ডেট্রয়েটে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে মিলিত হন এপিইসির সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা। দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বাণিজ্যিক বিষয় নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় ঘটে। নেয়া হয় বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা ও অর্থনৈতিক মন্দাকে কাটিয়ে ওঠার পরিকল্পনা। সেখানে চীনের প্রতিনিধিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও। বিশেষ বিবৃতিতে তিনি জানান, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে সবসময়ই প্রবৃদ্ধি বেশি ছিল। সম্ভাব্য অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও এখানে তুলনামূলক বেশি। তার পরও বিভিন্ন দিক থেকে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা দৃশ্যমান অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে চলছে। এপিইসি অঞ্চলের সম্ভাবনাময় অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার পক্ষপাতী চীন।
অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা, বাণিজ্যিক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করা ও বিনিয়োগে সহযোগিতার নীতিতে বিশ্বাসী চীন, যেন পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক শিল্প ও সরবরাহ চেইন দৃঢ় হয়।
বিশ্বনেতারা বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনকে মজবুত করার জন্য তাগিদ জানিয়েছেন। মহামারীর পর বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা অনেকটাই ভেঙে পড়ে। প্রায় তিন বছরের মতো অবরুদ্ধ থাকে চীন। মহামারীর পর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য গত ডিসেম্বরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। তারপর থেকেই শক্তিশালী হতে থাকে নির্মাণ ও আবাসন খাত। সচল হতে থাকে অর্থনৈতিক কার্যক্রম। বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওয়াং জানিয়েছেন, অনতিবিলম্বে পারস্পারিক সহযোগিতার জন্য আঞ্চলিক নীতিমালার প্রণয়ন করা প্রয়োজন। বিশেষ করে শিল্প ও আবাসন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে আঞ্চলিক অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করা জরুরি, যা ভারী শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি সহযোগিতা করবে ছোট ও মাঝারি মানের শিল্পকে।