Connect with us

লাইফস্টাইল

সোমবারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে

Published

on

কৃষিবিদ সীড

সোমবারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি থাকে বলে এক গবেষনা উঠে এসেছে। অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে এখন শুধু বয়স্কদের মধ্যেই নয় বরং কমবয়সীরাও হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হচ্ছেন। বয়স ও জীবনধারণের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের কারণেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে পারে। বিশ্বব্যাপী দিন দিন বেড়েই চলছে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্তের ঘটনা।

সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় সোমবারে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বেশি ঘটে। চলতি বছরের ৯ জুন ম্যানচেস্টারে ব্রিটিশ কার্ডিওভাসকুলার সোসাইটি (বিসিএস) সম্মেলনে উপস্থাপিত হয় নতুন এই গবেষণা।

বেলফাস্ট হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল কেয়ার ট্রাস্ট ও আয়ারল্যান্ডের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস’র চিকিৎসকরা এই গবেষণা করেন। আয়ারল্যান্ড দ্বীপের (আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্র ও উত্তর আয়ারল্যান্ডসহ) হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১০ হাজার ৫২৮ রোগীর রেকর্ড পরীক্ষা করেন গবেষকরা।

২০১৩-২০১৮ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হার্ট অ্যাটাকের জন্য ভর্তি করা রোগীদের উপর সমীক্ষা করা হয়। এ ঘটনাকে চিকিৎসার ভাষায় এসটি অর্থাৎ সেগমেন্ট এলিভেশন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (এসটিইএমআই) নামে পরিচিত।

যখন হৃদযন্ত্রের প্রধান করোনারি ধমনী, যা আপনার হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ করে সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ হয়ে যায় তখনই হার্ট অ্যাটাক ঘটে। জরুরি যত্ন ছাড়া এসটিইএমআই মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

গবেষণা বলছে, যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ গুরুতর হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাদেরকে বাঁচাতে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

এনজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্ট (গুলি) এর মাধ্যমে অবরুদ্ধ করোনারি ধমনী পুনরায় খোলা ও হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালান চিকিৎসকরা।

গবেষকরা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যবেক্ষণ করে দেখেন কর্ম সপ্তাহের শুরুতে এসটিইএমআই হার্ট অ্যাটাকের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। যার হার সোমবারে সর্বোচ্চ (১৩ শতাংশ বাড়ে)। রবিবারের চেয়ে সোমবারে হার্ট অ্যাটাক নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর হার বেশি।

গবেষকরা একে ‘ব্লু সানডে’ বলে অভিহিত করেন। তবে এই প্রভাবের পেছনের সঠিক কারণ সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি।

কী বলছেন গবেষকরা?

কার্ডিওলজিস্ট ডক্টর জ্যাক লাফান, যিনি বেলফাস্ট হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল কেয়ার ট্রাস্টের গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনি বলেছেন ‘আমরা সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় সোমবারে গুরুতর হার্ট অ্যাটাক অর্থাৎ এসটিইএমআই এর ঘটনা বেশি ঘটার তথ্য খুঁজে পেয়েছি। তবে কেন এটি ঘটে, তা জানার জন্য আরও গবেষণা জরুরি।’

এ বিষয়ে ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের রায় হলো, যদিও এসটিইএমআই হার্ট অ্যাটাক সোমবারে হওয়ার ঝুঁকি বেশি তার মানে এই নয় যে সপ্তাহের বাকি সময়ে এটি হওয়ার ঝুঁকি নেই। তাই সবারই সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো সম্পর্কে সবারই ধারণা রাখতে হবে।

ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের (বিএইচএফ) মেডিকেল ডিরেক্টর প্রফেসর স্যার নীলেশ সামানি বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্যে প্রতি পাঁচ মিনিটে প্রাণঘাতী হার্ট অ্যাটাকের কারণে অন্তত একজন হলেও ভর্তি হন, তাই হার্ট অ্যাটাক কীভাবে ও কেন হয় সে বিষয়ে সবাইকে সঠিক জ্ঞান রাখতে হবে ও সচেতন হতে হবে।’

সোমবার কেনো হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অন্যান্যদিনের চেয়ে বেশি থাকে এ বিষয়ে ডক্টর জ্যাক লাফানের এক বক্তব্য এই গবেষণার সম্ভাব্য প্রভাবগুলোর উপর আরও আলোকপাত করে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সোমবারে গুরুতর হার্ট অ্যাটাকের উচ্চ ঝুঁকি খুঁজে পেয়েছি। ঘটনাটি পশ্চিমা বিশ্ব জুড়ে আগেও বর্ণিত হয়েছে। আমরা জানি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঘটনা শীতকালে ও সকালের প্রথম দিকে বেশি ঘটে।’

‘ঠিক তেমনই ধারণা করা হচ্ছে, এক্ষেত্রে সার্কাডিয়ান ছন্দ সঞ্চালনকারী হরমোনগুলো প্রভাবিত হওয়ার কারণেই হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঘটনা হয়তো সম্পর্কযুক্ত।’

‘আর সোমবারে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বেশি হওয়ার পেছনের সম্ভাব্য কারণ হতে পারে সপ্তাহের প্রথমদিকের কাজের চাপ। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের বেড়ে যাওয়ার কারণেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়ে।’

অর্থসংবাদ/এসইউ

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

লাইফস্টাইল

‘মৃতদেহ ফুল’ বিলুপ্তপ্রায়, বিজ্ঞানীদের সতর্কতা

Published

on

কৃষিবিদ সীড

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুলের নাম হলো র‌্যাফলশিয়া। এ ফুল করপস ফ্লাওয়ার বা মৃতদেহ ফুল নামেও পরিচিত। এর কারণ, এই ফুলে পচন ধরলে মৃতদেহের মতো দুর্গন্ধ ছড়ায়। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এ বিষয়টি কৌতুহলী করে রেখেছে বিজ্ঞানীদের। পরজীবী এই ফুলটি এখন বিলুপ্তির ঝুঁকিতে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্কতা দিয়েছেন।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত র‌্যাফলশিয়া ফুলের ৪২ রকম প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে। বিলুপ্তির পথে থাকার কারণে বিজ্ঞানীরা এই ফুলকে রক্ষা করতে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য গার্ডিয়ান। এতে বলা হয়, র‌্যাফলশিয়া ব্যাপকভাবে পরিচিতি পেয়েছে পচে যাওয়া মাংসের দুর্গন্ধের জন্য। এমন দুর্গন্ধে তার কাছে উড়ে যায় মাংসখেকো মাছি। এই ফুলের ব্যাস কমপক্ষে এক মিটার।

দেখা যায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। কিন্তু এ অঞ্চলে যেভাবে বন ধ্বংস করা হচ্ছে, তাতে এই প্রজাতির ফুল টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত জ্ঞাত ৪২ প্রজাতির মধ্যে ২৫টিকে অত্যন্ত ঝুঁকিতে থাকা শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। ১৫টিকে রাখা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ক্যাটেগরিতে।

প্লান্টস, পিপল, প্লান্টে জার্নালে প্রকাশিত নতুন এক জরিপে বলা হয়েছে, সংরক্ষণ কৌশল অবলম্বন করে এখন টিকিয়ে রাখা হয়েছে এদের দুই-তৃতীয়াংশকে। এই ফুল যে বিলুপ্তির মুখে এ বিষয়ে এটাই বিশ্বে প্রথম মূল্যায়ন।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

উপুড় হয়ে ঘুমানো কী ক্ষতিকর?

Published

on

উপুড় হয়ে ঘুমানো কী ক্ষতিকর?

ঘুমের অভ্যাস একেকজনের একেকরকম। কেউ কাত হয়ে ঘুমাতে ভালোবাসেন, কেউ আবার চিৎ হয়ে। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা উপুড় হয়ে ঘুমাতে বেশি পছন্দ করেন। ভালো এবং পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের সবার জন্যই জরুরি। আর ভালো ঘুমের জন্য মেনে চলতে হয় কিছু অভ্যাস। আচ্ছা, আপনার কীভাবে ঘুমান? আপনার কি উপুড় হয়ে ঘুমোনার অভ্যাস? আপনি কি জানেন, এই অভ্যাসের ফলে কী হয়?

উপুড় হয়ে বই পড়তে পড়তে বা গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েন অনেকে। এভাবে ঘুমোনোর ফলে সাময়িক আরাম পাওয়া যায় ঠিকই কিন্তু এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরের ওপর। সেটি কি আসলে ভালো নাকি ক্ষতিকর? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মিত যদি আপনি উপুড় হয়ে ঘুমান তাহলে আপনার মেরুদণ্ড, ফুসফুসের উপর চাপ পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে শরীরের বিশ্রাম ও ঘুমের ওপরও বেশ প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞরা তাই উপুড় হয়ে ঘুমানোর বদলে চিৎ হয়ে বা পাশ ফিরে ঘুমানোর পরামর্শ দেন। এটাই বরং বেশি উপকারী।

উপুড় হয়ে ঘুমানোর ফলে আমাদের মেরুদণ্ড বা অন্ত্রে চাপ পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে উপুড় হয়ে ঘুমানোর অভ্যাসের ফলে আমাদের ঘাড় ও পিঠে ব্যথা হতে পারে। যে কারণে বেশিরভাগ সময়েই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। আর পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শারীরিক নানা জটিলতাও দেখা দিতে পারে।

উপুড় হয়ে ঘুমানোর কারণে দেখা দিতে পারে কোমরে সমস্যাও। আপনার যদি এভাবে ঘুমের অভ্যাস থাকে তবে খেয়াল করে দেখুন, মাঝেমাঝেই আপনি কোমার ব্যথায় ভুগছেন কি না। সেইসঙ্গে হতে পারে আরেকটি অদ্ভুত সমস্যা, সেটি হলো ত্বকের। উপুড় হয়ে ঘুমানোর ফলে মুখের ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এদিকেও নজর দিন।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

বাথরুমে টুথব্রাশ রাখলে যেসব ক্ষতি হতে পারে

Published

on

কৃষিবিদ সীড

আপনি কি আপনার টুথব্রাশটি বাথরুমে একটি মগে রাখেন? সম্ভবত আপনার পরিবারের সদস্য বা রুমমেটদের অন্যান্য টুথব্রাশের সঙ্গে, তাই না? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনি এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসট একা অনুসরণ করেন না, আপনার মতো আরও অনেকেই আছেন। এটি কেন অস্বাস্থ্যকর? ডেন্টাল স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার টুথব্রাশ বাথরুমে রাখলে তা মল কণার সংস্পর্শে আসতে পারে।

আপনার টুথব্রাশে কি মল কণা আছে?

আপনার বাথরুমের পরিবেশে মল কণার উপস্থিতি সম্ভব, বিশেষ করে যদি আপনি বা অন্য কেউ প্রথমে ঢাকনা বন্ধ না করে ফ্লাশ ব্যবহার করেন। এভাবে ফ্লাশ করলে তা বাতাসে পানির ফোঁটা ছড়িয়ে দিতে পারে যাতে মল ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য অণুজীব থাকতে পারে। সেগুলো আপনার টুথব্রাশের মতো কোনোকিছুতে আটকে যেতে পারে। স্থাবাথরুমের টুথব্রাশ রাখা মোটেই ভালো অভ্যাস নয়। কেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

ব্যাকটেরিয়া এবং দূষণ

আপনার টুথব্রাশ টয়লেট সিটের কতটা কাছে রাখা হয়েছে? যদি এটি টয়লেট সিটের কাছাকাছি থাকে তবে আপনার ব্রাশটি বায়ুবাহিত কণার সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা বেশি যা দূষণের কারণ হতে পারে। বাথরুমের পরিবেশ আর্দ্র হতে থাকে, যা আপনার টুথব্রাশে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

শেয়ার করা বাথরুম

আপনার বাথরুম যদি আরও অনেকে ব্যবহার করে তবে ক্রস-দূষণের সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ একাধিক লোক বাথরুমে থাকা বিভিন্ন জিনিস স্পর্শ করতে পারে। যেহেতু অনেক সময় বাথরুম শেয়ার করা ছাড়া কোনো বিকল্প থাকে না, তাই বিভিন্ন উপায়ে আপনি আপনার টুথব্রাশের পাশাপাশি নিজেকে এই সম্ভাব্য ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসা থেকে রক্ষা করতে পারেন।

আরও পড়ুন: গরম খাবারে জিহ্বা পুড়ে গেলে যা করবেন

টুথব্রাশ কীভাবে রাখবেন

ব্যবহার করার আগে প্রথমে টুথব্রাশটি কলের পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া একটি ভালো অভ্যাস। এটি আপনার টুথব্রাশে লেগে থাকা দূষিত পদার্থগুলোকে অপসারণ করতে সাহায্য করতে পারে। ব্যবহার করার পরে আপনার টুথব্রাশটি একটি টুথব্রাশ হোল্ডার বা কাপে খাড়া করে রাখুন যাতে এটি বাতাসে শুকিয়ে যায়। একাধিক টুথব্রাশের জন্য আলাদা সকেট আছে এমন পাত্রে রাখতে পারেন, যাতে একে অপরের সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত থাকে। বাতাসে শুকানোর পর টুথব্রাশকে একটি কভার দিয়ে আটকে রাখতে পারেন যাতে এটি বায়ুবাহিত কণা থেকে রক্ষা পায়।

নিয়মিত টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন

আপনার টুথব্রাশ প্রতি তিন থেকে চার মাস পরপর বা তারও আগে পরিবর্তন করুন। পুরানো বা জরাজীর্ণ টুথব্রাশ ব্যবহার করা স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে এবং তা দিয়ে সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশও করতে পারবেন না। নিয়মিত পরিবর্তনের পাশাপাশি ধূলিকণার, ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক এড়াতে নিয়মিত টুথব্রাশ রাখার পাত্রটিও পরিষ্কার রাখুন।

টয়লেটের ঢাকনা বন্ধ করুন

ফ্লাশ করার আগে টয়লেটের ঢাকনা বন্ধ করা একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যা বাথরুমে বায়ুবাহিত মল কণার বিস্তার কমাতে সাহায্য করে। ২০১২ সালে যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণায় টয়লেটের ঢাকনা খোলা এবং বন্ধ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। যখন টয়লেটের ঢাকনা খোলা রেখে ফ্লাশ করা হয়েছিল, তখন সিটের উপরে ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গিয়েছিল। গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, ঢাকনা দিয়ে ফ্লাশ করার পরে সিটের উপরে বাতাসে কোনো ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়নি।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

খুশকি দূর করার সহজ উপায়

Published

on

খুশকি দূর করার সহজ উপায়

আপনার স্মার্টনেস এক মুহূর্তেই নষ্ট করে দিতে পারে খুশকি নামক ছোট্ট একটি সমস্যা। ধরুন, আপনি সেজেগুঁজে তৈরি। পার্টি অথবা ডিনারে যাচ্ছেন। পরিপাটি পোশাক, সুন্দর সাজ। এরপর যখন মাথায় চিরুনি বুলিয়ে নিচ্ছেন তখনই ঘটলো বিপত্তি। খুশকি নামক বিপদ তখন আপনার ঘাড়ে আর পিঠে ছড়িয়ে পড়েছে। এই খুশকির সমস্যায় নারী এবং পুরুষ উভয়েই ভুগে থাকেন। এটি যে শুধু সৌন্দর্য নষ্ট করে তাই নয়, এটি মাথার ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর।

খুশকি কী?

খুশকি হলো মাথার ত্বকে জন্মানো এক ধরনের ছত্রাক যা ম্যালাসেজিয়া নামে পরিচিত। এটি সেবাম (আমাদের মাথার ত্বকে সেবেসিয়াস গ্রন্থি দ্বারা নিঃসৃত তৈলাক্ত পদার্থ) এবং ত্বকের মৃত কোষের (যা প্রাকৃতিকভাবে নতুন ত্বক গঠনের কারণে সৃষ্ট হয়) মাধ্যমে বেঁচে থাকে। যদিও খুশকি মাথার ত্বকের একটি স্বাভাবিক অংশ, কিন্তু তখনই সমস্যাযুক্ত হয় যখন এটি সেবাম খায় এবং ফ্যাটি অ্যাসিডে ভেঙে দেয়, যা অনেকের সংবেদনশীল স্ক্যাল্পে জ্বালার কারণ হতে পারে। এটি মাথার ত্বকে শুষ্কতা এবং চুলকানির কারণ, যার ফলে ত্বকের মৃত কোষগুলো দৃশ্যমান স্থানে জমা হয়।

ঘরোয়া প্রতিকার

ম্যালাসেজিয়া আর্দ্র পরিবেশে বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত আর্দ্রতা এবং ঘামের কারণে গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালে এর উপদ্রব বাড়ে। আবার শীতের ঠান্ডা বাতাস মাথার ত্বকের আর্দ্রতা কেড়ে নেয় এবং শুষ্কতা বেড়ে যায়। যার ফলে চুলকানি ও ফুসকুড়ি হয়। যে কারণে খুশকি সারা বছরই লেগে থাকে। যদিও খুশকি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার কোনো উপায় নেই তবে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়িতে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন অনেক প্রতিকার রয়েছে। জেনে নিন খুশকি দূর করার কিছু প্রাকৃতিক ঘরোয়া প্রতিকার-

চুলে দীর্ঘ সময় তেল দিয়ে রাখবেন না

অনেকে মনে করেন, নিয়মিত চুলে তেল ব্যবহার করলে তা খুশকি দূর করতে কাজ করে। আসলে কিন্তু তা নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেল লাগালে আরও খুশকি হবে কারণ তেল ম্যালাজেসিয়ার খাবার হিসেবে কাজ করে। এর ফলে খুশকি আরও বেড়ে যায়। শুষ্ক, চুলকানিযুক্ত মাথার ত্বকে তেল দিলে তা আপনার কাছে আরামদায়ক হতে পারে তবে দুঃখজনক সত্যি হলো, এটি খুশকি বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে যখন মাথার ত্বকে দীর্ঘ সময়ের জন্য তেল দিয়ে রাখেন। তাই তেল দেওয়ার প্রয়োজন হলে ঘণ্টাখানেকের জন্য দিয়ে এরপর ধুয়ে ফেলুন।

ভিনেগার ব্যবহার

ভিনেগার চুলকানি, শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসায় সাহায্য করে এবং খুশকি সৃষ্টিকারী ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতেও কাজ করে। ভিনেগারের অ্যাসিডিক উপাদান ফ্ল্যাকিং কমাতে অত্যন্ত উপকারী। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, খুশকি দূর করার ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে মাথা ধোয়ার আধা ঘণ্টা আগে মাথার ত্বকে সমান পরিমাণে সাদা ভিনেগার পানির সঙ্গে মিশিয়ে লাগিয়ে নিন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

বেকিং সোডা

বেকিং সোডা স্ক্রাব হিসাবে কাজ করে এবং মাথার ত্বককে আলতোভাবে এক্সফোলিয়েট করে। এটি স্ক্যাল্পের ক্ষতি না করে ত্বকের মৃত কোষগুলোকে অপসারণ করে। মাথার ত্বকে যাতে খুশকি আরও বেশি দৃশ্যমান হয় তা নিশ্চিত করার জন্য এক্সফোলিয়েশন অপরিহার্য। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেকিং সোডা, এর এক্সফোলিয়েশন এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যের কারণে মাথার ত্বককে প্রশমিত করে এবং লালচেভাব ও চুলকানি কমায়। চুল ধোয়ার সময় শ্যাম্পুতে সামান্য বেকিং সোডা মিশিয়ে এর সুবিধা পেতে পারেন।

আরও পড়ুন: ত্বক ও চুলের যত্নে আঙুরের তেল

নিমপাতা

আমরা সবাই জানি যে নিমপাতার নির্যাস তার ব্যাকটেরিয়ারোধী এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণাবলীর কারণে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেহেতু খুশকি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাথার ত্বকে ছত্রাকের জন্য দায়ী, তাই ত্বকের রোগের জন্য এই পুরানো প্রতিকারের দিকে ফিরে যাওয়াই ভালো। প্রাকৃতিক প্রতিকারই সর্বোত্তম উপায়। তবে পানিতে নিমপাতা সেদ্ধ করার বদলে কাঁচা পাতা বেটে মাথার ত্বকে ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাবেন।

টি ট্রি অয়েল

অ্যান্টি-ব্রণ এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল রয়েছে এই তেলে। ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ব্যতিক্রমী ক্ষমতার কারণে টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। আপনার শ্যাম্পুতে এক বা দুই ফোঁটা টি ট্রি অয়েল যোগ করুন এবং সাধারণভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করার পরই পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন।

রসুন

রান্নার কাজে রসুন ব্যবহার করা হয় প্রতিদিনই। এটি প্রায় সবার বাড়িতেই থাকে। অনেকের কাছে রসুনের গন্ধটা পছন্দ নাও হতে পারে। তবে এর উপকারিতাকে আপনি উপেক্ষা করতে পারবেন না। রসুন একটি ছত্রাক বিরোধী প্রাকৃতিক পণ্য এবং কাঁচা রসুনের উপকারিতা অনেক। তাই মাথার ত্বক থেকে খুশকি দূর করতে চাইলে রসুন ব্যবহার করতে পারেন। সেজন্য রসুনের কয়েকটি কোয়া সামান্য পানির সঙ্গে বেল্ড করে মাথার ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। গন্ধ দূর করতে চাইলে এর সঙ্গে সামান্য মধু কিংবা আদার রস মিশিয়ে নিন।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

ডাবের পানিতে সত্যিই কি প্লাটিলেট বাড়ে?

Published

on

ডাবের পানিতে সত্যিই কি প্লাটিলেট বাড়ে?

কাগজে-কলমে বর্ষা শেষ হয়ে গেছে কিন্তু বৃষ্টি এখনও অব্যাহত আছে। এই সময়ে এসে বাড়ছে ডেঙ্গুর দাপট। মশাবাহিত এই রোগের বিপজ্জনক দিক হলো প্লেটলেট বা অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যাওয়া। বেশিরভাগ মানুষই এই প্লাটিলেট কমে যাওয়ার বিষয়টিকে ভীষণ ভয় পান। তাই প্লাটিলেট কমে গেলে এটি বাড়ানোর জন্য নানারকম উপায়ের দ্বারস্থ হন।

কেউ পেঁপে পাতার রস খান, কেউ আবার ডাব কিনে। এই সুযোগে ডাবের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ করে দেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। আসলেই কি এমন কোনো বিশেষ পানীয় আছে যা খেলে প্লাটিলেট বাড়ে? এই নিয়ে ইন্টারনেটে নানা ধরনের তথ্য আপনারা পাবেন। কিন্তু তার সবগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। অনেকের ধারণা ডাবের পানি খেলে প্লাটিলেটের সংখ্যা দ্রুত বাড়ে। সত্যিই কি তাই?

প্লাটিলেট বৃদ্ধির সঙ্গে ডাবের পানি পানের কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি? এ ব্যাপারে ভ্রান্তি দূর করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানিয়েছেন, কোনো নির্দিষ্ট খাবার বা পানীয় একাই প্লাটিলেট বাড়াতে পারে না বা ডেঙ্গুও সারাতে পারে না। বিশেষজ্ঞের মতে, শুধু ডেঙ্গু নয়, যেকোনো জ্বরেই শরীরে প্লাটিলেট কমে যায়। যে কারণে রোগী দুর্বলতা অনুভব করেন। জ্বর কমার সঙ্গে সঙ্গে প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

ডেঙ্গু রোগীর ডায়েটে ডাবের পানি বা পেঁপে পাতার রস অল্প পরিমাণে থাকলে তেমন কোনো ক্ষতি নেই। তবে এ ধরনের পানীয় অতিরিক্ত পান করলে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ডেঙ্গু বা অন্যান্য জ্বরে ডাবের পানি পান করতে পারেন। তবে তা প্লাটিলেট বাড়িয়ে দেবে এই আশা করে না খাওয়াই ভালো। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডাবের পানি পান করলে ডেঙ্গু সেরে যায় এই ধারণা থেকে বের হতে হবে।

ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে নিয়ম মেনে। তার নির্দেশনা অনুযায়ী পথ্য বেছে নিতে হবে। খেতে হবে সুষম, সহজপাচ্য আহার ও পানীয়। ডাবের পানি বা যেকোনো একটি খাবার বা পানীয় এই রোগ সারাতে পারবে না। সব ধরনের খাবার গ্রহণ করতে হবে।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজধানীতে হাঁটুপানি
রাজধানী3 hours ago

কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজধানীতে হাঁটুপানি

কৃষিবিদ সীড
আবহাওয়া4 hours ago

সুখবর নেই আবহাওয়ার পূর্বাভাসে 

ইন্টারনেটের গতিতে কতটা পিছিয়ে বাংলাদেশ?
টেলিকম ও প্রযুক্তি4 hours ago

ইন্টারনেটের গতিতে কতটা পিছিয়ে বাংলাদেশ?

কৃষিবিদ সীড
আন্তর্জাতিক4 hours ago

ফক্স চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ছাড়ছেন রুপার্ট মারডক

কৃষিবিদ সীড
জাতীয়4 hours ago

কাল জাতিসংঘে ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী

কৃষিবিদ সীড
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার5 hours ago

চরম ভোগান্তিতে ইবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ

কৃষিবিদ সীড
জাতীয়5 hours ago

অক্টোবরে আসছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল

কৃষিবিদ সীড
কর্পোরেট সংবাদ5 hours ago

ডাটা এজ’র সাথে ব্র্যাক ব্যাংকের বিএসিএইচ ও নিকাশ অ্যাপ্লিকেশন বিষয়ক চুক্তি

কৃষিবিদ সীড
টেলিকম ও প্রযুক্তি6 hours ago

এবার লোগো পাল্টে ফেলল ফেসবুক

সুদহার অপরিবর্তিত রাখলো ফেডারেল রিজার্ভ
আন্তর্জাতিক6 hours ago

সুদহার অপরিবর্তিত রাখলো ফেডারেল রিজার্ভ

Advertisement
Advertisement IBBL_AD_300 x 250

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

September 2023
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930