রাজনীতি
সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

সাবেক এমপি এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মকবুল হোসেনের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের ২৪ মে তিনি মারা যান।
নানা কর্মসূচিতে দিবসটি পালন করে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসহ মোহাম্মদপুর, টাঙ্গাইলের নাগরপুর-দেলদুয়ার, বিক্রমপুরের বিভিন্ন সংগঠন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পীকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী এ উপলক্ষে বাণী প্রদান করেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের কনফারেন্স রুমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মকবুল হোসেন ট্রাস্ট ফান্ডের আয়োজনে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়।
প্রফেসর মমতাজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড.আখতারউজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু।

এসময় আলহাজ্ব মকবুল হোসেন ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মুজিবুল ইসলাম পান্না স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রবীণ সদস্যদের মাঝে সম্মাননা চেক হস্তান্তর করেন।
এছাড়াও কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সকাল ১১ টা থেকে তাঁর প্রতিষ্ঠিত সকল প্রতিষ্ঠানে আলোচনা ও স্মরণসভা ছাড়াও পবিত্র কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল,অসহায় দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হয়।
আলহাজ্ব মকবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে আফম রেজাউল হাসানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদপুরের স্থানীয় রাজনৈতিক, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং মরহুমের সহধর্মিণী মিসেস মোনা হোসেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
সংলাপ নিয়ে আপাতত আমরা ভাবছি না

সংলাপের কথা শুনে বিএনপির নেতাদের আবারও জিহ্বায় পানি এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সংলাপ নিয়ে আপাতত আমরা ভাবছি না, ভাবব কি না সেটা পরের বিষয়। গতবারের কথা আমাদের মনে আছে; এক বার নয়, দুই বার তাদের সঙ্গে সংলাপে বসেছি। রেজাল্ট কী?
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, নিষেধাজ্ঞার জন্য নালিশ করতে করতে বিএনপি এখন নিজেরাই ফাঁদে পড়েছে। তারা নিজেরাই ‘ফাঁদে পড়ে কান্দে’। এখন তারা নালিশ করে নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে পেয়েছে ভিসানীতি। এই ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কাকে ভিসা দেবে, কাকে দেবে না, একটা সেই দেশের ব্যাপার। আমরাও আমাদের দেশে কাকে ভিসা দেব, কাকে দেব না, সেটাও আমাদের ব্যাপার। এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কী আছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল সাহেবের জিহ্বায় পানি আসছে। মনে করছে আওয়ামী লীগ তাদেরকে সংলাপে ডাকবে। এই সংলাপের কথা আমরা ভাবছি না। নিরপেক্ষ কে? আপনার নেত্রী বলেছে শিশু এবং পাগল। শিশু এবং পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। কাজেই আপনি শিশু এবং পাগলের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষ ব্যক্তি খুঁজে বের করুন। তারপর বোঝা যাবে কী হবে। আর এটা নিয়ে মাথা খারাপ করে কাজ নেই, এই তত্ত্বাবধায়ক আর আসবে না, তত্ত্বাবধায়ক মরে গেছে। এই মরা জিনিসকে আর জীবিত করার চেষ্টা করবেন না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করেনি, এটা নিষিদ্ধ করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
তিনি বলেন, বিএনপি নমিনেশন লন্ডন থেকে দেয়, ঢাকা থেকে দেয়, নয়াপল্টন থেকে দেয়, গুলশান থেকে দেয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে নমিনেশন বিক্রি করে। এটাই হচ্ছে বিএনপি। মনে আছে ওই নমিনেশন বাণিজ্য, অনেকের পকেট খালি করেছে। একেক জায়গায় তিনজন চারজন করে নমিনেশন পেয়েছে, এটা হচ্ছে বিএনপি।

কাদের বলেন, আমাদের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছিল না। খালেদা জিয়ার ইচ্ছায় নির্বাচন কমিশন ছিল আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন। সেটা আর হবে না। সেই দিন চলে গেছে। আমাদের নেত্রী পার্লামেন্ট আইন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আপনাদের চিৎকার করার কোনো কারণ নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকে বিদেশি বন্ধুরা তারা চায় নিরপেক্ষ নির্বাচন। তারা চায় ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন। আমাদের নেত্রী দেশি বিদেশিদের আশ্বস্ত করে বলেছেন যে, নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচন করব। বিএনপি চায় তত্ত্বাবধায়ক। বিএনপি চায় শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। এটা মামা বাড়ির আবদার।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিয়মের মধ্যে থাকুন। আপনারা আমাদের শপথে থাকুন। আমাদের আবারও ৬ জুন, ৭ মার্চের শপথ নিতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র গিলে খেয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা গিলে খেয়েছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ গিলে খেয়েছে। এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। এরা যদি ক্ষমতা ফিরে পায়, বিএনপি নামের বিষধর সাপ গোটা দেশ গিলে খাবে।
বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা জনগণকে বলেছি, আপনারা সময় দিন। ১০-১৫টা দিন সময় দিন। সব ঠিক হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যার ওপর ভরসা রাখুন।
নতুন ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণ সমাজ, এবার তোমরা যারা প্রথমবার ভোট দেবে তোমরা স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে ভোটটা দেবে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিসানীতির আওতায় আসার আশঙ্কা রয়েছে

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি যথাযথভাবে প্রয়োগ হয় তাহলে বিএনপি নেতাকর্মীদের এর আওতায় আসার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা তারা বরাবরই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে ও নির্বাচন প্রতিরোধের নামে সন্ত্রাসের মাধ্যমে সাংবিধানিক রাজনীতির অচলাবস্থা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে আসছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সরকার ভীত নয়। কারণ আমরা সর্বদা সংবিধান, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ত্রিশ লাখ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ম্লান করে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে বিদেশি প্রভুদের কাছে ধরনা দিচ্ছে এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বিএনপি। দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো আস্থা ও বিশ্বাস নেই। সংবিধান, গণতন্ত্র, নির্বাচন ও গণরায়কে অবজ্ঞা করে তারা কেবল বিদেশি প্রভুদের কাছে করুণা প্রার্থনা করছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের মধ্য দিয়ে বিএনপি নেতারা খুনি-স্বৈরশাসক, সংবিধান ও গণতন্ত্র হত্যাকারী স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে ভ্রান্ত মিথ তৈরির অপচেষ্টা করে আসছে। মূলত এই জিয়াই বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সংবিধান ধ্বংস করেছে।

তিনি বলেন, প্যাডসর্বস্ব ভুঁইফোড়, বিবৃতিজীবী, পাকিস্তানপন্থি রাজনীতিক ও যুদ্ধাপরাধীদের ধরে এনে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে রাজনৈতিক দল গঠন করে পাকিস্তানপন্থিদের ক্ষমতায়ন করেছিল জিয়াউর রহমান। রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম ও গণমাধ্যম থেকে মুক্তিযুদ্ধের জয়ধ্বনি ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’-কে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে পাকিস্তানি দর্শনের রাজনীতির প্রচলন করেছিল জিয়া। দিনের পর দিন আওয়ামী লীগ কার্যালয় তালাবদ্ধ করে কার্যত অঘোষিতভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।
তিনি বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, আজকে বিএনপির কোনো কোনো নেতার বক্তব্যে তাদের এতটাই দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে যে, তাদের আর কোনো রাজনৈতিক সংগঠন বলা চলে না। জনগণের প্রতি আস্থা না রেখে বিএনপি নেতারা বিদেশি প্রভুদের পদলেহনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এ ধরনের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী খুনিগোষ্ঠী ও ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী অপশক্তিকে উৎখাত করা হবে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
মাফ চেয়ে পরে আর দলে আসার সুযোগ নাই

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেন, পিতা আওয়ামী লীগের নেতা বলে ছেলে যে একই আদর্শের সৈনিক হবে তা কিন্তু না। নির্বাচন আসলেই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে প্রার্থী হবেন আর পিতার পরিচয় দিয়ে বেড়াবেন এটা আর হবে না। বঙ্গবন্ধু নিজেও শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের পছন্দ করতেন না, উগ্রতাকে পছন্দ করতেন না। দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পরে ক্ষমা চেয়ে দলে ফেরার দিন শেষ। যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন তারা আর দলে আসতে পারবেন না।
সোমবার (৫ জুন) বিকালে কক্সবাজার কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ সুভাষ হলে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জুলি ও কুরি পদক প্রাপ্তি উপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হানিফ একথা বলেন।
হানিফ বলেন, বাবার পরিচয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির করার সময় শেষ। পিতা ত্যাগী এবং দলের পরীক্ষিত নেতা হতে পারেন। তাই বলে তার সন্তানরা সুযোগ সুবিধা পাবে এটা শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন না। শেখ হাসিনার কাছে পিতা যেমন পরীক্ষিত নেতা ছিলেন, তার সন্তানরাও যেন পরীক্ষিত হন। তিনি এটা মূল্যায়ন করেন।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার প্রতীক, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার প্রতীক। বঙ্গবন্ধু শুধু মাত্র বাংলার বন্ধু না; তিনি বিশ্ব বন্ধু। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে জুলি ও কুরি পদক প্রাপ্তির পর তিনি বিশ্ব বন্ধু হিসেবে প্রমাণিত হন।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করতে বদ্ধপরিকর মন্তব্য করে হানিফ বলেন, সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা একটি ভিসানীতির কথা বলেছেন। তারা বলেছেন যারা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন তাদের ভিসা দেয়া হবে না। আমরা এই কথাকে স্বাগত জানাই। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। যারা প্রতিবন্ধকতা করবেন তারাই এটা নিয়ে সমস্যায় পড়বেন।

আগামী সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা বিজয় নিশ্চিত করতে প্রতিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিজয় করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যুগে যুগে আওয়ামী লীগ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সময়ে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর ষড়যন্ত্র হয়েছে। জিয়ার খুন, গুম, নির্যাতন নিপীড়ন করে আওয়ামী লীগে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করার চেষ্টা করো হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পরও এই ষড়যন্ত্র ছিল আছে এবং থাকবে। এরপর বিজয় আমাদের হবে।
মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আগেও ছিল এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু পৃথিবীর কোন ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগকে পরাস্ত করতে পারবেনা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথা সময়ে হবে। যারা নির্বাচন করার সামর্থ রাখেন তারা অংশগ্রহণ করবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের তা সহ্য হচ্ছেনা। তারা বিদেশীদের কাছে বারবার অবিযোগ করে আসছে। কিন্তু শেখ হাসিনা বারবার বলে আসছেন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। বিদেশী বন্ধুদের চাওয়া আর আমাদের চিন্তার সাথে তো কোন গরমিল নেই। তারপরেও বিএনপি-জামায়াত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য নানা অজুহাত খোঁজে আসছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক এডভোকেট তাপস রক্ষিতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও মেয়র প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, কানিজা ফাতেমা আহমেদ এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, কউকের সাবেক চেয়ারম্যান ফোরকান আহম্মেদ, কেন্দ্রীয় নেতা প্রশান্ত ভুষন বড়ুয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রনজিত দাশ, পৌর আওয়ামী লীগে সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
‘ফখরুলের বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল’

উচ্চ আদালতে বিএনপির দুই নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও আমানউল্লাহ আমানের সাজা বহাল রাখার রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতির এই মামলার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কোনো যোগসূত্র নেই। এটিকে ‘ফরমায়েশি রায়’ বলে মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন তা দেশের আইন ও পবিত্র আদালতকে অবমাননার শামিল।
বুধবার আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এই বক্তব্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে ‘দায়িত্বহীন’ অভিহিত করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতির মামলায় ইতোপূর্বে বিএনপির দুই নেতাকে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রেখে দেশের উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছেন সে সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দেশবাসীকে হতাশ করেছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে ‘ফরমায়েশি রায়’ বলে মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন তা দেশের আইন ও পবিত্র আদালত অবমাননার শামিল। বিএনপির এই দুই নেতার আজকের পরিণতি তাদের ধারাবাহিক অপরাজনীতিরই ফসল।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে হাওয়া ভবন খুলে তারা দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসবে মেতে উঠেছিল, যার পরিণতিতে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সে সময় হাওয়া ভবনের কর্ণধার তারেক রহমানের দুর্নীতির খতিয়ান বিশ্বগণমাধ্যম ও বিশ্বখ্যাত গোপন নথি প্রকাশকারী সংস্থা উইকিলিকসে বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে।
দণ্ডিত বিএনপির দুই নেতার দুর্নীতির মামলার সঙ্গে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কোনো যোগসূত্র নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার পর নিম্ন আদালত তাদের শাস্তিমূলক রায় দেন। প্রায় ১৬ বছর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে আদালত তাদের সাজা দিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও আইন ও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। এমনকি বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড এবং বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলায়ও ছাত্রলীগের নেতারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ভোগ করছে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করেছে এবং দলের চিহ্নিত শীর্ষ দুর্নীতিবাজদের সুরক্ষা দিয়েছে। অনুরূপভাবে তারা বিজ্ঞ আদালতের রায়কে ফরমায়েশি রায় বলে দেশের উচ্চ আদালত এবং পবিত্র সংবিধানকে অবমাননা করেছে।
মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মার্কিন নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করার পর বিএনপি তাদের বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে করুণা প্রাপ্তির আশায় সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। উচ্চ আদালতের রায়কে ফরমায়েশি বলা তাদের সেই চলমান ষড়যন্ত্রেরই অংশ। এই ধরনের অপরাধের জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে তাদের অচিরেই জবাবদিহি করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
“শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় আওয়ামী লীগের ভোট বেড়েছে”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি, স্লিপ অব টাং নয়। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় আওয়ামী লীগের লাখ লাখ ভোট বেড়েছে। বিএনপির ভোট কমতে কমতে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
শুক্রবার (২৬ মে) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকিদাতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গাজীপুরের নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ জোর করে নিজের প্রার্থীকে জয়ী করতে যায়নি। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মিথ্যাচার প্রমাণিত হয়েছে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হলে দেশের মানুষ যতটা খুশি হতো, তার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ায়।
গাজীপুরের মতো আরও চার সিটিসহ আগামী জাতীয় নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও আমাদের ভালো আচরণ, এ দুই নিয়ে আমাদের আগামী নির্বাচন।
মার্কিন ভিসানীতি সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে আমরা বাধা দেবো কেন? আমাদের দেখা দরকার কারা নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে। যারা নির্বাচন চায় না। তত্ত্বাবধায়ক চায়। তত্ত্বাবধায়ক হবে না। কোনো বিদেশি বন্ধু একবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কথা বলেনি। যারা নির্বাচনে বাধা দেয় তাদের বিরুদ্ধে এ ভিসানীতি কার্যকর হয় কিনা সেটা দেখার বিষয়। বিএনপি চেয়েছিল নিষেধাজ্ঞা, এসেছে ভিসানীতি। এখন বিএনপির ঘুম হারাম। ফখরুলের মুখ শুকিয়ে গেছে।

দণ্ডিত তারেক রহমান প্রতিনিয়ত অনলাইনে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, দণ্ডিত ব্যক্তি কী করে প্রতিদিন রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে? আদালতের আদেশ কেন মানছে না তারেক? মনের মতো না হলে আদালত আইন মানেন না তারা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।