আন্তর্জাতিক
২০ হাজার কোটি ডলারের রেকর্ডের পথে রাশিয়া-চীন বাণিজ্য

রাশিয়া ও চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চলতি বছরে ২০ হাজার কোটি ডলারের রেকর্ড গড়বে। এমনই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুসতিন। পশ্চিমা বয়কটের মুখে চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াচ্ছে রাশিয়া। গত বছর ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াচ্ছে দুই প্রতিবেশী দেশ। খবর সিএনএন বিজনেস।
মঙ্গলবার সাংহাইয়ে চায়না-রাশিয়া বিজনেস ফোরামে দেয়া ভাষণে রুশ প্রধানমন্ত্রী মিশুসতিন বলেন, আশা করছি চলতি বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০ হাজার কোটি ডলারের লক্ষমাত্রা পূরণে সক্ষম হবো।
চলতি বছরে ২০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য লক্ষমাত্রা পূরণ হলে তা হবে উভয় দেশের জন্য অনন্য একটি অর্জন। ২০১৯ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক যৌথ ঘোষণায় বলেছিলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০ হাজার কোটি ডলারের রেকর্ড গড়বে।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০ হাজার কোটি ডলার স্পর্শ করা মানে রাশিয়া থেকে কৃষি পণ্য আমদানি বাড়াবে এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতিটি। এছাড়া চীনা গাড়ি কোম্পানিগুলো রাশিয়ায় স্থানীয়ভাবে গাড়ি নির্মাণ বাড়াবে।
চীন সফররত রুশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে জ্বালানি সহায়তার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয়।

বুধবার বেইজিংয়ে মিশুসতিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। বিভিন্ন খাতে বাস্তবসম্মত পারস্পরিক সহযোগিতায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন চীনা প্রিমিয়ার।
রুশ প্রধানমন্ত্রীর বরাতে বার্তা সংস্থা তাসের খবরে বলা হয়, পারস্পরিক স্বার্থ সুরক্ষায় দুপক্ষের সম্পর্কে অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছে।
চীনের শুল্ক বিভাগের তথ্যে দেখা গেছে, সৌদি আরবকে হটিয়ে এখন চীনের সর্বোচ্চ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহকারী দেশ রাশিয়া।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আগ্রাসনের পর থেকেই বড় আকারের পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে মস্কো। পশ্চিমা দুনিয়ায় অনেকটা একঘরে করে রাখা হয় ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়াকে। তবে ক্রেমলিনের সঙ্গে সম্পর্কে পশ্চিমাদের তোয়াক্কা করেনি বেইজিং। বরং চীন ও ভারতের মতো মিত্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়িয়ে অর্থনীতি সচল রাখার চেষ্টা করেছে রাশিয়া।
গত বছর রাশিয়ার সঙ্গে চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হয়েছে রেকর্ড ১৯ হাজার কোটি ডলার। ২০২১ সালের তুলনায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৩০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২ সালে রাশিয়ায় চীনের রফতানি ছিল এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতির মোট বাণিজ্যের ৩ শতাংশ। গত বছর রেলপথ হয়ে চীনে রাশিয়ার তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) রফতানি ছিল দ্বিগুণেরও বেশি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
চোখ দিয়ে তাকালেই খুলে যাবে এ্যাপ

আঙুলের সাহায্যে টার্চ করে অ্যাপ ব্যবহার করার দিন শেষ। এবার থেকে আর সোয়াইপ করে সরাতে হবে না স্ক্রিন অথবা পেটন লক। চোখ দিয়ে তাকালেই খুলে যাবে অ্যাপ। হাত ঘুরিয়ে কিংবা স্রেফ হুকুম করলেই হয়ে যাবে কাজ। এমনই এক ডিভাইস সম্প্রতি প্রকাশে আনল অ্যাপ।
প্রতিষ্ঠানটি এর আগে ২০১৫ সালে একটি নতুন পণ্য বাজারে এনেছিল। সেটা ছিল স্মার্টয়াচ। এবার দুনিয়াকে চমকে দিয়ে তারা বাজারে আনল অগমেন্টেড রিয়্যালিটি হেডসেট অ্যাপল ভিসন প্রো। এবার দীর্ঘ প্রতীক্ষা পর নতুন পণ্য আনল এই টেক জায়ান্ট।
অবশ্য সংস্থার পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল নতুন ডিভাইসটি আসলে একটি ‘স্পেশাল কম্পিউটার’, যা ডিজিটাল এবং ফিজিক্যাল পৃথিবীকে মিশিয়ে দিতে চলেছে।
অ্যাপল ভিশন প্রো- এর উদ্বোধন উপলক্ষে সিইও টিম কুক বলেন, ‘কম্পিউটিং যুগের আজ একটি নতুনের সূচনা হল। ঠিক যেমন ম্যাক পার্সোনাল কম্পিউটিংকে, আইফোন মোবাইল কম্পিউটিং-কে পথ দেখিয়েছে, তেমনই অ্যাপল ভিশন প্রো স্পেশাল কম্পিউটিং-এর অগ্রদূত।’
পণ্যটি উন্মোচন হলেও এখনই বাজারে কিনতে পাওয়া যাবে না। ২০২৪ সালে তা সকলের হাতের নাগালে আসবে। যদিও এই অত্যাধুনিক গ্যাজেট নিজের নাগালে পেতে গেলে খরচ করতে হবে প্রায় ৩৪৯৯ ডলার।

এই বিশেষ হেডসেটের ভিতরে রয়েছে দু’টি মাইক্রো ওএলইডি স্ক্রিন এবং মোট ২৩ মিলিয়ন পিক্সেল। অ্যাপল দাবি করেছে, কাস্টম ক্যাটাডায়পট্রিক লেন্সের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এমন স্বচ্ছ ও তীক্ষ্ণ দৃশ্য দেখাবে যা মানুষকে হতভম্ব করে দিতে পারে।
এর সঙ্গে একটি তারযুক্ত ব্যাটারি প্যাক থাকবে যা পকেটে নিয়ে ঘোরা যাবে এবং ঘণ্টা দুয়েক কাজ করতে পারবে। প্লাগ ইন করে রাখলে অনেকক্ষণ হেডসেট ব্যবহার করা যাবে। থাকছে একটি ডিজিটাল ক্রাউন যা ব্যবহারকারীকে স্থির করতে দেবে যে তিনি কতটা বাস্তবে থাকবেন অথবা, না।
এছাড়াও হেডসেটটিতে যেমন রয়েছে ‘থ্রি-ডায়মেনশনাল ক্যামেরা’। তেমনই এটি ভিশন ওএস চালিত, যা অ্যাপল-এর নতুন থ্রি-ডি ইন্টারফেস। ফলে ডিজিটাল অভিজ্ঞতাকে আরও বেশি করে বাস্তব বলে বোধ হবে।
এতে একেবারে নতুন একধরনের ইনপুট সিস্টেম থাকছে যা কোনও মানুষের চোখ, হাত এবং কণ্ঠস্বর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। অর্থাৎ আঙুলে ট্যাপ করে, কব্জি ঘুরিয়ে স্ক্রোল করতে পারবেন ব্যবহারকারী। থাকবে ভয়েস ব্রাউজিংও।
অর্থসংবাদ/এস.ইউ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
তিন দিনে ৬৮০ প্রবাসীকে বহিষ্কার করলো কুয়েত

গত মাসের শেষ দিকে মাত্র তিন দিনে ৬৮০ জন প্রবাসীকে বহিষ্কার করেছে কুয়েত। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল কাবাস ডেইলি এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রবাসীরা এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আসা। গত ২৭ মে থেকে ২৯ মে এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বহিষ্কার করে।
ওই প্রবাসীরা আটটি ভিন্ন দেশের নাগরিক। বহিষ্কারের আগে তাদের তালহা কারাগারে রাখা হয়েছিল।
বাসস্থান ও শ্রম আইন লঙ্ঘন, ফৌজদারি কার্যক্রম ও প্রশাসনিক আদেশের খেলাপ করায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ওই প্রবাসীদের ছবি ও আঙুলের ছাপ রেকর্ড করা হয়েছে।

অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমালো বিশ্বব্যাংক

সুদহারবৃদ্ধি এবং লোন দেওয়ার বিষয়টি কঠিন করায় ২০২৪ সালে বৈশ্বিক অর্থনেতিক প্রবৃদ্ধি কম হবে বলে সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে ২০২৩ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বৃদ্ধি করেছে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (৬ জুন) এ পূর্বাভাস প্রকাশ করা হয়।
এর আগে জানুয়ারি মাসে অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রকাশ করেছিল বিশ্বব্যাংক। তখন বলা হয়েছিল, ২০২৪ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৭ শতাংশ। সেটি কমিয়ে ২ দশমিক ৪ শতাংশ করা হয়েছে।
এ বিষয়গুলো ২০২৩ সালের শেষ ছয় মাসের প্রবৃদ্ধিও কমাবে। তবে ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ বছর (২০২৩) গ্লোবাল গ্রোস ডমিস্টিক প্রডাক্ট (জিডিপি) ২ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হবে। জানুয়ারি মাসের পূর্বাভাসে এ সংখ্যাটি ১ দশমিক ৭ শতাংশ বলা হয়েছিল। যদিও জিডিপি বাড়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এটি ২০২২ সালের ৩ দশমিক ১ শতাংশ থেকে অনেক কম।

বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইন্দারমিত গিল বলেছেন, গত ৫ দশকের মধ্যে উন্নত অর্থনীতির ক্ষেত্রে ২০২৩ সাল হবে প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবচেয়ে ধীর।
আর উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলো ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে কম প্রবৃদ্ধি দেখবে। এসব উন্নয়নশীল অর্থনীতি করোনা মহামারি ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা, দারিদ্রতা কমানো এবং ঋণের ধাক্কা থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানে স্বর্ণের দাম কমার রেকর্ড

অর্থনৈতিক সংকটে টালমাটাল পাকিস্তানে রেকর্ড পরিমান হ্রাস পেয়েছে। চলতি জুনের প্রথম সপ্তাহেই দু’বার স্বর্ণের দাম কমলো দেশটিতে।
পাকিস্তানের স্বর্ণালঙ্কার ও রত্ন ব্যবসায়ীদের সংগঠন অল-পাকিস্তান সারাফা জেমস অ্যান্ড জুয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দেশটিতে স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে (১১ দশমিক ৬৬ গ্রাম) ১ হাজার রুপি কমে হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ৪০০ রুপি; আর ২৪ ক্যারেটের প্রতি ১০ গ্রাম স্বর্ণের (গিনি) দাম ৮৫৭ রুপি কমে হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩১ টাকা।
এর আগে গত ১ জুন, বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে কমেছিল স্বর্ণের দাম। ওই দিন প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৫ হাজার ৪০০ রুপি এবং ২৪ ক্যারেটের ১০ গ্রাম স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৬২৯ রুপি হ্রাস পেয়েছিল।
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে স্বর্ণের এই পরিমাণ মূল্যহ্রাস এর আগে ঘটেনি পাকিস্তানে। সেই হিসেবে এটি একটি রেকর্ড।
আর্থিক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির জেরে ডলারের মজুত তলানিতে নেমে যাওয়ায় গত বছরের শেষ দিক থেকে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে পাকিস্তান। প্রয়োজন অনুযায়ী ডলারের মজুত না থাকায় ব্যাপক মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে দেশটিতে এবং গম, ডিম, আটা-ময়দা, ওষুধ, জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম দিন দিন অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে পাকিস্তানে। এই সংকটকে আরও ঘনীভূত করে তুলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা।

জাতীয় অর্থনীতিতে পাথরের মতো চেপে বসা এই চাপ সামাল দিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ১১০ কোটি ডলার জরুরি ঋণ (বেইল আউট) চেয়েছে পাকিস্তান। কবে নাগাদ সেই ঋণ মিলবে— এখনও তার ইঙ্গিত দেয়নি আইএমএফ তবে ইসলামাবাদ আশা করছে, চলতি মাসে বাজেট পেশের আগেই আইএমএফ থেকে ‘সুসংবাদ’ আসবে।
এই পরিস্থিতেতে স্বর্ণের দাম হ্রাস পাওয়া দেশটির অর্থনীতির জন্য ‘শুভ সংকেত’ বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
দিনমজুর থেকে এশিয়ার শীর্ষ ধনী ঝং শানশান

চীনের ঝং শানশান এশিয়ার শীর্ষ ধনীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। ভারতের বিজনেস টাইকুন গৌতম আদানিকে পেছনে ফেলে তিনি এই স্থানে উঠে এলেন। আর এশিয়ার শীর্ষ ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়র্স ইনডেক্সের তালিকা অনুযায়ী, গৌতম আদানি ১৮তম স্থান এক ধাপ পিছিয়ে ১৯তম স্থানে রয়েছেন। আর ১৮তম স্থানে রয়েছেন শানশান। বিশ্বের সেরা ২০ ধনকুবেরের তালিকায় গৌতম আদানি এই মুহূর্তে ১৯তম স্থানে। ফলে ২০ জনের তালিকার একেবারে শেষের দিকে তিনি। এই তালিকা থেকে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, কে এই চীনা কোটিপতি, যিনি বিশ্বের শীর্ষ ২০ ধনীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন। দেখে নেওয়া যাক শানশানের পরিচিতি।
কে এই ঝং শানশান
ঝং শানশান ৬২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পত্তির মালিক। চিনের ঝং শানশান ব্লুমবার্গের তালিকায় বিশ্বের ১৮তম ধনী ব্যক্তি। আর এশিয়ার শীর্ষ ধনীদের মধ্যে দ্বিতীয়। গত সপ্তাহে তার নামে ১.১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ যোগ হয়েছে।

জানা যায়, এককালে তিনি ছিলেন দিনমজুর। পরে তিনি বাড়ি বাড়ি সেলসম্যানের কাজ করতেন। এককালে করেছেন সাংবাদিকতাও।
পরে ‘নোংফু স্প্রিং’ নামের মিনারেল ওয়াটার প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্ণধার হন ঝং শানশান। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। পানি বিক্রি করেই তিনি চীনের শীর্ষ ধনী হয়ে ওঠেন।
শীর্ষ ২০ ধনকুবেরের তালিকায় কতজন এশিয়ার?
ব্লুমবার্গের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে মুকেশ আম্বানি ১৩তম স্থানে রয়েছেন। ৮৪.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পত্তি নিয়ে তিনি ধনীদের তালিকায় এশিয়ায় সবচেয়ে আগে। এরপর রয়েছেন ঝং। আর তৃতীয় স্থানে আছেন গৌতম আদানি। ব্লুমবার্গের শীর্ষ ধনীর তালিকায় এশিয়ার এই ৩ ব্যবসায়ী স্থান করে নিয়েছেন।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি
এই মুহূর্তে ১৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পত্তি সঙ্গে নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ইলন মাস্ক। এমনই তথ্য দিয়েছে ব্লুমবার্গের তালিকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বার্নার্ড আর্নল্ট, তৃতীয় স্থানে জেফ বেজোস ও চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিল গেটস। আর পঞ্চম স্থানে ল্যারি এলিসন, ষষ্ঠ স্থানে স্টিভ বলমার, সপ্তম স্থানে ওয়ারেন বাফেট, অষ্টম স্থানে ল্যারি পেজ, নবম স্থানে সের্গেই ব্রিন ও দশম স্থানে মার্ক জুকারবার্গ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্নার্ড আরনল্ট ছাড়া সবাই যুক্তরাষ্ট্রের। আরনল্ট ফ্রান্সের বাসিন্দা।