ভারতে হঠাৎ বাতিল ২০০০ রুপির নোট

ভারতে হঠাৎ বাতিল ২০০০ রুপির নোট
আবার নোট বাতিল করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। এবার তারা ২০০০ রুপির ব্যাংক নোট বাতিল করেছে। দেশটির সাবেক প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রামানিয়াম মনে করেন, নোট বাতিলের এ সিদ্ধান্ত একটি ভালো পদক্ষেপ।

এর আগে ২০১৬ সালের নভেম্বরে রাতারাতি ১০০০ ও ৫০০ রুপির নোট বাতিল ঘোষণা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর দেশটিতে রীতিমতো হুলুস্থুল লেগে যায়। নোট জমা দিতে ব্যাংকের সামনে অপেক্ষমাণ মানুষের দীর্ঘ সারির ছবি সারা বিশ্বেই প্রচারিত হয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে ২০০০ রুপির ব্যাংক নোটের প্রচলন করা হয়েছিল ২০১৬ সালের নভেম্বরে, যখন ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু সাত বছরের কম সময়ের মধ্যে সেই নোট আবারও বাতিল করার কারণে রাজনৈতিক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

২০১৭ সাল থেকে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার কমতে শুরু করে। তখন অনেক অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন, মূলত নোট বাতিলের কারণে অর্থনীতি গতি হারিয়েছে। এবার ২০০০ রুপির নোট বাতিলের পর আবারও শুরু হয়েছে এ নিয়ে জল্পনাকল্পনা।

তবে এই নোট বাতিলের কিছু ভালো দিক খুঁজে পেয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রামানিয়াম। টুইট করে তিনি এ সিদ্ধান্তের ছয়টি দিক তুলে ধরেন—

১. কৃষ্ণমূর্তি সুব্রামানিয়াম বলেন, পুলিশের অধিকাংশ অভিযানে ২০০০ রুপির নোট উদ্ধার হয়। এ থেকে বোঝা যায়, এই নোট মূলত অর্থ মজুত রাখার কাজে ব্যবহৃত হয়। এ ক্ষেত্রে ৮০-২০ বিধির কথা উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর মতে, ৮০ শতাংশ মানুষ যদি বৈধভাবে এসব নোট সংরক্ষণ করেন, তাহলে আর্থিক মূল্যের দিক থেকে তা মাত্র ২০ শতাংশ। বাকি ২০ শতাংশ মজুতদার, কিন্তু বাজারে যত অর্থের প্রচলন আছে, তার ৮০ শতাংশই হয়তো এদের হাতে।

২. এ সিদ্ধান্তের কারণে সাধারণ মানুষ তেমন একটা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। কারণ হিসেবে সুব্রামানিয়াম বলেন, ২০০০ রুপির নোট খুব বেশি লেনদেনে ব্যবহৃত করা হয় না।

৩. ভারতে ডিজিটাল লেনদেন অনেক বেড়ে গেছে। সে কারণে কাগুজে মুদ্রার চাহিদা বা ব্যবহারই অনেকটা কমেছে, বিশেষভাবে কমেছে ২০০০ রুপির নোটের ব্যবহার।

৪. ডিজিটাল লেনদেনের সঙ্গে ৫০০ রুপির নোটের ব্যবহার অর্থ বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে অনায়াসে ২০০০ রুপির নোটের বিকল্প হতে পারে।

৫. এক প্রতিবেদনের সূত্রে সুব্রামানিয়াম বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতের ডিজিটাল লেনদেন এখনকার তিন গুণ হবে। ফলে নিকট ভবিষ্যতে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ২০০০ রুপির নোটের চাহিদা অনেকটাই কমবে।

৬. তবে ২০০০ রুপির নোটের বিষয়ে আরবিআইয়ের কাছ থেকে কিছু স্পষ্টিকরণ চেয়েছেন কৃষ্ণমূর্তি সুব্রামানিয়াম। কারণ, নোট বাতিলের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আরবিআই আরও বলেছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের পরও ২০০০ রুপির নোট বৈধ থাকবে। যাঁদের হাতে বৈধ নোট আছে, তাঁরা ৩০ সেপ্টেম্বরের পরও নোট বিনিময় করতে পারবেন। এ বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দরকার বলে মনে করেন ভারতের সাবেক প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
পোশাকখাতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, কমে গেছে চাহিদা
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
২০২৩ সালে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট