অন্যান্য
বেপজায় ৬০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে চীনা কোম্পানি

চীনা কোম্পানি জিবিন টেকনোলজি (বিডি) কোম্পানি লিমিটেড ৬০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি স্যু এক্সেসরিজ কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
সোমবার (১৫ মে) ঢাকাস্থ বেপজা কমপ্লেক্সে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) আলী রেজা মজিদ এবং জিবিন টেকনোলজি (বিডি) কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উ সুয়েলি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এসময় বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, এনডিসি, পিএসসিসহ বেপজার সদস্য (প্রকৌশল) মোহাম্মদ ফারুক আলম, সদস্য (অর্থ) নাফিসা বানু, নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর, বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক মো. এনামুল হক, অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. ফজলুল হক মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
জিবিন টেকনোলজি (বিডি) বার্ষিক ৬০ লাখ পিস স্যু এক্সেসরিজ যেমন, আউটসোল, মিডসোল, ইনজেকশন পার্টস, ব্যাকস্টে, হিপ ক্লিপ, টো ক্যাপ, স্পোর্টস স্পাইক, ইভিএ, পিইউ ফোম, পিইউ কম্পোনেন্ট প্রভৃতি উৎপাদন করবে। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯৫ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে অবস্থিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল বেপজার সর্ববৃহৎ উদ্যোগ। ১১৩৮.৫৫ একর জমির ওপর স্থাপিত এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটিকে একটি কর্মচঞ্চল শিল্প এলাকায় পরিণত করতে জিবিন টেকনোলজি (বিডি)-সহ মোট ১৮টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করল বেপজা। এই প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রচলিত তৈরি পোশাকসহ বৈচিত্র্যময় নানা পণ্য উৎপাদন করতে মোট ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য
ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ৯০০ ছাড়াল

শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা নয়শ ছাড়িয়েছে।
এ সময়ে ৩ হাজার ৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮১২ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১৯৬ জন।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৪৭০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৭৯৪ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৬৭৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৮ হাজার ৯১৫ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৮১০ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪৬ জন। ঢাকায় ৭৪ হাজার ৫১৮ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ১ হাজার ৮২৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৯০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
এক মাসে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন ৪৬ হাজার কোটি টাকা

এক বছর আগের তুলনায় গত জুলাইয়ে ইন্টারনেট ব্যাংকিং লেনদেন প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ৪৬ হাজার ২৪৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাইয়ে ইন্টারনেট ব্যাংকিং লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুলাই মাস শেষে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা। তবে জুলাইয়ে ইন্টারনেট ব্যাংকিং লেনদেনের পরিমাণ জুনের চেয়ে ২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা কমেছে। জুনে এই মাধ্যমে লেনদেন হয়েছিল ৪৯ হাজার ৯৯ কোটি টাকা।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং সাধারণত অনলাইন ব্যাংকিং নামে অধিক পরিচিত। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা আর্থিক লেনদেন ও বিল পেমেন্টসহ নানা ধরনের পরিষেবা সহজেই পান। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ২ দশক আগে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যাংকিং চালু করে। তখন থেকেই দ্রুত গতিতে এটি দেশব্যাপী বহুল প্রচলিত হতে শুরু করে।
গ্রাহকরা ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করেই আর্থিক লেনদেন করতে ব্যাপক আগ্রহী। এরফলে জুলাই পর্যন্ত এক বছরে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ১৯ লাখ ৭০ হাজার। ২০২২ সালের জুলাইয়ে গ্রাহক ছিলো ৫৪ লাখ ৭২ হাজার। চলতি বছরের জুলাইয়ে গ্রাহক সংখ্যা ৭৪ লাখ ৪৩ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ায় তা ব্যাংকের জন্যও সাশ্রয়ী। অর্থাৎ লেনদেন যদি অনলাইনে হয়, তাহলে ব্যাংক পরিচালনার খরচ অনেকাংশেই কমবে। ব্যাংকগুলোর খরচ কমানোর ও দক্ষতা নিশ্চিত করার এটাই একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন অনেক ব্যাংকাররা।

গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা ৩ লাখ টাকা। এভাবে দিনে সর্বোচ্চ ১০ বার এবং প্রতিদিন ১০ লাখ টাকা লেনদেন করা যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে কর্পোরেট অ্যাকাউন্টের জন্য প্রতি লেনদেনে সীমা ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে দিনে সর্বোচ্চ ২০ বার এবং প্রতিদিন মোট ২৫ লাখ টাকার লেনদেন করা যাবে।
জুলাইয়ে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৬১৪ কোটি টাকায়, যা আগের বছরের একই মাসে ছিল ৪০ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। তবে, জুনেরঅনলাইন ব্যাংকিংয়ের ৫৮ হাজার ৮১৪ কোটি টাকার চেয়ে জুলাইয়ে ফান্ড ট্রান্সফার লেনদেন কম হয়েছে।
২০১১ সালে চালু হওয়া বিইএফটিএন ছিল দেশের প্রথম কাগজবিহীন ইলেক্ট্রনিক আন্তব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেম। চেক-ক্লিয়ারিং সিস্টেমের মাধ্যমে এটি ক্রেডিট ও ডেবিট উভয় লেনদেনকে সহজতর করে তোলে। এটি পে-রোল, বিদেশি ও দেশি রেমিট্যান্স, সামাজিক নিরাপত্তার অর্থপ্রদান এবং কোম্পানির লভ্যাংশ লেনদেনের কাজ করতে পারে।
এছাড়াও বিল পেমেন্ট, কর্পোরেট পেমেন্ট, সরকারি ট্যাক্স পেমেন্ট, সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান এবং ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি অর্থ প্রদানের মতো লেনদেন পরিচালনা করতে পারে। অপরদিকে বীমা প্রিমিয়াম, ক্লাব বা সমিতি সাবস্ক্রিপশন ফি ও সমতুল্য মাসিক কিস্তির মতো অর্থ পরিশোধও এর মাধ্যমে করা যায়।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
বাংলাদেশ থেকে পাঁচ খাতে কর্মী নেবে সৌদি

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত এসভিপির আওতায় সৌদি আরবে কর্মী পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ১৫০টি কেন্দ্রে এসব কর্মীদের প্রশিক্ষণ চলছে। সরকারি তথ্যের বরাত দিয়ে আরব নিউজের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ওয়েল্ডিং, প্লাম্বিং, অটোমোবাইল, ইলেকট্রিশিয়ান ও এসি মেকানিক- প্রাথমিকভাবে এই পাঁচ খাতকে কেন্দ্র করে এসভিপি কর্মসূচি হাতে নেয় সৌদি আরব।
চলতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এসভিপি নামে পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালুর ঘোষণা দিয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচটি খাতে এসব কর্মীর দক্ষতা যাচাইয়ে সনদ নেওয়া বাধ্যতামূলক করার কথা জানান।
পরে এসভিপির আওতায় নির্মাণ শ্রমিক, টাইলস মিস্ত্রী, গাড়ি মেরামতকারী ও গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীদের- অর্থাৎ আরও ৪ পেশার কর্মীদের এতে যুক্ত হয় বলে আরব নিউজ জানিয়েছে।
আর তাই সৌদি আরবে দক্ষ কর্মী পাঠানোর বিষয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে সরকার। সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

আরব নিউজ বলছে, দক্ষতা যাচাই কর্মসূচিকে বাংলাদেশের শ্রমিকরা ক্যারিয়ারের জন্য সহায়ক বলে মনে করছেন। বাংলাদেশ শুধু সৌদি আরব নয়, অন্য দেশেও পাঠাতে দক্ষ কর্মী তৈরি করছে।
বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক আনোয়ার পাশা আরব নিউজকে বলেন, সৌদি আরবসহ অন্য চাকরির বাজারের চাহিদা মেটাতে দক্ষ কর্মী বাহিনী তৈরি করছি আমরা। প্রায় ১৫০টি কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে সম্ভাব্য অভিবাসী কর্মীদের প্রশিক্ষণ চলছে এবং দেশজুড়ে তৃণমূল পর্যায়ে আরও কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে।
এদিকে ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, কর্মদক্ষতা বাড়াতে এবং কর্মীদের উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দক্ষতা যাচাই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। দক্ষ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্নততর কাজের সুযোগ তৈরি করবে বিনাখরচের এই উদ্যোগ। শুধু সৌদি আরব নয়, উপসাগরীয় ‘বৃহত্তর বাজারে’ বাংলাদেশের জনশক্তিকে প্রতিযোগিতাসক্ষম করে গড়ে তুল এই উদ্যোগ। বিবৃতিতে বলা হয়, এই কর্মসূচির আওতায় দক্ষ কর্মীরা বিদেশে কাজ করুক বা ফিরে আসুক- এই প্রশিক্ষণ বাংলাদেশিদের ওপর এক ধরনের বিনিয়োগ।
বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের বেশিরভাগই সৌদি আরবে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বসবাস করছেন অভিবাসীদের প্রায় অর্ধেক, যার সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ বলে দূতাবাস জানায়।
সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের শীর্ষ উৎস ছিল সৌদি আরব। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একবছরে এদেশ থেকে অভিবাসী কর্মীরা ৩৮০ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
দাম বাড়ায় রাশিয়ার জ্বালানি তেল রপ্তানি আয়ে উল্লম্ফন

আগস্টে রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ররপ্তানির পরিমাণ কমলেও আয় বেড়েছে। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি পণ্যটির ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণেই রপ্তানিতে লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধি দেখেছে দেশটি। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা সম্প্রতি জ্বালানি তেলের বাজার শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, আগস্টে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রপ্তানি করে ১ হাজার ৭১০ কোটি ডলার আয় করেছে রাশিয়া। জুলাইয়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১৮০ কোটি ডলার।
তথ্য বলছে, আগস্টে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮০-৮৫ ডলারের গণ্ডি স্পর্শ করে। সৌদি আরব ও রাশিয়া উত্তোলন কমানোর সময়সীমা আরো বাড়ালে চলতি মাসে তা ৯০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এমন মূল্যবৃদ্ধি রাশিয়ার জ্বালানি তেল রপ্তানি আয় বাড়ার পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।
তবে আয় বাড়লেও গত মাসে দেশটির রপ্তানির পরিমাণ কমেছে। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার দেয়া তথ্য বলছে, আগস্টে রাশিয়ার দৈনিক রপ্তানি ১ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল করে কমে যায়। মোট দৈনিক রফতানির পরিমাণ দাঁড়ায় ৭২ লাখ ব্যারেলে। ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি দৈনিক ৫ লাখ ৭০ ব্যারেল করে কমেছে।
আগস্টে ভারত ও চীনে রুশ জ্বালানি তেল রপ্তানি কমে দৈনিক ৩৯ লাখ ব্যারেলে ঠেকেছে, এপ্রিল ও মে মাসে যা ছিল ৪৭ লাখ ব্যারেল। তবে মোট রপ্তানির অর্ধেকেরও বেশি গেছে এ দুই দেশে।

রুশ অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, আগস্টে রাশিয়ার বাজার আদর্শ জ্বালানি তেল উরালের গড় দাম দাঁড়ায় ব্যারেলপ্রতি ৭৪ ডলারে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে। তবে এ দাম জি৭ ভুক্ত দেশগুলোর বেঁধে দেয়া মূল্যসীমা ৬০ ডলারের চেয়ে অনেক বেশি। এছাড়া জুলাইয়ের চেয়েও উরাল ক্রুডের দাম লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। ওই মাসে প্রতি ব্যারেল উরাল ক্রুড রপ্তানি হয়েছে গড়ে ৬৪ ডলার ৩৭ সেন্টে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে প্রতি ব্যারেল উরালের গড় দাম ছিল ৫৬ ডলার ৫৮ সেন্ট, আগস্টে যা ৭০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। টানা দুই মাস ধরে জি৭ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেয়া মূল্যসীমার বেশি দামে উরাল ক্রুড রপ্তানি করছে রাশিয়া।
যে মাসে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়, সে মাস থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার সরকার ও অলিগার্কদের ওপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এসব নিষেধাজ্ঞায় দেশটির জন্য জ্বালানি তেল রপ্তানি করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ওপর ঘোষণা করা হয় প্রাইস ক্যাপ। এতে প্রতি ব্যারেলের মূল্য সর্বোচ্চ ৬০ ডলার বেঁধে দেয়া হয়। পাল্টা জবাবে রাশিয়া এসব দেশে জ্বালানি তেল ও জ্বালানি পণ্য সরবরাহ কমিয়ে দেয়। দেশটি এ সময় বিকল্প বাজার খুঁজতে শুরু করে। আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রেতা আকর্ষণে দেশটি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামে উল্লেখযোগ্য হারে মূল্যছাড় দেয়। আর এ সুযোগ কাজে লাগায় এশিয়ার মূল্যসংবেদনশীল ক্রেতা দেশগুলো।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
ফের ১০০ ডলারের পথে জ্বালানি তেল

২০২৩ সালে প্রথমবার তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার স্পর্শ করতে যাচ্ছে। চলতি মাসেই এই মূল্য দেখা যেতে পারে। জুনের পর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। মূলত সৌদি আরব ও রাশিয়ার তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা এবং চীনে চাহিদা বাড়ার কারণে তেলের দাম বাড়ছে।
গত সপ্তাহে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি বেড়ে ৯৪ ডলারে দাঁড়ায়, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। জুনে এই তেলের দাম ছিল ৭২ ডলার।
একই সময়ে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৭ ডলার থেকে বেড়ে ৯০ ডলার হয়েছে। গত সপ্তাহে দুই বেঞ্চমার্কের দামই বেড়েছে ৪ শতাংশ।
যুক্তরাজ্যে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম সামান্য বাড়তে শুরু করেছে। জুন থেকে লিটারপ্রতি খরচ বেড়েছে ১০ শতাংশ। মোটরিং সংস্থা আরএসি জানিয়েছে, শুক্রবার আনলেডেড জ্বালানির গড় দাম লিটারপ্রতি ১ দশমিক ৫২ শতাংশ ছিল, যা জুনের ১ দশমিক ৪৩ পাউন্ড থেকে বেশি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে পেট্রোলের দাম প্রতি গ্যালনে ১০ শতাংশ বেড়ে ৩ দশমিক ৯০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ১২০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর বিশ্বজুড়ে বেড়ে যায় মূল্যস্ফীতি। গত বছরের শেষের দিকে তেলের দাম কমলেও তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে ফের বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যেতে পারে।
অর্থসংবাদ/এসএম