বিনোদন
বিদ্যুৎ নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে যা বললেন মমতাজ

এবার সারা দেশে চলমান লোডশেডিং নিয়ে সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। সেই সঙ্গে তাকে নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার ও গুজবেরও জবাব দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে ফেসবুক লাইভে আসেন মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর-হরিরামপুর ও সদর) আসনের এ সংসদ সদস্য।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকে যে কথাটা বলার জন্য লাইভে এসেছি। সারা দেশের মানুষ সাময়িক একটা কষ্টের মধ্যে পড়েছি, সেটি হলো—বিদ্যুৎ। এ বিদ্যুৎ নিয়ে যেমন কষ্ট আছে, তেমনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে নানা ধরনের কথা, আলোচনা-সমালোচনা ও প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। যেহেতু আমি এমপি, আমার এলাকায় কী কী কাজ করেছি, কী কাজ করা বাকি আছে, সেগুলো বলার একটি জায়গা হলো সংসদ। সংসদে আমি অনেক বক্তব্য দিই। তার দু-একটি কথা ধরে অনেকেই এটার সমালোচনার ঝড় তুলেছেন, এই কষ্টের মধ্যে। কারণ বিদ্যুৎ থাকছে না, বিদ্যুতের কষ্টটা সবাই পাচ্ছি, সেটা কম-বেশি। সবার ঘরেই আজকে এ সমস্যা আছে।’
মমতাজ বলেন, ‘এটা সাময়িক সমস্যা। আপনারা জানেন, বিশ্বের কী অবস্থা। কিছু দিন আগে করোনা মহামারি গেল। তার পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের অনেক ক্ষতির মধ্যে ফেলেছে। বড় বড় দেশও হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশ তো ছোট্ট একটা দেশ। সেখানে সরকার চেষ্টা করছে, আমরাও চেষ্টা করছি। তার পরও আমাদের এই সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আমি বলব—সেটা যেন আমরা ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারি।’
আওয়ামী লীগের এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘সরকার কিন্তু চেষ্টা করছে। আপনারা জানেন- গতকালও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এসব নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীও কথা বলেছেন। সংসদে আলোচনা হচ্ছে। যে সমস্যাটা এ মুহূর্তে আছে, এটা সাময়িক। সরকার চেষ্টা করছে সাময়িক এ সমস্যা কাটিয়ে আমরা যেন আগামীতে বিদ্যুতের একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে পারি।’

জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের সাফল্য তুলে ধরে দেওয়া আগের বক্তব্য প্রসঙ্গে মমতাজ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি কেন বলেছিলাম সংসদে? তা আপনারা জানেন। এটা তো মিথ্যা কথা নয়, বিদ্যুৎ যে হারে সরকার উৎপাদন করেছে, ঘরে ঘরে লাইন দিয়েছে। সত্যিকার অর্থে সরকার প্রশংসা কুড়িয়েছে। সেই প্রশংসা আমিও করেছি।’
মমতাজ বেগম আরও বলেন, আমার নির্বাচনি এলাকায় আগে ৩০ শতাংশ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ ছিল। আমি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালনের সময় শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। একসময় এলাকায় গেলে গ্রামের মা-বোনেরা এসে বলতেন—‘আপা, কিছু চাই না। আমাদের বিদ্যুতের লাইন দেন, মিটার দেন। মিটারের অভাবে বিদ্যুৎ পাচ্ছি না।’ এই যে একটা সংকট ছিল, তখন সেটা কিন্তু আমরা সমাধান করেছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। মানুষ তখন খুশি হয়েছিল। সে জন্য সংসদে বলেছিলাম— মানুষ বিদ্যুৎ চাইত। একসময় এ চাওয়ার ব্যাপারটা আর থাকবে না। সরকার যেভাবে বিদ্যুতের লাইন দিচ্ছে, উৎপাদন করছে, ঘরে ঘরে মিটার পৌঁছে দিচ্ছে। এখন কিন্তু সত্যিকার অর্থে গ্রামে গেলে কেউ বলে না– ‘আপা, দুইটা মিটার দেন, পাঁচটা মিটার দেন।’ মিটার দেওয়ার জায়গা এলেও খুঁজে পাওয়া যায় না। এটাই কিন্তু বাস্তবতা। আর সেই কথাটাই সংসদে আমি বলেছিলাম। সেটার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে, ভুলভাবে উপস্থাপন করেন অনেকেই। অসাধু কিছু লোকজন খামোখাই দুটো বাজে কথা ফেসবুক-ইউটিউবে বলার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে ঢুকে দেখি, হঠাৎ একজন বলছেন মমতাজের বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে। কেন বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না, সেজন্য ঘেরাও করেছে। এই যে প্রোপাগান্ডা, মিথ্যাচার। এটা নিয়ে আপনাদের বিবেক কি একটুও নাড়া দেবে না? একজন মানুষের বিরুদ্ধে শুধু শুধু এভাবে মিথ্যাচার কেন করছি? আপনাদের বলব–শুধু মানুষকে হয়রানিমূলক কথা বলা, ছোট করা, মিথ্যা বলে তাকে হেনস্তা করা বিবেকবান মানুষের (কাজের) মধ্যে পড়ে না। এ ধরনের প্রোপাগান্ডা থেকে দূরে থাকবেন। মিথ্যাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবেন না। ধৈর্য ধরুন, আমাদের সঙ্গে থাকুন।’
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বিনোদন
পরিচিত মানুষ মিথ্যা বললে কষ্ট লাগে

নানা কারণে আলোচনায় থাকেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণি। সদ্যই অভিনেতা শরিফুল রাজের সঙ্গে সংসার জীবনের ইতি টেনেছেন তিনি। এরপরই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন অভিনয়ে।
ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে পরীকে ঘিরে সমালোচনরও যেন শেষ নেই। সামাজিক মাধ্যমে প্রায় সময়েই কটাক্ষের শিকারও হতে হয় তাকে। বিষয়গুলোকে কিভাবে দেখেন এই অভিনেত্রী?
এক সংবাদমাধ্যমের এমনি প্রশ্নে পরী বলেন, অপরিচিত মানুষ যদি কখনো আমাকে নিয়ে কিছু বলে সেটা অনেক বেশি কষ্ট দেয় না। যখন পরিচিত মানুষেরা ভিত্তিহীন কিংবা মিথ্যা কথা বলে,তখন অনেক কষ্ট লাগে। যে মানুষটি জেনেশুনে বলে তাতে খারাপ লাগে। দূরের মানুষ হলে গায়ে লাগে না।
নারী-পুরুষ কিসে আটকায় এমন প্রশ্নে এই অভিনেত্রী বলেন, প্রত্যেকটা জীবন শুধু মায়ায় আটকায়। কাজ-সংসার সেটা যেটাই হোক না কেন সেখানে মায়া-ভালোবাসা থাকতে হয়। যেখানে মায়া নেই সেখানে আপনি কখনো থাকতে পারবেন না। প্রতিটি বিষয়কে ভালোবাসতে হবে।
এদিকে সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে পরী বলেন, জীবনের জন্য আমি একমাত্র জিনিস চাই, এটা আমাকে আমার ছেলের পাশে থাকতে এবং তাকে বড় হতে দেখতে দেয়।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
রাজ-পরীমণির ডিভোর্স নিয়ে যা বললেন কাজী

তারকা দম্পতি শরিফুল রাজ ও পরীমণির সংসার সম্প্রতি ইতি টেনেছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজের ঠিকানায় ডিভোর্স নোটিশ পাঠিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে সে খবর সামনে আসে দুই দিন পর, ২০ সেপ্টেম্বর। গণমাধ্যমের হাতে আসে ডিভোর্স নোটিশের একটি কপি। এ ছাড়া রাজকে অফিশিয়ালি ডিভোর্স দিয়েছেন বলেও ফেসুবকে একটি পোস্ট করেন পরী।
মূলত বিচ্ছেদপত্রে চারটি কারণ দেখিয়েছেন পরীমণি। ১. মনের অমিল হওয়া, ২. বনিবনা না হওয়া, ৩. খোঁজ না নেয়া এবং ৪. মানসিক অশান্তি। এবার ডিভোর্স নিয়ে কথা বললেন কাজী।
কাজী আবু সাইদ গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর আমাদের সঙ্গে পরীমণির পক্ষের মানুষ যোগাযোগ করেন। লেটারে উল্লেখিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর তার আইনজীবীর গুলশান অফিসে ডিভোর্স হয়। সেখানে আমার সহকারী আলী আশরাফও ছিলেন। আর পরদিন উত্তর বাড্ডার আলীর মোড়ের সাতারকুল রোডে আমার অফিস থেকে রেজিস্ট্রি করা হয় ডিভোর্স নোটিশ। তারপর ওইদিনই দুপুর ১২টার দিকে রাজের গ্রামের বাড়ির ঠিকানায় ডিভোর্স নোটিশ পাঠানো হয়।
কাজী আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী তিন মাস পরে চিঠি পাঠানো হবে। রাজ যদি চিঠি গ্রহণ না করে তাহলে ৯০ দিন পর ডিভোর্স হয়ে যাবে তাদের। আর যদি তিন মাসের মধ্যে তারা একসঙ্গে থাকতে চান, তাহলে ফের সংসার করতে পারবেন।
এদিকে ডিভোর্সের খবর জানতেন না রাজ। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে তার। বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজের ভাই পরিচয়ে একজন আমার অফিসে এসেছিলেন। তিনি কাবিননামার কপি ও ডিভোর্স সংক্রান্ত ডকুমেন্টস নিয়ে গেছেন।

আরও পড়ুন: রাজকে ডিভোর্স দিলেন পরীমনি!
সবশেষ গত ১৬ আগস্ট মান-অভিমান ভুলে একত্রিত হয়েছিলেন এ তারকা দম্পতি। ছেলে রাজ্যের জন্মদিন পালনকালে একসঙ্গে দেখা মিলেছিল তাদের। পরে ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পরীমণি-শরিফুল রাজের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেন তাপস। এর মধ্যে একটি ছবিতে রাজকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায় পরীমণিকে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
রাজকে নিয়ে পরীর বিস্ফোরক মন্তব্য

চিত্রনায়িকা পরীমণি ও চিত্রনায়ক শরীফুল রাজের সংসারে বিচ্ছেদের গুঞ্জন শেষে এবার জানা গেছে, তাদের আসলেই বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে ডিভোর্স পেপারে সই করেন পরীমণি। এ নিয়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান ধরনের আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে পরীর স্বামী রাজ কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাই নাকি? আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। ভাই আমি মাত্র ঘুম থেকে উঠেছি। এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। তাই কিছু বলতেও পারছি না।
এ বিষয়ে পরী চুপ থাকলেও এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।
সেখানে পরীমণি লেখেন, নিশ্চয়ই এই স্ট্যাটাসের কথা মনে আছে অনেকেরই। সে বারও রাজ পাঁচ দিনের মাথায় বাসায় ফিরে আমার ফেসবুক থেকে এটা ডিলিট করে দিয়েছিল। তারপর এসব ঘটনা সে পুনরাবৃত্তি করেছে বার বার। সরি বলা, না খেয়ে থাকা, পা ধরে মাফ করে দাও আর হবে হবে না, এমনকি সুইসাইড’র মতো হুমকিতেও ব্লাকমেইলের শিকার হতে হয়েছে আমাকে। একই রকম ভুলের ক্ষমা কতবার করা যায় আমি জানি না। আমি শুধু সব ভুলে সুন্দর স্বাভাবিক একটা পারিবারিক সম্পর্ক চেয়েছিলাম। কিন্তু সে কখনোই এই সম্পর্কটাকে ধারণ করেনি। সবার সামনে আমার বৌ, আমার বাচ্চা করে বেড়ানো ভয়ংকর মানুষ একজন। যে কি না এই সম্পর্কটাকে শুধু নিজের স্বার্থে ইউজই করে গেল প্রতিনিয়ত।

তিনি আরও লেখেন, আমি এমন ভয়ংকর একজন মানুষকে বার বার সুযোগ দিয়েছি। সেও সুযোগ পেত কারণ আইনগতভাবে তার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। এ সবে বারবার আমি অসম্মানিত হয়েছি আপনাদের কাছেও। আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি তাকে অফিসিয়ালি ডিভোর্স দিয়েছি। খুবই স্বাভাবিক ভাবে। এটাও তাকে আমার এক প্রকার ক্ষমা করে দেওয়া। নাহয় আমার সাথে যে অন্যায়গুলো করেছে তাতে তার জেল হওয়ার কথা।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমার ছেলের যাবতীয় খরচ, মানে ভরণপোষণ থেকে আগামীতে পড়াশোনা যা কিছু আছে সব আমি বহন করব। এত দিন যেভাবে করেছি। বাচ্চার ফুল গার্ডিয়ানশিপ এখন তার মা’র। এ বিষয়ে যা কিছু বলার আমার আইনজীবীরা বলবেন।
এর আগে এই নায়িকার আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে বলেন, নারী আসক্তি রয়েছে রাজের। হাতে-নাতে ধরাও পড়েছেন তিনি কয়েকবার। এসব আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে ডিভোর্স ফাইল করেছেন পরীমণি। রাজ-পরীর দেনমোহর ছিল ১০১ টাকা। মুসলিম আইন অনুযায়ী তিন মাস পর এই ডিভোর্স কার্যকর হয়ে যাবে।
তবে এ বিষয়ে পরীর স্বামী রাজ কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাই নাকি? আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। ভাই আমি মাত্র ঘুম থেকে উঠেছি। এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। তাই কিছু বলতেও পারছি না।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। মাত্র সাত দিনের পরিচয়ে তারা বিয়ে করেছিলেন। ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি সেই খবর প্রকাশ্যে আনেন তারা।
রাজের সঙ্গে সংসার জীবনের ১০ মাসের মাথায় পরীর কোলজুড়ে আসে পুত্র সন্তান। এর এক দিন পর ছেলের ছবিসহ নাম প্রকাশ করেন পরীমণি। তিনি জানান, রাজের সঙ্গে মিল রেখে ছেলের নাম রেখেছেন শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।
দেড় বছরের দাম্পত্য জীবনে নানা ঘটনা আলোচনায় এসেছে। গত ২০ মে পরীমণির বাসা থেকে নিজের জিনিসপত্র নিয়ে বের হয়ে আসেন রাজ। এরপর ২৯ মে রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সুনেরাহ, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষির সঙ্গে বেশ কিছু ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি-ভিডিও ফাঁস হয়।
সেই ঘটনায় দুজনের মধ্যকার সম্পর্কে আরও দূরত্ব তৈরি হয়। সেই দূরত্বের ধারাবাহিকতায় এবার বিচ্ছেদের পথেই হাঁটলেন আলোচিত এই জুটি।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
রাজকে ডিভোর্স দিলেন পরীমনি!

অভিনেতা শরিফুল রাজ ও চিত্রনায়িকা পরীমণির সংসার ভেঙে যাচ্ছে এমন গুঞ্জন মিডিয়ায় বেশ কয়েক মাস ধরে শোনা যাচ্ছে। এবার জানা গেছে, তাদের আসলেই বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ১৭ সেপ্টেম্বর পরীমণি রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন। এক আইনজীবীর মাধ্যমে ডিভোর্স পেপারে সই করেছেন তিনি।
এদিকে ব্যক্তিগত সমস্যার জেরে দীর্ঘদিন আলাদা থাকছিলেন তারা। মাঝে স্বামীর সাথে রাগ করে নিজের ছেলের নামও পরিবর্তন করেন পরী। পরবর্তীতে ছেলের জন্মদিনে গান বাংলার অনুষ্ঠানে পুনরায় এক হতে দেখা যায়। সর্বশেষ মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারে একসাথে ছিলেন পরীমনি এবং রাজ।
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি ও চিত্রনায়ক শরীফুল রাজ। তবে পারিবারিকভাবে ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি ঘরোয়াভাবে আবার তাদের বিয়ে হয়। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট তাদের ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যের জন্ম হয়।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
সংগ্রামী মায়ের ভূমিকায় পরীমণি

ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমণি দীর্ঘ বিরতির পর কাজে ফিরছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধও হয়েছেন তিনি। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুখবর দিয়েছেন। এসময় পরী পোস্ট দিয়ে জানালেন, সরকারি অনুদানের একটি সিনেমায় তিনি যুক্ত হয়েছেন।
এর আগে শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছিলেন রোববারের দিনটি তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে কী কারণে গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়ে কোনো আভাস তখনও দেননি। দিনভর নেটিজেনদের কৌতূহলে রেখে আজ প্রথম প্রহরে সরব হলেন তিনি। ফেসবুকে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছেন পরীমণি। ক্যাপশনে লিখেছেন- এটা ‘ডোডোর গল্প’।
এ থেকে স্পষ্ট ‘ডোডোর গল্প’ নামের অনুদানের ছবিতে যুক্ত হয়েছেন তিনি। এটি পরিচালনার দায়িত্বে আছেন রেজা ঘটক। ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পায় ‘ডোডোর গল্প’। এর প্রযোজনার দায়িত্বে আছেন নাজমুল হক ভূঁইয়া।
‘ডোডোর গল্প’ সিনেমায় কাজল চৌধুরীর চরিত্রে অভিনয় করছেন পরীমণি।
নতুন সিনেমা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, অনেক সুন্দর একটি গল্পে কাজ করতে যাচ্ছি। এই দিনটি আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন আমার নিঃশ্বাসের সঙ্গে মিশে আছে। এ অঙ্গনের মানুষেরা আমার আরেকটি পরিবার। সেটা ছাড়া দীর্ঘ দুটি বছর থাকতে হয়েছে। এ সময়টা আমার পরিবারকে ভীষণ মিস করেছি।

অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ। এই গল্পের জন্য চার মাসের অপেক্ষা এবং চরিত্রের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। প্রতিটি দিন চরিত্র এবং স্ক্রিপ্ট নিয়ে ভেবেছি। যার কারণে ‘ডোডোর গল্প’ আমার কাছে অনেক বেশি স্পেশাল।
কারণ, ‘অনেকগুলো গল্পের মধ্যে এটি অনেক ভেবে চিন্তে নির্বাচিত করেছি। আশা করি, আমার দর্শকদের জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে’, যোগ করলেন পরীমণি।
সিনেমার গল্প নিয়ে নির্মাতা রেজা ঘটক বলেন, সিনেমাতে একজন মায়ের সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষিকে তুলে ধরতে চাই। সিনেমাটিতে প্রোটাগনিস্ট কাজল চৌধুরীর প্রায় বিশ বছরের একটি জার্নি দেখা যাবে। এতে ৮৭ জন শিল্পী কাজ করছেন এবং ২৫টির বেশি লোকেশনে এর দৃশ্য ধারণ হবে। আগামী ৫ অক্টোবর সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে।
সিনেমাটির প্রযোজক এবং জি সিরিজ-এর কর্ণধার নাজমুল হক ভূঁইয়া (খালেদ) বলেন, সিনেমায় একজন আত্মনির্ভর সংগ্রামী মায়ের বিশ বছরের সংগ্রামকে চিত্রায়িত করা হবে। যেখানে কাজল চৌধুরীর নিরন্তর অনুসন্ধানে প্রায় বিশ বছর পর তার হারানো ছেলেকে খুঁজে পাবে।
সিনেমাটির নির্বাহী প্রযোজক খাদেমুল জাহান বলেন, একটানা কাজ শেষ করে চলতি বছরের শেষের দিকে সিনেমাট মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।
সিনেমার চুক্তিবদ্ধ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা আমিরুল হক চৌধুরী, খায়রুল আলম সবুজ, শংকর শাওজাল, আহসান হাবিব নাসিম, নেওয়াজ, মনিরা মিঠু ও নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী প্রমুখ।
অর্থসংবাদ/এসএম