গণমাধ্যম
সাংবাদিক আজহার মাহমুদ আর নেই

ক্যাম্পাস লাইভের প্রধান সম্পাদক ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন—ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজহার মাহমুদ মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
রোববার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫২ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আজহার মাহমুদ সম্প্রতি লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার এক ছেলে ও স্ত্রী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
আজহার মাহমুদ দৈনিক সমকাল, দৈনিক মানবজমিন ও বাংলাদেশ প্রতিদিন, ভয়েস অব আমেরিকা, বৈশাখী টিভি ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
মাহমুদের মৃত্যুতে অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) নেতবৃন্দ আজহার গভীর শোক জানিয়েছেন। তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

গণমাধ্যম
বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিনের পদত্যাগ দাবি বিএফইউজে’র

গতকাল মঙ্গলবার বাফুফে কার্যালয়ে নির্বাহী কমিটির সভার পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের আগে সাংবাদিকদের বাপের জুতা পরা ছবি নিয়ে ফেডারেশনে আসতে হবে- এমন মন্তব্য করেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। যার জেরে সালাউদ্দিনের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন দেশের সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন – বিএফইউজে। আরটিভি
বুধবার (৩ মে) সালাউদ্দিনকে পদত্যাগের দাবি জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহীদ উল আলম ও মহাসচিব দীপ আজাদ। সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক সেবীকা রানী সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় সারাদেশের ফুটবল সংগঠকদের তাকে অপসারণে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানানো হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের ফুটবল সংস্থার শীর্ষ পদে থেকে এ ধরনের বক্তব্য কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু সাংবাদিক সমাজ নয়, তাদের পরিবারকে জড়িয়ে এই বক্তব্য দেয়ার পর বাফুফে সভাপতির মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে দেশবাসী সন্দিহান হয়ে পড়েছে। কাজী সালাউদ্দিন দায়িত্ব পালনকালে দেশের এই খেলার মান প্রতিনিয়ত নিম্নগামী। র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থা প্রায় সবার নিচে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, অনিয়ম দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে বাফুফে। যার সাম্প্রতিক প্রমাণ ফিফার নিষেধাজ্ঞা। বিভিন্ন সময়ে এসব খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তার সর্বশেষ মন্তব্যে। দেশে ও দেশের বাইরে ফুটবলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার পর বাফুফে সভাপতি পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন বলে মনে করেন বিএফইউজে।
সম্প্রতি বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে জালিয়াতির দায়ে ২ বছর নিষিদ্ধ ও প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ফিফা। অনিয়মের অভিযোগে আরো ৩ জন পেয়েছেন কারণ দর্শানো নোটিশ। মাঠেও ফুটবলের অবস্থা অথৈবচ। বছরের পর বছর র্যাংকিংয়ের তলানিতে পড়ে আছে বাংলাদেশ। কাজী সালাউদ্দিনের চার মেয়াদে ফুটবলে নেই কোনো বলার মতো সাফল্য। এমনকি গ্রামে-গঞ্জের ফুটবলও গেছে থমকে। এমন অবস্থার মধ্যেই নড়ে বসল বিএফইউজে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
এবার সাংবাদিকদের নিয়ে কাজী নাবিলের আপত্তিকর মন্তব্য

মঙ্গলবার বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাংবাদিকদের বিষয়ে কাজী সালাউদ্দিন আপত্তিকর কথা বলছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বাফুফেতে প্রবেশ করতে হলে সাংবাদিকরা যেন ‘বাপের জুতা পরা ছবি’ নিয়ে যান।
এ সময় সাংবাদিকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন বাফুফের সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদও।
বাফুফে ভবনে এক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন কাজী সালাউদ্দিন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাফুফের সহ সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ। সাধারণত সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে সাংবাদিকরা তাদের হাতে থাকা রেকর্ডার যন্ত্রগুলো চালু করে দেন। যে কারণে বাফুফে কর্তাদের কথাবার্তা ধরা পড়ে।
সালাউদ্দিন তখন বলছিলেন, জার্নালিস্টরা এখানে ঢুকতে গেলে তাদের আমার এখানে ফটো দিতে হবে তাদের বাপ-মার। আরেকটা কন্ডিশন হলো তার বাপের ফটো পাঠাবে, জুতা পরা। ঠিক আছে (হাসি)? এটা হতে হবে মেন্ডেটরি। বাপের জুতা পরা ছবি থাকতে হবে।
সালাউদ্দিনের কথা শেষ হতেই কাজী নাবিল বলেন, আমার রিকোয়েস্ট আসলে আরেকটা। কে আন্ডারওয়্যার পরে বড় হয়েছে, আর কে হয়নি সেটাও দেখা দরকার। এমন কথাবার্তার অডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরপর ভিডিও বার্তায় কাজী সালাউদ্দিন ক্ষমা চাইলেও, কাজী নাবিল আহমেদ চাননি।

আর্থিক অনিয়মে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। পুরো বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য বাফুফে থেকে আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাংবাদিকদের আন্ডারওয়্যার দেখতে চাওয়া কাজী নাবিল আহমেদকে করা হয়েছে তদন্ত কমিটির প্রধান।
এ বিষয়ে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হলেন কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি দুই-তিন দিন পর কাজ শুরু করবেন। উনি বলেছেন তদন্ত করতে ৩০ দিন লাগবে।
৩০ দিন পর আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। ফিফা যে তদন্ত করেছে সেখানে আর কী কী আছে, কোনো জায়গায় কেউ ভুল করেছে কি না, তা জানতে আমাদের আরো ৩০ দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যখন তিনি তদন্ত রিপোর্ট দেবেন, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তদন্ত কমিটির স্বাধীনতা আছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১ ধাপ পেছাল বাংলাদেশ

আজ ৩ মার্চ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। এ উপলক্ষ্যে ২০২২ সালের সূচক প্রকাশ করেছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স। সূচকে ১৮০টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৩তম। এ বছর ৩৫ দশমিক ৩১ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায় সবার নিচে। এর আগে ২০২২ সালে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬২তম। সেসময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৬ দশমিক ৬৩।
বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) আজ বুধবার এই সূচক প্রকাশ করেছে। এ বছর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে আছে ভুটান। দেশটির অবস্থান ৯০তম। দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা নেপালের অবস্থান ৯৫তম। মালদ্বীপের অবস্থান ১০০তম, শ্রীলঙ্কার অবস্থান ১৩৫তম, পাকিস্তানের অবস্থান ১৫০তম, আফাগানিস্তানের অবস্থান ১৫২তম ও ভারতের অবস্থান ১৬১তম।
এ বছর বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ৯৫ দশমিক ১৮ স্কোর নিয়ে সবার ওপরে আছে নরওয়ে। দ্বিতীয় অবস্থানে আয়ারল্যান্ড। দেশটির স্কোর ৮৯ দশমিক ৯১। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ডেনমার্কের স্কোর ৮৯ দশমিক ৪৮। সূচকে সবার নিচে অবস্থান করছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির স্কোর ২১ দশমিক ৭২। নিচের সারির দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চীনের স্কোর ২২ দশমিক ৯৭। এর ওপরে থাকা ভিয়েতনামের স্কোর ২৪ দশমিক ৫৮।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক তৈরিতে আরএসএফ মূলত ৫টি বিষয় বিবেচনায় নেয়। সেগুলো হচ্ছে—রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, আইনি অবকাঠামো, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট ও নিরাপত্তা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
সাংবাদিক কামরুল ইসলাম চৌধুরী আর নেই

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মঙ্গলবার (২ মে) রাত সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, কামরুল ইসলাম চৌধুরী প্রায় এক মাস ধরে বিএসএমএমইউতে ভর্তি ছিলেন। তার লিভার সিরোসিস ছিল। যা পরে ক্যান্সারে রূপ নেয়।
কামরুল ইসলাম স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন। তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা থেকে বার্তা সম্পাদক হিসেবে অবসরে গিয়েছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
সাংবাদিকদের জন্য ইসির নতুন নীতিমালা বাতিল চায় টিআইবি

নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীরা মোটরসাইকেল ব্যবহার, ১০ মিনিটের বেশি ভোটকক্ষে অবস্থান ও ভোটকক্ষ থেকে কোনোভাবেই সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবে না বিধানাবলি সস্বলিত যে নীতিমালা নির্বাচন কমিশন জারি করেছে তা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি মনে করে, এমন নীতিমালা সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ভূমিকা পালনে প্রতিকন্ধতা সৃষ্টি করবে।
বৃহস্পতিবার ( ১৩ এপ্রিল) টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমকে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের ‘‘চোখ ও কান’’ বলে অভিহিত করলেও সম্প্রতি জারিকৃত পরিপত্রের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে- সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি শুধু নিজেদের জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করতে এ জাতীয় ‘‘মুখরোচক’’ মন্তব্য করেছে এবং কার্যক্ষেত্রে সাংবাদিকদের কার্যক্রম শেকলবদ্ধ করে তুলছে। মোটরসাইকেল স্থানীয় পর্যায়ে সংবাদকর্মীদের দায়িত্বপালনের একটি অপরিহার্য বাহন। অধিকন্তু, প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেক কেন্দ্র আছে যেখানে গাড়ি বা অন্য কোনো যানবাহনে পৌঁছানো সম্ভব নয়। তাছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে একটি গাড়ি ভাড়া করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়, এ রকম একটি পরিস্থিতিতে নির্বাচনের দিন গণমাধ্যমকর্মীদের মোটরসাইকেল ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ দুরভিসন্ধিমূলক। ১০ মিনিটের বেশি সংবাদকর্মীদের ভোটকক্ষে অবস্থান করতে না পারার যে বিধান করা হয়েছে, এর যৌক্তিকতা কী! নির্বাচন কমিশন চিহ্নিত ‘‘গোপন বুথের ডাকাতদের’’ রক্ষায় এই নিয়মের আমদানি কি-না? তা স্পষ্ট হওয়া জরুরি।’
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সাংবাদিকদের কমিশন থেকে যে কার্ড দেওয়া হতো সেখানে মাত্র পাঁচটি নির্দেশনা সংযুক্ত ছিল এবং সাংবাদিকদের নির্বাচনের দিন মোটরসাইকেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বিধি-নিষেধ ছিল না। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের ঠিক পূর্বে সাংবাদিকদের জন্য ১২টি ধারা যুক্ত করে একটি নীতিমালা এবং সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সংবাদকর্মীদের ভোট কভারেজের অনুমতি দিয়ে কার্ড প্রদান করার পর ভোটকক্ষে ঢুকতে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বাড়তি অনুমতির প্রয়োজনীয়তা কী, তা বোধগম্য নয়। তা ছাড়া বর্তমান প্রেক্ষাপটে যদি কোনো ভোটকক্ষে অনিয়ম সংঘটিত হয়, সেক্ষেত্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কী অনুমতি দিবেন? আর অনুমতি না দিলে নির্বাচনী অনিয়মের ছবি তোলা ও তথ্য সংগ্রহ কী ধরনের বাধার সৃষ্টি হবে, তা নীতিমালা তৈরিতে কমিশনের বিচার্য ছিল বলে বোধগম্য হচ্ছে না। মুখে নির্বাচনী স্বচ্ছতার কথা বলে আবার কোন বিবেচনায় ভোট কক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হলো, কিংবা এর মাধ্যমে কী বৈশ্বিক চর্চা কমিশন অনুকরণের চেষ্টা করছে, সেটি সত্যিই কৌতূহলোদ্দীপক।’

নীতিমালা পরিপন্থি কোনো কাজ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং রিটার্নিং অফিসার ‘‘স্বীয় বিবেচনায়” নির্বাচনী খবর সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকের সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষমতা প্রসঙ্গে ড. জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিপত্তি, পক্ষপাতমূলক প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রভাব বলয়ে সাংবাদিকের সংখ্যা ঠিক করার এখতিয়ার একজন কর্মকর্তার ইচ্ছাধীন হয়ে পড়াটা মোটেও সুখকর নয়। উপরন্তু কোনো নির্দিষ্ট মানদণ্ডের অনুপস্থিতি ছাড়াই কাকে কীভাবে নির্বাচন করা হলো, আর কাউকে কেন বাদ দেওয়া হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। যেখানে নির্বাচনের সময় অনেক স্বনামধন্য গণমাধ্যমের কর্মীরাও নির্বাচন কভারেজের অনুমতি পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন বাস্তবতায় প্রকাশিত নীতিমালাটি কমিশন বাতিল করবে এই দাবি জানাচ্ছি।
প্রয়োজনে বৈশ্বিক চর্চার সঙ্গে মিলিয়ে ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিবিড় আলোচনার মাধ্যমে একটি যথোপযুক্ত নিয়মাবলী তৈরির আশু উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও টিআইবি আশা প্রকাশ করে।
অর্থসংবাদ/এসএম