সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ

সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে (সমাপনী দরের ভিত্তিতে) অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড শেয়ারের। সর্বশেষ পাঁচ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১০ দশমিক ৯১ শতাংশ। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার এ শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ১৭০ টাকা ৭০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার এ দর বেড়ে দাঁড়ায় ১৮৩ টাকা। পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির মোট ৮ কোটি ৬৭ লাখ ১১ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। দৈনিক গড় ভিত্তিতে লেনদেনের পরিমাণ ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪২ হাজার ২০০ টাকা।

বৃহস্পতিবার অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ার সর্বশেষ ১৮৩ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়েছে। আগের কার্যদিবসের চেয়ে এদিন কোম্পানিটির সর্বশেষ দর বেড়েছে ৭ টাকা ৯০ পয়সা বা ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বৃহস্পতিবার ৭৭৬ বারে কোম্পানিটির মোট ১ লাখ ২ হাজার ৭৯৭টি শেয়ার লেনদেন হয়। দিনভর শেয়ারটির দর ১৭৫ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১৮৪ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৫৪ টাকা ও ২৭৬ টাকা।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৮০ পয়সা।

এদিকে সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের রাজস্ব আয় হয়েছে ১ হাজার ৩৭৩ কোটি ৩৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ হাজার ২৯২ কোটি ৮৫ লাখ ১ হাজার টাকা। এ হিসাবে সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির রাজস্ব বেড়েছে ৮ কোটি ৫ লাখ ২২৭ হাজার টাকা বা ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ৯ টাকা ৩৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮ টাকা ৯৬ পয়সা। এ হিসাবে গত হিসাব বছরে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ইপিএস বেড়েছে ৪০ পয়সা বা ৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৯ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩১ টাকা ৫৩ পয়সা। সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ।

২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৪৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। ২০১৭ হিসাব বছরে কোম্পানিটি ৪৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে বছর ইপিএস ছিল ৮ টাকা ২২ পয়সা। এছাড়া ২০১৬ হিসাব বছরে ৪০ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৯৯ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ১৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ৪০ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ১৯ দশমিক ৫৫, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ১৬ দশমিক ৪।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত