জাতীয়
‘নৌকার জয় হয়েছে, পরাজয় হয়েছে ব্যক্তির’

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদা খাতুন । ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদা খাতুনের ছেলে ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গাজীপুরের নির্বাচনে নৌকার জয় হয়েছে, ব্যক্তির পরাজয় হয়েছে। নেত্রীর দোয়ায় আমরা জিতেছি।’
বৃহস্পতিবার দিনগত রাত দেড়টার পর জেলা পরিষদের ভবনের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে ‘ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র’র বাইরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন জায়েদা খাতুন।
নতুন মেয়র হিসেবে জায়েদা খাতুনে নাম ঘোষণা হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তার মা বলেছে, সবাইকে নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে কাজ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবেন। প্রধানমন্ত্রী আমাদের গার্ডিয়ান। দেশের উন্নয়নে তাকে সহযোগিতা করতে চাই।

তিনি বলেন, আমি জন্মের পর থেকেই আওয়ামী লীগ করি। আমি এখানকার আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত ব্যক্তি। মানুষ আমার মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি ও আমার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে একটা সুন্দর শহর গড়ে তুলব।’
তিনি আরও বলেন, আমি মায়ের কর্মী হিসেবে তার কাজে সহযোগিতা করব। আমি আমার মেয়র থাকাকালীন অভিজ্ঞতা দিয়ে গাজীপুরের জন্য কাজ করব। মায়ের সঙ্গে থেকে গাজীপুরকে পরিকল্পিত নগরী করে দেব। কোনো সন্ত্রাসীর কাছে মাথা নত করব না।
সাংবাদিক ও গাজীপুরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহ্র ওয়াস্তে আমাকে আর আমার পরিবারকে নিয়ে কেউ আর মিথ্যা কথা লিখবেন না, মিথ্যা ছড়াবেন না।
এ সময় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহ খানকে উদ্দেশ্য করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার বড়ভাই আজমত উল্লা খানসহ অনেকেই এখানে নির্বাচন করেছেন। আমাদের ব্যক্তিগতভাবে কারও প্রতি রাগ, ক্ষোভ নাই। আমরা সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজটি করতে চাই।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
জাতীয় চা দিবস আজ

আজ ৪ জুন, জাতীয় চা দিবস। দেশে তৃতীয়বারের মতো দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় চা বোর্ডের উদ্যোগে দিবসটি উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প’। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ বছর প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩’ দেওয়া হবে। আটটি ক্যাটাগরিতে আট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হস্তান্তর করবেন।
এ বছর এ পুরস্কার পাচ্ছেন- একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান ‘ভাড়াউড়া চা বাগান’, সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান ‘মধুপুর চা বাগান’, শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক ‘আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড’, শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট (পঞ্চগড়), শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান ‘জেরিন চা বাগান’, বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ কোম্পানি ‘কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট লিমিটেড, দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা কোম্পানি ‘গ্রিন ফিল্ড টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (চা শ্রমিক) উপলক্ষী ত্রিপুরা, নেপচুন চা বাগান।
এ বছর চা শিল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন-চা শ্রমিকদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চায়ের রাজধানী বলে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জাতীয় চা দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গলের বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন এবং প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩’ দেওয়ার জন্য অনু্ষ্ঠান শুরু হবে সকাল ১০ টায়। অনু্ষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

এছাড়া দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী চা মেলার আয়োজন করা হয়েছে। চা মেলাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন ও বিক্রি করা হবে। দর্শনার্থীদের জন্য দিনব্যাপী চা মেলা উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গলের টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চা শিল্পে জাতির জনক অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তার যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০২০ সালের ২০ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুনকে ‘জাতীয় চা দিবস’ ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের ছায়াতলে দেশের চা শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে চা উৎপাদনকারী ও বিপণনকারীদের পাশাপাশি বড় ভূমিকা পালন করে আসছেন এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা। শ্রমঘন এ শিল্পে শ্রমবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বাগান মালিকরা কাজ করে চলেছে।
দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয় চা। সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানে ১৮৫৪ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু করা হয়। ধীরে ধীরে এ অঞ্চলের অন্যতম সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে চা শিল্প বিকশিত হতে থাকে। উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে ব্রিটিশ শাসনাধীন উপমহাদেশের এ অঞ্চলে চা শিল্পের অগ্রগতি মূলত ব্রিটিশদের মাধ্যমেই হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব বলেই দিয়েছি

বাজেট বাস্তবায়নের শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার বাস্তবায়ন করতে পারবে বলেই বাজেট দিয়েছে।
শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
বিকেল ৪টার কিছুক্ষণ আগে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধ হয়ে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান দলীয় নেতাকর্মীরা। পরে কার্যালয় উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাজেট আমরা দিয়েছি…। বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব বলেই দিয়েছি। জ্ঞানী-গুণী বলছে, বাস্তবায়ন করতে পারব না নাকি। প্রতিবার বাজেটের আগে যেভাবে বলে, সেভাবেই বলে যাচ্ছে। আমরা কাজ করি মানুষের জীবন উন্নত করার জন্য। এটা সম্ভব হয়েছে টানা সরকারে থাকার কারণে, একটা স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে বলেই। স্থিতিশীলতা আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশের কোনো উন্নতি হতো না।
বাজেট বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দেশবাসী আমাদের সাথে আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে বোধহয় এত বড় বাজেট কেউ দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ পরিকল্পতভাবে প্রকল্প নেয় বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞায় সারা বিশ্বে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশে এই শীতে তারা রুম হিটার ব্যবহার করতে পারে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেও তাদের নানা বিধি- নিষেধ আছে। পরিবারের জন্য একসাথে ছয়টার বেশি ডিম কিনতে পারে না। একসাথে পাঁচটির বেশি টমেটো কিনতে পারে না। আমেরিকায়ও মানুষ হিমশিত খাচ্ছে সংসার চালাতে। এই অবস্থার মধ্যেও আমরা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আমাদের গুরুত্ব ছিল গ্রামে অর্থ দিয়ে তাদের অবস্থার উন্নতি করা। এটা করতে পেরেছি। দারিদ্র্যের হার ৪০ থেকে ১৮ ভাগে নামিয়ে এনেছি। হতদরিদ্র ২৫ থেকে ৫.৭ ভাগে নামিয়ে এনেছি। ইনশাআল্লাহ, হতদরিদ্র বলে কেউ থাকবে না। ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর করে দিয়েছি। কেউ গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না।
ভবিষ্যতে পোশাক খাতের পর দ্বিতীয় রপ্তানি খাত হিসেবে প্রযুক্তিকে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে এবং সে অনুযায়ী সব ধরনের অবকোঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় ঢাকা চারপাশে চারটি স্যাটেলাইট টাউন, ঢাকা ঘিরে এলিভেটেড রিং রোডসহ আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
ঢাকার তেজগাঁও থেকে ট্রাকস্ট্যান্ড সরিয়ে ফেলতে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে, জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথায় ভালো জায়গা পাওয়া যায়, সেটি দেখা হচ্ছে, যেখানে আধুনিক ট্রাকস্ট্যান্ড করা যায়। একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে।
বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী ও সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রং ফর্সাকারী ১৮ ধরনের ক্রিম নিষিদ্ধ

শরীরের রং ফর্সাকারী ১৮ ধরনের ক্রিম ও একটি লোশন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পারদসহ ক্ষতিকর উপাদান থাকায় এসব ক্রিম ও লোশন নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসটিআই জানিয়েছে, এই ১৮ ধরনের রং ফর্সাকারী ক্রিম ও একটি লোশনে বিপজ্জনক মাত্রায় পারদ (মার্কারি) এবং হাইড্রোকুইনোন পাওয়া গেছে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব ক্রিম দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে চর্মরোগসহ বিভিন্ন জটিলতা হতে পারে। এজন্য এসব ক্রিম বিক্রি ও বিতরণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই ১৯ ধরনের ক্রিম ও লোশনের মধ্যে পাকিস্তানের তৈরি ১৫টি, ইন্ডিয়ার ১টি, চায়না ১টি, আর দুটি পণ্য নামবিহীন।
পাকিস্তানে তৈরি ক্রিমগুলো হলো- এসজে এন্টারপ্রাইজের চাঁদনী ক্রিম, গৌরী কসমেটিকসের (প্রা.) গৌরী ক্রিম, ক্রিয়েটিভ কসমেটিকসের ডিউ, কিউসি ইন্টারন্যাশনালের নিউ ফেস, নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর গোল্ড বিউটি ক্রিম, নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর হারবাল বিউটি ক্রিম, হোয়াইট পার্ল কসমেটিকস ইন্টারন্যাশনালের হোয়াইট পার্ল ক্রিম, গোল্ডেন পার্ল কোম্পানির গোল্ডেন পার্ল ক্রিম, পুনিয়া ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের ফাইজা ক্রিম, ফেস লিফট কসমেটিকসের ফেস লিফট ক্রিম, লাইফ কসমেটিকসের ফ্রেশ অ্যান্ড হোয়াইট ক্রিম, শাহিন কসমেটিকসের ফেস ফ্রেশ ক্রিম, আনিজা কসমেটিকসের আনিজা গোল্ড, লোয়া ইন্টারন্যাশনালের পাক্স ও নাভিয়া ক্রিম।
এছাড়া নিষিদ্ধ হওয়া ক্রিমগুলোর মধ্যে চীনের শুয়াংজ বায়ো টেকনোলজির ডা. রাসেল নাইট ক্রিম রয়েছে। নিষিদ্ধ হওয়া লোশনটি ভারতের অ্যারোমা কেয়ার কসমেটিকসের, নাম ডা. ডেভি স্কিন লোশন।

নিষিদ্ধ হওয়া নামবিহীন দুটি ক্রিম হচ্ছে, ফোর কে প্লাস এবং জাওলি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
উৎপাদন কমে যাওয়ায় লোডশেডিং বেড়েছে

কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন কমে যাওয়ায় লোডশেডিং বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি জানান, বর্তমানে প্রায় ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটের ওপরে লোডশেডিং চলছে।
শনিবার (৩ জুন) দুপুরে সাভারের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষণা ল্যাবরেটরি অ্যান্ড প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধনের পর তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কয়েকটি পাওয়ার প্ল্যান্ট কাজ না করাতে লোডশেডিং বেড়েছে। কিছুদিন এ পরিস্থিতি থাকবে।
তিনি বলেন, কয়লার অভাবে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র (পায়রা) অর্ধেক বন্ধ আছে, আগামী ৫ তারিখের পর বাকি অর্ধেকও বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে সিস্টেমে একটি বড় অংশ বিদ্যুৎ না পাওয়ায় কিছুটা জনদুর্ভোগ বেড়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সবুর খান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. এম সামসুল আলম বক্তব্য দেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য ৫০ হাজার ডলার দেবে বাংলাদেশ

ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্টে (ইউএনআরডব্লিউএ) ৫০ হাজার মার্কিন ডলার আর্থিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার (৩ জুন) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে এ প্রতিশ্রুতি দেয় বাংলাদেশ। সম্মেলনটির আহ্বান করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরেশী। এতে সদস্য দেশগুলোকে ফিলিস্তিনি শরণার্থী এবং তাদের জন্য নিবেদিত সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কার্যাবলীর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ব্রিফ করেন সংস্থাটির কমিশনার জেনারেল।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মো. মনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার ঘোষণা করেন। তার বক্তব্যে ইউএনআরডব্লিউএর চলমান তহবিল ঘাটতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি ‘টেকসই, অনুমানযোগ্য এবং পর্যাপ্ত’ তহবিল সুরক্ষার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের সমর্থনের জন্য অস্থায়ীভিত্তিতে ইউএনআরডব্লিউএ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে শুধু আর্থিক সমর্থন প্রদান করা সমাধান নয়, এই সংকটের একমাত্র সমাধান হলো, ১৯৬৭-এর পূর্ববর্তী সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান অর্জনের মাধ্যমে ইসরায়েলি অবৈধ দখল দারিত্বের অবসান ঘটানো।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের রেজুলেশনের মাধ্যমে ১৯৪৯ সালে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের তাদের দুর্দশার ন্যায্য এবং স্থায়ী সমাধানের জন্য সহায়তা এবং সুরক্ষা প্রদানের জন্য একটি মানবিক এবং উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইউএনআরডব্লিউএ। বর্তমানে এই সংস্থায় শরণার্থী হিসাবে ৫ দশমিক ৯ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি নিবন্ধিত। সরকার ও মানুষের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন স্বরুপ ২০১৮ সাল থেকে ইউএনআরডব্লিউএ-তে এ অনুদান দিয়ে আসছে বাংলাদেশ।