভর্নর জানান, ডলারের সংকট এখন কমে এসেছে, সরবরাহ আগের চেয়ে বেড়েছে। তাই কোনো ব্যাংক যাতে ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচা না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

বিএবির পক্ষ থেকে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে সায় দেননি গভর্নর। ব্যাংক উদ্যোক্তাদের জানানো হয়, বর্তমানের মূল্যস্ফীতি চাপ নিয়ন্ত্রণ এখন ডলারের দাম বাড়ানো সম্ভব নয়। আর এখন প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বাড়ানো হলে হুন্ডিতে ডলারের দামও বাড়বে।

রেমিট্যান্স-রপ্তানি ডলারের এক রেট
রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের মূল্য এখন থেকে এক রেটে ধরা হয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা পা‌চ্ছেন। আগে যা ছিল ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আ‌য়ে ডলারের মূল্য ৫০ পয়সা বা‌ড়ি‌য়ে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা করা হ‌য়ে‌ছে। এছাড়া আমদানিতে ডলারের দর হবে ১১০ টাকা। আগে যা ছিল ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যাংকগুলোতে প্রতি ডলারে ১১৪-১১৫ টাকা দাম নিয়েছিল। এজন্য শাস্তির আওতায় পড়েছেন ডলার কেনাবেচার দায়িত্বে থাকা ট্রাজারি প্রধানরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আন্তঃব্যাংক ব্যবস্থায় ডলার লেনদেন হচ্ছে ১১০ টাকায়।

তবে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ এক ডলার কিনতে গ্রাহক‌দের গুনতে হচ্ছে ১১৭ টাকা থেকে ১১৮ টাকা। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের নগদ প্রতি ডলার কিনতে দেশি মুদ্রা খরচ করতে হচ্ছে ১১৮ টাকা পর্যন্ত।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

অবসরে যাচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুক

Published

on

অবসরে যাচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুক

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুককে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যাবেন।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখ প্রজ্ঞাপনে সই করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুককে ৩০ সেপ্টেম্বর বয়স ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন) এর ধারা ৪৩(১) (ক) অনুযায়ী সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হলো।

তার অনুকূলে ১৮ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ লাম্পগ্র্যান্টসহ ১ অক্টোবর ২০২৩ হতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ১ বছরের অবসর-উত্তর ছুটি (পি.আর.এল) মঞ্জুর করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, তিনি বিধি অনুযায়ী অবসর ও অবসর-উত্তর ছুটিকালীন সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর ডিএমপির ৩৫তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন খন্দকার গোলাম ফারুক।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

এসএমই খাতে বিদেশি ব্যাংকের ঋণ বিতরণ বেড়েছে

Published

on

এসএমই খাতে বিদেশি ব্যাংকের ঋণ বিতরণ বেড়েছে

দেশে অবস্থিত বিদেশি ব্যাংকগুলো কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে (সিএমএসএমই) ঋণ বিতরণ বাড়িয়েছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বিদেশি ব্যাংকগুলো সিএমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণ করেছে ১ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিলো ৮২৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এসব ব্যাংকের ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৫৩৯ কোটি টাকা বা ৬৫ শতাংশ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই খাতে ৪৯ হাজার ৬৮ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। ২০২২ সালের একই সময়ে ঋণ বিতরণ করা হয় ৫১ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা। সেই তুলনায় এই খাতে ঋণ বিতরণ কমেছে ২ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা বা ৫ শতাংশ।

ব্যাংকাররা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি এখন ধীরগতিতে চলছে। এসবের প্রভাব দেশের অর্থনীতিতেও পড়েছে। আমাদের দেশেরও একই অবস্থা হওয়ার কারণে সিএমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণ কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সিএমএসএমই খাতের এই স্কিমের তহবিলের মেয়াদ ৩ বছরের জন্য নির্ধারণ করেছে। তবে তবে প্রয়োজনে এর মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।

জানা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই স্কিম থেকে ২ শতাংশ হারে তহবিল নিতে পারে ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ হারে গ্রাহকের কাছে ঋণ বিরতণ করতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ প্রান্তিকে সিএসএমই খাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ৪ হাজার ৩০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের বিপরীতে আদায় করেছে ২ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো ৪০ হাজার ১৩ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩৯ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। বিদেশি ব্যাংকগুলো ১ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা বিতরণ করেছে, এই ব্যাংকগুলো এসময় আদায় করেছে ১ হাজার ১১০ কোটি টাকা। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা হয় ১ হাজার ১০২ কোটি টাকা।

তথ্য মতে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এসএমই খাতে দেওয়া ঋণ পেয়েছেন ১১ লাখ ২৪ হাজার ১৯৩ উদ্যোক্তা। আলোচ্য সময়ে এসএমই ঋণ বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছিলো ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। ২০২১ সালে এসএমই ঋণের এই স্থিতি ছিল ২ লাখ ৪৩ হাজার ৭৩ কোটি টাকা। আর এবছরের মার্চ শেষে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ডিসেম্বরের চেয়ে মার্চ প্রান্তিকে খাতটিতে ১১ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ বেড়েছে।

চলতি বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক এক নির্দেশনায় জানায়, ২০২৪ সালে সিএমএসএমই খাতে যে ঋণ বিতরণ করা হবে, তার ৫০ শতাংশ দিতে হবে কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোগে। আর নারী উদ্যোক্তাদের দিতে হবে এ খাতে দেওয়া মোট ঋণের ১৫ শতাংশ ঋণ।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

বিটিএমএ’র সভাপতি হলেন আলী খোকন

Published

on

বিটিএমএ’র সভাপতি হলেন আলী খোকন

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যাকসন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খোকন।

২০২৩-২৫ মেয়াদের জন্য তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বলেছে বলে বিটিএমএ তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আবুল বাশার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া সভাপতি, তিন সহসভাপতি ও ২৩ জন পরিচালকের নাম ঘোষণা করেছেন।

সহসভাপতি নির্বাচিত হওয়া তিন জন হলেন- সুতা উৎপাদন ক্যাটাগরি থেকে মো. ফজলুল হক, ফেব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. ফায়েজুর রহমান ভূঁইয়া ও ডাইং-প্রিন্টিং ক্যাটাগরি থেকে মো. সালেউদ জামান খান।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স আরও কমার আশঙ্কা

Published

on

ডলার

গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে দেশে সবশেষ ২০০ কোটি বা তার বেশি রেমিট্যান্স এসেছিলো। কিন্তু চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা নিম্নগতিতে মোড় নিয়েছে। শেষ দুই মাসের কোনটাতে ২০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স তো আসেইনি, উল্টো আগস্টে তা কমে দেড়শোর ঘরে ঠাঁই নিয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স আরও কমার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ মাসের প্রথম ২২ দিনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য অনুযায়ী, গত ২২ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯২ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। আগস্টে আগের মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার।

সমাপ্ত অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

প্রসঙ্গত, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিলো ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। যা পুরো হিসাব বছরের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
Advertisement
Advertisement IBBL_AD_300 x 250

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

September 2023
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930