স্বাস্থ্য
দেশে ডেঙ্গুতে আরও দুই জনের মৃত্যু

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে এই সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮০ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫০ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন।
সোমবার (১২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৬৫০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৫২৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৩৯০ জন। এদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৭১৪ জন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে একদিনে ২১ জনের মৃত্যু

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর একদিনে সর্বোচ্চ ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু ৮৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিন হাজার ১৫ জন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া তিন হাজার ১৫ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৫৭ জন। ঢাকার বাইরে ২১৫৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১০ জন এবং ঢাকার বাইরের ১১ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮১০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭৫ হাজার ৮৩৩ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ ৯৭৭ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭১ হাজার ৪২৬ জন এবং ঢাকার বাইরের ৯৪ হাজার ২৫৪ জন।

এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে একদিনে হাসপাতালে ভর্তি ৩ হাজার, মৃত্যু ৭

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ৩ হাজার ২৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৮৪৯ জন এবং ঢাকার ভর্তি হয়েছেন ২১৭৪ জন।
একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এ পর্যন্ত ৮৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ১০২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৮১৪ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ২৮৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকায় ৭৪ হাজার ৯৭৬ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৮ হাজার ৮১৯ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৮৪৭ জন। ঢাকায় ৭০ হাজার ৫৮৪ এবং ঢাকার বাইরে ৯২ হাজার ২৬৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
২০ লাখ স্যালাইন কিনবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

২০ লাখ আইভি ফ্লুইড স্যালাইন ক্রয়ের জন্য অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে ব্যয় হবে ২৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি পরিস্থিতি হিসেবে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুমোদনের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) এ আদেশ বাস্তবায়ন করবে।
জরুরি প্রয়োজনের কথা তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির ব্যাপকতায় ডেঙ্গু মশার বিস্তার আরও বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশের ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে সারা দেশে আইভি ফ্লুইডের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এ পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার স্বার্থে জরুরি প্রয়োজনে আরও ২০ লাখ পিস আইভি ফ্লুইড সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিএমপি) অনুসরণে ক্রয় করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
কিছুদিন ধরে বিভিন্ন জেলায় স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে নির্দিষ্ট দাম থেকে দুই-তিনগুণ বেশি দরে। কোথাও আবার ৮৭ টাকার স্যালাইনের দাম নেয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। এ অবস্থা রাজধানী ঢাকার মধ্যেও দেখা দিয়েছে।

সংকট তুলে ধরেন হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. এম এইচ লেলিন চৌধুরী। তিনি বলেন, এখন চাহিদার তুলনায় স্যালাইনের সংকট অনেক বেশি। আমরা কোম্পানিকে ১০০ ব্যাগ স্যালাইনের চাহিদা দিলে ১০ বা ২০ ব্যাগ স্যালাইন পাই। আগে আমরা একজন লোক পাঠিয়ে মিডফোর্ড মার্কেট থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী স্যালাইন নিতে পারতাম। এখন স্যালাইনের খোঁজে তিন চারজনকে মিডফোর্ড মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে পাঠাতে হচ্ছে। স্যালাইনের সর্বোচ্চ দাম ৯০-৯৫ টাকা ছিল, এখন সেই স্যালাইন আমরা ২০০ টাকা প্যাকেট কিনছি।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গু পরীক্ষায় বাড়তি ফি নেওয়ায় ভাটারায় হাসপাতাল বন্ধ

ডেঙ্গু পরীক্ষায় বাড়তি ফি আদায় ও লাইসেন্স নবায়ন না করায় রাজধানীর বেসরকারি ভাটারা জেনারেল হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোর উপ-পরিচালক ডা. বেলাল হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। আমরা কিছুক্ষণ আগেই বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে ভাটারা জেনারেল হাসপাতালকে বন্ধ ঘোষণা করেছি। আমরা এই কার্যক্রম আরও কিছুদিন পরিচালনা করব।
এর আগে, গতকাল রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামার ঘোষণা দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
তিনি জানান, সোমবার থেকে সারাদেশে একযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ বিষয়ে জেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা গত বছর যেসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেই, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছি। ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে ফের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তথ্য পাচ্ছি। যারা এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা আবারো ব্যবস্থা নেব। আগামীকাল থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একযোগে সারাদেশে এ অভিযান পরিচালিত হবে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে একদিনে ১৮ জনের মৃত্যু

ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৮২২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছে ৩১২২ জন, যা চলতি বছর সর্বোচ্চ। মৃত ১৮ জনের মধ্যে ঢাকায় ১২ জন ও ঢাকার বাইরে ৬ জন রয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেঙ্গুতে এ বছর এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে ২ হাজার ২৭৩ জন ঢাকার বাইরের।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৪৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সরকারি পরিসংখ্যান গত ২৪ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

গত ২ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ২১ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অর্থসংবাদ/এসএম