পুঁজিবাজার
নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারিতে ঝুঁকিপূর্ণ জুট স্পিনার্স

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত লোকসানে থাকা জুট স্পিনার্সের কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ বলে মত দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান শফিক বসাক অ্যান্ড কোম্পানি। এক প্রতিবেদনে নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ধারাবাহিক লোকসানের কারণে পুঞ্জীভূত লোকসান বেড়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ হবে। নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান জুট স্পিনার্সকে ঝুঁকিপূর্ণ বললেও কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে চলছে কারসাজি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, সার্ভেইল্যান্স বিভাগের নজরদারিতে রয়েছে জুট স্পিনার্স।
প্রায় চার দশক আগে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলেও দীর্ঘদিন পর্যন্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কিছুই দেয়নি লোকসানি কোম্পানিটি। অথচ এই কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়ছে অস্বাভাবিকভাবে। জুট স্পিনার্স কর্তৃপক্ষও মনে করে শেয়ারদর বৃদ্ধির কোন কারণ নেই। কোম্পানিটির সচিব এ.টি.এম মোস্তফা বলছেন, কোম্পানির সব কার্যক্রম বন্ধ রাখলেও প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক লোকসান গুণতে হবে ৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ অফিসের আনুষাঙ্গিক সব খরচ বন্ধ থাকলেও বছরে ৬ কোটি টাকা সুদ হিসেবে ব্যাংকে দিতে হচ্ছে। প্রতিনিয়তই এ লোকসানের হার বেড়েই চলছে। বিনিয়োগকারীরা জুট স্পিনার্সের শেয়ার কেন কিনছে তারাই ভালো বলতে পারবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, বিএসইসির সার্ভেইল্যান্স বিভাগ কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ারদর বৃদ্ধির বিষয়ে অনুসন্ধান করছে। আমরা অনুসন্ধান করে দেখেছি, এক বিও হিসাব থেকেই ৬০ হাজারের বেশি শেয়ার কেনার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে দর বাড়তে থাকে। আমরা এ বিষয়ে অনুসন্ধান করছি। কোন ধরণের অনিয়ম খুঁজে পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন কম হওয়ায় শেয়ার সংখ্যা কম। তাই অল্পতেই শেয়ারদর বৃদ্ধিতে জড়িয়ে পড়ছে বিনিয়োগকারীরা। এর আগেও কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে কৃত্রিম দর বৃদ্ধির কারণে নজরদারিতে ছিল। বিএসইসি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
এ বিষয়ে জুট স্পিনার্সের কোম্পানি সচিব এ.টি.এম মোস্তফা অর্থসংবাদকে বলেন, প্রতি বছর যে ৮ কোটি টাকা লোকসান হয়, তাঁর মধ্যে ৬ কোটি টাকাই ব্যাংকের সুদ। কোম্পানির অফিস বন্ধ রাখলেও এই ৬ কোটি টাকা ব্যাংকে দিতে হবে। কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির পেছনে অপ্রকাশিত কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। কোম্পানির যে লোকসান আছে সেটি কাটিয়ে উঠতেই ৫০ বছর লাগবে। প্রতিবছর এখন গড়ে ৮ কোটি টাকা করে লোকসান হচ্ছে, লাভ হলেও তো আর বছরে ৮ কোটি টাকা হবে না।
জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন অর্থসংবাদকে বলেন, লোকসানি কোম্পানি হলেও যদি এমন তথ্য থাকে যে প্রতিষ্ঠান লাভে ফিরবে, এ ধরণের গোপণীয় তথ্য কারও কাছে থাকলে সে শেয়ার কিনতে পারে। আবার পেইডআপ ক্যাপিটাল কম থাকলে কারসাজি হতে পারে। কারণ একটি কথা প্রচলন আছে পেইড আপ ৩০ কোটি না হলে এটিবিতে স্থানান্তর করা হবে। তবে পেইড আপ ক্যাপিটাল বাড়াতে হলে আইন অনুযায়ী কোম্পানির রিজার্ভ থাকা লাগবে, আয় থাকা লাগবে এবং লভ্যাংশ দিতে হবে। দিন শেষে তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন, যিনি বিনিয়োগ করবেন।

জানা গেছে, গত ১৮ এপ্রিল লোকসানি জুট স্পিনার্সের শেয়ারদর ছিল ২১৪ টাকা ৪০ পয়সা। ২৫ মে শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয় ৪৪৫ টাকা ৯০ পয়সায়। মাত্র ২২ কার্যদিবসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৩১ টাকা ৫০ পয়সা বেড়েছে। শতাংশ হিসেবে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বৃদ্ধি পরিমাণ ১০৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
জুট স্পিনার্সের শেয়ারদর বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক মনে করে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। গত ১৫ই মে ডিএসই জানায়, জুট স্পিনার্সের অস্বাভাবিক শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণ জানতে চাওয়া হয়। তবে কোম্পানিটি ডিএসইকে জানিয়েছে, শেয়ারদর বৃদ্ধির পেছনে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। অর্থাৎ কোন কারণ ছাড়াই কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়ছে।
জানা গেছে, চার দশক আগে জুট স্পিনার্স শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলেও বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেওয়ার তথ্য নেই ডিএসইতে। গত এক দশক ধরে কোম্পানিটি আয় করতে পারেনি। সর্বশেষ আয় করেছে ২০১২ সালে। ওই বছর কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ০৬ পয়সা আয় করলেও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি। ২০১২ সালের পর থেকে জুট স্পিনার্স আর আয় করতে পারেনি। প্রতি বছর লোকসান দিয়ে যাচ্ছে কোম্পানিটি। বছরপ্রতি ৮ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানিটির উৎপাদনও বন্ধ রয়েছে। যার ফলে এ কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা রয়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য বলছে, ২০১৩ সালে জুট স্পিনার্সের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪৮ টাকা ১৪ পয়সা। এর পরের দুই বছরে লোকসান কমে কোম্পানিটির। ২০১৪ সালে ৪৩ টাকা ৬৪ পয়সা এবং ২০১৫ সালে ১৯ টাকা ৬৯ পয়সা করে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় প্রতিষ্ঠানটির। ২০১৬ সালে ফের লোকসান বাড়ে জুট স্পিনার্সের। ওই বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ৪২ টাকা ১০ পয়সা। ২০২১ সালে লোকসানের (শেয়ার প্রতি) পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৪৪ টাকা ৫৯ পয়সায়। ২০২২ সালে আরও বেশি লোকসান হয় প্রতিষ্ঠানটির। সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েচে ৪৪ টাকা ৮২ পয়সা।
এদিকে লোকসানি জুট স্পিনার্সের পরিশোধিত মূলধনের তুলনায় ঋণের পরিমাণ ২৩ গুণ বেশি। জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অপরদিকে কোম্পানির ঋণ রয়েছে ৪০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে স্বল্প মেয়াদি ঋণ ৩১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। বাকি ৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ।
ঋণে জর্জরিত জুট স্পিনার্সের সম্পদের মূল্যও ঋণাত্মক। ২০২২ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য ঋণাত্মক (নেগেটিভ) ৪৩৮ টাকা ৪২ পয়সা। ২০১৬ সালে কোম্পানিটির নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে ধারাবাহিক লোকসানের কারণে পূঞ্জীভূত লোকসান বেড়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
প্লান্ট স্থাপনে ১৮৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে লিন্ডে বিডি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে পাঁচ একর জমিতে অক্সিজেন ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট স্থাপন করবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত ‘মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল’-এ কারখানা স্থাপনে ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে কোম্পানিটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১৮৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
সম্প্রতি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক কর্তৃপক্ষের (বেজা) সঙ্গে লিন্ডে বাংলাদেশের চুক্তি সই হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) কোম্পানিটির আয় হয়েছে ২৩৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৫১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির উৎপাদন ব্যয় হয়েছে ১৫৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৪৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ। চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২৮ কোটি ২ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮ টাকা ৪১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৪ টাকা ৯৫ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৭৩ টাকা ৮৫ পয়সায়।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে লিন্ডে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ১১২ কোটি ৫ লাখ টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ২৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯ টাকা ১৯ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ১৫ টাকা ৩০ পয়সা।
সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে লিন্ডে বাংলাদেশের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৮ টাকা ৪ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ৮০ টাকা ৫৫ পয়সায়। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে প্রায় ২৮ শতাংশ। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৯৭ টাকা ৪৪ পয়সায়।
লিন্ডে বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ অক্সিজেন কোম্পানি নামে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত মূলধন ২০ কোটি টাকা। বর্তমানে পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫৯১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারসংখ্যা ১ কোটি ৫২ লাখ ১৮ হাজার ৩০০। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ রয়েছে উদ্যেvক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৯ দশমিক ১০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসই’র ছয় কোম্পানির কারখানা পরিদর্শন

পুঁজিবাজারের নিয়ম প্রতিপালন, কারসাজি, উৎপাদনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে তালিকাভুক্ত ১৪ কোম্পানি পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসই। ফলে সেপ্টেম্বর মাসে তালিকাভুক্ত মোট ৬টি কোম্পানির কারখানা পরিদর্শন করেছে ডিএসইর প্রতিনিধি দল।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ফ্যামিলি টেক্স (বিডি), দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস, রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস, উসমানিয়া গ্লাস শিট, নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার এবং নর্দার্ণ জুট অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড।
গত ৪ সেপ্টেম্বর নর্দার্ণ জুটের কারখানা পরিদর্শন করে ডিএসইর একটি প্রতিনিধি দল। তবে কারখানাটি বন্ধ থাকায় ডিএসইর প্রতিনিধি দল ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। এতে কোম্পানিটির উৎপাদন ব্যবস্থা সর্ম্পকে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে নর্দার্ণ জুট ছাড়া বাকি কোম্পানির কারখানা পরিদর্শন করলেও সবকটি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বন্ধ পেয়েছে ডিএসইর প্রতিনিধি দল।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
খাতভিত্তিক লেনদেনে বিমার দাপট

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট ২০ খাতে ৪০৩টি কোম্পানি লেনদেন করেছে। এর মধ্যে খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে রয়েছে সাধারণ বিমা খাত। তালিকায় জীবন বিমা খাতের অবদানও আশাব্যঞ্জক।
লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ডিএসইতে সাধারণ বিমা খাতে মোট লেনদেনের ১৮ শতাংশ অবদান রয়েছে। এছাড়া জীবন বিমা ও খাদ্য খাতে ১২ শতাংশ লেনদেন করে রয়েছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় স্থানে অবস্থান করা আইটি খাতের লেনদেনে অবদান ১০ শতাংশ।
তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে পাট ও প্রকৌশল খাতে ৫ শতাংশ, সিমেন্ট, বিবিধ খাতে ৩ শতাংশ, জ্বালানি-বিদ্যুৎ, আর্থিক ও ভ্রমণ খাতে ২ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইতে কমেছে পিই রেশিও

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) সামান্য কমেছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে দশমিক ০৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৪ শতাংশ।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ১৪ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৪ দশমিক ৪১ পয়েন্ট।
খাতভিত্তিক হিসাবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৮ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে। এছাড়া সিমেন্ট খাতে ৬ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ২১ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ২১ দশমিক ১৫ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ২১ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট, জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতে ২২ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ৬ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট, আইটি খাতে ২৬ দশমিক ৮২ পয়েন্ট, পাট খাতে ৫৫ দশমিক ২১ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ১৩ দশমিক ৬ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ২৫ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ২৮ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ৬২ দশমিক ২২ পয়েন্ট,ওষুধ খাতে ৮ দশমিক ৭২ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ২১ দশমিক ৮১ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ২১ দশমিক ৩১ পয়েন্ট, ও বস্ত্র খাতে ২৭ দশমিক ১ পয়েন্ট অবস্থান করছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের সর্বোচ্চ দরপতন

বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শতাধিক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর হারিয়েছে ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, গত সপ্তাহে ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে শেয়ারটির দর স্থির হয়েছে ১১১ টাকা ৫০ পয়সায়।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর গত সপ্তাহে ১২ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমেছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর কমেছে ৯ দশমিক ১৮ শতাংশ।
গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ দরপতন হওয়া অপর কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফু-ওয়াং ফুড, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ, দেশবন্ধু পলিমার ও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।