Connect with us

জাতীয়

গাজীপুরের প্রথম নারী মেয়র জায়েদা খাতুন

Published

on

কিউআই

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। টেবিল ঘড়ি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৩৮৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২২২৭৩৭ ভোট। ৪৮০ কেন্দ্রের ফলাফলে জায়েদা খাতুন জয়লাভ করেন।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ।

সকাল ১০টার পর কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। ওই সময় তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমও ভোট দেন।

ভোট দেয়ার পর জায়েদা খাতুন বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে তার এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেয়া হয়েছিল। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ ভালো, সুষ্ঠু ভোট হলে নির্বাচনী ফলাফল যাই হোক তা মেনে নেব।

এদিকে সকাল পৌনে ৯টার দিকে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে টঙ্গীর আরিচপুর মসজিদ রোডের দারুস সালাম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান।

ভোটদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, জনগণের ভালোবাসা থেকে আমি বলতে পারি, জয়-পরাজয় আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আমি বিশ্বাস করি, ফয়সালা আসমান থেকে হয়। আল্লাহ যা চান তা জনগণের মাধ্যমে প্রকাশ করবেন।

আজমত উল্লা খান বলেন, ভোটের যে কোনো ফলাফল অবশ্যই মেনে নেব। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। সবসময় জনগণের অপিনিয়নের প্রতি আমি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আসছি। জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে, আমি সেটা অবশ্যই মেনে নেব। আমি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সব সময় জনগণের সঙ্গে ছিলাম।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ট্রান্সজেন্ডার ১৮ জন ভোটার।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

রাজস্ব বাড়াতে প্রয়োজনীয় সংস্কারে আগ্রহ নেই রাজস্ব বোর্ডের

Published

on

কিউআই

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রয়োজনীয় সংস্কারে আগ্রহ না থাকায় দেশের প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজস্ব আদায় বাড়ছে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

তিনি বলেন, “যদিও প্রত্যাশিত রাজস্ব আদায় না হওয়ায় এককভাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দায়ী করার সুযোগ নেই। তবে সংস্কার এগিয়ে নিতে এনবিআরের আগ্রহের অভাব রয়েছে।”

এডিটরস গিল্ডের আয়োজনে শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর একটি সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাজেটে ঘাটতি ও মূল্যস্ফীতির চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

বাজেটের ব্যয় মেটাতে করের আওতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে দাবি করে প্রতিমন্ত্রী শামসাল আলম বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে সরকারের ভেতরে ও বাইরে থেকে বলা হচ্ছে, জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আহরণের হার বাড়ানো দরকার।

যদিও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের টিআইএন থাকে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই নেট বাড়নোর অংশ হিসেবেই ই-টিআইএন রিটার্ন দাখিলে ২,০০০ টাকা কর আরোপ করা হয়েছে।”

রাজস্ব আহরণে ব্যর্থ্যতার দায় এককভাবে এনবিআরে চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে।

বাজেটে লক্ষ্য নির্ধারণে এনবিআরের মতামত নেওয়া হয় না এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, বাজেট প্রণয়নের শুরুর দিকেই বিভিন্ন পক্ষের পাশাপাশি এনবিআরকে ডাকা হয়।

“সরকারের নীতিগত দলিল, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় রাজস্ব কাঠামোতে যে ধরনের সংস্কারের কথা বলা হয়েছে তা বাস্তবায়নে এনবিআর উদ্যোগী হয় না। তারা আবার পরামর্শ কী দেবে?,” প্রশ্ন রাখেন তিনি।

২০২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান অনুষ্ঠানে বলেন, “জিপিডির বড় প্রবৃদ্ধির স্বপ্নবিলাস দেখানোর চাইতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা ও সামষ্টিক অর্থনীতিকে ট্র্যাকে নিয়ে আসার উদ্যোগ বেশি প্রয়োজন ছিল।”

তিনি বলেন, রাজস্ব খাতের সমস্যা, ব্যাংকিং খাতে সংকট, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ফিসক্যাল ও মনিটারি পলিসির পাশাপাশি বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ বাজেটে নেই।

বড় প্রবৃদ্ধি অর্জনের কথা বলে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বিশাল হারে বাড়ানের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। আবার ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে বিশাল ব্যয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। এই দুই লক্ষ্যের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

আয়োজক সংগঠন এডিটরস গিল্ডের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী নেতদের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা ১ জুন তারিখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ঘোষিত প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

 

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

সেঞ্চুরির পথে পেঁয়াজ

Published

on

কিউআই

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রায় প্রতি বছরই পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করে তোলেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। নিজেরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেন ইচ্ছামতো। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদুল আজহার এক মাস আগেই বাজারে পেঁয়াজের দাম আকাশচুম্বী। এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি প্রায় একশ টাকা।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

মাত্র দেড়মাস আগে রমজানে এক কেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন তা বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে। সবশেষ দুইদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়।

পেঁয়াজের দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রতি বছরই কোরবানির ঈদ সামনে রেখে অসাধু বিক্রেতারা পেঁয়াজ নিয়ে সিন্ডিকেট করেন। তবে বিক্রেতাদের দাবি, মূলত ভারত থেকে আমদানি না হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এমনটা চলতে থাকলে আসন্ন কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজের আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে পরদিন ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে দাম বাড়তে থাকে রান্নায় অতিপ্রয়োজনীয় মসলাজাতীয় পণ্যটির।

রোববার (৪ জুন) রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ (দেশি কিং) বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া দেশি (পাবনা) বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি। দেশি ও চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা প্রতি কেজি।

ক্রেতারা বলেন, কোরবানির ঈদের এখনো প্রায় এক মাস দেরি, এর মধ্যেই দাম বেড়েছে অনেক। রোজায় ৩৫ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছি, এখন দাম প্রায় তিনগুণ। এখনই সরকারিভাবে অভিযান পরিচালনা করে পেঁয়াজ মজুতদারদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। এটা না হলে কোরবানি আসতে আসতে ২০০ টাকায় পেঁয়াজ কেনা লাগবে।

বিক্রেতারা বলেন, আমরা খুচরা বিক্রি করি, দর-দাম নিয়ে মাথাব্যথা নেই। পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমরা সেভাবে বিক্রি করি। আবার পাইকারিতে দাম কমলে খুচরায়ও কমে যায়। তবে বর্তমানে যেভাবে দাম বাড়ছে, এভাবে চলতে থাকলে আসন্ন কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলেও মন্তব্য এ খুচরা বিক্রেতার।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

জাতীয় চা দিবস আজ

Published

on

কিউআই

আজ ৪ জুন, জাতীয় চা দিবস। দেশে তৃতীয়বারের মতো দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় চা বোর্ডের উদ্যোগে দিবসটি উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প’। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

এ বছর প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩’ দেওয়া হবে। আটটি ক্যাটাগরিতে আট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হস্তান্তর করবেন।

এ বছর এ পুরস্কার পাচ্ছেন- একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান ‘ভাড়াউড়া চা বাগান’, সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান ‘মধুপুর চা বাগান’, শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক ‘আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড’, শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট (পঞ্চগড়), শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান ‘জেরিন চা বাগান’, বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ কোম্পানি ‘কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট লিমিটেড, দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা কোম্পানি ‘গ্রিন ফিল্ড টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (চা শ্রমিক) উপলক্ষী ত্রিপুরা, নেপচুন চা বাগান।

এ বছর চা শিল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন-চা শ্রমিকদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চায়ের রাজধানী বলে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জাতীয় চা দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

শ্রীমঙ্গলের বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন এবং প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩’ দেওয়ার জন্য অনু্ষ্ঠান শুরু হবে সকাল ১০ টায়। অনু্ষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

এছাড়া দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী চা মেলার আয়োজন করা হয়েছে। চা মেলাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন ও বিক্রি করা হবে। দর্শনার্থীদের জন্য দিনব্যাপী চা মেলা উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গলের টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চা শিল্পে জাতির জনক অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তার যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০২০ সালের ২০ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুনকে ‘জাতীয় চা দিবস’ ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের ছায়াতলে দেশের চা শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে চা উৎপাদনকারী ও বিপণনকারীদের পাশাপাশি বড় ভূমিকা পালন করে আসছেন এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা। শ্রমঘন এ শিল্পে শ্রমবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বাগান মালিকরা কাজ করে চলেছে।

দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয় চা। সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানে ১৮৫৪ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু করা হয়। ধীরে ধীরে এ অঞ্চলের অন্যতম সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে চা শিল্প বিকশিত হতে থাকে। উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে ব্রিটিশ শাসনাধীন উপমহাদেশের এ অঞ্চলে চা শিল্পের অগ্রগতি মূলত ব্রিটিশদের মাধ্যমেই হয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব বলেই দিয়েছি

Published

on

কিউআই

বাজেট বাস্তবায়নের শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার বাস্তবায়ন করতে পারবে বলেই বাজেট দিয়েছে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

বিকেল ৪টার কিছুক্ষণ আগে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধ হয়ে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান দলীয় নেতাকর্মীরা। পরে কার্যালয় উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাজেট আমরা দিয়েছি…। বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব বলেই দিয়েছি। জ্ঞানী-গুণী বলছে, বাস্তবায়ন করতে পারব না নাকি। প্রতিবার বাজেটের আগে যেভাবে বলে, সেভাবেই বলে যাচ্ছে। আমরা কাজ করি মানুষের জীবন উন্নত করার জন্য। এটা সম্ভব হয়েছে টানা সরকারে থাকার কারণে, একটা স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে বলেই। স্থিতিশীলতা আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশের কোনো উন্নতি হতো না।

বাজেট বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দেশবাসী আমাদের সাথে আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে বোধহয় এত বড় বাজেট কেউ দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ পরিকল্পতভাবে প্রকল্প নেয় বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞায় সারা বিশ্বে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশে এই শীতে তারা রুম হিটার ব্যবহার করতে পারে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেও তাদের নানা বিধি- নিষেধ আছে। পরিবারের জন্য একসাথে ছয়টার বেশি ডিম কিনতে পারে না। একসাথে পাঁচটির বেশি টমেটো কিনতে পারে না। আমেরিকায়ও মানুষ হিমশিত খাচ্ছে সংসার চালাতে। এই অবস্থার মধ্যেও আমরা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পেরেছি।

তিনি বলেন, আমাদের গুরুত্ব ছিল গ্রামে অর্থ দিয়ে তাদের অবস্থার উন্নতি করা। এটা করতে পেরেছি। দারিদ্র্যের হার ৪০ থেকে ১৮ ভাগে নামিয়ে এনেছি। হতদরিদ্র ২৫ থেকে ৫.৭ ভাগে নামিয়ে এনেছি। ইনশাআল্লাহ, হতদরিদ্র বলে কেউ থাকবে না। ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর করে দিয়েছি। কেউ গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না।

ভবিষ্যতে পোশাক খাতের পর দ্বিতীয় রপ্তানি খাত হিসেবে প্রযুক্তিকে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে এবং সে অনুযায়ী সব ধরনের অবকোঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় ঢাকা চারপাশে চারটি স্যাটেলাইট টাউন, ঢাকা ঘিরে এলিভেটেড রিং রোডসহ আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

ঢাকার তেজগাঁও থেকে ট্রাকস্ট্যান্ড সরিয়ে ফেলতে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে, জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথায় ভালো জায়গা পাওয়া যায়, সেটি দেখা হচ্ছে, যেখানে আধুনিক ট্রাকস্ট্যান্ড করা যায়। একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে।

বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী ও সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

রং ফর্সাকারী ১৮ ধরনের ক্রিম নিষিদ্ধ

Published

on

বিএসটিআই

শরীরের রং ফর্সাকারী ১৮ ধরনের ক্রিম ও একটি লোশন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পারদসহ ক্ষতিকর উপাদান থাকায় এসব ক্রিম ও লোশন নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসটিআই জানিয়েছে, এই ১৮ ধরনের রং ফর্সাকারী ক্রিম ও এক‌টি লোশনে বিপজ্জনক মাত্রায় পারদ (মার্কারি) এবং হাইড্রোকুইনোন পাওয়া গেছে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব ক্রিম দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে চর্মরোগসহ বিভিন্ন জটিলতা হতে পারে। এজন্য এসব ক্রিম বিক্রি ও বিতরণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই ১৯ ধরনের ক্রিম ও লোশনের মধ্যে পাকিস্তানের তৈরি ১৫টি, ইন্ডিয়ার ১টি, চায়না ১টি, আর দু‌টি পণ্য নাম‌বিহীন।

পাকিস্তানে তৈরি ক্রিমগুলো হলো- এসজে এন্টারপ্রাইজের চাঁদনী ক্রিম, গৌরী কসমেটিকসের (প্রা.) গৌরী ক্রিম, ক্রিয়েটিভ কসমেটিকসের ডিউ, কিউসি ইন্টারন্যাশনালের নিউ ফেস, নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর গোল্ড বিউটি ক্রিম, নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর হারবাল বিউটি ক্রিম, হোয়াইট পার্ল কসমেটিকস ইন্টারন্যাশনালের হোয়াইট পার্ল ক্রিম, গোল্ডেন পার্ল কোম্পানির গোল্ডেন পার্ল ক্রিম, পুনিয়া ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের ফাইজা ক্রিম, ফেস লিফট কসমেটিকসের ফেস লিফট ক্রিম, লাইফ কসমেটিকসের ফ্রেশ অ্যান্ড হোয়াইট ক্রিম, শাহিন কসমেটিকসের ফেস ফ্রেশ ক্রিম, আনিজা কসমেটিকসের আনিজা গোল্ড, লোয়া ইন্টারন্যাশনালের পাক্স ও নাভিয়া ক্রিম।

এছাড়া নিষিদ্ধ হওয়া ক্রিমগুলোর মধ্যে চীনের শুয়াংজ বায়ো টেকনোলজির ডা. রাসেল নাইট ক্রিম রয়েছে। নিষিদ্ধ হওয়া লোশনটি ভারতের অ্যারোমা কেয়ার কসমেটিকসের, নাম ডা. ডেভি স্কিন লোশন।

নিষিদ্ধ হওয়া নামবিহীন দুটি ক্রিম হচ্ছে, ফোর কে প্লাস এবং জাওলি।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
Advertisement
Advertisement
June 2023
SMTWTFS
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930