জানা গেছে, যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৬২৫ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে নগদ। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে ১২৫ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। অথচ লোকসানি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি।
জানতে চাইলে নগদের হেড অব পাবলিক কমিউনিকেশন্স মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম অর্থসংবাদকে বলেন, যত বড় বড় কোম্পানি আছে সবারই শুরুতে লোকসান হয়। স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে এটি আরও সত্য। অ্যামাজন, উবারের মত প্রতিষ্ঠানও শুরুতে লোকসান দিয়েছে। আমরা আশা করছি ২০২৫ সালের মধ্যেই মুনাফায় ফিরতে পারবো।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, বন্ড অনুমোদনের ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের লিকুইডিটি থাকতে হবে এবং প্রফিট্যাবিলিটি ফোরকাস্ট হতে হবে। নগদের লিকুইডিটি তো আছেই। আর ওরা প্রফিট্যাবিলিটি ফোরকাস্ট দেখিয়েছে। গ্রাহকদের বোনাস দেওয়াসহ বিভিন্ন কারণে কোম্পানির খরচ হয়। আশা করি তারা অল্প সময়ের মধ্যেই আয়ে ফিরবে।
উল্লেখ্য, প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে শুধু কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এবং যোগ্য বিনিয়োগকারীরা নগদের বন্ডটিতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। বন্ডের প্রকৃতি হস্তান্তরযোগ্য, রিডিমেবল এবং অরূপান্তরযোগ্য। জিরো কুপন বন্ডটির মেয়াদ পাঁচ বছর এবং কুপনের হার ১০ শতাংশ।