সারাদেশ
মিয়ানমারে ফিরতে রোহিঙ্গাদের চার দফা দাবি

প্রত্যাবাসনসহ চার দফা দাবি জানিয়ে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে সমাবেশ করেছে রোহিঙ্গারা। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকালে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আলাদাভাবে ‘দ্রুত প্রত্যাবাসন’ ক্যাম্পেইন শেষে সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে রোহিঙ্গারা ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও স্লোগানে নিজ দেশ মিয়ানমারে নিজেদের বাড়িঘরে ফিরে যাওয়া, নাগরিকত্বের স্বীকৃতি, নিরাপত্তা এবং অন্য জাতিগোষ্ঠীর লোকজন যেভাবে অবাধে চলাফেরা করে তেমন স্বাধীনতাসহ চার দাবি তুলে ধরে মোনাজাতে দোয়া চান।
এই সমাবেশে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য পুলিশের সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিল বলে জানিয়ে টেকনাফের ১৬-এপিবিএনের পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা বলেন, ‘তিন ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা দ্রুত প্রত্যাবাসন দাবি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেছে। সেটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশ উপলক্ষে টেকনাফের লেদা, জাদিমুড়া শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সকাল থেকে লোকজন জড়ো হতে শুরু করেন। সমাবেশে পুরুষদের পাশাপাশি রোহিঙ্গা নারী, শিশুরাও যোগ দেয়। এছাড়া কুতুপালং, বালুখালী, লম্বাশিয়ায়ও এ ধরনের সমাবেশ হয়েছে। সেখানে পোস্টার, প্ল্যাকার্ডে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার দাবি তোলেন।
সমাবেশে হাজারো রোহিঙ্গা অংশগ্রহণ করে বলে দাবি রোহিঙ্গা নেতাদের। রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায় ও প্রত্যাবাসনের দাবিতে সোচ্চার শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতারা সেখানে বক্তব্য দেন।
দ্রুত স্বদেশে (মিয়ানমারে) ফিরে যেতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা দাবি করে টেকনাফের জাদিমুড়া শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা বজলুল রহমান বলেন, ‘আমরা আর বাংলাদেশে থাকতে চাই না। দ্রুত নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই। আমরা নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, চলাচলের স্বাধীনতাসহ নিজ গ্রামে ভিটেমাটি ফেরত দিলে এই মুহূর্তে চলে যাবো মিয়ানমারে।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (উপ-সচিব) খালিদ হোসেন বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পগুলোয় রোহিঙ্গারা দ্রুত প্রত্যাবাসন দাবি শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছে। সেখানে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া দাবি জানিয়ে রোহিঙ্গারা কয়েকটি দাবি তোলেন।
এদিকে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, ‘আমরা আর শরণার্থী জীবন চাই না। সামনের দিনগুলোতে আমরাও আমাদের জন্মভূমি আরাকানে জীবনযাপন করতে চাই। বিশ্ব সম্প্রদায় আমাদের দেশে ফেরার ব্যাপারে যেন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতন শুরু করে। তখন সীমান্ত অতিক্রম করে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকেই এখানে ছিল আরও কয়েক লাখ নিপীড়িত রোহিঙ্গা।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সারাদেশ
বন্ধ হয়ে গেলো পেপারফ্লাই, বিপাকে কর্মীরা

প্রতিশ্রুত বিদেশি বিনিয়োগ না পাওয়া এবং সিভিসি ফাইন্যান্সের কাছে তাদের তহবিল আটকে থাকার কারণে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে থার্ড পার্টি লজিস্টিকস (টিপিএল) সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান- পেপারফ্লাই। গত সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটি আকস্মিক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে প্রায় এক হাজার কর্মী বেকার হয়ে পড়েছেন।
২০১৬ সালে স্থানীয় চার উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠা করেন পেপারফ্লাই। ২০২১ সালে ভারতের টিপিএল ব্যবসার জায়ান্ট ইকম এক্সপ্রেস থেকে ১০০ কোটি টাকা শেয়ার বিনিয়োগ পাওয়ার পরে পেপারফ্লাই গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ ও সংগ্রহ (পিকআপ সার্ভিস)- উভয় ধরনের সেবা প্রদানের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণ করে।
কুরিয়ার সার্ভিসকে স্মার্ট লজিস্টিকসে রূপান্তরের এই যাত্রায় ২০২২ সালের এপ্রিলে আরও ১০২ কোটি টাকা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পায় তারা। কিন্তু, এরমধ্যে বৈশ্বিক বিনিয়োগের পরিবেশে ব্যাপক পরিবর্তন আসার পর– তা আর রক্ষা করা হয়নি।
এদিকে আসন্ন এই অর্থপ্রাপ্তির ওপর আস্থা রেখে পেপারফ্লাই ২০০-র বেশি সরবরাহ কেন্দ্র গড়ে তোলার মাধ্যমে তাদের পরিধি বিস্তার করে। নিয়োগ দেয় ২ হাজারের বেশি কর্মীকে। এক্ষেত্রে তারা উদ্যোক্তা-বিনিয়োগকারীদের সমর্থনপুষ্ট স্মার্ট লজিস্টিকস ফার্ম- রেডএক্সের সাথে ব্যাপক প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে।
দারাজ- এর মতো বড় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর সেবাদাতা রেডএক্স। বাজারের এই অংশ নিয়ে তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছে পেপারফ্লাইকে।

বাংলাদেশের ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ই-ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এম শাহাব উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তহবিল সংকটে পেপারফ্লাই যদি কার্যক্রম চালাতে না পারে, তাহলে দেশে এ শিল্পের জন্য সেটি হৃদয়বিদারক ঘটনা হবে। দেশের ই-কমার্স ইকোসিস্টেমের অপরিহার্য চাহিদা– লাস্ট মাইল ডেলিভারি (গ্রাহকের দ্বারপ্রান্তে পণ্য সরবরাহের সেবা)। পেপারফ্লাই এর মতো প্রতিষ্ঠান যা জোরালো করতে অবদান রেখেছে।’ প্রতিষ্ঠানটি ‘কমপ্ল্যায়েন্ট ভাবেই’ বিকশিত হচ্ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মহামারিকালে যখন বিশ্বব্যাপী সুদহার কম ছিল, তহবিল পাওয়া ছিল সস্তা, তখন বিনিয়োগকারীরা যেকোনো মূল্যেই হোক নব-উদ্যোগগুলো যেন ব্যবসা সম্প্রসারণ করে- সেদিকে জোর দিয়েছিল। কিন্তু, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার ঘটনা এবং সুদহার নতুন উচ্চতা লাভ করায়– তারা এখন প্রযুক্তি-ভিত্তিক স্টার্টআপের ওপর বাজি ধরার বিষয়ে সর্তক হয়েছেন। পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণবাদী মনোভাবই দেখা যাচ্ছে।
মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারে ছিল পেপারফ্লাইয়ের প্রধান কার্যালয়। বিনিয়োগ প্রবাহে এই মন্দ অবস্থায় চলতি বছরের শুরুতে এই অফিস তারা সরিয়ে নেয় নিকটবর্তী তাদের একটি ওয়্যারহাউজে। এভাবে খরচ কিছুটা কমলেও, তখনও তাদের প্রায় এক হাজার কর্মী ছিল, যাদের পেছনে প্রতিষ্ঠানের মাসিক ব্যয় হচ্ছিল ৭০ লাখ টাকা।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
সেন্ট মার্টিনে আটকা তিন শতাধিক পর্যটক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাতে আজ শনিবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ, স্পিডবোট, সার্ভিস ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এর ফলে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অবস্থান করা তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে গতকাল দুপুরের পর থেকে কক্সবাজারে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এই পথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
তবে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, তা নিয়ে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আটকা পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমভি বারো আউলিয়া জাহাজের একজন কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার সকালে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে এমভি বারো আউলিয়া জাহাজে করে ৮৫২ জন পর্যটক সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে যান। দুপুরের পর থেকে জাহাজটিতে প্রায় ৬০০ পর্যটক টেকনাফ ফিরে এলেও অন্যরা রাতযাপনের জন্য দ্বীপে অবস্থান করেন।

টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে চলাচলকারী সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ ও স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, সতর্কসংকেতের কারণে শনিবার সকাল থেকে যাত্রী পরিবহন বন্ধ আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় যাত্রী পরিবহন শুরু করা হবে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার স্পিডবোট ও ট্রলারে করে তিন শতাধিক পর্যটক সেন্ট মার্টিন বেড়াতে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৫০ জনের মতো পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছেন।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে আসা কয়েক শ পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়েছেন। আবার সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফে পারিবারিক কাজে যাওয়া দেড় শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা টেকনাফে আটকা আছেন। হঠাৎ করে সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
চট্টগ্রামের জশনে জুলুসে লাখ মানুষের ঢল

বিশ্বনবীর আশেকদের ঢল নেমেছিল চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুসে। ৫১তম এ জুলুসে অংশ নিতে দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের হুজুর কেবলা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মজিআ) চট্টগ্রাম এসেছিলেন মঙ্গলবার।
জুলুসের পুরো পথজুড়ে ছিলেন সাজ্জাদানশিন পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মজিআ) ও শাহজাদা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ (মজিআ)। তাকবির, দরুদ, হামদ, নাতে রাসুল, গজল, জিকিরে মুখর ছিল চট্টগ্রাম।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে আটটায় জুলুস শুরুর আগে ষোলশহর আলমগীর খানকাহ-এ কাদেরিয়া সৈয়দিয়া তৈয়বিয়ায় সাংবাদিকদের ব্রিফিং দেন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মজিআ)।
তিনি চট্টগ্রামের জুলুস একদিন গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন তিনি।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর (স.) জশনে জুলুসে অংশ নিতে ভোর থেকে চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার ভক্তরা আসতে থাকেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে। দেখতে দেখতে কয়েক বর্গকিলোমিটার এলাকা লোকারণ্য হয়ে যায়। জামেয়ার বিভিন্ন ব্যাচের ছাত্র, গাউসিয়া কমিটির বিভিন্ন শাখার কর্মীরা ঈদের খুশিতে মেতে ওঠেন। একই ডিজাইনের পাঞ্জাবি, টুপি, পাগড়ি পরে নজর কাড়েন সবার। মোড়ে মোড়ে শরবত, পানি, চকলেট, খেজুর, রুটি, আমলকীসহ নানা ধরনের খাবার ও পানীয় দেন হুজুর কেবলার ভক্তরা।

জুলুস বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জাপুল, কাতালগঞ্জ, চকবাজার অলিখাঁ মসজিদ, প্যারেড মাঠের পশ্চিম পাশ হয়ে চট্টগ্রাম কলেজ, গণি বেকারি, খাস্তগীর স্কুল, আসকার দীঘি, কাজীর দেউড়ি, আলমাস, ওয়াসা, জিইসি, দুই নম্বর গেট ঘুরে জামেয়া মাদ্রাসা মাঠে মাহফিলে আসে জোহর নামাজের আগেই। কাজীর দেউড়ি মোড়ে সংক্ষিপ্ত মোনাজাত করেন হুজুর কেবলা। জোহর নামাজের পর জামেয়া মাদ্রাসার মাঠে দোয়া ও মোনাজাত হয়। এ সময় আমিন আমিন ধ্বনিতে ভাবগাম্ভীর পরিবেশ তৈরি হয়।
জুলুস মাঠে বক্তব্য দেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান, আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি মো. শামসুদ্দিন, জামেয়ার অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ আবদুল আলিম রেজভি, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ।
১৯৭৪ সালের ১২ রবিউল আউয়াল বাংলাদেশে প্রথম জুলুসের সূচনা হয় গাউসে জামান আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (র.) এর দিকনির্দেশনায়। চট্টগ্রামের বলুয়ার দীঘির পাড় খানকাহ শরিফ থেকে আনজুমানের তৎকালীন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নূর মোহাম্মদ আলকাদেরির নেতৃত্বে জুলুসটি বের হয়েছিল।
আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (র.) চট্টগ্রামে জুলুসের নেতৃত্ব দেন ১৯৭৬ সালে। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি জুলুসে নেতৃত্ব দেন। ১৯৮৭ সাল থেকে তিনি আর বাংলাদেশে আসেননি। তখন থেকে জুলুসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হুজুর কেবলা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মজিআ)।
সরেজমিন দেখা গেছে, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা, আলমগীর খানকাহ, বিবিরহাট, চকবাজার, মুরাদপুর, জামালখান, কাজীর দেউড়িসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিশুদ্ধ পানির স্টল দেওয়া হয়েছে। জুলুসের মাঠ ঘিরে রেললাইন ও আশপাশের এলাকায় বসেছে টুপি, আতর, ইসলামিক বই, পাঞ্জাবি, পাজামা, তসবিহ, জুতো, স্যান্ডেল, মোবাইল যন্ত্রাংশ, মুড়ি-মুড়কি, মুখরোচক খাবার, ফলের দোকান।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
লটারিতে ৩ কোটি টাকা জিতলেন বাংলাদেশি প্রবাসী

লটারিতে এক মিলিয়ন দিরহাম বা প্রায় তিন কোটি টাকা জিতেছেন সৌদি আরব প্রবাসী এক বাংলাদেশি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘মাহজুজ ড্র’ জেতা ওই বাংলাদেশির নাম মোহাম্মদ শাহিন। ৩১ বছর বয়স্ক শাহিন দাম্মামের একটি ঠিকাদারি কোম্পানিতে সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করেন। হঠাৎ এত বড় লটারি জয়ে তিনি পুরোপুরি হতবাক। খবর গালফ নিউজ
গালফ নিউজ জানায়, একা বসে থাকার সময় হঠাৎ করেই লটারি জয়ের ই-মেইল পান শাহিন। ইমেইলে মাহজুজ ড্রয়ের তরফ থেকে তাকে জানানো হয় যে, তাদের সাপ্তাহিক র্যাফেল পুরস্কারটি পাচ্ছে শাহিনের কাছে থেকে ৩৮২২৫৮১৯ নম্বরের লটারি টিকিটটি। প্রথমে তিনি লটারি জয়ের বিষয়টি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার অ্যাকাউন্টে লগইন করেন শাহিন। আর তাতেই শাহিন নিশ্চিত হন যে এক মিলিয়ন দিরহাম জিতেছেন তিনি।
নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে শাহিন বলেন, আমি হতবাক এবং বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম যখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি জিতেছি।
তিনি বলেন, আমার মাহজুজ একাউন্টে টাকা দেখে আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এই প্রথম আমি আমার অ্যাকাউন্টে এত শূন্য দেখলাম।
লটারি জয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই শাহিন বাংলাদেশে তার পরিবারকে সুসংবাদটি জানায়

অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
আগামীকাল গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

দেশের কয়েকটি এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর)। পাইপলাইন প্রতিস্থাপন কাজের জন্য এই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন কোম্পানি।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল, এনায়েতনগর, বৌবাজার, লাকিবাজার, হাজীগঞ্জ, ওয়াবদাপুল, কাইয়ুমপুর, ফতুল্লা, সন্তাপুর, জেলখানার আশপাশ এলাকা, হাজীগঞ্জ মোড় থেকে শিবু মার্কেট হয়ে পোস্ট অফিস রোড পর্যন্ত এলাকা, পঞ্চবটি, মাইজদাইর, ইজদাইর, চাষাড়া, খানপুর, কিল্লারপুল, তল্লা, কুতুবাইল, ধর্মগঞ্জ, তক্কারমাঠ, পাগলা, চিতাশাল, দেলপাড়া, জালকুড়ি, নয়ামাটি, দাপা ইদরাকপুর, ভুইগড়, কুতুবপুর ইউনিয়ন ও আশপাশের সংশ্লিষ্ট এলাকা, ঢাকা ম্যাচ, সেনপুর, মোক্তারপুর, নারায়ণগঞ্জ বিসিক এলাকা, কাশিপুর ইউনিয়ন থেকে পঞ্চবটি হয়ে মোক্তারপুর পর্যন্ত এলাকা, ধর্মগঞ্জ, শাসনগাঁও, সিদ্ধিরগঞ্জ, আদমজী, সাহেবপাড়া, মিজমিজি হতে চিটাগাং রোড পর্যন্ত এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানার আওতাধীন সংশ্লিষ্ট এলাকা, মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ শহরের আশপাশে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত, সাময়িক অসুবিধা বা স্বল্পচাপ বিরাজ করবে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
অর্থসংবাদ/এমআই