সিএসইতে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ক কর্মশালা

সিএসইতে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ক কর্মশালা
সিএসইর কর্মকর্তাদের জন্য অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ক দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আজ সোমবার (২২ মে) চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই) এর চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি) এর কমিশনার ও এপিএ টিম লিডার মোঃ আব্দুল হালিম।

এসময় তিনি বলেন, “এই মডিউল এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা তাদের অভিযোগ সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে দিতে পারেন। আমাদের টিম সেক্ষেত্রে কেস টু কেস সমস্যা, অভিযোগকে সমাধানের উপায় বের করে এবং দ্রুত সময়ে সমাধান করছে। এছাড়াও আমাদেরকে গুরুত্বের সাথে কাজের ক্ষেত্রকে আরও সুস্পষ্ট করার জন্য কাজ করতে হবে এবং যে অভিযোগগুলো ইতিমধ্যে আমরা পেয়েছি সেগুলোর সমাধানের সময় কমাতে হবে এবং একই সাথে ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ যেন না আসে সে ব্যাপারে অগ্রিম ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদেরকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে এবং মনে রাখতে হবে সমস্যার উৎসকে চিহ্নিত করে তার সঠিক এবং কার্যকরী দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করাই হলে আমাদের কাজের লক্ষ্য। বিএসইসি এর জিআরএস টিম যারা দুদিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করলেন এবং আয়োজন করলেন এবং একই সাথে অভিযোগ সমাধানে যে আক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাদেরকে আপানারা আরও বেশি সহযোগিতা করবেন।”

এছাড়া রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিডিবিএল এর মহাব্যবস্থাপক রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিএসইসির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (Grievance Redress System), বা জিআরএস (GRS) হল, মূলত বিভিন্ন সরকারি দপ্তর কর্তৃক প্রদানকৃত সেবা নিশ্চিতকরণের একটি প্ল্যাটফর্ম । জিআরএস ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি দপ্তরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের একজন নাগরিক যে কোনো সেবার বিরুদ্ধে তার অসন্তোষ বা ক্ষোভ জানিয়ে অভিযোগ দাখিল করতে পারেন। এটি সেবা প্রদানের উন্নতি, স্বচ্ছতা, উন্নত এবং স্থানীয় পর্যায়ে সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে জবাবদিহিতা বাড়ানোর উপায়গুলি চিহ্নিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে ৷ যখন একজন বিনিয়োগকারী বা আর্থিক ভোক্তা অসদাচরণ বা অবৈধ অনুশীলনের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন সমস্যাটির সমাধানের জন্য কার্যকর ব্যবস্থার অস্তিত্ব শুধুমাত্র সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির জন্যই নয়, বাজারের শৃঙ্খলার উন্নতি এবং আর্থিক বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধির মতো ইতিবাচক বাহ্যিকতা তৈরি করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ । IOSCO পদ্ধতি স্বাধীন, সাশ্রয়ী, ন্যায্য, জবাবদিহিমূলক, সময়োপযোগী, এবং দক্ষ প্রতিকার ব্যবস্থায় অ্যাক্সেসের গুরুত্বকে স্পষ্ট করে । এরই ধারাবাহিকতায় BSEC পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য যে কাস্টমার কপ্লেইন এড্রেস মডিউল (CCAM) চালু করেছে যা ইতোমধ্যে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এখন বিনিয়োগকারীরা খুব দ্রুত তাদের অভিযোগ সমূহ নিস্পত্তি করতে পারছে, এজন্য BSEC কে তিনি অভিনন্দন জানান এবং প্রশিক্ষণার্থীরা এই কর্মশালা থেকে অনেক উপকৃত হবেন।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও আপিল কর্মকর্তা (অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা) মোঃ সাইফুর রহমান এবং সিএসই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ গোলাম ফারুক ।

প্রশিক্ষণটিতে অংশগ্রহণকারীরা এই অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ক মডিউল এর উপর সামগ্রিক পরিচালনা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা পেয়েছেন । সিএসইর কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণটিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং ভবিষ্যতে এই মডিউলটি আরও উন্নত ও কার্যকরী করার জন্য তাদের মতামত প্রদান করেন ।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত