এশিয়ার শীর্ষ দেশগুলোয় বাড়তি চালের দাম

এশিয়ার শীর্ষ দেশগুলোয় বাড়তি চালের দাম
এশিয়ার চালের বাজারে চলতি সপ্তাহে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। এর মধ্যে শীর্ষ রফতানিকারক ভারতে শস্যটির দাম কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের চেয়ে তুলনামূলক কম দামের কারণেই ক্রেতারা ভারতীয় চালের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। এদিকে ভিয়েতনাম তুলনামূলক বেশি দামে চাল বিক্রি করছে। ফলে দেশটির চালের চাহিদা কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ভারত চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ ভাঙা চাল রফতানি করছে প্রতি টন ৩৭৫-৩৮০ ডলারে। গত সপ্তাহে একই চাল রফতানি হয়েছিল টনপ্রতি ৩৭৪-৩৭৮ ডলারে। অন্ধ্র প্রদেশের কাকিনাডাভিত্তিক রফতানিকারক জানান, নিম্নমুখী দামের কারণে এশিয়ার দেশগুলোতে ক্রয়ের পরিমাণ বেশ ভালোই বেড়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্রেতাই এখনো সাইডলাইনে।

ভিয়েতনাম ৫ শতাংশ ভাঙা চাল রফতানি করছে ৪৯০-৪৯৫ ডলারে। গত সপ্তাহের মতোই এটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে এ দাম এপ্রিলের শেষ দিকের তুলনায় সর্বোচ্চ। হো চি মিন সিটিভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে অনেক ক্রেতা ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। এ কারণে বাণিজ্যিক কার্যক্রম কিছুটা শ্লথ।

সরকারি তথ্য বলছে, ভিয়েতনাম চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৩৯ লাখ টন চাল রফতানি করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে।

তবে বার্ষিক চাল রফতানি লক্ষ্যমাত্রা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভিয়েতনাম। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটি রফতানির পরিমাণ ৪০ লাখ টনে নামিয়ে আনবে, যা বর্তমান সময়ের তুলনায় অন্তত ৪৪ শতাংশ কম। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে দেশটির সরকার তথ্যটি নিশ্চিত করে।

ভিয়েতনাম বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ চাল রফতানিকারক। ভারত ও থাইল্যান্ডের পরই দেশটির অবস্থান। গত বছরও দেশটি ৭১ লাখ টন চাল রফতানি করেছে। তবে আগামী বছরগুলোয় রফতানি এর চেয়ে অনেক কমিয়ে আনা হবে। উদ্দেশ্য স্থানীয় খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি উচ্চমানসম্পন্ন চাল রফতানি বাড়ানো।

সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়, এর ফলে ২০৩০ সাল নাগাদ চাল রফতানি থেকে দেশটির বার্ষিক আয় কমে ২৬২ কোটি ডলারে নামতে পারে, গত বছর যা ছিল ৩৪৫ কোটি ডলার।

হো চি মিন সিটিভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভিয়েতনামে ধানের আবাদ কমায় চাল উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। কৃষকরা এখন অন্য ফসল উৎপাদনে বেশি আগ্রহী। চিংড়ি চাষও বাড়াচ্ছেন তারা। মেকং ডেল্টার কৃষকরা তাদের আবাদি জমির একটি অংশকে ফলের বাগানে রূপান্তর করছেন। যদিও বড় সংখ্যক কৃষক এখনো চালের ওপরই নির্ভরশীল।

প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে ৫২ কোটি ১০ লাখ টন চাল উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিল (আইজিসি)। আগের মাসের মতোই এটির পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ২০২২-২৩ মৌসুমের তুলনায় উৎপাদন লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়বে। বাণিজ্য পূর্বাভাসও ৫ কোটি ৪০ লাখ টনে অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে শস্যটির ব্যবহার ১০ লাখ টন বেড়ে ৫২ কোটি টনে উন্নীত হতে পারে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া