জাতীয়
মে মাসে সড়কে প্রাণ ঝরলো ৬৩১ জনের

মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৪৯ শতাংশ। এ মাসে সারাদেশে সড়কপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ৫ হাজার ৫০০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছেন ৬৩১ জন এবং আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৩৬ জন।
বুধবার (৭ জুন) সেভ দ্য রোডের মহাসচিব শান্তা ফারজানার পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশের ২২টি জাতীয় দৈনিক, ২০টি টেলিভিশন, আঞ্চলিক ও স্থানীয় ৮৮টি নিউজ পোর্টাল, স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী এবং সেভ দ্য রোডের স্বেচ্ছাসেবীদের তথ্যানুসারে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ১ হাজার ৬২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ১ হাজার ১৮৭ জন, নিহত ৫০ জন। ১ হাজার ৪৯৬টি ট্রাক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত ১ হাজার ৭৫২ এবং ৬২ জন নিহত হয়েছেন। ১ হাজার ৬০৫টি বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত ১ হাজার ৮৫৩ এবং নিহত হয়েছেন ২৬৩ জন। এ ছাড়া নসিমন-করিমনসহ অন্যান্য তিন চাকার বাহনে ১ হাজার ৩৩৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ১ হাজার ৭৪৪ এবং নিহত হয়েছেন ২৫৬ জন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ৫২টি নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ৯৭ জন, নিহত ১১ জন। এ সময় ৪১টি রেল দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত ৫৮ এবং নিহত হয়েছেন ২১ জন। তবে মে মাসে আকাশপথে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
বঙ্গবন্ধুর কাছেই সাহসী মনোবল পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের এমপি মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, শেখ হাসিনা ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করতেন। শেখ হাসিনা যে কঠিন দৃঢ়চেতনা এক সাহসী মনোবল সেটাও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কাছ থেকে পেয়েছে। কঠিন সংগ্রামে মধ্যেও কীভাবে অবিচল থাকতে হয় এই দীক্ষা শেখ হাসিনা বাবার কাছ থেকেও পেয়েছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশে একটা ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তারের চেষ্টা চলছে। সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারি প্রথম সাপ্তাহে হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল হয়তো নভেম্বরের প্রথম সাপ্তাহে হয়ে যাবে। কিন্তু এই নির্বাচনে দেওয়ার জন্য একটি দল আন্দোলন শুরু করছে। বিএনপি জামাত সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চায় না, বরং তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়।
তিনি বলেন, সাংবিধানিক ধারাবাহিক প্রক্রিয়া বজায় রাখতে নির্দলীয় সরকারের বিকল্প নেই। তাহলে বিএনপি অসাংবিধানিক সরকার দেখতে চায়? বিএনপি গণতান্ত্রিক দল হলে অগণতান্ত্রিক সরকার কেন চাচ্ছে? কেন অসাংবিধানিক কথা বলছে? বিএনপি নেতাকে, তাদের শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে বেগম খালেদা জিয়া যিনি ইতোমধ্যে বেশ কিছু মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে ছিলেন। উনার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, জননেত্রীর কল্যাণে গৃহহীনদের আবাসনের ব্যবস্থা, সমুদ্র জয়, সীমান্ত চুক্তি, ছিটমহল সমস্যার সমাধান, সমুদ্রে সাবমেরিন সহ মহাকাশ জয় সবকিছুই সম্ভব হয়েছে। এদিকে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সিক্স লাইন মহাসড়ক এসবকিছু দৃশ্যমান উন্নয়নগুলোর স্বপ্নদ্রষ্টা এবং বাস্তবায়নকারী হলেন আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আজ স্মার্ট বাংলাদেশে প্রবেশের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বকে জয় করতে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার এবং বিশ্ব রাজনীতির এক উজ্জ্বল প্রভাব। তার নেতৃত্বের জন্য আজকে তিনি একজন বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন। তিনি হলেন আমাদের মাদার অফ হিউম্যানিটি। আজকে আমরা তাঁর জন্মদিন পালন করছি।
অনুষ্ঠানে বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. এম. শাহিনুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় সঞ্চালনায় ছিলেন অধ্যাপক মিঠুন মুস্তাফিজ।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তাবৃন্দ, ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়সহ শতাধিক শিক্ষার্থীরা।
অর্থসংবাদ/এমআই/এসএ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
খাদ্য মূল্যস্ফীতির অস্বস্তি কমেনি

খাদ্য পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে কোনভাবেই স্বস্তি মিলছে না। বাজারের মাছ-মাংসের পাশাপাশি সবজি, মুদি বাজারে যেন হাত দেওয়া বারণ! সম্প্রতি যে হারে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে তাতে বেশ বিপাকে পড়ছে সাধারণ মানুষ। সেপ্টেম্বরে গ্রাম-শহরনির্বিশেষে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখনো ১২ শতাংশের ওপরে রয়ে গেছে। গত আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে ওঠে।
তবে গত সেপ্টেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে কোন সুখবর না আসলেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে। এই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশে নেমেছে, যা আগস্টে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গতকাল মঙ্গলবার মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ হয়েছে, যা আগস্টে ছিল ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আর শহরে সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ, যা আগস্টে ছিল ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, গত মে মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে উঠেছিল, যা গত এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর জুন ও জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে। তা জুন মাসে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও জুলাইয়ে ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ হয়। তবে আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতি আবার বেড়ে যায়। এ মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।
লক্ষণীয় দিক হচ্ছে, দেশে গত আগস্ট মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হঠাৎ করে অনেক বেড়ে যায়। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয় ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতির এই হার ১১ বছর ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশে উঠেছিল।

বিবিএসের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে গ্রাম-শহর মিলিয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আগের মাস, অর্থাৎ আগস্টে এই হার ছিল ১২ দশমিক ৫৪। এর মানে, সেপ্টেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে মাত্র দশমিক ১৭ শতাংশ। গত জুলাই মাসে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
সেপ্টেম্বর মাসে গ্রাম এলাকায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা শহর এলাকায় ১২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
অন্যদিকে গ্রাম-শহর মিলিয়ে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি আগস্টের ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ থেকে কমে সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৮২ শতাংশে নেমেছে। সেপ্টেম্বরে গ্রাম এলাকায় খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ ও শহর এলাকায় এটি কিছুটা কমে ৮ দশমিক ১২ শতাংশ হয়েছে।
এ ছাড়া গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, যা বছরভিত্তিক হিসাবে গত এক যুগে সর্বোচ্চ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে ২০২৫ সালে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসবে। বুধবার (৪ অক্টোবর) পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, সাধারণত নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণে ১০-১৫ বছর সময় লাগে। সে হিসেবে মাত্র ৭ থেকে ৮ বছরের মধ্যে নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ একটা মাইলফলক। এসবই প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হয়েছে।
রাশিয়ান কোম্পানিকে প্রকল্পের পেমেন্ট জটিলতা নিয়ে তিনি বলেন, সারা বিশ্বেই এ জটিলতা এখন চলছে। কিন্তু আমরা পেমেন্ট করছি, আশা করছি জটিলতা কেটে যাবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরীক্ষামূলক উৎপাদনে আসবে এবং এর ১০ মাস পর বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে।
পুরো প্রকল্পের কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথম ইউনিটের কাজ ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে এবং দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে।

প্রকল্পের কাজ যেভাবে এগিয়েছে, সঞ্চালন লাইনের কাজ সেভাবে আগায়নি। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রিড লাইন নির্মাণে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সব মন্ত্রণালয় কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিষয়টি কো-অর্ডিনেট করা হচ্ছে। ইউরেনিয়াম হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্লোবালি রিকগনাইজ হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাইবার নিরাপত্তায় একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-ভারত

সাইবার জগৎকে নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, আমরা যেভাবে পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুদেশ থেকে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূল করেছি তেমনিভাবে সাইবার হামলা ও হুমকি মোকাবিলা করে সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখবো।
বুধবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ ও ভারতের সহযোগিতামূলক যৌথ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সাইবার-মৈত্রী ২০২৩ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র যদি শক্তিশালী হয় এবং সেই রাষ্ট্র যদি পাশে থাকে তখন আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। বাংলাদেশ ও ভারত যখন একসঙ্গে শক্রুর মোকাবিলা করে তখন লড়াইটা অনেক সহজ হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে যুদ্ধ করেছে। কোভিড-১৯ মহামারি একসোঙ্গে মোকাবিলা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণেও দুদেশ একসঙ্গে কাজ করেছে। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ ভিশন বাস্তবায়নে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো।
ভারতের সাইবার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমকে (সিইআরটি) পাশে পেয়ে সাইবার হামলা মোকেবিলা ও অপরাধ দমনে আমরা অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী বলেও তিনি জানান।
পলক বলেন, বর্তমান আন্তঃসংযুক্তির বিশ্বে প্রযুক্তি রৈখিক গতির পরিবর্তে সূচকীয় গতিতে অগ্রসর হচ্ছে এবং তা আমাদের জন্য বিশাল সম্ভাবনা ও সুযোগ তৈরি করছে। এর পাশাপাশি সাইবার জগতের কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। এমন বাস্তবতায় সাইবার হামলা ও হুমকি মোকাবিলায় সাইবার মৈত্রীর মতো আরও উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক রনজিত কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, সিইআরটি, ইন্ডিয়া এর সিনিয়র ডিরেক্টর এস এস শর্মা।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প আয়োজিত তিন দিনের প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামোতে কর্মরত আইটি-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেন ভারতের সিইআরটি’র বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের ৩২টি সিআইআই থেকে ৬৪ জন এ অনুশীলনে অংশ নেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১৬ দিনের সফর শেষে দেশে প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি আজ (বুধবার) দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার।
মঙ্গলবার লন্ডন সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে (বিজি-২০৮) লন্ডন হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছান।

অর্থসংবাদ/এমআই