Connect with us

অন্যান্য

হুয়াওয়ে ক্লাউড এসএপি সামিট অনুষ্ঠিত

Published

on

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ

গতকাল হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয় হুয়াওয়ে ক্লাউড এসএপি ২০২৩ সামিট। ফিউশন ইনফোটেকের সাথে যৌথভাবে এই সামিটের আয়োজন করে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া। ক্লাউড প্রযুক্তির সক্ষমতা এবং এর সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করতে এই সামিটের আয়োজন করা হয়।

এই খাতের প্রায় ১০০ জন ব্যবসায়ী, বিশেষজ্ঞ, ক্লাউড প্রফেশনাল এবং গ্রাহক প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা ক্লাউড প্রযুক্তির শক্তি এবং এ সংক্রান্ত উদ্ভাবন প্রত্যক্ষভাবে দেখার সুযোগ পান। এছাড়া, অংশগ্রহণকারীরা সহযোগীদের (পার্টনার) নিয়ে তৈরি করা ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে হুয়াওয়ের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন দেখেন। ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় এবং স্থানীয় প্রেক্ষাপটে ক্লাউড প্রযুক্তির সীমাহীন সম্ভাবনা সম্পর্কে জানার সুযোগ পান। হুয়াওয়ে ক্লাউড কীভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মদক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং নিজ-নিজ খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সহায়ক হবে সে ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ক্লাউড ডিপার্টমেন্টের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মো. শাজাহান আহমেদ। এই সম্মেলনে তিনটি অংশ (প্লেনারি সেশন, ক্লাউড সেশন এবং রিওয়ার্ড এন্ড রিকগনিশন) ছিল। মূল অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ক্লাউড ডিপার্টমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্স লি এবং ফিউশন ইনফোটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিশান আহমেদ মূল বক্তব্য প্রদান করেন। তারা প্রযুক্তিগত রূপান্তর, বর্তমান পরিস্থিতি এবং ক্লাউড ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণে করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন। ফিউশন ইনফোটেকের এসএপি ডেলিভারি প্রধান রাজীব ইমরান হুয়াওয়ে ক্লাউড এসএপি’র ব্যবহারিক দিক বর্ণনা করেন এবং কীভাবে এসএপি ব্যবহারকারী গ্রাহকরা এই ক্লাউড পরিষেবার মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে এবং সর্বোচ্চ অপ্টিমাইজেশন নিশ্চিত
করতে পারবে তা ব্যাখ্যা করেন।

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ভিপি অ্যালেক্স লি বলেন, ‘হুয়াওয়ে ক্লাউড প্রযুক্তির সম্ভাবনা উন্মোচনে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্লাউডের মাধ্যমে ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে। ক্লাউড ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ করার ধরনে আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্লাউড সুবিধা প্রদান করার মধ্য দিয়ে আরও শক্তিশালী ডেটা সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং বিনিয়োগের উপর রিটার্ন (আরওআই) বৃদ্ধি করতে সাহায্য করা আমরা আমাদের দায়িত্ব মনে করি।’

ফিউশন ইনফোটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিসান আহমেদ তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রবণতার ওপর গুরুত্বারোপ করে এ খাতকে আরও গতিশীল করে তুলতে যথাযথ নীতিমালা তৈরির ক্ষেত্রে খাতসংশ্লিষ্ট সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ও ফিউশন ইনফোটেক এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং আমাদের সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। নিঃসন্দেহে, ক্লাউডই ভবিষ্যৎ এবং সৌভাগ্যক্রমে হুয়াওয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা উন্মোচন করা সম্ভব।’

এসএপি ডেলিভারি প্রধান, ফিউশন ইনফোটেকের রাজীব ইমরান বলেন, ‘এসএপি ও হুয়াওয়ের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতা রয়েছে এবং এ সহযোগিতার পরিসর আরও বাড়ছে। দু’টি প্রতিষ্ঠানই হাই-পারফরমেন্স ও ফলাফল- ভিত্তিক সমাধানের উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করছে, যা শিল্প খাতজুড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য অভুতপূর্ব প্রবৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসবে। এসএপি ও হুয়াওয়ে- উভয় প্রতিষ্ঠানই উদ্ভাবন ও নির্দিষ্ট খাতের প্রয়োজন অনুযায়ী এন্ড-টু-এন্ড সল্যুশন-ভিত্তিক মডেল তৈরির লক্ষ্য কাজ করছে। আমি আজ এখানে উপস্থিত থেকে গ্রাহকদের কার্যক্রমগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ক্লাউড সেবায় হুয়াওয়ে যে উদ্ভাবন নিয়ে আসছে, সেটার বিভিন্ন দিক সবার তুলে ধরতে পেরে আনন্দিত।’

অনুষ্ঠান চলাকালে, ইফাদ ও ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং (এইচডব্লিউসি এসএপি গ্রাহক) প্রতিনিধিগণ হুয়াওয়ের ক্লাউড সেবা ব্যবহার নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। পাশাপাশি সকলের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখা হয়। যার ফলে সকলেই ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কিত ব্যবহারিক কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যার সমাধান পান। সেশনের পরে, একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, যেখানে অ্যালেক্স লি হুয়াওয়ে ক্লাউড বাংলাদেশের সহযোগীদের স্বীকৃতিস্বরূপ ক্রেষ্ট প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের একটি এসএপি। এসএপি বিভিন্ন কার্যকরী ডেটা প্রসেসিং ইনফরমেশন ফ্লো ব্যবস্থাপনায় কাজ করে। অন্যদিকে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ক্লাউড খাতে হুয়াওয়ে ক্লাউড অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং ক্লাউড সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাপী ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন করেছে। এক্ষেত্রে, হুয়াওয়ের সহযোগীদের সংখ্যাও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্পূর্ণভাবে কানেক্টেড ও ইন্টেলিজেন্ট বিশ্বের জন্য ক্লাউডের ভিত্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে হুয়াওয়ে ক্লাউড।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য

ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ৯০০ ছাড়াল

Published

on

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ

শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা নয়শ ছাড়িয়েছে।

এ সময়ে ৩ হাজার ৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮১২ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১৯৬ জন।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৪৭০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৭৯৪ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৬৭৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৮ হাজার ৯১৫ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৮১০ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪৬ জন। ঢাকায় ৭৪ হাজার ৫১৮ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ১ হাজার ৮২৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৯০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অন্যান্য

এক মাসে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন ৪৬ হাজার কোটি টাকা

Published

on

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ

এক বছর আগের তুলনায় গত জুলাইয়ে ইন্টারনেট ব্যাংকিং লেনদেন প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ৪৬ হাজার ২৪৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাইয়ে ইন্টারনেট ব্যাংকিং লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুলাই মাস শেষে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা। তবে জুলাইয়ে ইন্টারনেট ব্যাংকিং লেনদেনের পরিমাণ জুনের চেয়ে ২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা কমেছে। জুনে এই মাধ্যমে লেনদেন হয়েছিল ৪৯ হাজার ৯৯ কোটি টাকা।

ইন্টারনেট ব্যাংকিং সাধারণত অনলাইন ব্যাংকিং নামে অধিক পরিচিত। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা আর্থিক লেনদেন ও বিল পেমেন্টসহ নানা ধরনের পরিষেবা সহজেই পান। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ২ দশক আগে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যাংকিং চালু করে। তখন থেকেই দ্রুত গতিতে এটি দেশব্যাপী বহুল প্রচলিত হতে শুরু করে।

গ্রাহকরা ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করেই আর্থিক লেনদেন করতে ব্যাপক আগ্রহী। এরফলে জুলাই পর্যন্ত এক বছরে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ১৯ লাখ ৭০ হাজার। ২০২২ সালের জুলাইয়ে গ্রাহক ছিলো ৫৪ লাখ ৭২ হাজার। চলতি বছরের জুলাইয়ে গ্রাহক সংখ্যা ৭৪ লাখ ৪৩ হাজারে দাঁড়িয়েছে।

ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ায় তা ব্যাংকের জন্যও সাশ্রয়ী। অর্থাৎ লেনদেন যদি অনলাইনে হয়, তাহলে ব্যাংক পরিচালনার খরচ অনেকাংশেই কমবে। ব্যাংকগুলোর খরচ কমানোর ও দক্ষতা নিশ্চিত করার এটাই একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন অনেক ব্যাংকাররা।

গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা ৩ লাখ টাকা। এভাবে দিনে সর্বোচ্চ ১০ বার এবং প্রতিদিন ১০ লাখ টাকা লেনদেন করা যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে কর্পোরেট অ্যাকাউন্টের জন্য প্রতি লেনদেনে সীমা ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে দিনে সর্বোচ্চ ২০ বার এবং প্রতিদিন মোট ২৫ লাখ টাকার লেনদেন করা যাবে।

জুলাইয়ে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৬১৪ কোটি টাকায়, যা আগের বছরের একই মাসে ছিল ৪০ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। তবে, জুনেরঅনলাইন ব্যাংকিংয়ের ৫৮ হাজার ৮১৪ কোটি টাকার চেয়ে জুলাইয়ে ফান্ড ট্রান্সফার লেনদেন কম হয়েছে।

২০১১ সালে চালু হওয়া বিইএফটিএন ছিল দেশের প্রথম কাগজবিহীন ইলেক্ট্রনিক আন্তব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেম। চেক-ক্লিয়ারিং সিস্টেমের মাধ্যমে এটি ক্রেডিট ও ডেবিট উভয় লেনদেনকে সহজতর করে তোলে। এটি পে-রোল, বিদেশি ও দেশি রেমিট্যান্স, সামাজিক নিরাপত্তার অর্থপ্রদান এবং কোম্পানির লভ্যাংশ লেনদেনের কাজ করতে পারে।

এছাড়াও বিল পেমেন্ট, কর্পোরেট পেমেন্ট, সরকারি ট্যাক্স পেমেন্ট, সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান এবং ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি অর্থ প্রদানের মতো লেনদেন পরিচালনা করতে পারে। অপরদিকে বীমা প্রিমিয়াম, ক্লাব বা সমিতি সাবস্ক্রিপশন ফি ও সমতুল্য মাসিক কিস্তির মতো অর্থ পরিশোধও এর মাধ্যমে করা যায়।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অন্যান্য

বাংলাদেশ থেকে পাঁচ খাতে কর্মী নেবে সৌদি

Published

on

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত এসভিপির আওতায় সৌদি আরবে কর্মী পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ১৫০টি কেন্দ্রে এসব কর্মীদের প্রশিক্ষণ চলছে। সরকারি তথ্যের বরাত দিয়ে আরব নিউজের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ওয়েল্ডিং, প্লাম্বিং, অটোমোবাইল, ইলেকট্রিশিয়ান ও এসি মেকানিক- প্রাথমিকভাবে এই পাঁচ খাতকে কেন্দ্র করে এসভিপি কর্মসূচি হাতে নেয় সৌদি আরব।

চলতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এসভিপি নামে পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালুর ঘোষণা দিয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচটি খাতে এসব কর্মীর দক্ষতা যাচাইয়ে সনদ নেওয়া বাধ্যতামূলক করার কথা জানান।

পরে এসভিপির আওতায় নির্মাণ শ্রমিক, টাইলস মিস্ত্রী, গাড়ি মেরামতকারী ও গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীদের- অর্থাৎ আরও ৪ পেশার কর্মীদের এতে যুক্ত হয় বলে আরব নিউজ জানিয়েছে।

আর তাই সৌদি আরবে দক্ষ কর্মী পাঠানোর বিষয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে সরকার। সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

আরব নিউজ বলছে, দক্ষতা যাচাই কর্মসূচিকে বাংলাদেশের শ্রমিকরা ক্যারিয়ারের জন্য সহায়ক বলে মনে করছেন। বাংলাদেশ শুধু সৌদি আরব নয়, অন্য দেশেও পাঠাতে দক্ষ কর্মী তৈরি করছে।

বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক আনোয়ার পাশা আরব নিউজকে বলেন, সৌদি আরবসহ অন্য চাকরির বাজারের চাহিদা মেটাতে দক্ষ কর্মী বাহিনী তৈরি করছি আমরা। প্রায় ১৫০টি কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে সম্ভাব্য অভিবাসী কর্মীদের প্রশিক্ষণ চলছে এবং দেশজুড়ে তৃণমূল পর্যায়ে আরও কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে।

এদিকে ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, কর্মদক্ষতা বাড়াতে এবং কর্মীদের উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দক্ষতা যাচাই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। দক্ষ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্নততর কাজের সুযোগ তৈরি করবে বিনাখরচের এই উদ্যোগ। শুধু সৌদি আরব নয়, উপসাগরীয় ‘বৃহত্তর বাজারে’ বাংলাদেশের জনশক্তিকে প্রতিযোগিতাসক্ষম করে গড়ে তুল এই উদ্যোগ। বিবৃতিতে বলা হয়, এই কর্মসূচির আওতায় দক্ষ কর্মীরা বিদেশে কাজ করুক বা ফিরে আসুক- এই প্রশিক্ষণ বাংলাদেশিদের ওপর এক ধরনের বিনিয়োগ।

বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের বেশিরভাগই সৌদি আরবে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বসবাস করছেন অভিবাসীদের প্রায় অর্ধেক, যার সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ বলে দূতাবাস জানায়।

সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের শীর্ষ উৎস ছিল সৌদি আরব। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একবছরে এদেশ থেকে অভিবাসী কর্মীরা ৩৮০ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অন্যান্য

দাম বাড়ায় রাশিয়ার জ্বালানি তেল রপ্তানি আয়ে উল্লম্ফন

Published

on

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ

আগস্টে রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ররপ্তানির পরিমাণ কমলেও আয় বেড়েছে। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি পণ্যটির ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণেই রপ্তানিতে লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধি দেখেছে দেশটি। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা সম্প্রতি জ্বালানি তেলের বাজার শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, আগস্টে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রপ্তানি করে ১ হাজার ৭১০ কোটি ডলার আয় করেছে রাশিয়া। জুলাইয়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১৮০ কোটি ডলার।

তথ্য বলছে, আগস্টে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮০-৮৫ ডলারের গণ্ডি স্পর্শ করে। সৌদি আরব ও রাশিয়া উত্তোলন কমানোর সময়সীমা আরো বাড়ালে চলতি মাসে তা ৯০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এমন মূল্যবৃদ্ধি রাশিয়ার জ্বালানি তেল রপ্তানি আয় বাড়ার পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।

তবে আয় বাড়লেও গত মাসে দেশটির রপ্তানির পরিমাণ কমেছে। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার দেয়া তথ্য বলছে, আগস্টে রাশিয়ার দৈনিক রপ্তানি ১ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল করে কমে যায়। মোট দৈনিক রফতানির পরিমাণ দাঁড়ায় ৭২ লাখ ব্যারেলে। ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি দৈনিক ৫ লাখ ৭০ ব্যারেল করে কমেছে।

আগস্টে ভারত ও চীনে রুশ জ্বালানি তেল রপ্তানি কমে দৈনিক ৩৯ লাখ ব্যারেলে ঠেকেছে, এপ্রিল ও মে মাসে যা ছিল ৪৭ লাখ ব্যারেল। তবে মোট রপ্তানির অর্ধেকেরও বেশি গেছে এ দুই দেশে।

রুশ অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, আগস্টে রাশিয়ার বাজার আদর্শ জ্বালানি তেল উরালের গড় দাম দাঁড়ায় ব্যারেলপ্রতি ৭৪ ডলারে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে। তবে এ দাম জি৭ ভুক্ত দেশগুলোর বেঁধে দেয়া মূল্যসীমা ৬০ ডলারের চেয়ে অনেক বেশি। এছাড়া জুলাইয়ের চেয়েও উরাল ক্রুডের দাম লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। ওই মাসে প্রতি ব্যারেল উরাল ক্রুড রপ্তানি হয়েছে গড়ে ৬৪ ডলার ৩৭ সেন্টে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে প্রতি ব্যারেল উরালের গড় দাম ছিল ৫৬ ডলার ৫৮ সেন্ট, আগস্টে যা ৭০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। টানা দুই মাস ধরে জি৭ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেয়া মূল্যসীমার বেশি দামে উরাল ক্রুড রপ্তানি করছে রাশিয়া।

যে মাসে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়, সে মাস থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার সরকার ও অলিগার্কদের ওপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এসব নিষেধাজ্ঞায় দেশটির জন্য জ্বালানি তেল রপ্তানি করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ওপর ঘোষণা করা হয় প্রাইস ক্যাপ। এতে প্রতি ব্যারেলের মূল্য সর্বোচ্চ ৬০ ডলার বেঁধে দেয়া হয়। পাল্টা জবাবে রাশিয়া এসব দেশে জ্বালানি তেল ও জ্বালানি পণ্য সরবরাহ কমিয়ে দেয়। দেশটি এ সময় বিকল্প বাজার খুঁজতে শুরু করে। আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রেতা আকর্ষণে দেশটি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামে উল্লেখযোগ্য হারে মূল্যছাড় দেয়। আর এ সুযোগ কাজে লাগায় এশিয়ার মূল্যসংবেদনশীল ক্রেতা দেশগুলো।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অন্যান্য

ফের ১০০ ডলারের পথে জ্বালানি তেল

Published

on

ওপেক

২০২৩ সালে প্রথমবার তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার স্পর্শ করতে যাচ্ছে। চলতি মাসেই এই মূল্য দেখা যেতে পারে। জুনের পর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। মূলত সৌদি আরব ও রাশিয়ার তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা এবং চীনে চাহিদা বাড়ার কারণে তেলের দাম বাড়ছে।

গত সপ্তাহে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি বেড়ে ৯৪ ডলারে দাঁড়ায়, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। জুনে এই তেলের দাম ছিল ৭২ ডলার।

একই সময়ে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৭ ডলার থেকে বেড়ে ৯০ ডলার হয়েছে। গত সপ্তাহে দুই বেঞ্চমার্কের দামই বেড়েছে ৪ শতাংশ।

যুক্তরাজ্যে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম সামান্য বাড়তে শুরু করেছে। জুন থেকে লিটারপ্রতি খরচ বেড়েছে ১০ শতাংশ। মোটরিং সংস্থা আরএসি জানিয়েছে, শুক্রবার আনলেডেড জ্বালানির গড় দাম লিটারপ্রতি ১ দশমিক ৫২ শতাংশ ছিল, যা জুনের ১ দশমিক ৪৩ পাউন্ড থেকে বেশি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে পেট্রোলের দাম প্রতি গ্যালনে ১০ শতাংশ বেড়ে ৩ দশমিক ৯০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ১২০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর বিশ্বজুড়ে বেড়ে যায় মূল্যস্ফীতি। গত বছরের শেষের দিকে তেলের দাম কমলেও তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে ফের বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যেতে পারে।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ
কর্পোরেট সংবাদ2 hours ago

কাদুটি বাজারে পদ্মা ব্যাংকের উপশাখা উদ্বোধন

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ
শিল্প-বাণিজ্য3 hours ago

আবারও কমেছে সোনার দাম

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ
পুঁজিবাজার3 hours ago

ট্রেজারি বন্ড লেনদেনে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের মাইলফলক অর্জন

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ
কর্পোরেট সংবাদ3 hours ago

নগদের মাধ্যমে তামিমের পাওনা পরিশোধ করলেন সাকিব

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ
পুঁজিবাজার4 hours ago

এবার আরও বেশি লভ্যাংশ দেবে এডিএন টেলিকম

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ
আন্তর্জাতিক4 hours ago

৬৩২ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ
আন্তর্জাতিক5 hours ago

যুক্তরাষ্ট্র কিছু পণ্যের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ
কর্পোরেট সংবাদ5 hours ago

ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মীদের জন্য সুখবর!

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ
জাতীয়5 hours ago

বঙ্গবন্ধুর কাছেই সাহসী মনোবল পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ
শিল্প-বাণিজ্য5 hours ago

বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে কেউ ঠকবে না

Advertisement
Advertisement IBBL_AD_300 x 250

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

October 2023
S M T W T F S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031