টেলিকম ও প্রযুক্তি
শেষ দফায় গণছাঁটাই শুরু করেছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা

ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা চলতি বছরের মার্চে ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছিল। এরপর গত এপ্রিল মাসে প্রায় ৪ হাজার কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
আর গত বুধবার থেকে পরিকল্পনায় থাকা বাকিদের ছাঁটাইপ্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
মেটার মার্কেটিং, রিক্রুটিং, ইঞ্জিনিয়ারিং ও করপোরেট কমিউনিকেশন বিভাগে কর্মরত বেশ কিছু কর্মী গত বুধবার পেশাজীবীদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে তাঁদের ছাঁটাইয়ের খবর জানান। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়।
মেটা গত বুধবার জানিয়েছে, আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক সদর দপ্তরের প্রায় ২০ শতাংশ বা ৪৯০ জন কর্মী ছাঁটাইপ্রক্রিয়ার মধ্যে পড়তে পারেন। আর গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিশেষ করে নন-ইঞ্জিনিয়ারিং খাত যেমন, কনটেন্ট ডিজাইন ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্স গবেষকের মতো পদগুলো থেকে বেশি ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটছে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও ডিজিটাল বিজ্ঞাপন কমার কারণে গত বছরের শেষের দিক থেকে প্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলো ব্যাপক অর্থনৈতিক চাপের মুখে পড়ে। যেমন, মেটা ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৭০ কোটি মার্কিন ডলার মুনাফা হারিয়েছে। কোম্পানির আয় কমে যাওয়ায় পরিচালনা খরচ কমাতে ছাঁটাইয়ের চিন্তা শুরু করে তারা। গত বছরের নভেম্বরে প্রথম কোনো বড় প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয় ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা।

এরপর চলতি বছরের মার্চ মাসে দ্বিতীয় দফায় আরও ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ। মার্চের ছাঁটাইয়ের ঘোষণাটি দুই ভাগে বাস্তবায়িত হয়। প্রথমে এপ্রিল মাসে ৪ হাজার কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়। আর গত বুধবার থেকে বাকিদের ছাঁটাইপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও এরপরও ছোট পরিসরে কিছু ছাঁটাইপ্রক্রিয়া চলতে পারে বলে আভাস দিয়ে রেখেছেন মার্ক জাকারবার্গ।
২০২০ সাল থেকে কয়েক ধাপে ব্যাপক নিয়োগের মাধ্যমে নিজেদের কর্মী সংখ্যা দ্বিগুণ করেছিল মেটা। তবে সর্বশেষ ছাঁটাইয়ের পরে কর্মী সংখ্যা আবার কমে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ের অবস্থানে নেমে এসেছে।
অবশ্য এভাবে কর্মী ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে খরচ কমানোর উদ্যোগ নেওয়ায় এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর জোর দেওয়ায় কিছুটা ইতিবাচক ফল পেয়েছে মেটা। সম্প্রতি মার্কিন শেয়ারবাজারে মেটার শেয়ারের দাম দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকেও শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে মেটা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

টেলিকম ও প্রযুক্তি
ডিলিট হওয়া ফেসবুক পোস্ট ফিরিয়ে আনবেন যেভাবে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভুল করে কোনো পোস্ট মুছে ফেললে খুব সহজেই তা ফিরিয়ে আনা যায়। ভুলবসত যদি কোন পোস্ট মুছে যায়, সেটা তখন ফেসবুক সাইট থেকে একেবারেই মুছে যায় না। রিসাইকেল বিন নামের গোপন একটি ফোল্ডরে ডিলেট হওয়া পোস্ট জমা থাকে। ৩০ দিন পর্যন্ত তা পুনরুদ্ধার করার সুযোগ থাকে। তাই কখনো যদি ভুলে ফেসবুক পোস্ট বা স্ট্যাটাস মুছে যায়, তবে এই পদ্ধতি মেনে তা ফিরিয়ে আনা যাবে বা একেবারে মুছে ফেলা যাবে।
যেভাবে পোস্ট ফিরে পাবেন
এ জন্য ফেসবুক অ্যাপ খুলে নিজের প্রোফাইলে যেতে হবে। এখানে ‘এডিট প্রোফাইল’-এর পাশে থাকা তিন ডট আইকনে যান। প্রোফাইল সেটিংস পাতা আসবে। এখানকার মেনু থেকে ‘আর্কাইভ’ মেনুতে ক্লিক করুন। অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টফোনে ‘রিসাইকেল বিন’-এ ক্লিক করুন। আইওএস বা আইফোনে ‘ট্র্যাশ’-এ যেতে হবে।
রিসাইকেল বিন বা ট্র্যাশে ফেসবুক থেকে মুছে যাওয়া পোস্ট ও ছবি পাওয়া যাবে। কোনো পোস্টকে পুনরুদ্ধার বা একেবারে মুছে ফেলতে চাইলে পোস্টের পাশের তিন ডট আইকনে ক্লিক করলে মেনু দেখা যাবে। এখান থেকে ‘রিস্টোর টু প্রোফাইল’-এ ক্লিক করলে পোস্টটি আবার আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে চলে আসবে। আর একেবারে মুছে ফেলতে চাইলে এই মেনু থেকে ‘ডিলিট’ চাপতে হবে।
অর্থসংবাদ/এসইউ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চোখ দিয়ে তাকালেই খুলে যাবে এ্যাপ

আঙুলের সাহায্যে টার্চ করে অ্যাপ ব্যবহার করার দিন শেষ। এবার থেকে আর সোয়াইপ করে সরাতে হবে না স্ক্রিন অথবা পেটন লক। চোখ দিয়ে তাকালেই খুলে যাবে অ্যাপ। হাত ঘুরিয়ে কিংবা স্রেফ হুকুম করলেই হয়ে যাবে কাজ। এমনই এক ডিভাইস সম্প্রতি প্রকাশে আনল অ্যাপ।
প্রতিষ্ঠানটি এর আগে ২০১৫ সালে একটি নতুন পণ্য বাজারে এনেছিল। সেটা ছিল স্মার্টয়াচ। এবার দুনিয়াকে চমকে দিয়ে তারা বাজারে আনল অগমেন্টেড রিয়্যালিটি হেডসেট অ্যাপল ভিসন প্রো। এবার দীর্ঘ প্রতীক্ষা পর নতুন পণ্য আনল এই টেক জায়ান্ট।
অবশ্য সংস্থার পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল নতুন ডিভাইসটি আসলে একটি ‘স্পেশাল কম্পিউটার’, যা ডিজিটাল এবং ফিজিক্যাল পৃথিবীকে মিশিয়ে দিতে চলেছে।
অ্যাপল ভিশন প্রো- এর উদ্বোধন উপলক্ষে সিইও টিম কুক বলেন, ‘কম্পিউটিং যুগের আজ একটি নতুনের সূচনা হল। ঠিক যেমন ম্যাক পার্সোনাল কম্পিউটিংকে, আইফোন মোবাইল কম্পিউটিং-কে পথ দেখিয়েছে, তেমনই অ্যাপল ভিশন প্রো স্পেশাল কম্পিউটিং-এর অগ্রদূত।’
পণ্যটি উন্মোচন হলেও এখনই বাজারে কিনতে পাওয়া যাবে না। ২০২৪ সালে তা সকলের হাতের নাগালে আসবে। যদিও এই অত্যাধুনিক গ্যাজেট নিজের নাগালে পেতে গেলে খরচ করতে হবে প্রায় ৩৪৯৯ ডলার।

এই বিশেষ হেডসেটের ভিতরে রয়েছে দু’টি মাইক্রো ওএলইডি স্ক্রিন এবং মোট ২৩ মিলিয়ন পিক্সেল। অ্যাপল দাবি করেছে, কাস্টম ক্যাটাডায়পট্রিক লেন্সের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এমন স্বচ্ছ ও তীক্ষ্ণ দৃশ্য দেখাবে যা মানুষকে হতভম্ব করে দিতে পারে।
এর সঙ্গে একটি তারযুক্ত ব্যাটারি প্যাক থাকবে যা পকেটে নিয়ে ঘোরা যাবে এবং ঘণ্টা দুয়েক কাজ করতে পারবে। প্লাগ ইন করে রাখলে অনেকক্ষণ হেডসেট ব্যবহার করা যাবে। থাকছে একটি ডিজিটাল ক্রাউন যা ব্যবহারকারীকে স্থির করতে দেবে যে তিনি কতটা বাস্তবে থাকবেন অথবা, না।
এছাড়াও হেডসেটটিতে যেমন রয়েছে ‘থ্রি-ডায়মেনশনাল ক্যামেরা’। তেমনই এটি ভিশন ওএস চালিত, যা অ্যাপল-এর নতুন থ্রি-ডি ইন্টারফেস। ফলে ডিজিটাল অভিজ্ঞতাকে আরও বেশি করে বাস্তব বলে বোধ হবে।
এতে একেবারে নতুন একধরনের ইনপুট সিস্টেম থাকছে যা কোনও মানুষের চোখ, হাত এবং কণ্ঠস্বর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। অর্থাৎ আঙুলে ট্যাপ করে, কব্জি ঘুরিয়ে স্ক্রোল করতে পারবেন ব্যবহারকারী। থাকবে ভয়েস ব্রাউজিংও।
অর্থসংবাদ/এস.ইউ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
ফেসবুক রিলস দেখতে না চাইলে করণীয়

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিলস বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রিলসে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে গত বছর থেকে ফেসবুক রিলস-এ পরীক্ষামূলকভাবে বিজ্ঞাপন দেওয়া শুরু করেছে মেটা।
ইনস্টাগ্রাম রিলসের মতো ফেসবুকেও চালু হয়েছে নতুন সুবিধা ফেসবুক রিলস। এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে যেকোনো ব্যবহারকারী ছোট ছোট ভিডিও বানিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন।
এমনকি এ থেকে আয়ের সুযোগও দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি। একটি ফেসবুক রিলস মূলত ৩ সেকেন্ড থেকে ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত দীর্ঘ হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেই নিজের টাইমলাইনে দেখতে চান না এই রিলস। এটা দেখানো একেবারে বন্ধ করা না গেলেও কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে রিলের প্রদর্শন কমিয়ে আনা যাবে।
জেনে নেই কীভাবে?
ফেসবুকের ওয়েব সংস্করণে রিলস সচরাচর দেখা যায় না। তাই আপনি যদি অ্যাপ ছেড়ে ফেসবুকের ওয়েবসাইট নিয়মিত ব্যবহার করেন, তাহলে রিলস দেখা থেকে মুক্তি পাবেন।
এ ছাড়া ফেসবুকের আগের সংস্করণগুলোতে রিলস দেখা যায় না। আইফোন ছাড়া অ্যান্ড্রয়েডের ফেসবুকের পুরোনো সংস্করণগুলোতে রিলস দেখা যাবে না।

ফেসবুক অ্যাপ থেকে যখনই রিলস দেখার জন্য টাইমলাইনে কোনো ‘সাজেশন’ আসবে, তখন রিলসের ডান দিকের কোনার তিন ডট আইকনে ক্লিক করুন। এখানে থাকা ‘হাইড’–এ ক্লিক করুন। এভাবে কিছুদিন ধারাবাহিকভাবে হাইড করতে থাকলে ফেসবুকের অ্যালগরিদম ধীরে ধীরে রিলস দেখানো কমাতে থাকবে। কারণ, আপনি ফেসবুকে যাই পছন্দ করছেন, ফেসবুকের অ্যালগরিদম আরও বেশি করে আপনাকে সেগুলোই দেখায়।
এ ছাড়া কখনো যদি ফেসবুক রিলস হঠাৎ চালু হয়ে যায়, তাহলে চালু থাকা অবস্থায় রিলসের নিচের তিন ডট আইকনে ক্লিক করুন। মেনু থেকে ‘হাইড রিল’ অপশন চাপুন। এভাবে যে রিল ভালো লাগবে না, সেটির ক্ষেত্রে একই নিয়মে হাইড করুন। তাহলে ফেসবুকের অ্যালগরিদম আপনার জন্য এটি দেখানো কমিয়ে দিতে থাকবে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
মোবাইলে ব্যক্তিগত তথ্য যেভাবে সুরক্ষিত রাখবেন

স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন সময়ে তথ্য সন্ত্রাসের স্বীকার হওয়ার খবর শুনা যায়। বর্তমানে হ্যাকারদের জন্য ফোন সুরক্ষিত রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানাভাবে ফোনে অ্যাক্সেস নিয়ে চুরি করছে ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি, ডকুমেন্ট। এরপর সেগুলো দিয়ে ব্যবহারকারীকে ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা কিছু সতর্কতা মানলেই এই সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
যেভাবে ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখবেন-
ওয়াইফাই ও ব্লুটুথ ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। যখন ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথের প্রয়োজন নেই, তখন নিজেদের স্মার্টফোনে ওয়াইফাই, ব্লুটুথ স্ক্যানিং বন্ধ রাখুন। কারণ এই উভয় সেটিংসই চারপাশের প্রতিটি ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথের জন্য সব সময় স্ক্যান করতে থাকে। এটি হ্যাকারদের তাদের ডিভাইসের সঙ্গে স্মার্টফোন লিঙ্ক করার সুযোগ দেয়।
স্মার্টফোনের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য, সবসময় ‘সেনসিটিভ ইনফরমেশন অন লক স্ক্রিন’ অ্যাক্টিভ রাখতে হবে। এটি অ্যাক্টিভ না থাকার কারণে, লক স্ক্রিনে মেসেজ ও নোটিফিকেশন দেখা যায়।
সবসময় ফোনের লোকেশন অন রাখা খুবই বিপজ্জনক। আপনার যাবতীয় কর্মকাণ্ড ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে। অর্থাৎ কখন, কোথায় যাচ্ছেন এবং সেখানে কতক্ষণ ছিলেন তা সবকিছু ফোনে রেকর্ড থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে, কেউ যদি চান তাঁর ফোন লোকেশন ট্র্যাক না করে, তাহলে তা বন্ধ করা উচিত।

যখন প্রয়োজন হবে না তখন ফোনের ইন্টারনেট বন্ধ রাখুন। এমনকি ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপনের অপশন বন্ধ রাখুন। নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন বাড়িতে বা অফিসে বন্ধুদের সঙ্গে কোনো বিষয়ে কথা বলে ইন্টারনেটে সেই সম্পর্কে অনুসন্ধান করেন, তাহলে কিছুক্ষণ পর থেকে ফোনে সেই বিষয়ে একই তথ্য পেতে থাকবে। এটি ঘটে কারণ ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপনের অপশন অন থাকলে।
স্মার্টফোনে যে অ্যাপগুলো ইনস্টল করা হয়, তার বেশিরভাগই ব্যবহারকারীর কাছ থেকে লোকেশনের অনুমতি চায়। এক্ষেত্রে সব অ্যাপের পারমিশন দেবেন না। সেই সব অ্যাপের লোকেশনের পারমিশন দেওয়া উচিত, যেগুলো সঠিক অবস্থান না জেনে কাজ করতে পারে না।
অর্থসংবাদ/এস.ইউ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
২২৮ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের লাইসেন্স বাতিল

২২৮টি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের (আইএসপি) লাইসেন্স বাতিল করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গত ২৯ মে কমিশনের লাইসেন্সিং শাখার পরিচালক মো. নূরন্নবী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। নির্দিষ্ট সময়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) লাইসেন্স রূপান্তর (কনভার্সন) না করায় এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার (৫ জুন) এ তথ্য জানা গেছে।
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) সভাপতি মো. ইমদাদুল হক বলেন, যাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই আমাদের সদস্য নয়। যে দুই একজন সদস্য আছে তারাও হয়তো কমপ্লায়েন্স মেইটেইন করেননি, কিংবা কাগজপত্র আপডেট করেননি। বাতিল ২২টি প্রতিষ্ঠানের অনেকেই এখন অপারেশনেও নেই।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অপারেশনে থাকতে হলে তথ্য আপডেট করতে হবে। বিটিআরসির ফি পরিশোধ করতে হবে। লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পর এখন পর্যন্ত দুই একজন বাদে কেউ অভিযোগ জানায়নি। ছোটখাটো কারণে যাদের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে তাদের লাইসেন্স বহাল রাখতে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিটিআরসিকে জানানো হবে।
বিটিআরসি জানায়, ২২৮ টি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) লাইসেন্স রূপান্তর (কনভার্সন) না করে সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সিং গাইডলাইন ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ এর বিধান লঙ্ঘন করায় তাদের আইএসপি লাইসেন্সসমূহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে বাতিল করা হয়েছে। ওই লাইসেন্সসমূহের অধীনে যে কোন কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে অবৈধ ও শান্তিযোগ্য অপরাধ। ওইসব প্রতিষ্ঠানসমূহকে আইএসপি লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট সকল প্রকার কার্যক্রম হতে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কোন ধরনের টেলিযোগাযোগ চুক্তি সম্পাদনসহ সেবা গ্রহণ প্রদান এবং টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রহণ প্রদানের বিপরীতে আর্থিক লেনদেন করা থেকে সবাইকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়।

প্রসঙ্গত, বিটিআরসির ওয়েবসাইটে ওই ২২৮ প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।