আবহাওয়া
দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে, হতে পারে শিলা বৃষ্টি

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময়ে আবহাওয়ায় সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। আর বর্ধিত পাঁচ দিনের অবস্থায় বলা হয়েছে, বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি কমতে পারে এবং এ সময়ের শেষের দিকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

বুধবার (২৪ মে) হাতিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ ৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, তবে ঢাকায় কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আবহাওয়া
স্বস্তির বার্তা দিলো আবহাওয়া দপ্তর

টানা কয়েকদিন ধরে দাবদাহে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। এরই মধ্যে আজ সারাদেশে কম বেশি বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এতে তাপপ্রবাহের মাত্রার সঙ্গে সঙ্গে আওতাও কমেছে। শুক্রবারও দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ ছাড়া সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির প্রবণতা বেশি ছিল চট্টগ্রাম বিভাগে। পুরো চট্টগ্রাম জুড়েই বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকলেও পুরো বরিশালেও বৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সারাদিনই ঢাকার আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঘন কালো মেঘে সন্ধ্যার আধার নেমেছিল নগরে। তবে যেমন মেঘের আয়োজন ছিল, তেমন বৃষ্টির দেখা মেলেনি। দফায় দফায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। তাপমাত্রা অনেকটা কমলেও বাতাসে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের কারণে স্বস্তি ফেরেনি নগর জীবনে।
বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে। ঢাকায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে হয়েছে ৩৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বুধবার পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, যশোর, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছিল, অর্থাৎ এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছিল। আজ এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি কমে দূর হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ।
আরও ভালো খবর হলো, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) এরই মধ্যে টেকনাফ উপকূলে এসে পৌঁছেছে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু কক্সবাজার উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
রাজশাহী, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সিলেট জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
নাজমুল হক আরও জানান, আগামী দু’দিনে মৌসুমী বায়ু চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। আগামী পাঁচদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল
বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে সতর্কবার্তায়।
নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত
বৃহস্পতিবার রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, ফরিদপুর, মাদারীপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিল বিপর্যয়, হবে আরও শক্তিশালী

আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, এটি পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধীরে ধীরে আরও শক্তি সঞ্চার করবে এবং তিন দিনের মধ্যে উত্তর-উত্তরপূর্বদিকে সরে যাবে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ভারতের দক্ষিণপূর্ব গোয়া থেকে ৮৬০ কিলোমিটার এবং দক্ষিণপূর্ব মুম্বাই থেকে ৯১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
আবহাওয়া সংস্থাগুলো জানিয়েছে, বিপর্যয় মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে সাধারণ ঘূর্ণিঝড় থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে।
বর্তমানে পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে বিপর্যয় আগামী ১২ জুন পর্যন্ত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে শক্তি ধরে রাখবে।
তবে ঘূর্ণিঝড়টি আরব সাগরের কাছে অবস্থিত পাকিস্তান, ভারত, ওমান অথবা ইরানের ওপর বড় কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা সেটি জানায়নি ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থা। যদিও ধারণা করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়টি মূল আঘাত হানতে পারে পাকিস্তানে।

এদিকে এ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভারতের কেরালায় বর্ষা মৌসুম শুরু হতে আরও কয়েকদিন দেরি হবে বলে জানিয়েছে বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা স্কাইমেট।
ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি সঞ্চার করায় ভারতের গুজরাট সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। এছাড়া কর্ণাটক রাজ্যের জেলেদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আরব সাগরে না যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার সতর্কবার্তা সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ে হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
ঢাকাসহ ৪ বিভাগে বৃষ্টির আভাস

ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার সকালে আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে— চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়াও দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহ সম্পর্কে বলা হয়েছে— রাজশাহী, দিনাজপুর, যশোর ও সৈয়দপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

চট্টগ্রাম বিভাগে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। দেশের অন্যত্র তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।
অর্থসংবাদ/এস.ইউ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
আজ যেসব জায়গায় হতে পারে বৃষ্টি

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। তার মধ্যে দুই জেলার ওপর দিয়ে তাপমাত্র বেশি প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে রাজধানীসহ সারাদেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়েও বয়ে চলেছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদাহ।
যা আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এই সময়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, রাজশাহী ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এই অবস্থায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় রাঙ্গামাটিতে ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি মঙ্গলবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে, ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গতকাল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ২৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর সোমবার ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আগামী ১৫ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোস্তফা কামাল পশাল।