আইন-আদালত
“সাজা নির্ধারণে পৃথক শুনানি করতে হবে”

হাইকোর্ট সারা দেশের বিচারিক আদালতের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে এক রায়ে বলেছেন, ফৌজদারি মামলায় রায় ঘোষণার আগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সাজা দেওয়ার বিষয়ে বিচারিক আদালত ও ট্রাইব্যুনালকে পৃথক শুনানি করতে হবে।
এ রায়ের বিষয়টি জানিয়ে সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের প্রতি সার্কুলার জারি করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যশোরের এক শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ করা হয়। ৮৪ পৃষ্ঠার রায়টি লিখেছেন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ।
রায়ে বলা হয়েছে, ‘মামলায় যখন উভয় (বাদী-বিবাদী) পক্ষের চূড়ান্ত যুক্তি-তর্ক শেষ হবে, তখন অভিযুক্তকে দণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে উন্মুক্ত আদালতে বিচারককে সে অভিমত বিচারক জানাতে হবে। এরপর বিচারক অভিযুক্তের শাস্তি বা সাজার বিষয়ে শুনানির জন্য সংক্ষিপ্ততম সময়ের মধ্যে একটি তারিখ নির্ধারণ করে দেবেন, যাতে উপযুক্ত বা আনুপাতিক সাজা আরোপ করা যায়।’

‘আতাউর মৃধা বনাম রাষ্ট্র’ মামলায় আপিল বিভাগের রায় উদ্ধৃত হকরে হাইকোর্টের এ রায়ে বলা হয়েছে, ‘সাজা নির্ধারণের শুনানিতে পক্ষগুলোকে অভিযুক্তের অপরাধের সামাজিক প্রেক্ষাপট, অভিযুক্তের বয়স, চরিত্র, অর্থনৈতিক অবস্থা, ব্যক্তি বা সমাজের অভিঘাত, অপরাধের ধরন অর্থাৎ অভিযুক্ত অভ্যাসগত, পেশাদার অপরাধী কিনা, নাকি আকস্মিক অপরাধী ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরতে হবে।’
সাজা নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিচারকের মূল্যায়ন কি হবে, তা তুলে ধরে রায়ে বলা হয়েছে, ‘সে শুনানির ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি সাজা আরোপের ক্ষেত্রে বিচারককেও অপরাধীর এসব বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তের ওপর শাস্তি আরোপের প্রভাব, বিলম্ব বিচারে অভিযুক্তের মানসিক পীড়ন এমনকি অপরাধীর সংশোধনের বিষয়টিও ভাবতে হবে। এর পরেই কেবল বিচারক অভিযুক্তের সাজার রায় ঘোষণা করতে পারবেন।’
প্রায় এক দশক আগে যশোরে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে আনোয়ার হোসেন ও লাভলু নামে দুইজনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২৪ মার্চে মামলা হয়। দুই আসামির মধ্যে আনোয়ার মারা গেলে ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল লাভলুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
বিচারের পর ২০১৭ সালের ৩০ মে এ মামলার রায় দেন যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। রায়ে লাভলুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পরে নিয়ম অনুযায়ী লাভলুর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য রায়সহ মামলার নথি হাইকোর্টে আসে, যা ডেথরেফারেন্স নামে পরিচিত। লাভলুও রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল করেন। এই ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির পর গত ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালত ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও লাভলুর আপিল আংশিক গ্রহণ করে রায় দেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে লাভলুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।
এ মামলার রায়ে এমন নির্দেশনা আসে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন-আদালত
চেক প্রতারণায় ব্যবসায়ী সুমন কান্তির কারাদণ্ড

চট্টগ্রামে চেক প্রতারণা মামলায় সুমন কান্তি দে নামের এক ব্যবসায়ীকে পৃথক দুটি মামলায় জেল ও জরিমানা করেছেন আদালত।
এরমধ্যে একটি মামলায় ১০ মাসের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপর মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড এবং তিন লাখ টাকার জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) প্রথম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ আদেশ দেন। শামুসুল হুদা নামের এক ব্যবসায়ী তার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছিলেন।
বাদীর আইনজীবী শ্রীপতি পাল জানান, দি নেগোসিয়েশবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় আসামির বিরুদ্ধে আনীত অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দোষী সাব্যস্ত করে দুটি মামলাতেই কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন। প্রথম মামলায় ১০ মাসের কারাদণ্ড ও চেকের সমপরিমান জরিমানা দিয়েছেন। একইভাবে আরেক মামলায় সুমন কান্তি দে’কে তিন মাসের কারাদণ্ড ও চেকের সম পরিমান জরিমানা করেছেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সুমন কান্তি চট্টগ্রামের একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। কোম্পানির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চাকরিচ্যুত হন। বর্তমানে নগরীর সিরাজদৌল্লা রোডে তার শ্রীনিকেতন, রঙ্গম কনভেনশন সেন্টার, সিটি অব হার্ট কনভেনশন সেন্টার, গোপী অটোস ও গোপী ট্রান্সপোর্ট নামে গাড়ির ব্যবসা রয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, শামসুল হুদার কাছ থেকে দুই দফায় ১০ লাখ ও ৩ লাখ মিলে মোট ১৩ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। এর বিপরীতে ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ১০ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। ২ ডিসেম্বর ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেক পাস হয়নি।এরপর টাকা ফেরত দিতে আসামীর কাছে ২৬ ডিসেম্বর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। অপর চেকটি দিয়েছিলেন ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর। এরপর ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন শামসুল হুদা।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে সব মামলা চলবে ট্রাইব্যুনালে

অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইনের ধারা ৯, ১৩ ও ১৪ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেছেন, অর্পিত সম্পত্তি আইনের ধারা ৯, ১৩ ও ১৪ সংবিধান ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি নয়।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অন্য দুজন হলেন বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান।
আজকের রায়ের ফলে অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে সব মামলা এখন থেকে অর্পিত সম্পত্তি সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে। অন্য কোনো আদালতে এ সংক্রান্ত মামলা চলবে না। অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে অন্য সব আদালতে চলমান মামলাগুলো বাতিল হয়ে যাবে। অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে কারও কোন আপত্তি থাকলে তাকে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে যেতে হবে।
রায়ে আদালত আরও বলেছেন, অর্পিত সম্পত্তির দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন জেলা প্রশাসকরা। তারা আগের মতোই আইনানুযায়ী অর্পিত সম্পত্তি লিজ দিতে পারবেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী,ব্যারিস্টার ওমর ফারুক। ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন, ২০০১ এর তিনটি ধারা ৯ , ১৩ ও ১৪ চ্যালেঞ্জ করে দুটি রিট দায়ের করা হয়েছিল। সেই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ রুলটি ডিসচার্জ (খারিজ) করে দিয়েছেন। এর ফলে যে রিটের মাধ্যমে তারা তিনটি ধারাকে সংবিধান পরিপন্থি দাবি করেছিল সেটি কিন্তু এখন সংবিধান পরিপন্থি না। বরং আইনটি যথাযথভাবে করা হয়েছে। কারণ জেলা প্রশাসকের যদি এই প্রত্যার্পণ সম্পত্তি লিজ দেওয়ার ক্ষমতা না থাকে তাহলে সম্পত্তি বেহাত হয়ে যাবে। কাজেই এটা সরকারের স্বার্থে জনগণের স্বার্থেই করা হয়েছে।
এই কারণে আদালত দুটি রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন, একই সঙ্গে স্থিতাবস্থার আদেশ বাতিল করে দিয়েছেন। এরফলে অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে যদি কারো আপত্তি থাকে তাহলে তাকে ট্রাইব্যুনালে যেতে হবে। জেলা প্রশাসকের লিজ দেওয়া এবং বাতিল করার ক্ষমতা বহাল থাকলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগ দিন, গরিব মানুষ বাঁচান

দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে একমাসের মধ্যে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, কারাগারে অধিকাংশ গরিব মানুষ থাকে। চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে এই গরিব মানুষগুলোকে বাঁচান। ক্ষমতা অপব্যবহারের জন্য না, ক্ষমতা মানুষের সেবার জন্য বলে মন্তব্য করেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ জুন) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলীর চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জে আর খান রবিন। কারা অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
শুনানির শুরুতে রিটের পক্ষের আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, কারাগারে শূন্যপদে এখনও চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
তখন আদালত বলেন, বাংলাদেশে তো ডাক্তারের অভাব নেই। রাস্তায়ও ডাক্তার ঘুরতে দেখা যায়। বেসরকারি মেডিকেল থেকেও অনেকে ডাক্তারি পড়ছেন। কারা অধিদপ্তরের আইনজীবী বলেন, ১৪১ পদের মধ্যে ১২৫ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাকী পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমরা তাগাদা দিচ্ছি।

আদালত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, চিঠি চালাচালি থেকে বের হয়ে দ্রুত নিয়োগ দিন। এতোদিনেও আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে পারলেন না। ক্ষমতা অ্যাবিউজ করার জন্য না, ক্ষমতা মানুষকে সেবার জন্য। এটা মনে রাখবেন।
আদালত বলেন, কারাগারে তো গরিব মানুষ থাকে। ধনীরা কারাগারে গেলেও তাদের জন্য ডিভিশনের ব্যবস্থা থাকে। তাই কারাগারে দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে গরিব মানুষকে বাঁচান। এরপর আদালত এক মাসের মধ্যে কারাগারের শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
৪ মোবাইল কোম্পানিকে ২৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব দেয়ার নির্দেশ

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, সরকারের অনাদায়ী আড়াই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দেওয়ার জন্য দেশের চার মোবাইল ফোন কোম্পানিকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফোন কোম্পানিগুলো হলো- গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক।
সোমবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে আইনমন্ত্রী এ কথা জানান। এদিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নত্তোরে আনিসুল হক বলেন, ‘সরকারের রাজস্ব সংক্রান্ত পাওনা আদায়ের মামলাগুলো নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অগ্রাধিকার প্রদান করছে। যেসব রিট মামলার কারণে সরকারের বিশাল পরিমাণ রাজস্ব আদায় ব্যাহত হচ্ছে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনাক্রমে সেই রিট বেঞ্চগুলো এ ধরণের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে কার্যকর নেবে।’
তিনি জানান, আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে মোট নয়টি মামলা একত্রে শুনানি করে একটি রায়ের মাধ্যমে গ্রামীণফোন লিমিটেডকে ১ হাজার ১৬৩ (এক হাজার একশ’ তেষট্টি) কোটি, রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও এয়ারটেল লিমিটেডকে (৬৬৫+৫০)=৭১৫ (সাতশত পনের) কোটি এবং বাংলালিংক লিমিটেডকে ৬২৫ (ছয়শত পঁচিশ) কোটি টাকা সরকারের অনাদায়ী রাজস্ব প্রদানের যুগান্তকারী নির্দেশ দিয়েছেন। এই টাকা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন তথা সরকারকে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রাজস্ব সংক্রান্ত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মামলা নিষ্পত্তির করে; যাতে সরকারের বিপুল অংকের রাজস্ব আদায় হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭ হাজার মামলা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে সাত হাজার ১টি মামলা দায়ের হয়েছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে জবাবে এ তথ্য জানান আইনমন্ত্রী।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পাস হয় এবং ওই বছর ৮ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর হয়। এর তিনদিনের মাথায় ১১ অক্টোবর প্রথম এই আইনের অধীনে মামলা দায়ের হয়। মোকাব্বির খান তার প্রশ্নে ডিজিটাল মামলা আইনে মামলা ও গ্রেফতারের সংখ্যা জানতে চান।
আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই পর্যন্ত কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে সংক্রান্ত প্রশ্নের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সংশ্লিষ্টতা থাকায় উক্ত অংশ সচিবালয় নির্দেশমালা. ২০১৪ এর অনুচ্ছেদ ২১৩(২) অনুযায়ী জননিরাপত্তা বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের অধস্তন আদালতসমূহে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৬৭০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে দেওয়ানি মামলা হল ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ১৬০ টি এবং ফৌজদারি মামলা ২০ লাখ ৮৬ হাজার ৫১০টি।

তিনি জানান, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ঢাকায় সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩ মামলা চলমান রয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চট্টগ্রামে ২ লাখ ৭১ হাজার ৬০৬ মামলা চলমান। সর্বনিম্ন খাগড়াছড়িতে ৬ হাজার ৬৩০টি মামলা চলমান রয়েছে।
নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য একটি আধুনিক বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা একটি সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে এবং মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কার্যকর ও দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হবে।